রাজশাহীর পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির দুই স্থানীয় নেতাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করেছে জেলা বিএনপি।
সোমবার রাতে সংঘটিত এ ঘটনার পর বুধবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বহিষ্কৃত দুই নেতা হলেন—পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম (জুম্মা) এবং বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবু সাইদ (চাঁদ), সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম (মার্শাল) স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঘটনার শিকার ব্যবসায়ী আবদুল হান্নান পুঠিয়ার হাতিনাদা গ্রামের বাসিন্দা ও কাঠ ব্যবসায়ী। তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক, তবে সক্রিয় কর্মী নন। তাঁর এক ছেলে সেনাবাহিনীর সদস্য। হান্নানের অভিযোগ, সোমবার বিকেলে বানেশ্বর বাজারে তাঁর ছোট ছেলে তুষারের সঙ্গে রফিকুল ইসলামের কথাকাটাকাটির পর রাতে রফিকুল ও তাঁর অনুসারীরা হান্নানের বাড়িতে হামলা চালায়।
হান্নান বলেন, হামলাকারীরা তাঁর বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও বাড়ির রান্নাঘর, লাকড়িঘর এবং একটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে একটি গরু ও দুটি ছাগল পুড়ে মারা যায়। হামলার সময় তাঁর দুই ছেলে—যারা সেনাবাহিনীর সদস্য—বাড়িতে ছিলেন, তবে নিরাপত্তার জন্য আত্মগোপন করেন।
পরে পুঠিয়া থানায় মামলা করেন আবদুল হান্নান, যেখানে রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়। হান্নানের অভিযোগ, গত ৫ আগস্টের পর রফিকুল তাঁর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় তিনি হুমকি দেন এবং শেষ পর্যন্ত হামলা চালান।
তবে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অপরদিকে, বহিষ্কৃত অপর নেতা আনোয়ারুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ‘অন্যায়ভাবে’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত চলছে।
বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
রাজশাহীর পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির দুই স্থানীয় নেতাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করেছে জেলা বিএনপি।
সোমবার রাতে সংঘটিত এ ঘটনার পর বুধবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বহিষ্কৃত দুই নেতা হলেন—পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম (জুম্মা) এবং বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবু সাইদ (চাঁদ), সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম (মার্শাল) স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঘটনার শিকার ব্যবসায়ী আবদুল হান্নান পুঠিয়ার হাতিনাদা গ্রামের বাসিন্দা ও কাঠ ব্যবসায়ী। তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক, তবে সক্রিয় কর্মী নন। তাঁর এক ছেলে সেনাবাহিনীর সদস্য। হান্নানের অভিযোগ, সোমবার বিকেলে বানেশ্বর বাজারে তাঁর ছোট ছেলে তুষারের সঙ্গে রফিকুল ইসলামের কথাকাটাকাটির পর রাতে রফিকুল ও তাঁর অনুসারীরা হান্নানের বাড়িতে হামলা চালায়।
হান্নান বলেন, হামলাকারীরা তাঁর বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও বাড়ির রান্নাঘর, লাকড়িঘর এবং একটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে একটি গরু ও দুটি ছাগল পুড়ে মারা যায়। হামলার সময় তাঁর দুই ছেলে—যারা সেনাবাহিনীর সদস্য—বাড়িতে ছিলেন, তবে নিরাপত্তার জন্য আত্মগোপন করেন।
পরে পুঠিয়া থানায় মামলা করেন আবদুল হান্নান, যেখানে রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়। হান্নানের অভিযোগ, গত ৫ আগস্টের পর রফিকুল তাঁর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় তিনি হুমকি দেন এবং শেষ পর্যন্ত হামলা চালান।
তবে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অপরদিকে, বহিষ্কৃত অপর নেতা আনোয়ারুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ‘অন্যায়ভাবে’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত চলছে।