ইউরো ২০২০
বিশ^ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স শনিবার হাঙ্গেরির সাথে ১-১ গোলে ড্র করে ইউরো ২০২০ এর নক আউট পর্ব নিশ্চিত করার সুযোগ হাতছাড়া করেছে। কাইলিয়াম এমবাপ্পে, করিম বেনজামা ও আন্টনি গ্রিজম্যান সমন্বয়ে গড়া আক্রমণভাগ প্রতিপক্ষের জালে একবারের বেশী বল পাঠাতে পারেননি। তারা যে গোলটি করেছে সেটিতে দলের পরাজয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে। কারণ প্রথমার্ধের শেষ দিকে হাঙ্গেরি গোল করে লিড নিয়েছিল। এ ম্যাচ ড্র করায় দুই ম্যাচ থেকে ফ্রান্সের সংগ্রহ চার পয়েন্ট। সমান সংখ্যক ম্যাচে হাঙ্গেরির এক। প্রথম ম্যাচে ফ্রান্স ১-০ গোলে জার্মানিকে পরাজিত করেছিল। অপর দিকে হাঙ্গেরি ৩-০ গোলে হেরেছিল পর্তুগালের কাছে।
ফ্রান্স গোল করার কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করার খেসারত দেয় প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে গোল খেয়ে। কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়ে হাঙ্গেরির পক্ষে গোলটি করেন ফিওলা। এ গোলের সাথে সাথে বুদাপেস্টের স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৬৭ হাজার সমর্থক উল্লাসে ফেটে পড়ে। এটাই হওয়া ছিল স্বাভাবিক। কারণ ফ্রান্স টুর্নামেন্টের টপ ফেবারিট হিসেবে শুরু করেছে। প্রথম ম্যাচে দাপটের সাথে খেলে জার্মানিকে হারিয়েছে। অপর দিকে হাঙ্গেরি তাদের প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের কাছে তিন গোলে হেরেছে। তাই ধরেই নেয়া হয়েছিল ফ্রান্স সহজেই হাঙ্গেরিকে হারিয়ে নট আউট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলবে। ফ্রান্স প্রাপ্ত সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে হতো তা-ই। প্রথমার্ধে কাইলিয়ান এমবাপ্পে দুটি, করিম বেনজামা ও পল পগবা একটি করে সুযোগ নষ্ট করেছেন। তারা কেউই পোস্টে বল রাখতে পারেননি। এমবাপ্পের হেড ও শট যায় পোস্ট ঘেসে। বেনজামা গোলরক্ষককে একা পেয়েও বলে পায়ে ঠিক মতো সংযোগ ঘটাতে না পারায় চলে যায় পোস্ট ঘেসে বাইরে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পগবা সাইড নেটে বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন।
তারকাসমৃদ্ধ ফ্রান্স দল পিছিয়ে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা শুরু করে। অপর দিকে নিজেদের গোলটি ধরে রাখার জন্য হাঙ্গেরি রক্ষণাত্মক কৌশলই বেছে নেয়। যে কারণে বল বেশীরভাগ সময়ই থাকে ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রনে। ৫৮ মিনিট বদলি খেলোয়াড় ওসমানে ডেম্বেলের দুরন্ত শট পোস্টে লেগে। তবে ৬৬ মিনিটে কোন কিছুই ফ্রান্সের গোলের পথে বাধা হয়ে দাড়াতে পারেনি। গোল কিক থেকে বল নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে এমবাপ্পে ঢুকে পড়েন হাঙ্গেরির পেনাল্টি বক্সে। সেখান থেকে কাট ব্যাক করলে পেছন থেকে এসে গ্রিজম্যান সেটি জালে পাঠিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান। সমতা ফেরার পর আবার হাঙ্গেরি সমানতালে খেলতে শুরু করে। তখন আর ফ্রান্সের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল না। জয় নিশ্চিত করার জন্য বেনজামাকে তুলে অলিভার জিরুদকে এবং পগবাকে তুলে করেনটি টোলিসোকে নামানো হয়। ৮১ মিনিটের মাথায় এমবাপ্পের পয়েন্ট ব্লাঙ্ক অবস্থান থেকে নেয়া শট বাচিয়ে দেন হাঙ্গেরির গোলরক্ষক। সময় যত গড়াতে থাকে ফ্রান্সের চাপও বাড়তে থাকে। কিন্তু শত চেষ্টা করেও আর কোন গোল করতে পারেনি ফ্রান্স। ফলে তাদের নক আউট পর্বে খেলা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই গেল।
ইউরো ২০২০
শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
বিশ^ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স শনিবার হাঙ্গেরির সাথে ১-১ গোলে ড্র করে ইউরো ২০২০ এর নক আউট পর্ব নিশ্চিত করার সুযোগ হাতছাড়া করেছে। কাইলিয়াম এমবাপ্পে, করিম বেনজামা ও আন্টনি গ্রিজম্যান সমন্বয়ে গড়া আক্রমণভাগ প্রতিপক্ষের জালে একবারের বেশী বল পাঠাতে পারেননি। তারা যে গোলটি করেছে সেটিতে দলের পরাজয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে। কারণ প্রথমার্ধের শেষ দিকে হাঙ্গেরি গোল করে লিড নিয়েছিল। এ ম্যাচ ড্র করায় দুই ম্যাচ থেকে ফ্রান্সের সংগ্রহ চার পয়েন্ট। সমান সংখ্যক ম্যাচে হাঙ্গেরির এক। প্রথম ম্যাচে ফ্রান্স ১-০ গোলে জার্মানিকে পরাজিত করেছিল। অপর দিকে হাঙ্গেরি ৩-০ গোলে হেরেছিল পর্তুগালের কাছে।
ফ্রান্স গোল করার কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করার খেসারত দেয় প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে গোল খেয়ে। কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়ে হাঙ্গেরির পক্ষে গোলটি করেন ফিওলা। এ গোলের সাথে সাথে বুদাপেস্টের স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৬৭ হাজার সমর্থক উল্লাসে ফেটে পড়ে। এটাই হওয়া ছিল স্বাভাবিক। কারণ ফ্রান্স টুর্নামেন্টের টপ ফেবারিট হিসেবে শুরু করেছে। প্রথম ম্যাচে দাপটের সাথে খেলে জার্মানিকে হারিয়েছে। অপর দিকে হাঙ্গেরি তাদের প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের কাছে তিন গোলে হেরেছে। তাই ধরেই নেয়া হয়েছিল ফ্রান্স সহজেই হাঙ্গেরিকে হারিয়ে নট আউট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলবে। ফ্রান্স প্রাপ্ত সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে হতো তা-ই। প্রথমার্ধে কাইলিয়ান এমবাপ্পে দুটি, করিম বেনজামা ও পল পগবা একটি করে সুযোগ নষ্ট করেছেন। তারা কেউই পোস্টে বল রাখতে পারেননি। এমবাপ্পের হেড ও শট যায় পোস্ট ঘেসে। বেনজামা গোলরক্ষককে একা পেয়েও বলে পায়ে ঠিক মতো সংযোগ ঘটাতে না পারায় চলে যায় পোস্ট ঘেসে বাইরে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পগবা সাইড নেটে বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন।
তারকাসমৃদ্ধ ফ্রান্স দল পিছিয়ে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা শুরু করে। অপর দিকে নিজেদের গোলটি ধরে রাখার জন্য হাঙ্গেরি রক্ষণাত্মক কৌশলই বেছে নেয়। যে কারণে বল বেশীরভাগ সময়ই থাকে ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রনে। ৫৮ মিনিট বদলি খেলোয়াড় ওসমানে ডেম্বেলের দুরন্ত শট পোস্টে লেগে। তবে ৬৬ মিনিটে কোন কিছুই ফ্রান্সের গোলের পথে বাধা হয়ে দাড়াতে পারেনি। গোল কিক থেকে বল নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে এমবাপ্পে ঢুকে পড়েন হাঙ্গেরির পেনাল্টি বক্সে। সেখান থেকে কাট ব্যাক করলে পেছন থেকে এসে গ্রিজম্যান সেটি জালে পাঠিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান। সমতা ফেরার পর আবার হাঙ্গেরি সমানতালে খেলতে শুরু করে। তখন আর ফ্রান্সের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল না। জয় নিশ্চিত করার জন্য বেনজামাকে তুলে অলিভার জিরুদকে এবং পগবাকে তুলে করেনটি টোলিসোকে নামানো হয়। ৮১ মিনিটের মাথায় এমবাপ্পের পয়েন্ট ব্লাঙ্ক অবস্থান থেকে নেয়া শট বাচিয়ে দেন হাঙ্গেরির গোলরক্ষক। সময় যত গড়াতে থাকে ফ্রান্সের চাপও বাড়তে থাকে। কিন্তু শত চেষ্টা করেও আর কোন গোল করতে পারেনি ফ্রান্স। ফলে তাদের নক আউট পর্বে খেলা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই গেল।