ইনজুরিতে থাকা নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়াক হিসেবে গত শনিবার বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল হাসান শান্ত। ভবিষ্যতে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত দাবি করেছেন শান্ত।
২৫ বছর বয়সী শান্ত এবারের টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গত শনিবার পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপকক্ষে ৮ উইকেটের পরাজয় দিয়ে বিশ^কাপ শেষ করেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, বিশ্বকাপ শেষে স্থায়ীভাবে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি সেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিংকালে বাম হাতের তর্জনীতে চোট পাওয়ায় সাকিবের বিশ^কাপ শেষ হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তাই আবারো অধিনায়কের দায়িত্ব পড়ে শান্তর কাঁধে।
অধিনায়কত্ব বিষয়ে নাজমুল বলেন, ‘আমি এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবারই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি বলতে পারি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে আমি প্রস্তুত। সেই সুযোগ যদি পাই তবে অবশ্যই নিজেকে প্রমাণে প্রস্তুত আছি। এটা যেহেতু আমার প্রথম বিশ^কাপ, এখান থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। এই ধরনের পরিবেশে খেলতে পারার অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে আমাকে সহযোগিতা করবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে এবারের টুর্নামেন্টে ৮ উইকেটে সর্বোচ্চ ৩০৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। কিন্তু তারপরও নয় ম্যাচে সপ্তম পরাজয়বরণ করতে বাধ্য হয় টাইগাররা। মিচেল মার্শের অপরাজিত ১৭৭ রান পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের জয়কে সহজ করে দেয়।
তবে শান্ত (৪৫) ও মাহমুদউল্লাহ (৩২) উভয়ই মার্নাস লাবুশেনের রান-আউটের শিকার না হলে ম্যাচের চিত্র হয়তো ভিন্ন হতে পারতো। ওই সময় উভয় ব্যাটারই বেশ ছন্দে ছিলেন।
শান্ত বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে দুটি রান-আউটই আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে। মিডল ওভারে আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। সব মিলিয়ে আমি বলবো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে একটি দল হিসেবে আমরা খেলতে পারিনি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ^মানের বোলিংয়ের বিপরীতে আমরা ৩০০-এর বেশি রান করেছি। দুটি রান-আউটের শিকার না হলে মিডল ওভারে বড় পার্টনারশিপ গড়ে উঠতো। তাহলে দলীয় স্কোর হয়তো আরও বড় করতে পারতাম।’
একদম প্রথম ম্যাচ থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশ দলের পরীক্ষা নিরীক্ষা। এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয়, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোনো ব্যাটসম্যানের অভিযোগ ছিল না। যে যেখানে ব্যাটিং করেছে, সবাই খুশি ছিল। পাশাপাশি এটাও বলতে চাই, আমরা যেভাবে এসেছিলাম, ওই জায়গায় যদি একই রকম থাকত, ভিন্ন কিছু হলেও হতে পারত। ওটা হলেই যে আমরা অনেক সফল হয়ে যেতাম, এটা যেমন ঠিক নয়, আবার একই রকম থাকলে সাফল্যের পরিমাণ অনেক সময় বেশি থাকে। তবে আসলে এখন এটা নিয়ে কথা বলার বলার মানে হয় না।’
‘তবে এসব নিরীক্ষায় না গেলেই ভালো, (ব্যাটিং অর্ডারে ওলট-পালট)। কিছু কিছু দলের বিপক্ষে অনেক সময় করতে হয়, ওই দলের শক্তিমত্তা অনুযায়ী। তবে যত কম করা যায় এই বিশ্বকাপে অনেক বেশি করা হয়েছে। এটার পেছনেও ভালো কিছু চিন্তা করেই করা হয়েছে, সত্যি বললে। প্রতিপক্ষ দলের শক্তি অনুযায়ী করা হয়েছে। তবে যত কম করা যায় না করলে সবচেয়ে ভালো হয়।’
নাজমুল শান্ত আরও বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমরা বিশ^কাপে একটি দল হিসেবে ভাল ক্রিকেট খেলতে পারিনি। আমাদের ব্যাটিং ও বোলিংয়ে আরো উন্নতি করতে হবে। কী ভুল হচ্ছে সেগুলো নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।’
রোববার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
ইনজুরিতে থাকা নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়াক হিসেবে গত শনিবার বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল হাসান শান্ত। ভবিষ্যতে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত দাবি করেছেন শান্ত।
২৫ বছর বয়সী শান্ত এবারের টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গত শনিবার পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপকক্ষে ৮ উইকেটের পরাজয় দিয়ে বিশ^কাপ শেষ করেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, বিশ্বকাপ শেষে স্থায়ীভাবে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি সেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিংকালে বাম হাতের তর্জনীতে চোট পাওয়ায় সাকিবের বিশ^কাপ শেষ হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তাই আবারো অধিনায়কের দায়িত্ব পড়ে শান্তর কাঁধে।
অধিনায়কত্ব বিষয়ে নাজমুল বলেন, ‘আমি এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবারই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি বলতে পারি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে আমি প্রস্তুত। সেই সুযোগ যদি পাই তবে অবশ্যই নিজেকে প্রমাণে প্রস্তুত আছি। এটা যেহেতু আমার প্রথম বিশ^কাপ, এখান থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। এই ধরনের পরিবেশে খেলতে পারার অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে আমাকে সহযোগিতা করবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে এবারের টুর্নামেন্টে ৮ উইকেটে সর্বোচ্চ ৩০৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। কিন্তু তারপরও নয় ম্যাচে সপ্তম পরাজয়বরণ করতে বাধ্য হয় টাইগাররা। মিচেল মার্শের অপরাজিত ১৭৭ রান পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের জয়কে সহজ করে দেয়।
তবে শান্ত (৪৫) ও মাহমুদউল্লাহ (৩২) উভয়ই মার্নাস লাবুশেনের রান-আউটের শিকার না হলে ম্যাচের চিত্র হয়তো ভিন্ন হতে পারতো। ওই সময় উভয় ব্যাটারই বেশ ছন্দে ছিলেন।
শান্ত বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে দুটি রান-আউটই আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে। মিডল ওভারে আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। সব মিলিয়ে আমি বলবো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে একটি দল হিসেবে আমরা খেলতে পারিনি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ^মানের বোলিংয়ের বিপরীতে আমরা ৩০০-এর বেশি রান করেছি। দুটি রান-আউটের শিকার না হলে মিডল ওভারে বড় পার্টনারশিপ গড়ে উঠতো। তাহলে দলীয় স্কোর হয়তো আরও বড় করতে পারতাম।’
একদম প্রথম ম্যাচ থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশ দলের পরীক্ষা নিরীক্ষা। এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয়, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোনো ব্যাটসম্যানের অভিযোগ ছিল না। যে যেখানে ব্যাটিং করেছে, সবাই খুশি ছিল। পাশাপাশি এটাও বলতে চাই, আমরা যেভাবে এসেছিলাম, ওই জায়গায় যদি একই রকম থাকত, ভিন্ন কিছু হলেও হতে পারত। ওটা হলেই যে আমরা অনেক সফল হয়ে যেতাম, এটা যেমন ঠিক নয়, আবার একই রকম থাকলে সাফল্যের পরিমাণ অনেক সময় বেশি থাকে। তবে আসলে এখন এটা নিয়ে কথা বলার বলার মানে হয় না।’
‘তবে এসব নিরীক্ষায় না গেলেই ভালো, (ব্যাটিং অর্ডারে ওলট-পালট)। কিছু কিছু দলের বিপক্ষে অনেক সময় করতে হয়, ওই দলের শক্তিমত্তা অনুযায়ী। তবে যত কম করা যায় এই বিশ্বকাপে অনেক বেশি করা হয়েছে। এটার পেছনেও ভালো কিছু চিন্তা করেই করা হয়েছে, সত্যি বললে। প্রতিপক্ষ দলের শক্তি অনুযায়ী করা হয়েছে। তবে যত কম করা যায় না করলে সবচেয়ে ভালো হয়।’
নাজমুল শান্ত আরও বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমরা বিশ^কাপে একটি দল হিসেবে ভাল ক্রিকেট খেলতে পারিনি। আমাদের ব্যাটিং ও বোলিংয়ে আরো উন্নতি করতে হবে। কী ভুল হচ্ছে সেগুলো নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।’