দেশের বিশিষ্টজন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অতীতে যে কাজগুলো করেছে তাতে প্রমাণ হয়েছে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না এখানে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় না। এই জিনিসগুলো আমাদের বলতে হচ্ছে। আমরা আরও খুশি হতাম যদি এই জিনিসগুলো নিয়ে দেশের আরও বিশিষ্টজন, রাজনৈতিক দল, সংগঠনগুলো সত্যিকার অর্থে কথা বলতেন। তাদের আহ্বান জানাবো কথা বলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের দিকে নেয়ার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, আজকে একটি ওয়েবিনারে বিশিষ্টজনরাও বলেছেন দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন ব্যবস্থা এটা দেশের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল। ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ যেদিন সংসদে এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছিল, সেইদিন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন বাংলাদেশে চিরস্থায়ীভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। দেশে একটা অস্থিতিশীলতা, অনিশ্চতার দ্বার উম্মুক্ত করা হলো। আজকে সেই কথা প্রমাণিত হয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগ গোটা দেশ-জাতিকে অশান্তকর অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই দেশের মানুষ জানে যে কি হবে। দেশের মানুষ জানে না তার ভোট দিতে পারবে কি না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্যান্য দলগুলো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করার কারণে তা অবশ্যই ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। মানুষের মধ্যে আস্থা পেয়েছে যে বিভিন্ন দলগুলো একসঙ্গে হয়ে মানুষের অধিকার আদায়ে লড়াই করছে। তারা এখানে সম্পৃক্ত হচ্ছে।’ এর আগে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে ও বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে চলমান আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভবিষ্যৎ কর্মসূচি কী হওয়া উচিত, আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য, জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য কি ধরনের কর্মসূচি নেয়া যেতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি। আমরা একমত হয়েছি যুগপৎ আন্দোলনকে জোরদার করে আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা।’
বৈঠকে বিএনপি লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহম্মাদ ইবরাহিম, জাতীয় দল চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপি চেয়ারম্যান আবু তাহের, জমিয়তে ওলামায় ইসলামের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপা সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, মুসলিম লীগের যুগ্ম মহাসচিব মো. তফাজ্জল হোসেনসহ ১২ দলীয় জোটের নেতারা অংশ নেন।
রোববার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
দেশের বিশিষ্টজন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অতীতে যে কাজগুলো করেছে তাতে প্রমাণ হয়েছে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না এখানে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় না। এই জিনিসগুলো আমাদের বলতে হচ্ছে। আমরা আরও খুশি হতাম যদি এই জিনিসগুলো নিয়ে দেশের আরও বিশিষ্টজন, রাজনৈতিক দল, সংগঠনগুলো সত্যিকার অর্থে কথা বলতেন। তাদের আহ্বান জানাবো কথা বলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের দিকে নেয়ার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, আজকে একটি ওয়েবিনারে বিশিষ্টজনরাও বলেছেন দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন ব্যবস্থা এটা দেশের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল। ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ যেদিন সংসদে এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছিল, সেইদিন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন বাংলাদেশে চিরস্থায়ীভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। দেশে একটা অস্থিতিশীলতা, অনিশ্চতার দ্বার উম্মুক্ত করা হলো। আজকে সেই কথা প্রমাণিত হয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগ গোটা দেশ-জাতিকে অশান্তকর অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই দেশের মানুষ জানে যে কি হবে। দেশের মানুষ জানে না তার ভোট দিতে পারবে কি না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্যান্য দলগুলো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করার কারণে তা অবশ্যই ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। মানুষের মধ্যে আস্থা পেয়েছে যে বিভিন্ন দলগুলো একসঙ্গে হয়ে মানুষের অধিকার আদায়ে লড়াই করছে। তারা এখানে সম্পৃক্ত হচ্ছে।’ এর আগে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে ও বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে চলমান আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভবিষ্যৎ কর্মসূচি কী হওয়া উচিত, আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য, জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য কি ধরনের কর্মসূচি নেয়া যেতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি। আমরা একমত হয়েছি যুগপৎ আন্দোলনকে জোরদার করে আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা।’
বৈঠকে বিএনপি লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহম্মাদ ইবরাহিম, জাতীয় দল চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপি চেয়ারম্যান আবু তাহের, জমিয়তে ওলামায় ইসলামের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপা সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, মুসলিম লীগের যুগ্ম মহাসচিব মো. তফাজ্জল হোসেনসহ ১২ দলীয় জোটের নেতারা অংশ নেন।