alt

রাজনীতি

বিএনপির সালাহ উদ্দিন ও ড. ইউনূস বিষয়ে যা বললেন আব্দুল মোমেন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

বিদেশের কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের ফেরানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকেও ফিরতে হবে সেই প্রক্রিয়ায়।

দিল্লি ও দোহা সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বিএনপির এ নেতাকে দেশে ফেরানোর পাশাপাশি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত খোলা চিঠির বিষয়েও কথা বলেন।

সালাহ উদ্দিনের ভারতের কারাগার থেকে দেশে আসার বিষয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সে যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয় আসুক, অসুবিধা কী?”

তখন ওই সাংবাদিক জানতে চান ভারত সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না?

এর উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তেজিত হয়ে বলেন, “না, আমার সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ হয় নাই। এগুলো আপনারাই তোলেন। এটা নর্মাল প্রসিডিউর যেটা সেটাই হবে। ওগুলো নিয়ে অত চিন্তার কোনো কারণ আছে? বাঙালি যদি বাইরে থাকে, জেলে থাকে, জেল শেষ হলে আসুন।

“এটা কী কোনো ব্যাপার, আপনি এই নিয়ে চিন্তিত কেন? আমরা তো প্রতিদিন বহু কয়েদিকে যারা বিদেশে (জেল) খাটে তাদের নিয়ে আসতেছি।”

তখন ওই সাংবাদিক আবার তাকে আনার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না সেটি জানতে চান।

এর উত্তরে আবারও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণের কথা জানিয়ে মোমেন বলেন, “এটা আপনার ক্ষেত্রে যেটা, অন্য কেউ বা সালাহউদ্দিন আহমেদ, সবার জন্য সেটা। সুতরাং এটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য নয় বছর ধরে বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতের রাজ্য মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে রয়েছেন।

ভারতে অনুপ্রবেশের মামলায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি খালাস পেয়েছেন তিনি। কারাগার থেকে এখন দেশে ফিরতে চাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন। তখন তিনি যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ওই বছরের ১১ মে মেঘালয়ের শিলংয়ের পুলিশ উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় সালাহ উদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ভারতে প্রবেশ করলেও তার কোনো বৈধ কাগজপত্র সেসময় মেঘালয় পুলিশ না পাওয়ায় ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। সেই মামলায় ২০১৫ সালের ২২ জুলাই শিলংয়ের আদালতে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়।

ড. ইউনূসকে ‘হয়রানি’ না করার আহ্বান জানিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিশ্বের ৪০ ব্যক্তির নামে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে লেখা খোলা চিঠিকে ‘অলীক ও বস্তুনিষ্ঠ নয়’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই খোলা চিঠি দেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৪০ জন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

এ চিঠির লেখকদের মধ্যে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান-কি মুন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, মেক্সিকোর সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিসেন্তে ফক্স, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, এডওয়ার্ড এম কেনেডির ছেলে টেড কেনেডি জুনিয়র, রবার্ট কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি, উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস, চাথাম হাউজের সাবেক প্রধান নির্বাহী স্যার রবিন নিবলেট রয়েছেন।

ওই চিঠির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে এবং পৃথিবী স্বীকার করেছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এতে অনেকে বাংলাদেশকে যারা দেখতে পারেন না বা শেখ হাসিনাকে দেখতে পারেন না, তারা বিভিন্ন রকমের প্রচেষ্ট।

“উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, স্বীকার করেন, ভালো হচ্ছে, উন্নয়ন হচ্ছে দেশে। সুতরাং শেখ হাসিনা খারাপ। কারণ শেখ হাসিনা ইজ এ ডিটারমিনেট লিডার, অত্যন্ত সাহসী ও দৃঢ়চেতা নেতা। তার কারণে এই উন্নয়নগুলো তরতরে অগ্রসর হচ্ছে, তারে যদি বাদ দিতে পারি তাহলে এখানে একটা অস্থিতিশীলতা হবে, সেই তালেই তারা আছে।”

সেজন্য ওই সমস্ত লোক বিভিন্ন রকম ‘ফন্দিফিকির’ করছেন মন্তব্য করে মোমেন বলেন, “যাতে শেখ হাসিনার অবস্থানটা কী করতে পারে... তবে আমি অবশ্যই বলব, এগুলো হচ্ছে আঙ্গুর ফল টক, ওই কারণে। এতে অত বেশি কিছু আসে যায় না। অভিযুক্ত যে করছেন, সেটা আমি বলব এগুলো একেবারে অলীক। মানে বস্তুনিষ্ঠ হয় নাই।”

ওয়াশিংটন পোস্টে প্রায় এক পৃষ্ঠাজুড়ে বিজ্ঞাপন আকার দেওয়া ওই চিঠিতে ইউনূসের বিভিন্ন পুরস্কার ও কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলা হয়, “গ্রামীণ টেলিকম বা গ্রামীণফোনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হননি মুহাম্মদ ইউনূস। বরঞ্চ, নিজের প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলোর সঙ্গে দারিদ্র-বিরোধী মিশনে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন তিনি এবং ঢাকায় সাদামাটা জীবনযাপন করেন।

“এ কারণে এটা দেখা কষ্টকর যে, অনবদ্য সততার একজন ব্যক্তি অধ্যাপক ইউনূস ও তার জীবনকর্মকে অন্যায়ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে এবং অব্যাহতভাবে হয়রানি ও আপনার সরকার দ্বারা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।”

চিঠিতে আরও বলা হয়, “আমরা আশা করি, টেকসই অগ্রগতির জন্য কীভাবে একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজকে পরিচর্যা করা যায়, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তার রোলমডেল হিসাবে পুনরায় আবির্ভূত হবে।

ছবি

সাগর হত্যা মামলা: গ্রেপ্তার সাবেক এমপি মমতাজ, ব্যাংক হিসাবও জব্দ

ছবি

আওয়ামী লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি এনসিপির, সহযোগী দলগুলোকেও নিষিদ্ধ করার আহ্বান

ছবি

চোখের চিকিৎসায় থাইল্যান্ড গেলেন মির্জা ফখরুল

ছবি

‘আবেগ নয়, দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিন’—অন্তর্বর্তী সরকারকে রিজভী

ছবি

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত, নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ

সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গ্রেপ্তার

ছবি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, বিএনপির সমর্থন, বাসদের প্রশ্ন

ছবি

আন্দোলনকালীন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আইভী, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি

নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্তে বসেছে ইসি, অপেক্ষায় গেজেট

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ

ছবি

সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন ঘটছে দেশে’ — মির্জা আব্বাসের অভিযোগ

ছবি

‘গোলাম আজমের বাংলায়’ স্লোগান নিয়ে বিতর্কে এনসিপি: দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট পক্ষকেই

ছবি

দ্বাদশ সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতির অসীম ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেওয়া হয়েছিল: আলী রীয়াজ

ছবি

সংবিধান সংস্কারে কমিশন গঠনের দাবি নাগরিক কোয়ালিশনের অনুষ্ঠানে

ছবি

আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে আগেই প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি—সালাহউদ্দিন

ছবি

নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কার স্পষ্ট করার আহ্বান নাহিদ ইসলামের

ছবি

‘গুম-খুন-নিপীড়নের বিচার প্রক্রিয়া সঠিক পথে’—মির্জা ফখরুল

ছবি

গণতন্ত্রের মা’কে গভীর শ্রদ্ধা জানালেন লন্ডনপ্রবাসী তারেক

ছবি

আহতদের সুচিকিৎসা ও জুলাই সনদ প্রকাশের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

এক যুগ পর ভাইয়ের বাসায় খালেদা জিয়া, সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূরা

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধিত, রাজনৈতিক দলকেও বিচারের আওতায় আনার পথ সুগম

ছবি

নিশ্চিত আদেশের অপেক্ষায় ইসি, নিষিদ্ধ হলে বাতিল হবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন

ছবি

শাহবাগে মধ্যরাতের পর জমায়েতে হাসনাত, সোমবার প্রজ্ঞাপন জারির পর আনন্দমিছিল

ছবি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান, বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা

ছবি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে এক ঘণ্টার আলটিমেটাম, শাহবাগে এনসিপির অবরোধ

ছবি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে রোডম্যাপ না পেয়ে ‘মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা

ছবি

নতুন দল ‘আপ বাংলাদেশ’-এর আত্মপ্রকাশ, আহ্বায়ক শিবিরের সাবেক নেতা জুনায়েদ

ছবি

শাহবাগে এনসিপির গণজমায়েত, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি হাসনাত আবদুল্লাহর

ছবি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ অব্যাহত, বিকেলে গণজমায়েতের প্রস্তুতি

ছবি

শাহবাগ ব্লকেড চলছে, মহাসড়কে ব্লকেড না দেওয়ার আহ্বান এনসিপি নেতার

ছবি

জুলাই আন্দোলনের হত্যা মামলায় আইভী কারাগারে

ছবি

আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবি: যমুনার সামনে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক

ছবি

আ. লীগকে নিষিদ্ধের দাবি: রাতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সকালেও চলছে

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধের চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায়, দাবি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার

ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সিইসি ও বিচারপতিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

ছবি

“জাতির বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নয়: মানবিক করিডোর নিয়ে সরকারকে বিএনপির হুঁশিয়ারি”

tab

রাজনীতি

বিএনপির সালাহ উদ্দিন ও ড. ইউনূস বিষয়ে যা বললেন আব্দুল মোমেন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

বিদেশের কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের ফেরানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকেও ফিরতে হবে সেই প্রক্রিয়ায়।

দিল্লি ও দোহা সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বিএনপির এ নেতাকে দেশে ফেরানোর পাশাপাশি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত খোলা চিঠির বিষয়েও কথা বলেন।

সালাহ উদ্দিনের ভারতের কারাগার থেকে দেশে আসার বিষয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সে যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয় আসুক, অসুবিধা কী?”

তখন ওই সাংবাদিক জানতে চান ভারত সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না?

এর উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তেজিত হয়ে বলেন, “না, আমার সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ হয় নাই। এগুলো আপনারাই তোলেন। এটা নর্মাল প্রসিডিউর যেটা সেটাই হবে। ওগুলো নিয়ে অত চিন্তার কোনো কারণ আছে? বাঙালি যদি বাইরে থাকে, জেলে থাকে, জেল শেষ হলে আসুন।

“এটা কী কোনো ব্যাপার, আপনি এই নিয়ে চিন্তিত কেন? আমরা তো প্রতিদিন বহু কয়েদিকে যারা বিদেশে (জেল) খাটে তাদের নিয়ে আসতেছি।”

তখন ওই সাংবাদিক আবার তাকে আনার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না সেটি জানতে চান।

এর উত্তরে আবারও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণের কথা জানিয়ে মোমেন বলেন, “এটা আপনার ক্ষেত্রে যেটা, অন্য কেউ বা সালাহউদ্দিন আহমেদ, সবার জন্য সেটা। সুতরাং এটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য নয় বছর ধরে বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতের রাজ্য মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে রয়েছেন।

ভারতে অনুপ্রবেশের মামলায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি খালাস পেয়েছেন তিনি। কারাগার থেকে এখন দেশে ফিরতে চাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন। তখন তিনি যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ওই বছরের ১১ মে মেঘালয়ের শিলংয়ের পুলিশ উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় সালাহ উদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ভারতে প্রবেশ করলেও তার কোনো বৈধ কাগজপত্র সেসময় মেঘালয় পুলিশ না পাওয়ায় ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। সেই মামলায় ২০১৫ সালের ২২ জুলাই শিলংয়ের আদালতে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়।

ড. ইউনূসকে ‘হয়রানি’ না করার আহ্বান জানিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিশ্বের ৪০ ব্যক্তির নামে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে লেখা খোলা চিঠিকে ‘অলীক ও বস্তুনিষ্ঠ নয়’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই খোলা চিঠি দেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৪০ জন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

এ চিঠির লেখকদের মধ্যে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান-কি মুন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, মেক্সিকোর সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিসেন্তে ফক্স, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, এডওয়ার্ড এম কেনেডির ছেলে টেড কেনেডি জুনিয়র, রবার্ট কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি, উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস, চাথাম হাউজের সাবেক প্রধান নির্বাহী স্যার রবিন নিবলেট রয়েছেন।

ওই চিঠির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে এবং পৃথিবী স্বীকার করেছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এতে অনেকে বাংলাদেশকে যারা দেখতে পারেন না বা শেখ হাসিনাকে দেখতে পারেন না, তারা বিভিন্ন রকমের প্রচেষ্ট।

“উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, স্বীকার করেন, ভালো হচ্ছে, উন্নয়ন হচ্ছে দেশে। সুতরাং শেখ হাসিনা খারাপ। কারণ শেখ হাসিনা ইজ এ ডিটারমিনেট লিডার, অত্যন্ত সাহসী ও দৃঢ়চেতা নেতা। তার কারণে এই উন্নয়নগুলো তরতরে অগ্রসর হচ্ছে, তারে যদি বাদ দিতে পারি তাহলে এখানে একটা অস্থিতিশীলতা হবে, সেই তালেই তারা আছে।”

সেজন্য ওই সমস্ত লোক বিভিন্ন রকম ‘ফন্দিফিকির’ করছেন মন্তব্য করে মোমেন বলেন, “যাতে শেখ হাসিনার অবস্থানটা কী করতে পারে... তবে আমি অবশ্যই বলব, এগুলো হচ্ছে আঙ্গুর ফল টক, ওই কারণে। এতে অত বেশি কিছু আসে যায় না। অভিযুক্ত যে করছেন, সেটা আমি বলব এগুলো একেবারে অলীক। মানে বস্তুনিষ্ঠ হয় নাই।”

ওয়াশিংটন পোস্টে প্রায় এক পৃষ্ঠাজুড়ে বিজ্ঞাপন আকার দেওয়া ওই চিঠিতে ইউনূসের বিভিন্ন পুরস্কার ও কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলা হয়, “গ্রামীণ টেলিকম বা গ্রামীণফোনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হননি মুহাম্মদ ইউনূস। বরঞ্চ, নিজের প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলোর সঙ্গে দারিদ্র-বিরোধী মিশনে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন তিনি এবং ঢাকায় সাদামাটা জীবনযাপন করেন।

“এ কারণে এটা দেখা কষ্টকর যে, অনবদ্য সততার একজন ব্যক্তি অধ্যাপক ইউনূস ও তার জীবনকর্মকে অন্যায়ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে এবং অব্যাহতভাবে হয়রানি ও আপনার সরকার দ্বারা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।”

চিঠিতে আরও বলা হয়, “আমরা আশা করি, টেকসই অগ্রগতির জন্য কীভাবে একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজকে পরিচর্যা করা যায়, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তার রোলমডেল হিসাবে পুনরায় আবির্ভূত হবে।

back to top