নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশ ‘উপেক্ষা’ করে নির্বাচনী এলাকায় থেকে যাওয়া নিয়ে আলোচিত-সমালোচিত সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, ইসি যে ভাষায় তাকে চিঠি দিয়েছে তাতে তার ‘সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন’ হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে বুধবার নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদে তিনি এ নিয়ে আলোচনা করবেন। সেই সঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশনের এই আইন সংশোধনের দাবি করবেন।
চলমান কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে নিজ দলের সমর্থীত প্রার্থীর পক্ষে ‘প্রচারণা’ চালানোর অভিযোগ উঠলে এমপি বাহারকে প্রথম সর্তক করে ইসি। পরে তাকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিলে তিনি আদালতে দারস্ত হোন।
এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, তিনি আইনের ‘ফাক-ফোকর’ ব্যবহার করে এলাকায় অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমপি বাহার বলেন, ‘আইন তো সবার জন্য সমান। নির্বাচন কমিশনকে আগে আইন মানতে হবে। আমি খুব দুঃখ পেয়েছি, একজন নির্বাচন কমিশনার আপনাদের সামনে বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, আই অ্যাম আ ল মেকার। আমি আইন ভঙ্গ করেছি!’
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা কী আমাকে কোথাও দেখেছেন নির্বাচনে? আমি কীভাবে আইন ভাঙলাম।’
এলাকা ছাড়ার ইসির নির্দেশনাকে ‘আইনের লঙ্ঘন, এখতিয়ার বহির্ভূত’ আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, ‘চিঠিটা ভাষাগতভাবেও ঠিক হয় নাই। একজন সংসদ সদস্যকে এভাবে ‘নির্দেশ’ শব্দ ব্যবহার করতে পারে না কেউ। চিঠিটা অসমাপ্ত। চিঠিতে আইনের পুরো ব্যাখ্যা নাই।’
যে আইনে তাকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসি সে্ই আইনটি তুলে ধরে কুমিল্লা ৬ আসনের এই এমপি বলেন, ‘আমাকে পার্লামেন্টে কথা বলতে হবে। আইনটা আমরা সংশোধন করব ইনশাল্লাহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি হাই কোর্টে রিট করেছি, একটা রুলও পেয়েছি। এই আইনটা পরিবর্তন হবে, কারণ একজন সংসদ সদস্য যেহেতু সরকারের অংশ না, সেহেতু এখানে আমার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে এখানে।’
এসময় নির্বাচন কমিশন তাকে দেয়া ওই চিঠির কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে মানুষ ‘নৌকার পক্ষে’ ভোট দিচ্ছেন বলেও মনে করছেন এমপি বাহার।
বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশ ‘উপেক্ষা’ করে নির্বাচনী এলাকায় থেকে যাওয়া নিয়ে আলোচিত-সমালোচিত সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, ইসি যে ভাষায় তাকে চিঠি দিয়েছে তাতে তার ‘সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন’ হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে বুধবার নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদে তিনি এ নিয়ে আলোচনা করবেন। সেই সঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশনের এই আইন সংশোধনের দাবি করবেন।
চলমান কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে নিজ দলের সমর্থীত প্রার্থীর পক্ষে ‘প্রচারণা’ চালানোর অভিযোগ উঠলে এমপি বাহারকে প্রথম সর্তক করে ইসি। পরে তাকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিলে তিনি আদালতে দারস্ত হোন।
এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, তিনি আইনের ‘ফাক-ফোকর’ ব্যবহার করে এলাকায় অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমপি বাহার বলেন, ‘আইন তো সবার জন্য সমান। নির্বাচন কমিশনকে আগে আইন মানতে হবে। আমি খুব দুঃখ পেয়েছি, একজন নির্বাচন কমিশনার আপনাদের সামনে বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, আই অ্যাম আ ল মেকার। আমি আইন ভঙ্গ করেছি!’
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা কী আমাকে কোথাও দেখেছেন নির্বাচনে? আমি কীভাবে আইন ভাঙলাম।’
এলাকা ছাড়ার ইসির নির্দেশনাকে ‘আইনের লঙ্ঘন, এখতিয়ার বহির্ভূত’ আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, ‘চিঠিটা ভাষাগতভাবেও ঠিক হয় নাই। একজন সংসদ সদস্যকে এভাবে ‘নির্দেশ’ শব্দ ব্যবহার করতে পারে না কেউ। চিঠিটা অসমাপ্ত। চিঠিতে আইনের পুরো ব্যাখ্যা নাই।’
যে আইনে তাকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসি সে্ই আইনটি তুলে ধরে কুমিল্লা ৬ আসনের এই এমপি বলেন, ‘আমাকে পার্লামেন্টে কথা বলতে হবে। আইনটা আমরা সংশোধন করব ইনশাল্লাহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি হাই কোর্টে রিট করেছি, একটা রুলও পেয়েছি। এই আইনটা পরিবর্তন হবে, কারণ একজন সংসদ সদস্য যেহেতু সরকারের অংশ না, সেহেতু এখানে আমার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে এখানে।’
এসময় নির্বাচন কমিশন তাকে দেয়া ওই চিঠির কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে মানুষ ‘নৌকার পক্ষে’ ভোট দিচ্ছেন বলেও মনে করছেন এমপি বাহার।