ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাতিল হওয়া ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্নীতির মামলাটি পুনরায় সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই মামলায় লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছে আপিল বিভাগ। রোববার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ঠিক করেন। শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক উপাদান রয়েছে এবং তিনি একজন এজাহারভুক্ত আসামি। ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর মামলাটি বাতিল করার সুযোগ নেই, তাই এটি সচল করা প্রয়োজন।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে তিন কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে বেসরকারি তিনটি ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক। এতে শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জাতীয় সংসদ ভবনে স্থাপিত ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলার বিচার শুরু হয়। আদালত ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে। এরপর শেখ হাসিনার আবেদনে মামলাটির বিচার স্থগিত করে হাই কোর্ট।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা মামলাটি বাতিলের উদ্যোগ নেন। ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল বিচারপতি মো. শামসুল হুদা ও বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকীর হাই কোর্ট বেঞ্চ মামলাটি বাতিল করে রায় দেন।
দীর্ঘ দেড় দশক ধরে মামলাটি আপিল বিভাগে না নেওয়ার পর, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুদক মামলাটি পুনরায় সচল করতে উদ্যোগ নেয়। ৫ হাজার ৪৫২ দিন বিলম্বের মার্জনা চেয়ে গত ৫ মার্চ লিভ টু আপিল করে সংস্থাটি।
গত ১৭ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত শুনানির জন্য ১৮ মে দিন নির্ধারণ করে। এর ধারাবাহিকতায় রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে এবং আপিল বিভাগ জানায়, মামলাটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাতিল হওয়া ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্নীতির মামলাটি পুনরায় সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই মামলায় লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছে আপিল বিভাগ। রোববার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ঠিক করেন। শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক উপাদান রয়েছে এবং তিনি একজন এজাহারভুক্ত আসামি। ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর মামলাটি বাতিল করার সুযোগ নেই, তাই এটি সচল করা প্রয়োজন।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে তিন কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে বেসরকারি তিনটি ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক। এতে শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জাতীয় সংসদ ভবনে স্থাপিত ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলার বিচার শুরু হয়। আদালত ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে। এরপর শেখ হাসিনার আবেদনে মামলাটির বিচার স্থগিত করে হাই কোর্ট।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা মামলাটি বাতিলের উদ্যোগ নেন। ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল বিচারপতি মো. শামসুল হুদা ও বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকীর হাই কোর্ট বেঞ্চ মামলাটি বাতিল করে রায় দেন।
দীর্ঘ দেড় দশক ধরে মামলাটি আপিল বিভাগে না নেওয়ার পর, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুদক মামলাটি পুনরায় সচল করতে উদ্যোগ নেয়। ৫ হাজার ৪৫২ দিন বিলম্বের মার্জনা চেয়ে গত ৫ মার্চ লিভ টু আপিল করে সংস্থাটি।
গত ১৭ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত শুনানির জন্য ১৮ মে দিন নির্ধারণ করে। এর ধারাবাহিকতায় রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে এবং আপিল বিভাগ জানায়, মামলাটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।