বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দীর্ঘ ছয় মাস ২১ দিন পর দলীয় কার্যালয়ে অফিস করেছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি রাজধানীর নয়া পল্টনের দলের কেন্দ্রীয় অফিসে আসেন।
সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন রিজভী। ওই দিনই রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এলে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন তাকে আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। পরে ৯ মে করোনামুক্ত হয়ে প্রায় দুই মাস পর বাসায় ফেরেন রিজভী। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়ায় তাকে বাসায় পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হয় আরও কিছুদিন।
রুহুল কবির রিজভী বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
দায়িত্বে যোগ দিয়ে সকালে রিজভী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি আবার অফিস শুরু করেছি। আজকে খুব ভালো লাগছে- অনেক দিন পর নিজের অফিসে আসতে পেরেছি।
প্রিন্স বলেন, রিজভী আহমেদ অসুস্থ হওয়ায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্দেশে আমি দফতরের দায়িত্ব পালন করেছি। আমার নিয়োগেই লেখা ছিল রিজভী আহমেদের সুস্থতা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করব। এখন তিনি সুস্থ হয়েছেন, তাই নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রিজভী আহমেদের আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়লে দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তার দফতরে এসে নেতাকে শুভেচ্ছা জানান।
নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় কেন্দ্রীয় দফতরের কক্ষটি রুহুল কবির রিজভীর কাছে সেকেন্ড হোম হিসেবে পরিচিত। বিগত সময়ে নানা আন্দোলনকালে এখানে অবস্থান করেছেন তিনি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে খালেদা জিয়া সাজা নিয়ে কারাবাসের পর এই কার্যালয়ে রিজভী একটানা অবস্থান নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে দলের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। ২০২০ সালে সরকার তার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়া পর্যন্ত টানা ৭৮৭ দিন নয়া পল্টনের অফিসে অবস্থান নিয়েছিলেন রিজভী। খালেদা জিয়ার মুক্তির একদিন পর তিনি বাসায় যান।
বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দীর্ঘ ছয় মাস ২১ দিন পর দলীয় কার্যালয়ে অফিস করেছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি রাজধানীর নয়া পল্টনের দলের কেন্দ্রীয় অফিসে আসেন।
সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন রিজভী। ওই দিনই রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এলে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন তাকে আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। পরে ৯ মে করোনামুক্ত হয়ে প্রায় দুই মাস পর বাসায় ফেরেন রিজভী। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়ায় তাকে বাসায় পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হয় আরও কিছুদিন।
রুহুল কবির রিজভী বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
দায়িত্বে যোগ দিয়ে সকালে রিজভী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি আবার অফিস শুরু করেছি। আজকে খুব ভালো লাগছে- অনেক দিন পর নিজের অফিসে আসতে পেরেছি।
প্রিন্স বলেন, রিজভী আহমেদ অসুস্থ হওয়ায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্দেশে আমি দফতরের দায়িত্ব পালন করেছি। আমার নিয়োগেই লেখা ছিল রিজভী আহমেদের সুস্থতা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করব। এখন তিনি সুস্থ হয়েছেন, তাই নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রিজভী আহমেদের আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়লে দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তার দফতরে এসে নেতাকে শুভেচ্ছা জানান।
নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় কেন্দ্রীয় দফতরের কক্ষটি রুহুল কবির রিজভীর কাছে সেকেন্ড হোম হিসেবে পরিচিত। বিগত সময়ে নানা আন্দোলনকালে এখানে অবস্থান করেছেন তিনি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে খালেদা জিয়া সাজা নিয়ে কারাবাসের পর এই কার্যালয়ে রিজভী একটানা অবস্থান নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে দলের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। ২০২০ সালে সরকার তার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়া পর্যন্ত টানা ৭৮৭ দিন নয়া পল্টনের অফিসে অবস্থান নিয়েছিলেন রিজভী। খালেদা জিয়ার মুক্তির একদিন পর তিনি বাসায় যান।