নির্বাচন হলে পরে একটি দল গুরুত্ব হারাবে বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাই সেই দল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণায় ‘নাখোশ’ বলে জানালেন তিনি। তার ইঙ্গিত তাদের দীর্ঘদিনের সঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর দিকেই।
তিনি বলেছেন, ‘গুরুত্ব হারানোর ভয়ে একটি দল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময় নিয়ে নারাজ। সেজন্য গতকাল (মঙ্গলবার) তারা ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নেয়নি। কারণ তারা জানে নির্বাচন যতদিন হবে না, ততদিনই তাদের গুরুত্ব আছে।’
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক পছন্দ হয়নি বলেই একটি দল ‘নারাজ’ বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব। গতকাল রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে সদস্য ফরম নবায়ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সরকারের সঙ্গে যখন দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল তখন ড. ইউনূসের আমন্ত্রণে তারেক রহমান বৈঠক করেন। যে বৈঠক একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ওই বৈঠকে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন মেনে নিয়েছে বিএনপি। এ ধরনের বৈঠক রাজনীতিতে বিরল।’
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, তাদের (ইউনূস-তারেক) এই বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা মেনে নিতে পারেনি জামায়েত। ইউনূস ও তারেকের বৈঠকের পর যৌথবিবৃতি নিয়ে সমালোচনা করেছে জামায়েত। অনানুষ্ঠানিকভাবে জামায়েত নেতারা জানান, সেই ঘটনার প্রতিবাদেই ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের সভা বয়কট করেন তারা।
সংঘর্ষে না গিয়ে দুই নেতা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করায় ইউনূস ও তারেকের বৈঠককে সবাই পছন্দ করেছে বলে মনে করেন ফখরুল। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সবাই লন্ডন বৈঠকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু ইউনূস-তারেক বৈঠক পছন্দ হয়নি বলেই নারাজ হয় একটি দল। তাই তারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যায়নি।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এখন নির্বাচন নাই তাই তাদের গুরুত্ব আছে, যখন নির্বাচন হবে, নতুন সরকার আসবে তখন তাদের গুরুত্ব থাকবে না। তারা জানে নির্বাচন হলে তাদের গুরুত্ব কমে যাবে, তাই তারা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে নারাজ। কারণ নির্বাচন এলে যেসব সুযোগ-সুবিধা এখন পাচ্ছে, তা আর তারা পাবে না। তাই তারা বাধা তৈরি করছে।’
নেতাকর্মীদের কড়া নির্দেশ দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জোর করে চাঁদাবাজি করতে গেলে আমরাও আওয়ামী লীগের মতো হয়ে যাবো। বিএনপির কঠোর নির্দেশ এগুলো করা যাবে না, মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে।’
নতুন সদস্য সংগ্রহের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ নেব না, কিন্তু যারা ভালো মানুষ তাদের বাদও দেব না। আওয়ামী লীগের যারা প্রমাণিত খারাপ মানুষ, মাফিয়া, দখলদার, ডাকাত তাদের দলে নেয়া যাবে না। তবে যারা রাজনীতি করেনি, খারাপ না, ভালো মানুষ তাদের বাছাই করে দলে নিতে হবে।’
বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো ভোট কারচুপি এবং আইন ভঙ্গ করবে না বলেও ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণের অধিকার হরণ করে নয়, বরং বিনয়ী হয়ে ভোট চাইবে।’
১৭ বছরের রাজনৈতিক নিপীড়নের কথা তুলে ধরে বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, ‘এই দীর্ঘ সময়ে মানুষ অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। তাদের একমাত্র চাওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়া। আমাদের আন্দোলন সেই অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই।’
তুরাগ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হারুন অর রশীদ খোকনের সভাপতিত্বে ও থানার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো: জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো: মোস্তফা জামান।
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
নির্বাচন হলে পরে একটি দল গুরুত্ব হারাবে বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাই সেই দল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণায় ‘নাখোশ’ বলে জানালেন তিনি। তার ইঙ্গিত তাদের দীর্ঘদিনের সঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর দিকেই।
তিনি বলেছেন, ‘গুরুত্ব হারানোর ভয়ে একটি দল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময় নিয়ে নারাজ। সেজন্য গতকাল (মঙ্গলবার) তারা ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নেয়নি। কারণ তারা জানে নির্বাচন যতদিন হবে না, ততদিনই তাদের গুরুত্ব আছে।’
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক পছন্দ হয়নি বলেই একটি দল ‘নারাজ’ বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব। গতকাল রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে সদস্য ফরম নবায়ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সরকারের সঙ্গে যখন দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল তখন ড. ইউনূসের আমন্ত্রণে তারেক রহমান বৈঠক করেন। যে বৈঠক একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ওই বৈঠকে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন মেনে নিয়েছে বিএনপি। এ ধরনের বৈঠক রাজনীতিতে বিরল।’
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, তাদের (ইউনূস-তারেক) এই বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা মেনে নিতে পারেনি জামায়েত। ইউনূস ও তারেকের বৈঠকের পর যৌথবিবৃতি নিয়ে সমালোচনা করেছে জামায়েত। অনানুষ্ঠানিকভাবে জামায়েত নেতারা জানান, সেই ঘটনার প্রতিবাদেই ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের সভা বয়কট করেন তারা।
সংঘর্ষে না গিয়ে দুই নেতা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করায় ইউনূস ও তারেকের বৈঠককে সবাই পছন্দ করেছে বলে মনে করেন ফখরুল। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সবাই লন্ডন বৈঠকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু ইউনূস-তারেক বৈঠক পছন্দ হয়নি বলেই নারাজ হয় একটি দল। তাই তারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যায়নি।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এখন নির্বাচন নাই তাই তাদের গুরুত্ব আছে, যখন নির্বাচন হবে, নতুন সরকার আসবে তখন তাদের গুরুত্ব থাকবে না। তারা জানে নির্বাচন হলে তাদের গুরুত্ব কমে যাবে, তাই তারা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে নারাজ। কারণ নির্বাচন এলে যেসব সুযোগ-সুবিধা এখন পাচ্ছে, তা আর তারা পাবে না। তাই তারা বাধা তৈরি করছে।’
নেতাকর্মীদের কড়া নির্দেশ দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জোর করে চাঁদাবাজি করতে গেলে আমরাও আওয়ামী লীগের মতো হয়ে যাবো। বিএনপির কঠোর নির্দেশ এগুলো করা যাবে না, মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে।’
নতুন সদস্য সংগ্রহের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ নেব না, কিন্তু যারা ভালো মানুষ তাদের বাদও দেব না। আওয়ামী লীগের যারা প্রমাণিত খারাপ মানুষ, মাফিয়া, দখলদার, ডাকাত তাদের দলে নেয়া যাবে না। তবে যারা রাজনীতি করেনি, খারাপ না, ভালো মানুষ তাদের বাছাই করে দলে নিতে হবে।’
বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো ভোট কারচুপি এবং আইন ভঙ্গ করবে না বলেও ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণের অধিকার হরণ করে নয়, বরং বিনয়ী হয়ে ভোট চাইবে।’
১৭ বছরের রাজনৈতিক নিপীড়নের কথা তুলে ধরে বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, ‘এই দীর্ঘ সময়ে মানুষ অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। তাদের একমাত্র চাওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়া। আমাদের আন্দোলন সেই অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই।’
তুরাগ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হারুন অর রশীদ খোকনের সভাপতিত্বে ও থানার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো: জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো: মোস্তফা জামান।