কোপা আমেরিকা
কয়েকজন খেলোয়াড় আয়োজনের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও কোপা আমেরিকা ফুটবলের চলতি আসরে ব্রাজিলকে এখন পর্যন্ত হট ফেবারিটই মনে করা হচ্ছে। তারা অবশ্য মাঠের পারফরমেন্স দিয়েই এ তকমা আদায় করেছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী তারা উঠেছে সেমিফাইনালে এবং সেখানে তারা মঙ্গলবার ভোর ৫টায় খেলবে পেরুর বিপক্ষে। দুই সপ্তাহ আগে এ পেরুকেই তারা গ্রুপ পর্বের ম্যাচে হারিয়েছিল ৪-০ গোলে। সেমিফাইনালে বিজয়ী দল ১০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে খেলবে আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়ার মধ্যেকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিজয়ীর সাথে। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে বুধবার সকাল ৭ টায়।
ব্রাজিলের মিডফিল্ডার ফ্রেড বলেন, নিজ দেশে খেলায় আমরা অবশ্যই ফেবারিট। তবে আমাদেরকে সতর্কতার সাথেই মাঠে খেলতে হবে। অন্যদেশের খেলোয়াড়রা ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলার সময়ে নিজেদের সেরাটাই দিতে চেষ্টা করে। সবশেষ ম্যাচে চিলির বিপক্ষে আমাদের কঠিন লড়াই করতে হয়েছে। তবে পরের ম্যাচ হবে আরও বেশী কঠিন। পেরু উজ্জীবিত হয়েই মাঠে নামবে। তারা জিততে চেষ্টা করবে। এটা হবে তাদের জীবনের সেরা একটি ম্যাচ।’
ব্রাজিল এবং পেরু ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। তখন মাঠে উপস্থিত ছিল ৭০ হাজার সমর্থক। কিন্তু মঙ্গলবার তাদেরকে খেলতে হবে দর্শকবিহীন স্টেডিয়ামে। কোভিড-১৯ এর কারণে প্রতিযোগিতা হচ্ছে দর্শকশূন্য মাঠে।
সেমিফাইনালে উভয় দল তাদের অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড়কে পাবে না। সেমিফাইনালে চিলির বিপক্ষে খেলার সময়ে ব্রাজিলের গ্যাব্রিয়েল জেসুস লাল কার্ড পাওয়ায় নিষিদ্ধ রয়েছেন। একই কারণে পেরুর আন্দ্রে ক্যারিলো খেলতে পারবেন না। জেসুসের পরিবর্তে ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নামবেন এভারটন। পেরুর হয়ে খেলবেন ক্রিস্টিয়ান কুয়েভা।
চিলির বিপক্ষে প্রায় অর্ধেক সময় একজন কম নিয়ে খেলে ন্যুনতম ব্যবধানে জিতেছিল ব্রাজিল। সে ম্যাচ জিততে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
পেরু গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে ৪-০ গোলে পরাজিত হওয়ার পর কলম্বিয়া এবং ভেনিজুয়েলাকে পরাজিত করে এবং ইকুয়েডরের সাথে ড্র করে ওঠে কোয়ার্টার ফাইনালে। সে ম্যাচে প্যারাগুয়ের সাথে নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলে ড্র করার পর টাইব্রেকারে জিতে উঠে যায় শেষ চারে। পেরুর কোচ রিকার্ডো গ্যারেকা বলেন, ব্রাজিলের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে আমরা সুযোগ পেয়েছি প্রথম ম্যাচে যে সব ভুল করেছিলাম সেগুলো শুধরে নেয়ার। ব্রাজিল অনেক বেশী শক্তিশালী একটি দল। তবে আমরাও এখন উন্নতি করছি।’
পেরুর বিপক্ষে ব্রাজিলের হয়ে গোল করেছিলেন, অ্যালেক্স স্যান্ড্রো, নেইমার, এভারটন রিবেইরো এবং রিচার্লিসন। ব্রাজিল গোলের জন্য নির্ভর করছে নেইমারের উপর। এ তারকা খেলোয়াড় প্রতিটি ম্যাচেই দারুন খেলছেন। তিনি প্রতিটি আক্রমণেই রাখছেন বিশেষ অবদান। তার উপর আরও একটি ম্যাচে নির্ভর করবে স্বাগতিকরা।
কোপা আমেরিকা
সোমবার, ০৫ জুলাই ২০২১
কয়েকজন খেলোয়াড় আয়োজনের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও কোপা আমেরিকা ফুটবলের চলতি আসরে ব্রাজিলকে এখন পর্যন্ত হট ফেবারিটই মনে করা হচ্ছে। তারা অবশ্য মাঠের পারফরমেন্স দিয়েই এ তকমা আদায় করেছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী তারা উঠেছে সেমিফাইনালে এবং সেখানে তারা মঙ্গলবার ভোর ৫টায় খেলবে পেরুর বিপক্ষে। দুই সপ্তাহ আগে এ পেরুকেই তারা গ্রুপ পর্বের ম্যাচে হারিয়েছিল ৪-০ গোলে। সেমিফাইনালে বিজয়ী দল ১০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে খেলবে আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়ার মধ্যেকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিজয়ীর সাথে। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে বুধবার সকাল ৭ টায়।
ব্রাজিলের মিডফিল্ডার ফ্রেড বলেন, নিজ দেশে খেলায় আমরা অবশ্যই ফেবারিট। তবে আমাদেরকে সতর্কতার সাথেই মাঠে খেলতে হবে। অন্যদেশের খেলোয়াড়রা ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলার সময়ে নিজেদের সেরাটাই দিতে চেষ্টা করে। সবশেষ ম্যাচে চিলির বিপক্ষে আমাদের কঠিন লড়াই করতে হয়েছে। তবে পরের ম্যাচ হবে আরও বেশী কঠিন। পেরু উজ্জীবিত হয়েই মাঠে নামবে। তারা জিততে চেষ্টা করবে। এটা হবে তাদের জীবনের সেরা একটি ম্যাচ।’
ব্রাজিল এবং পেরু ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। তখন মাঠে উপস্থিত ছিল ৭০ হাজার সমর্থক। কিন্তু মঙ্গলবার তাদেরকে খেলতে হবে দর্শকবিহীন স্টেডিয়ামে। কোভিড-১৯ এর কারণে প্রতিযোগিতা হচ্ছে দর্শকশূন্য মাঠে।
সেমিফাইনালে উভয় দল তাদের অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড়কে পাবে না। সেমিফাইনালে চিলির বিপক্ষে খেলার সময়ে ব্রাজিলের গ্যাব্রিয়েল জেসুস লাল কার্ড পাওয়ায় নিষিদ্ধ রয়েছেন। একই কারণে পেরুর আন্দ্রে ক্যারিলো খেলতে পারবেন না। জেসুসের পরিবর্তে ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নামবেন এভারটন। পেরুর হয়ে খেলবেন ক্রিস্টিয়ান কুয়েভা।
চিলির বিপক্ষে প্রায় অর্ধেক সময় একজন কম নিয়ে খেলে ন্যুনতম ব্যবধানে জিতেছিল ব্রাজিল। সে ম্যাচ জিততে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
পেরু গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে ৪-০ গোলে পরাজিত হওয়ার পর কলম্বিয়া এবং ভেনিজুয়েলাকে পরাজিত করে এবং ইকুয়েডরের সাথে ড্র করে ওঠে কোয়ার্টার ফাইনালে। সে ম্যাচে প্যারাগুয়ের সাথে নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলে ড্র করার পর টাইব্রেকারে জিতে উঠে যায় শেষ চারে। পেরুর কোচ রিকার্ডো গ্যারেকা বলেন, ব্রাজিলের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে আমরা সুযোগ পেয়েছি প্রথম ম্যাচে যে সব ভুল করেছিলাম সেগুলো শুধরে নেয়ার। ব্রাজিল অনেক বেশী শক্তিশালী একটি দল। তবে আমরাও এখন উন্নতি করছি।’
পেরুর বিপক্ষে ব্রাজিলের হয়ে গোল করেছিলেন, অ্যালেক্স স্যান্ড্রো, নেইমার, এভারটন রিবেইরো এবং রিচার্লিসন। ব্রাজিল গোলের জন্য নির্ভর করছে নেইমারের উপর। এ তারকা খেলোয়াড় প্রতিটি ম্যাচেই দারুন খেলছেন। তিনি প্রতিটি আক্রমণেই রাখছেন বিশেষ অবদান। তার উপর আরও একটি ম্যাচে নির্ভর করবে স্বাগতিকরা।