ঢাকেশ্বরী পূজা মণ্ডপে গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সামনেই তার পক্ষে শ্লোগান শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন,এই পূজা মণ্ডপ, এখানে আমি কারও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা নিতে আসিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা পরিদর্শনে গেলে লালবাগ আওয়ামী লীগের কয়েকটি পক্ষ মিছিল শুরু করে। মাইকে বারবার অনুরোধ জানিয়েও মিছিল-স্লোগান থামানো যাচ্ছিল না। তখন মঞ্চ উঠেই ক্ষোভ ঝাড়তে শুরু করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি ক্ষুব্ধকন্ঠে কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “এটাতো পূজা, ভুলে গেছেন? এটা ঢাকেশ্বরী ঐতিহ্যবাহী- এই পূজা মণ্ডপ, এখানে আমি কারও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা নিতে আসিনি। এই দুর্গাপূজার মধ্যেও লালবাগের গ্রুপ পলিটিক্স, কেন? আমি জানতে চাই।”
পুরনো ঢাকার লালবাগে বেশ কিছুদিন ধরেই আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে কোন্দল চলছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর লালবাগ থানা আওয়ামী লীগ এবং ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অন্তত পাঁচবার মারামারি বেঁধেছিল। সেদিন যাদের সমর্থকরা এসব মারামারিতে জড়িয়েছেন, তারা সবাই আগামী নির্বাচনে ঢাকা-৭ (লালবাগ) আসনের নৌকার প্রার্থী হতে ইচ্ছুক।
লালবাগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নেতাকর্মীদের ফের বিশৃঙ্খলা দেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আপনাদের শোডাউন দেখতে আমি এখানে আসিনি। সব জায়গায় শোডাউন দিতে হবে? আমি দেখেছি- আমি ঢুকতেই পারছিলাম না, যাদেরকে, যারা এইসব শোডাউন সংশোধন না হবে, আগামী নির্বাচনে এই ধরনের লোককে মনোনয়ন দেব? শোডাউনের লোককে দেব না। কী করবেন? কী করবেন? আমি নেত্রীকে রিপোর্ট করব, কী কী হচ্ছে এখানে?”
এ সময় দুঃখ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, “হিন্দুরা এখানে পূজা করতে আসছে, মা-বোনেরা আসছে, এদের সামনে আপনারা- এখানে মল্লযুদ্ধ দেখাচ্ছেন? কার কত শক্তি দেখাচ্ছেন? আমি এগুলো দেখতে চাই না। সবার এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন) জমা আছে। শোডাউন দেখাইয়া ফায়দা লুটবেন, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।
“এরা যার যার স্লোগান দেয়, প্রত্যেকেই যার যার শোডাউন করছে, মনে করছে এক বছর পর নির্বাচন; নেতারে দেখাই। কে কয়জন নিয়ে ঘোরে, কী করে- সব জানি। একটি বিশৃঙ্খলা হয়েছিল, আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।”
সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা হচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “অশুভ শক্তির পরাজয় হবে, শুভ শক্তির বিজয় হবে। দেবী দুর্গার আগমনে সহিংসতার বিনাশ হবে।”
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা।
মঙ্গলবার, ০৪ অক্টোবর ২০২২
ঢাকেশ্বরী পূজা মণ্ডপে গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সামনেই তার পক্ষে শ্লোগান শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন,এই পূজা মণ্ডপ, এখানে আমি কারও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা নিতে আসিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা পরিদর্শনে গেলে লালবাগ আওয়ামী লীগের কয়েকটি পক্ষ মিছিল শুরু করে। মাইকে বারবার অনুরোধ জানিয়েও মিছিল-স্লোগান থামানো যাচ্ছিল না। তখন মঞ্চ উঠেই ক্ষোভ ঝাড়তে শুরু করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি ক্ষুব্ধকন্ঠে কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “এটাতো পূজা, ভুলে গেছেন? এটা ঢাকেশ্বরী ঐতিহ্যবাহী- এই পূজা মণ্ডপ, এখানে আমি কারও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা নিতে আসিনি। এই দুর্গাপূজার মধ্যেও লালবাগের গ্রুপ পলিটিক্স, কেন? আমি জানতে চাই।”
পুরনো ঢাকার লালবাগে বেশ কিছুদিন ধরেই আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে কোন্দল চলছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর লালবাগ থানা আওয়ামী লীগ এবং ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অন্তত পাঁচবার মারামারি বেঁধেছিল। সেদিন যাদের সমর্থকরা এসব মারামারিতে জড়িয়েছেন, তারা সবাই আগামী নির্বাচনে ঢাকা-৭ (লালবাগ) আসনের নৌকার প্রার্থী হতে ইচ্ছুক।
লালবাগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নেতাকর্মীদের ফের বিশৃঙ্খলা দেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আপনাদের শোডাউন দেখতে আমি এখানে আসিনি। সব জায়গায় শোডাউন দিতে হবে? আমি দেখেছি- আমি ঢুকতেই পারছিলাম না, যাদেরকে, যারা এইসব শোডাউন সংশোধন না হবে, আগামী নির্বাচনে এই ধরনের লোককে মনোনয়ন দেব? শোডাউনের লোককে দেব না। কী করবেন? কী করবেন? আমি নেত্রীকে রিপোর্ট করব, কী কী হচ্ছে এখানে?”
এ সময় দুঃখ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, “হিন্দুরা এখানে পূজা করতে আসছে, মা-বোনেরা আসছে, এদের সামনে আপনারা- এখানে মল্লযুদ্ধ দেখাচ্ছেন? কার কত শক্তি দেখাচ্ছেন? আমি এগুলো দেখতে চাই না। সবার এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন) জমা আছে। শোডাউন দেখাইয়া ফায়দা লুটবেন, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।
“এরা যার যার স্লোগান দেয়, প্রত্যেকেই যার যার শোডাউন করছে, মনে করছে এক বছর পর নির্বাচন; নেতারে দেখাই। কে কয়জন নিয়ে ঘোরে, কী করে- সব জানি। একটি বিশৃঙ্খলা হয়েছিল, আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।”
সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা হচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “অশুভ শক্তির পরাজয় হবে, শুভ শক্তির বিজয় হবে। দেবী দুর্গার আগমনে সহিংসতার বিনাশ হবে।”
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা।