মাদারীপুরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পৃথক ঘটনায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। অন্য ঘটনায় পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করেছে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সমর্থকরা।
জেলা বার্তা পরিবেশকের পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলা বার্তা পরিবেশক মাদারীপুর জানান, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে দুই পক্ষ শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মনির দর্জি (৩৫), মোহাম্মদ বেপারী (২৪), হায়দার খান (৪৫), সরোয়ার শেখ (৩০), রুবেল মাতুব্ব (২৫), আবু মালেক (২৫) ও পুলিশ কনস্টেবল অভিজিত দেসহ (২২) প্রায় ১০ জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র প্রচারণাকালে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডাভোকেট বাবুল আখতার ও খলিলুর রহমান দর্জির সমর্থকদের মধ্যে মন্টারপোল এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে একজন পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষ শতাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে সদর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অভিজিত দে নামে আমাদের একজন কনস্টেবল গুরুতর আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় নির্বাচনে অংশ নেয়া অভিযুক্ত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে মাদারীপুরের কালকিনিতে এক পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে অংশ নেয় হাফিজুর রহমান সরদার মিলন। সেই ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহেদ পারভেজের কাছে পরাজিত হন মিলন সরদার। নির্বাচনের পর থেকে মিলন সরদারের কর্মী-সমর্থকরা হামলা মামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ করে আসছেন। নির্বাচনী দ্বন্দ্বের জেরের ধারাবাহিকতায় শনিবার সন্ধ্যায় শাহেদ পারভেজের সমর্থক মানিক গং পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন সরদারের ইটের ভাটা অফিস ঘর ও তাদের পুরান বাড়িতে থাকা ছোট-বড় ৫টি ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমান মিলন সরদার বলেন, ‘নির্বাচনের জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নতুন চেয়ারম্যান শাহেদ পারভেজের কর্মী মানিক গং আমাদের পুরান বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
মাদারীপুরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পৃথক ঘটনায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। অন্য ঘটনায় পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করেছে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সমর্থকরা।
জেলা বার্তা পরিবেশকের পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলা বার্তা পরিবেশক মাদারীপুর জানান, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে দুই পক্ষ শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মনির দর্জি (৩৫), মোহাম্মদ বেপারী (২৪), হায়দার খান (৪৫), সরোয়ার শেখ (৩০), রুবেল মাতুব্ব (২৫), আবু মালেক (২৫) ও পুলিশ কনস্টেবল অভিজিত দেসহ (২২) প্রায় ১০ জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র প্রচারণাকালে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডাভোকেট বাবুল আখতার ও খলিলুর রহমান দর্জির সমর্থকদের মধ্যে মন্টারপোল এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে একজন পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষ শতাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে সদর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অভিজিত দে নামে আমাদের একজন কনস্টেবল গুরুতর আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় নির্বাচনে অংশ নেয়া অভিযুক্ত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে মাদারীপুরের কালকিনিতে এক পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে অংশ নেয় হাফিজুর রহমান সরদার মিলন। সেই ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহেদ পারভেজের কাছে পরাজিত হন মিলন সরদার। নির্বাচনের পর থেকে মিলন সরদারের কর্মী-সমর্থকরা হামলা মামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ করে আসছেন। নির্বাচনী দ্বন্দ্বের জেরের ধারাবাহিকতায় শনিবার সন্ধ্যায় শাহেদ পারভেজের সমর্থক মানিক গং পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন সরদারের ইটের ভাটা অফিস ঘর ও তাদের পুরান বাড়িতে থাকা ছোট-বড় ৫টি ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমান মিলন সরদার বলেন, ‘নির্বাচনের জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নতুন চেয়ারম্যান শাহেদ পারভেজের কর্মী মানিক গং আমাদের পুরান বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে।