স্কোর: বাংলাদেশ ৩১০ ও ২১২/৩; নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৩১৭
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে শক্ত অবস্থানে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ২১২ রান করেছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ২০৫ রানে এগিয়ে টাইগাররা। ১০৪ রানে অপরাজিত আছেন শান্ত। বাংলাদেশ প্রথম অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন শান্ত।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে ৩১৭ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৬৬ রান।
নবম উইকেটে ৫২ রান তুলে নিউজিল্যান্ডকে লিড এনে দেন জেমিসন ও সাউদি। ১০২তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৩১৬ রানে জেমিসন-সাউদির জুটি ভাঙেন স্পিনার মোমিনুল হক। ২৩ রান করা জেমিসনকে লেগ বিফোর আউট করেন তিনি। একই ওভারের পঞ্চম বলে সাউদিকে বোল্ড করে নিউজিল্যান্ডকে ৩১৭ রানে গুটিয়ে দেন মোমিনুল। ৩৫ রান করেন সাউদি। ১ রানে অপরাজিত থাকেন শেষ ব্যাটার আজাজ প্যাটেল।
তাইজুল ইসলাম ১০৯ রানে ৪টি এবং মোমিনুল ৩ দশমিক ৫ ওভার বল করে ক্যারিয়ার সেরা ৪ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া ১টি করে শিকার করেন শরিফুল ইসলাম-মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান।
প্রথম ইনিংসে ৭ রানে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। টেস্ট মেজাজে খেলে ১২ ওভারে ২৩ রান তুলেন তারা। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে জাকিরকে ১৭ রানে লেগ বিফোর আউট করেন নিউজিল্যান্ড স্পিনার প্যাটেল। রিভিউ না নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন জাকির।
পরের ওভারে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হন ইনিংসে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করা জয়। শান্ত স্ট্রেইট ড্রাইভে হাত দিয়ে বল স্পর্শ করেন বোলার সাউদি। বল গিয়ে আঘাত করে নন স্ট্রাইক স্টাম্পে। তখন ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন জয়। থার্ড আম্পায়ারের সহায়তায় টিভি রিপ্লেতে রান আউট হন ৮ রান করা জয়।
২৬ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন শান্ত ও মোমিনুল। ৩২তম ওভারে বাংলাদেশের রান ১০০’তে নেন তারা। দু’জনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২ উইকেটে ১১১ রান তুলে চা-বিরতিতে যায় টাইগাররা। তখন ১০৪ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফেরার পরই ৯৫তম বলে চতুর্থ টেস্ট হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্ত। দেশের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে অধিনায়কত্বের প্রথম টেস্টে হাফ-সেঞ্চুরি করলেন তিনি। এর আগে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাস অধিনায়ক হিসেবে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অর্ধশতক করেছিলেন।
শান্তর সঙ্গে দারুণ খেলতে থাকা, মোমিনুলও বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু শান্তর সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটে হন মোমিনুল। ৪টি চারে ৬৮ বলে ৪০ রান করেন তিনি। শান্ত-মোনিুল জুটি ১৬১ বলে ৯০ রান যোগ করেন।
মোমিনুলের বিদায়ে ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। বড় জুটির লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন তারা। ৫৮তম ওভারে জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্ত ও মুশফিক। এরপর সেঞ্চুরি পেতে ধীরে-সুস্থে এগোতে থাকেন শান্ত। অবশেষে ৬৮তম ওভারে প্যাটেলের প্রথম বলে এক্সট্রা কভারে ঠেলে ১ রান নিয়ে ২৪তম টেস্টে পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত।
শান্তর সেঞ্চুরির পর ওভার শেষে দিনের খেলা সমাপ্তি ঘটে। বাউন্ডারি মেরে দিনের খেলা শেষ করেন শান্ত। ১০টি চারে ১৯৩ বলে অপরাজিত ১০৪ রান করেন টাইগার দলপতি। ৫টি চারে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। নিউজিল্যান্ডের প্যাটেল ৯৪ রানে ১ উইকেট নেন।
স্কোর: বাংলাদেশ ৩১০ ও ২১২/৩; নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৩১৭
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে শক্ত অবস্থানে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ২১২ রান করেছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ২০৫ রানে এগিয়ে টাইগাররা। ১০৪ রানে অপরাজিত আছেন শান্ত। বাংলাদেশ প্রথম অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন শান্ত।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে ৩১৭ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৬৬ রান।
নবম উইকেটে ৫২ রান তুলে নিউজিল্যান্ডকে লিড এনে দেন জেমিসন ও সাউদি। ১০২তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৩১৬ রানে জেমিসন-সাউদির জুটি ভাঙেন স্পিনার মোমিনুল হক। ২৩ রান করা জেমিসনকে লেগ বিফোর আউট করেন তিনি। একই ওভারের পঞ্চম বলে সাউদিকে বোল্ড করে নিউজিল্যান্ডকে ৩১৭ রানে গুটিয়ে দেন মোমিনুল। ৩৫ রান করেন সাউদি। ১ রানে অপরাজিত থাকেন শেষ ব্যাটার আজাজ প্যাটেল।
তাইজুল ইসলাম ১০৯ রানে ৪টি এবং মোমিনুল ৩ দশমিক ৫ ওভার বল করে ক্যারিয়ার সেরা ৪ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া ১টি করে শিকার করেন শরিফুল ইসলাম-মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান।
প্রথম ইনিংসে ৭ রানে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। টেস্ট মেজাজে খেলে ১২ ওভারে ২৩ রান তুলেন তারা। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে জাকিরকে ১৭ রানে লেগ বিফোর আউট করেন নিউজিল্যান্ড স্পিনার প্যাটেল। রিভিউ না নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন জাকির।
পরের ওভারে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হন ইনিংসে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করা জয়। শান্ত স্ট্রেইট ড্রাইভে হাত দিয়ে বল স্পর্শ করেন বোলার সাউদি। বল গিয়ে আঘাত করে নন স্ট্রাইক স্টাম্পে। তখন ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন জয়। থার্ড আম্পায়ারের সহায়তায় টিভি রিপ্লেতে রান আউট হন ৮ রান করা জয়।
২৬ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন শান্ত ও মোমিনুল। ৩২তম ওভারে বাংলাদেশের রান ১০০’তে নেন তারা। দু’জনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২ উইকেটে ১১১ রান তুলে চা-বিরতিতে যায় টাইগাররা। তখন ১০৪ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফেরার পরই ৯৫তম বলে চতুর্থ টেস্ট হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্ত। দেশের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে অধিনায়কত্বের প্রথম টেস্টে হাফ-সেঞ্চুরি করলেন তিনি। এর আগে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাস অধিনায়ক হিসেবে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অর্ধশতক করেছিলেন।
শান্তর সঙ্গে দারুণ খেলতে থাকা, মোমিনুলও বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু শান্তর সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটে হন মোমিনুল। ৪টি চারে ৬৮ বলে ৪০ রান করেন তিনি। শান্ত-মোনিুল জুটি ১৬১ বলে ৯০ রান যোগ করেন।
মোমিনুলের বিদায়ে ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। বড় জুটির লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন তারা। ৫৮তম ওভারে জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্ত ও মুশফিক। এরপর সেঞ্চুরি পেতে ধীরে-সুস্থে এগোতে থাকেন শান্ত। অবশেষে ৬৮তম ওভারে প্যাটেলের প্রথম বলে এক্সট্রা কভারে ঠেলে ১ রান নিয়ে ২৪তম টেস্টে পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত।
শান্তর সেঞ্চুরির পর ওভার শেষে দিনের খেলা সমাপ্তি ঘটে। বাউন্ডারি মেরে দিনের খেলা শেষ করেন শান্ত। ১০টি চারে ১৯৩ বলে অপরাজিত ১০৪ রান করেন টাইগার দলপতি। ৫টি চারে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। নিউজিল্যান্ডের প্যাটেল ৯৪ রানে ১ উইকেট নেন।