বাইশ বছর আগে পল্টনে সিপিবির জনসভায় বোমা হামলা চালিয়ে পাঁচ জনকে হত্যার নেপথ্য ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে মামলার পুনঃতদন্ত দাবি করেছে দলটি। আজ শুক্রবার পল্টনে সিপিবি কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে এই দাবি করেন দলটির নেতারা। সকালে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সমাবেশের পর বিকালে শাহবাগ থেকে লাল পতাকা মিছিল বের করে সিপিবি।
২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি শুক্রবার পল্টন ময়দানে সিপিবির জনসভায় বোমা হামলায় নিহত হন দলটির কর্মী হিমাংশু মণ্ডল, আব্দুল মজিদ, আবুল হাসেম, মোক্তার হোসেন ও বিপ্রদাস রায়, আহত হন অনেকে।
১৯ বছর পর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে ১০ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তারা হরকাতুল জিয়াদ আল ইসলামীর সদস্য বলে পুলিশ জানায়। পল্টনে নিহতদের স্মরণে দলীয় কার্যালয়ে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সিপিবি, এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এবং অন্য বাম দলগুলোর নেতারা।
সিপিবি সভাপতি শাহ আলম সেখানে সমাবেশে বলেন, “ক্ষমতায় যাওয়া ও ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধের জন্য যেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া প্রয়োজন, সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হয় না। ২০ জানুয়ারির হত্যাকাণ্ডের পরিপূর্ণ বিচার না হওয়ায় হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ হয়নি। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দীর্ঘসূত্রতায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।”
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স পুনঃতদন্ত ও পুনঃবিচার দাবি করে বলেন, “এই ধারা চলতে থাকলে রাজনীতিতে সুষ্ঠু ধারা ব্যাহত হবে, আর ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখবে।” সমাবেশে সিপিবির সাবেক দুই সভাপতি মনজুরুল আহসান খান, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আনোয়ার হোসেন রেজা।
অস্থায়ী বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, সাম্যবাদী দল,বাংলাদেশ জাসদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর আসর, কৃষক সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, ক্ষেতমজুর সমিতি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, গার্মেন্ট টিইউসি, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, সিপিবি ঢাকা মহানগর (উত্তর), সিপিবি ঢাকা মহানগর (দক্ষিন), কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট শাখা, কেন্দ্রীয় দপ্তর শাখা, একতা, নারী সেল, লেখনী কম্পিউটার্স এবং ঢাকা নগরের বিভিন্ন শাখাসহ শতাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক গাওয়ার মধ্য দিয়ে সকালের কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
এরপর বিকালে শাহবাগে সমাবেশ করে সিপিবি। সমাবেশ শেষে লাল পতাকা মিছিল শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
বাইশ বছর আগে পল্টনে সিপিবির জনসভায় বোমা হামলা চালিয়ে পাঁচ জনকে হত্যার নেপথ্য ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে মামলার পুনঃতদন্ত দাবি করেছে দলটি। আজ শুক্রবার পল্টনে সিপিবি কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে এই দাবি করেন দলটির নেতারা। সকালে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সমাবেশের পর বিকালে শাহবাগ থেকে লাল পতাকা মিছিল বের করে সিপিবি।
২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি শুক্রবার পল্টন ময়দানে সিপিবির জনসভায় বোমা হামলায় নিহত হন দলটির কর্মী হিমাংশু মণ্ডল, আব্দুল মজিদ, আবুল হাসেম, মোক্তার হোসেন ও বিপ্রদাস রায়, আহত হন অনেকে।
১৯ বছর পর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে ১০ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তারা হরকাতুল জিয়াদ আল ইসলামীর সদস্য বলে পুলিশ জানায়। পল্টনে নিহতদের স্মরণে দলীয় কার্যালয়ে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সিপিবি, এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এবং অন্য বাম দলগুলোর নেতারা।
সিপিবি সভাপতি শাহ আলম সেখানে সমাবেশে বলেন, “ক্ষমতায় যাওয়া ও ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধের জন্য যেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া প্রয়োজন, সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হয় না। ২০ জানুয়ারির হত্যাকাণ্ডের পরিপূর্ণ বিচার না হওয়ায় হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ হয়নি। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দীর্ঘসূত্রতায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।”
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স পুনঃতদন্ত ও পুনঃবিচার দাবি করে বলেন, “এই ধারা চলতে থাকলে রাজনীতিতে সুষ্ঠু ধারা ব্যাহত হবে, আর ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখবে।” সমাবেশে সিপিবির সাবেক দুই সভাপতি মনজুরুল আহসান খান, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আনোয়ার হোসেন রেজা।
অস্থায়ী বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, সাম্যবাদী দল,বাংলাদেশ জাসদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর আসর, কৃষক সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, ক্ষেতমজুর সমিতি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, গার্মেন্ট টিইউসি, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, সিপিবি ঢাকা মহানগর (উত্তর), সিপিবি ঢাকা মহানগর (দক্ষিন), কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট শাখা, কেন্দ্রীয় দপ্তর শাখা, একতা, নারী সেল, লেখনী কম্পিউটার্স এবং ঢাকা নগরের বিভিন্ন শাখাসহ শতাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক গাওয়ার মধ্য দিয়ে সকালের কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
এরপর বিকালে শাহবাগে সমাবেশ করে সিপিবি। সমাবেশ শেষে লাল পতাকা মিছিল শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।