“৯৩ থেকে ৩-এ ফিরে যেতে হয় কেন?”—বিএনপি নেতার প্রশ্ন
বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে ‘সাপলুডু খেলার মতো’ উল্লেখ করে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তার ভাষায়, গণতন্ত্রের পথে একটু এগোলেই আবার পেছনে ফেরা—এটাই যেন বাংলাদেশের মানুষের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, “আমাদেরকে বারবার সাপলুডুর মতো ৯৩ থেকে ৩-এ ফিরে যেতে হচ্ছে কেন? আমরা চাই ৯৩ থেকে ৯৪, ৯৫, ৯৬ হয়ে ১০০-তে পৌঁছাতে। যারা এই পথে বাধা দেয়, তারা গণতন্ত্রের লুডুতে সাপের ভূমিকা পালন করছে।”
আর কতদিন গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষা?
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “বাংলাদেশের জনগণ আর কতদিন গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষা করবে? আমরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি, স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছি, এখনো গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষায় বসে আছি। কতবার সভা-সমাবেশ করতে হবে, স্লোগান দিতে হবে?”
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—সব একসাথে চান নজরুল
নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার করতে হবে—এমন দাবির সমালোচনা করে নজরুল বলেন, “গণতন্ত্র, বিচার আর সংস্কার—সব একসাথে করতে হবে। কেউ কেউ বলে আগে বিচার, কেউ বলে আগে সংস্কার—এই ‘আগে-পরে’র খেলা আর কত?”
তিনি বলেন, “নির্বাচনের বিলম্ব ঘটানোর জন্য অনেকে জনপ্রিয় কথার আড়ালে বিচারের দাবিকে সামনে আনছেন। এটি গণতন্ত্রের পথে বড় বাধা।”
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের দাবি
নজরুল জানান, “আমরা লিখিতভাবে সরকারকে জানিয়েছি, নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করুন। তদন্ত কর্মকর্তার সংকট দূর করুন। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট—গণতন্ত্রকে দমিয়ে রাখা।”
‘গণতন্ত্র নিজেই একটি সংস্কার’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “সংস্কার আর নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো একটা বড় ভুল। গণতন্ত্র নিজেই তো একটা সংস্কার। গণতন্ত্র একেক দেশে একেকভাবে চলে। সংস্কার আর গণতন্ত্র পরস্পরবিরোধী নয়—বরং পরিপূরক। তাই বিচার, সংস্কার, নির্বাচন—সবই একসঙ্গে, দ্রুত হওয়া দরকার।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াজ।
অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের ও সাম্যবাদী দলের নেতা সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
“৯৩ থেকে ৩-এ ফিরে যেতে হয় কেন?”—বিএনপি নেতার প্রশ্ন
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে ‘সাপলুডু খেলার মতো’ উল্লেখ করে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তার ভাষায়, গণতন্ত্রের পথে একটু এগোলেই আবার পেছনে ফেরা—এটাই যেন বাংলাদেশের মানুষের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, “আমাদেরকে বারবার সাপলুডুর মতো ৯৩ থেকে ৩-এ ফিরে যেতে হচ্ছে কেন? আমরা চাই ৯৩ থেকে ৯৪, ৯৫, ৯৬ হয়ে ১০০-তে পৌঁছাতে। যারা এই পথে বাধা দেয়, তারা গণতন্ত্রের লুডুতে সাপের ভূমিকা পালন করছে।”
আর কতদিন গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষা?
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “বাংলাদেশের জনগণ আর কতদিন গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষা করবে? আমরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি, স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছি, এখনো গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষায় বসে আছি। কতবার সভা-সমাবেশ করতে হবে, স্লোগান দিতে হবে?”
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—সব একসাথে চান নজরুল
নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার করতে হবে—এমন দাবির সমালোচনা করে নজরুল বলেন, “গণতন্ত্র, বিচার আর সংস্কার—সব একসাথে করতে হবে। কেউ কেউ বলে আগে বিচার, কেউ বলে আগে সংস্কার—এই ‘আগে-পরে’র খেলা আর কত?”
তিনি বলেন, “নির্বাচনের বিলম্ব ঘটানোর জন্য অনেকে জনপ্রিয় কথার আড়ালে বিচারের দাবিকে সামনে আনছেন। এটি গণতন্ত্রের পথে বড় বাধা।”
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের দাবি
নজরুল জানান, “আমরা লিখিতভাবে সরকারকে জানিয়েছি, নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করুন। তদন্ত কর্মকর্তার সংকট দূর করুন। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট—গণতন্ত্রকে দমিয়ে রাখা।”
‘গণতন্ত্র নিজেই একটি সংস্কার’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “সংস্কার আর নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো একটা বড় ভুল। গণতন্ত্র নিজেই তো একটা সংস্কার। গণতন্ত্র একেক দেশে একেকভাবে চলে। সংস্কার আর গণতন্ত্র পরস্পরবিরোধী নয়—বরং পরিপূরক। তাই বিচার, সংস্কার, নির্বাচন—সবই একসঙ্গে, দ্রুত হওয়া দরকার।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াজ।
অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের ও সাম্যবাদী দলের নেতা সৈয়দ নুরুল ইসলাম।