স্কোর : অস্ট্রেলিয়া ৩৯৯/৮; নেদারল্যান্ডস ২১ ওভারে ৯০/১০।
বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে থামিয়ে দিয়ে অঘটনের জন্ম দেয়া নেদারল্যান্ডস অজিদের কাছে হেরেছে ৩০৯ রানে। বুধবার বিশ্বকাপে ৪০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ডাচরা ৯০ রানে অল আউট হয়।
শুরুটা নেহায়েত মন্দ হয়নি ডাচদের। ৪ ওভারে রান উঠেছিল ৭-এর উপরে। তবে ওটুকুই ছিল বলার মতো। ৫ম ওভারের পর থেকে শুরু হয় বিপর্যয়।
৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ম্যাচে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি কমলা শিবিরকে।
সাইব্যান্ড অ্যাঙ্গেলব্রাখট, তেজা নিদামানুরু কেউই টিকতে পারেননি এমন বোলিং তোপের সামনে। ৮৪ থেকে ৯০ এই ৬ রান তুলতেই শেষ ৫ উইকেট হারায় ডাচরা। মাঝে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। যদিও শেষ পর্যন্ত হতাশই হতে হয়েছে তাকে। ডাচদের ইনিংসে বিক্রমজিৎ সিং ছাড়া ২০ এর বেশি রান করতে পারেননি কেউই। এটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, এবং ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ৩য় সর্বোচ্চ ব্যবধানে পরাজয়।
এর আগে, ডেভিড ওয়ার্নার এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের জোড়া সেঞ্চুরিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৯৯ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার ৯৩ বলে ১০৪ রান করলেও, বিশ^কাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ৪০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ৪৪ ডেলিভারিতে ১০৬ রান করে আউট হন ম্যাক্সওয়েল।
দিল্লিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় অস্ট্রেলিয়া। উদ্বোধনী জুটিতে ২৫৯ রান করা ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। চতুর্থ ওভারে দলীয় ২৮ রানে বিদায় নেন মার্শ। থামেন ৯ রানে।
দ্বিতীয় উইকেটে স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার। ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৮ বলে ৭১ রান করে ২৪তম ওভারে ফিরেন স্মিথ। ওয়ার্নারের সঙ্গে ১১৮ বলে ১৩২ রান যোগ করেন স্মিথ।
এরপর মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে ৭৬ বলে ৮৪ রান যোগ করে দলের রান ২শ পার করেন ওয়ার্নার। ৪৭ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬২ রান করা লাবুশেন ফেরার পর ৯১ বল খেলে ওয়ানডেতে ২২তম ও বিশ^কাপে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করেন ওয়ার্নার। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ^কাপে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরিতে মার্ক ওয়াহ, রিকি পন্টিং ও ম্যাথু হেইডেনের রেকর্ড স্পর্শ করেন ওয়ার্নার।
সেঞ্চুরির পর বেশি দূর যেতে পারেননি ওয়ার্নার। নেদারল্যান্ডসের পেসার লোগান ভ্যান বিকের শিকার হওয়ার আগে ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৯৩ বলে ১০৪ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।
পাঁচ নম্বরে নামা জশ ইংলিশ ১৪ রানে আউট হলে ৪০তম ওভারে উইকেটে আসেন ম্যাক্সওয়েল। ওই সময় অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৪ উইকেটে ২৬৬। ক্রিজে এসেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ২৭ বলে ওয়ানডেতে ২৪তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ম্যাক্সওয়েল।
এরপর পরের ১৩ বলে আর ৫০ রান তুলে ওয়ানডেতে তৃতীয় সেঞ্চুরি করেন ম্যাক্সওয়েল। সেই সঙ্গে ৪০ বলে বিশ^কাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক হন। এতে ভেঙে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার আইডেন মার্করামের রেকর্ড। এই বিশ^কাপেই গত ৭ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মার্করাম। ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকায় চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নেন ম্যাক্সওয়েল।
বিকের করা ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে আউট হওয়ার আগে ৯টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৪৪ বলে ১০৬ রান করেন তিনি। সপ্তম উইকেটে অধিনায়ক কামিন্সের সঙ্গে ৪৪ বলে ১০৩ রান যোগ করেন ম্যাক্সওয়েল। বিশ^কাপে সপ্তম বা তার নিচে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৯৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। যা বিশ্বকাকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ দলীয় রান সংগ্রহ। বিক ৭৪ রানে ৪ উইকেট নেন।
স্কোর : অস্ট্রেলিয়া ৩৯৯/৮; নেদারল্যান্ডস ২১ ওভারে ৯০/১০।
বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে থামিয়ে দিয়ে অঘটনের জন্ম দেয়া নেদারল্যান্ডস অজিদের কাছে হেরেছে ৩০৯ রানে। বুধবার বিশ্বকাপে ৪০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ডাচরা ৯০ রানে অল আউট হয়।
শুরুটা নেহায়েত মন্দ হয়নি ডাচদের। ৪ ওভারে রান উঠেছিল ৭-এর উপরে। তবে ওটুকুই ছিল বলার মতো। ৫ম ওভারের পর থেকে শুরু হয় বিপর্যয়।
৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ম্যাচে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি কমলা শিবিরকে।
সাইব্যান্ড অ্যাঙ্গেলব্রাখট, তেজা নিদামানুরু কেউই টিকতে পারেননি এমন বোলিং তোপের সামনে। ৮৪ থেকে ৯০ এই ৬ রান তুলতেই শেষ ৫ উইকেট হারায় ডাচরা। মাঝে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। যদিও শেষ পর্যন্ত হতাশই হতে হয়েছে তাকে। ডাচদের ইনিংসে বিক্রমজিৎ সিং ছাড়া ২০ এর বেশি রান করতে পারেননি কেউই। এটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, এবং ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ৩য় সর্বোচ্চ ব্যবধানে পরাজয়।
এর আগে, ডেভিড ওয়ার্নার এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের জোড়া সেঞ্চুরিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৯৯ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার ৯৩ বলে ১০৪ রান করলেও, বিশ^কাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ৪০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ৪৪ ডেলিভারিতে ১০৬ রান করে আউট হন ম্যাক্সওয়েল।
দিল্লিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় অস্ট্রেলিয়া। উদ্বোধনী জুটিতে ২৫৯ রান করা ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। চতুর্থ ওভারে দলীয় ২৮ রানে বিদায় নেন মার্শ। থামেন ৯ রানে।
দ্বিতীয় উইকেটে স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার। ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৮ বলে ৭১ রান করে ২৪তম ওভারে ফিরেন স্মিথ। ওয়ার্নারের সঙ্গে ১১৮ বলে ১৩২ রান যোগ করেন স্মিথ।
এরপর মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে ৭৬ বলে ৮৪ রান যোগ করে দলের রান ২শ পার করেন ওয়ার্নার। ৪৭ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬২ রান করা লাবুশেন ফেরার পর ৯১ বল খেলে ওয়ানডেতে ২২তম ও বিশ^কাপে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করেন ওয়ার্নার। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ^কাপে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরিতে মার্ক ওয়াহ, রিকি পন্টিং ও ম্যাথু হেইডেনের রেকর্ড স্পর্শ করেন ওয়ার্নার।
সেঞ্চুরির পর বেশি দূর যেতে পারেননি ওয়ার্নার। নেদারল্যান্ডসের পেসার লোগান ভ্যান বিকের শিকার হওয়ার আগে ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৯৩ বলে ১০৪ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।
পাঁচ নম্বরে নামা জশ ইংলিশ ১৪ রানে আউট হলে ৪০তম ওভারে উইকেটে আসেন ম্যাক্সওয়েল। ওই সময় অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৪ উইকেটে ২৬৬। ক্রিজে এসেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ২৭ বলে ওয়ানডেতে ২৪তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ম্যাক্সওয়েল।
এরপর পরের ১৩ বলে আর ৫০ রান তুলে ওয়ানডেতে তৃতীয় সেঞ্চুরি করেন ম্যাক্সওয়েল। সেই সঙ্গে ৪০ বলে বিশ^কাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক হন। এতে ভেঙে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার আইডেন মার্করামের রেকর্ড। এই বিশ^কাপেই গত ৭ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মার্করাম। ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকায় চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নেন ম্যাক্সওয়েল।
বিকের করা ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে আউট হওয়ার আগে ৯টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৪৪ বলে ১০৬ রান করেন তিনি। সপ্তম উইকেটে অধিনায়ক কামিন্সের সঙ্গে ৪৪ বলে ১০৩ রান যোগ করেন ম্যাক্সওয়েল। বিশ^কাপে সপ্তম বা তার নিচে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৯৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। যা বিশ্বকাকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ দলীয় রান সংগ্রহ। বিক ৭৪ রানে ৪ উইকেট নেন।