বিএনপিকে রাস্তা বন্ধ করে আর সমাবেশ করতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার দল আওয়ামী লীগও আর রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ করে জনগণকে কষ্ট দিয়ে আর সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। আমরাও করব না। শুক্রবার মহানগরের সমাবেশ স্টেডিয়ামের দক্ষিণ গেটে ছিল। তাদের বলে দিয়েছি তারা যেন নাট্যমঞ্চে করে।’
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যৌথসভার শুরুতে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ওই সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
বিএনপি ‘লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি’ নিয়েই বুধবার নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছিল মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা (বিএনপি) সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে, সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিবাদি শক্তি মাঠে নামিয়েছে। আগুন সন্ত্রাসে নেমেছে। লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি তারা বুধবার কার্যকর করেছে। আগুন সন্ত্রাস, পুলিশের ওপর আক্রমণ শুরু গেছে। আমরা যেটা আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি জনগণের কথা ভেবে আমাদের সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করতে পারি, তাহলে বিএনপি কেন অনড় অবস্থানে আছে? বিশৃঙ্খলা করবে, সরকার পতন ঘটাবে ওই সব দুরভিসন্ধি আমরা জেনে গেছি। আমাদের নেতাকর্মীরা আজ থেকে সতর্ক আবস্থানে পাহারায় থাকবেন। আক্রমণ আমরা করবো না, আক্রমণকারী হবো না, কিন্তু আক্রমণের উসকানি দিলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে, যদিও তারা আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সর্বত্র সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারাদেশের সব জেলা-উপজেলা, মহানগর, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আজ থেকে সতর্ক পাহারায় থাকবেন। এই বিজয়ের মাসে আমরা দেশকে সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে তুলে দিতে পারি না। এটা আমাদের শপথ।’
তিনি বলেন, ‘অকারণে আক্রমণ আমরা করতে যাবো না। আমরা সরকারে আছি, শান্ত থেকে ঠান্ডা মাথায় মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের যেন কোন দুর্নাম না হয়। আক্রমণকারী হিসেবে শুরু তারা করেছে, আমরাও দেখবো।’
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংর্ঘষের ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে গণমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই নিরপেক্ষতার কথা বলেন, বস্তুনিষ্ঠতার কথা বলেন। পুলিশ মার খেয়ে রাস্তায় পড়ে আছে, কেউ ছবি দিলেন না। বিআরটিসির গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, কেউ পত্রিকায় ছবি দিলেন না। এই দুর্ব্যবহার কেন করা হচ্ছে? সরকারি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলল, সেই ছবি কেউ দিলেন না। কেন এমনটা করা হচ্ছে? মিডিয়ার একটা অংশ কেন পক্ষ নিচ্ছে? পক্ষপাতিত্ব করছে। এটা আমার অভিযোগ।’
‘শেখ হাসিনার এত উন্নয়ন, সব রেকর্ড ছাড়িয়ে উন্নয়ন করেছেন বিএনপি চোখে দেখে না, কিন্তু মিডিয়ার তো দেখার কথা। আমরা সত্যকে তুলে ধরার কথা বলছি।’
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশিদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশিরা আমাদের বন্ধু, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটা একপেশে, এটা উচিত নয়। আমরা ৬ জানুয়ারির নির্বাচন দেখেছি, এখন পর্যন্ত একপক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচন চুরি করা হয়েছে। এটা কি? আদর্শিক গণতন্ত্র?’
‘আমরা আপনাদের বন্ধু, আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করবেন না। জনতা কার সঙ্গে, সেটা যশোর, চট্টগ্রাম কক্সবাজারের সমাবেশ দেখুন, বুঝতে পারবেন। জনগণ কী চায় বুঝতে পারবেন।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অন্যান্য সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২
বিএনপিকে রাস্তা বন্ধ করে আর সমাবেশ করতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার দল আওয়ামী লীগও আর রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ করে জনগণকে কষ্ট দিয়ে আর সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। আমরাও করব না। শুক্রবার মহানগরের সমাবেশ স্টেডিয়ামের দক্ষিণ গেটে ছিল। তাদের বলে দিয়েছি তারা যেন নাট্যমঞ্চে করে।’
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যৌথসভার শুরুতে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ওই সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
বিএনপি ‘লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি’ নিয়েই বুধবার নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছিল মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা (বিএনপি) সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে, সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিবাদি শক্তি মাঠে নামিয়েছে। আগুন সন্ত্রাসে নেমেছে। লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি তারা বুধবার কার্যকর করেছে। আগুন সন্ত্রাস, পুলিশের ওপর আক্রমণ শুরু গেছে। আমরা যেটা আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি জনগণের কথা ভেবে আমাদের সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করতে পারি, তাহলে বিএনপি কেন অনড় অবস্থানে আছে? বিশৃঙ্খলা করবে, সরকার পতন ঘটাবে ওই সব দুরভিসন্ধি আমরা জেনে গেছি। আমাদের নেতাকর্মীরা আজ থেকে সতর্ক আবস্থানে পাহারায় থাকবেন। আক্রমণ আমরা করবো না, আক্রমণকারী হবো না, কিন্তু আক্রমণের উসকানি দিলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে, যদিও তারা আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সর্বত্র সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারাদেশের সব জেলা-উপজেলা, মহানগর, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আজ থেকে সতর্ক পাহারায় থাকবেন। এই বিজয়ের মাসে আমরা দেশকে সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে তুলে দিতে পারি না। এটা আমাদের শপথ।’
তিনি বলেন, ‘অকারণে আক্রমণ আমরা করতে যাবো না। আমরা সরকারে আছি, শান্ত থেকে ঠান্ডা মাথায় মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের যেন কোন দুর্নাম না হয়। আক্রমণকারী হিসেবে শুরু তারা করেছে, আমরাও দেখবো।’
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংর্ঘষের ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে গণমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই নিরপেক্ষতার কথা বলেন, বস্তুনিষ্ঠতার কথা বলেন। পুলিশ মার খেয়ে রাস্তায় পড়ে আছে, কেউ ছবি দিলেন না। বিআরটিসির গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, কেউ পত্রিকায় ছবি দিলেন না। এই দুর্ব্যবহার কেন করা হচ্ছে? সরকারি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলল, সেই ছবি কেউ দিলেন না। কেন এমনটা করা হচ্ছে? মিডিয়ার একটা অংশ কেন পক্ষ নিচ্ছে? পক্ষপাতিত্ব করছে। এটা আমার অভিযোগ।’
‘শেখ হাসিনার এত উন্নয়ন, সব রেকর্ড ছাড়িয়ে উন্নয়ন করেছেন বিএনপি চোখে দেখে না, কিন্তু মিডিয়ার তো দেখার কথা। আমরা সত্যকে তুলে ধরার কথা বলছি।’
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশিদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশিরা আমাদের বন্ধু, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটা একপেশে, এটা উচিত নয়। আমরা ৬ জানুয়ারির নির্বাচন দেখেছি, এখন পর্যন্ত একপক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচন চুরি করা হয়েছে। এটা কি? আদর্শিক গণতন্ত্র?’
‘আমরা আপনাদের বন্ধু, আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করবেন না। জনতা কার সঙ্গে, সেটা যশোর, চট্টগ্রাম কক্সবাজারের সমাবেশ দেখুন, বুঝতে পারবেন। জনগণ কী চায় বুঝতে পারবেন।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অন্যান্য সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।