২০২১-এ কোপা আমেরিকা। ২০২২-এ বিশ্বকাপ। আন্তর্জাতিক ফুটবলজীবনে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ট্রফিই জেতা হয়ে গিয়েছে লিওনেল মেসির। সেই সঙ্গে তিন বছর আগে ইতালিকে হারিয়ে ‘ফাইনালিসিমা’ তো রয়েছেই। বিশ্বকাপ জিতেও আত্মতুষ্ট না হওয়া মেসি চান আরও কিছু দিন খেলা চালিয়ে যেতে। সেই লক্ষ্যেই তিনি নামবেন এ বারের কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরে । দু’বছর পর ফুটবল বিশ্বকাপে তাকে দেখা যাবে কি না নিশ্চিত নয়। তাই দেশের জার্সিতে এটাই হয়তো শেষ বড় প্রতিযোগিতা হতে পারে মেসির সামনে। তবে মেসির হৃদয় ভাঙতে মরিয়া হয়ে রয়েছে ব্রাজিল। পিছিয়ে রাখা যাবে না উরুগুয়ে, চিলির মতো দেশকেও। যুক্তরাষ্ট্রর আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্চ স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডার মুখোমুখি হবে এই প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১৫ বারের শিরোপাজয়ী আর্জেন্টিনা। ‘এ’ গ্রুপে তাদের সঙ্গে আছে পেরু ও চিলি।
ইউরো শুরু হয়েছে। তার প্রায় এক সপ্তাহ পর, আজ শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা এবং কানাডা। ২০১৬ সালের পর আবার কোপা আয়োজিত হচ্ছে আমেরিকায়। সে বার কোপা আমেরিকার শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছিল। ফাইনালে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল চিলি। এ বার ট্রফির দাবিদার মেসিরা
বিশ্বকাপের পরের বছর মেসি পিএসজি ছেড়ে আমেরিকার ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন। ফলে সেই দেশ গত দেড় বছরে তার অনেকটাই চেনা হয়ে গিয়েছে। মেসির জন্যই জনপ্রিয়তা বেড়েছে আমেরিকার ফুটবল লীগে। ফলে আমেরিকায় আর্জেন্টিনার অধিনায়ক যে বাড়তি সম্মান পাবেন তা এখনই বলে দেয়া যায়।
দু’বছর আগে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে সাহায্য করেছিলেন যারা, তাদের প্রায় সবাই খেলবেন কোপায়। সেই সঙ্গে তরুণ কিছু ফুটবলারকেও দলে নিয়েছেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। ধারেভারে কোপা জেতার দাবিদার আর্জেন্টিনাই। তাদের দলও বেশ শক্তিশালী। প্রতিটি বিভাগেই ভালো ফুটবলার রয়েছেন।
কোপার আর এক দাবিদার ব্রাজিল কিছুটা পিছিয়ে থেকেই নামবে। ভিনিসিয়াস, রদ্রিগো, এনদ্রিকের মতো তরুণ ফুটবলারদের পাশাপাশি লুকাস পাকুয়েতা, মারকুইনহোসের মতো অভিজ্ঞদের নেয়া হয়েছে। কিন্তু এই দলে রয়েছেন অনেক তরুণ মুখ। মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা জিততে তাদের অভিজ্ঞতা কতটা কাজে লাগবে, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। গিলের্মে আরানা, লুকাস বেরাল্দো, ইয়ান কৌটো, ওয়েন্ডেল, আন্দ্রেয়াস পেরেরার মতো ফুটবলারেরা আদৌ ট্রফি জেতাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনেকেরই মনে প্রশ্ন রয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে রিচার্লিসন, গ্যাব্রিয়েল জেসুসের মতো ফুটবলারদের।
২০২২ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তিতে ব্রাজিল কোচের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন। তার পর কার্লো আনচেলোত্তিকে আনার চেষ্টা করা হলেও তিনি রিয়াল মাদ্রিদে থেকে গিয়েছেন। বাধ্য হয়ে ঘরোয়া লিগের কোচ দোরিভাল জুনিয়রকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু বড় মঞ্চে আগে কোনো দিন কোচিং করাননি তিনি। অভিজ্ঞতাও কম। এখনও পর্যন্ত তার অধীনে ব্রাজিল যে ক’টি ম্যাচ খেলেছে একটিতেও মন জয় করতে পারেননি। দোরিভালের উপর তাই সে দেশের মানুষেরই আস্থা নেই।
তাই আর্জেন্টিনার পর অনেকে ট্রফির দাবিদার হিসাবে ব্রাজিলকে ধরছেন না। তাদের বিচারে এগিয়ে কলম্বিয়া। তারা গত দু’বছর কোনো ম্যাচে হারেনি। অপরাজিত ২৩টি ম্যাচে। তার পরে রয়েছে উরুগুয়ে। তবে অনেকের দাবি, বড় মঞ্চে ব্রাজিল ভাল খেলে চমকে দিতেই পারে।
এ বার কোপা আমেরিকায় ল্যাটিন আমেরিকার ১০টি দেশের পাশাপাশি কনকাকাফ, অর্থাৎ উত্তর ও মধ্য আমেরিকার ছ’টি দেশ খেলছে। এগুলি হল, আয়োজক আমেরিকা, পানামা, কানাডা, মেক্সিকো, কোস্টা রিকা এবং জামাইকা। এ বারের কোপা আমেরিকা আয়োজন করার কথা ছিল ইকুয়েডরের। তারা পিছিয়ে আসায় দায়িত্ব দেয়া হয় আমেরিকাকে। আমেরিকা খুশি মনেই সেই দায়িত্ব পালন করছে। দু’বছর পরেই সে দেশে বিশ্বকাপ। তার একটা প্রস্তুতি ঝালিয়ে নেয়া যেতে পারে।
‘আজ আমরা বলতে পারি যে, আমরাই সেরা। কেননা, আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কিন্তু এই বিশ্বাস নিশ্চিত করে দেবে না যে, আমরা অনায়াসে এই কোপা আমেরিকা জিতে যাব।’ মেসির কথাতেই পরিষ্কার অনেকটা পথ হেঁটে এত দূর এসে থমকে যেতে চান না তিনি, আর্জেন্টিনাও। ১৯৯৩ সালের পর ২৮ বছরের খরা কাটিয়ে মহাদেশীয় ফুটবলের মুকুট ফিরে পেয়েছে তারা, ২০২১ সালে। ১৯৮৬ সালের পর বিশ্বকাপের অনির্বচনীয় স্বাদ ফিরে পাওয়ার গল্পও আর্জেন্টিনা লিখেছে ২০২২ সালে, কাতারে।
২০২১ কোপা আমেরিকার ১৫তম ট্রফি জয়ের আগে ফাইনালের মঞ্চ থেকে চারবার খালি হাতে ফেরার হতাশা সঙ্গী হয়েছিল আর্জেন্টিনার-২০০৪, ২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে। ২০১৯-এ সেমি-ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর তৃতীয় হয়েছিল তারা।
তারপরও এই প্রতিযোগিতা মুঠোভরে দিয়েছে আর্জেন্টিনাকে। সেরা তিনে ৩৪ বারের উপস্থিতি (১৫ বার চ্যাম্পিয়ন, ১৪ বার রানার্সআপ, ৫বার তৃতীয়) এবং ১২৮ ম্যাচ জয়ের ঈর্ষণীয় রেকর্ড তাদেরই।
এ আসরেও যথারীতি ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের ভরকেন্দ্রে মেসি। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় তিনি (১৩টি) আছেন সপ্তম স্থানে; ১৭ গোল নিয়ে এই তালিকায় শীর্ষে তার স্বদেশি নরবের্তো মেন্দেস ও ব্রাজিলের জিজিনিয়ো। সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের (১৭টি) রেকর্ড অবশ্য এই বাঁ পায়ের জাদুকরের।
কানাডার বিপক্ষে খেলতে নামলেই আরেকটি রেকর্ড নিজের করে নেবেন মেসি। প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (৩৪টি) খেলার রেকর্ড এ মুহূর্তে তাকে ভাগাভাগি করতে হচ্ছে চিলির সের্হিও লিভিংস্তোনের সঙ্গে।
কোপার গ্রুপিং এবং আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ম্যাচ
গ্রুপ এ: আর্জেন্টিনা, পেরু, চিলি, কানাডা
গ্রুপ বি: মেক্সিকো, একুয়েডর, ভেনেজুয়েলা, জ্যামাইকা
গ্রুপ সি: যুক্তরাষ্ট্র, উরুগুয়ে, পানামা, বলিভিয়া
গ্রুপ ডি: ব্রাজিল, কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে, কোস্টারিকা
আর্জেন্টিনার গ্রুপ পর্বের ম্যাচের সূচি
২১ জুন আর্জেন্টিনা-কানাডা, সকাল ৬টা
২৬ জুন চিলি-আর্জেন্টিনা, সকাল ৭টা
৩০ জুন আর্জেন্টিনা-পেরু, সকাল ৬টা
ব্রাজিলের গ্রুপপর্বের ম্যাচের সূচি
২৫ জুন ব্রাজিল-কোস্টারিকা, সকাল ৭টা
২৯ জুন প্যারাগুয়ে-ব্রাজিল, সকাল ৭টা
৩ জুলাই ব্রাজিল-কলম্বিয়া, সকাল ৭টা
শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
২০২১-এ কোপা আমেরিকা। ২০২২-এ বিশ্বকাপ। আন্তর্জাতিক ফুটবলজীবনে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ট্রফিই জেতা হয়ে গিয়েছে লিওনেল মেসির। সেই সঙ্গে তিন বছর আগে ইতালিকে হারিয়ে ‘ফাইনালিসিমা’ তো রয়েছেই। বিশ্বকাপ জিতেও আত্মতুষ্ট না হওয়া মেসি চান আরও কিছু দিন খেলা চালিয়ে যেতে। সেই লক্ষ্যেই তিনি নামবেন এ বারের কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরে । দু’বছর পর ফুটবল বিশ্বকাপে তাকে দেখা যাবে কি না নিশ্চিত নয়। তাই দেশের জার্সিতে এটাই হয়তো শেষ বড় প্রতিযোগিতা হতে পারে মেসির সামনে। তবে মেসির হৃদয় ভাঙতে মরিয়া হয়ে রয়েছে ব্রাজিল। পিছিয়ে রাখা যাবে না উরুগুয়ে, চিলির মতো দেশকেও। যুক্তরাষ্ট্রর আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্চ স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডার মুখোমুখি হবে এই প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১৫ বারের শিরোপাজয়ী আর্জেন্টিনা। ‘এ’ গ্রুপে তাদের সঙ্গে আছে পেরু ও চিলি।
ইউরো শুরু হয়েছে। তার প্রায় এক সপ্তাহ পর, আজ শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা এবং কানাডা। ২০১৬ সালের পর আবার কোপা আয়োজিত হচ্ছে আমেরিকায়। সে বার কোপা আমেরিকার শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছিল। ফাইনালে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল চিলি। এ বার ট্রফির দাবিদার মেসিরা
বিশ্বকাপের পরের বছর মেসি পিএসজি ছেড়ে আমেরিকার ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন। ফলে সেই দেশ গত দেড় বছরে তার অনেকটাই চেনা হয়ে গিয়েছে। মেসির জন্যই জনপ্রিয়তা বেড়েছে আমেরিকার ফুটবল লীগে। ফলে আমেরিকায় আর্জেন্টিনার অধিনায়ক যে বাড়তি সম্মান পাবেন তা এখনই বলে দেয়া যায়।
দু’বছর আগে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে সাহায্য করেছিলেন যারা, তাদের প্রায় সবাই খেলবেন কোপায়। সেই সঙ্গে তরুণ কিছু ফুটবলারকেও দলে নিয়েছেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। ধারেভারে কোপা জেতার দাবিদার আর্জেন্টিনাই। তাদের দলও বেশ শক্তিশালী। প্রতিটি বিভাগেই ভালো ফুটবলার রয়েছেন।
কোপার আর এক দাবিদার ব্রাজিল কিছুটা পিছিয়ে থেকেই নামবে। ভিনিসিয়াস, রদ্রিগো, এনদ্রিকের মতো তরুণ ফুটবলারদের পাশাপাশি লুকাস পাকুয়েতা, মারকুইনহোসের মতো অভিজ্ঞদের নেয়া হয়েছে। কিন্তু এই দলে রয়েছেন অনেক তরুণ মুখ। মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা জিততে তাদের অভিজ্ঞতা কতটা কাজে লাগবে, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। গিলের্মে আরানা, লুকাস বেরাল্দো, ইয়ান কৌটো, ওয়েন্ডেল, আন্দ্রেয়াস পেরেরার মতো ফুটবলারেরা আদৌ ট্রফি জেতাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনেকেরই মনে প্রশ্ন রয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে রিচার্লিসন, গ্যাব্রিয়েল জেসুসের মতো ফুটবলারদের।
২০২২ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তিতে ব্রাজিল কোচের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন। তার পর কার্লো আনচেলোত্তিকে আনার চেষ্টা করা হলেও তিনি রিয়াল মাদ্রিদে থেকে গিয়েছেন। বাধ্য হয়ে ঘরোয়া লিগের কোচ দোরিভাল জুনিয়রকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু বড় মঞ্চে আগে কোনো দিন কোচিং করাননি তিনি। অভিজ্ঞতাও কম। এখনও পর্যন্ত তার অধীনে ব্রাজিল যে ক’টি ম্যাচ খেলেছে একটিতেও মন জয় করতে পারেননি। দোরিভালের উপর তাই সে দেশের মানুষেরই আস্থা নেই।
তাই আর্জেন্টিনার পর অনেকে ট্রফির দাবিদার হিসাবে ব্রাজিলকে ধরছেন না। তাদের বিচারে এগিয়ে কলম্বিয়া। তারা গত দু’বছর কোনো ম্যাচে হারেনি। অপরাজিত ২৩টি ম্যাচে। তার পরে রয়েছে উরুগুয়ে। তবে অনেকের দাবি, বড় মঞ্চে ব্রাজিল ভাল খেলে চমকে দিতেই পারে।
এ বার কোপা আমেরিকায় ল্যাটিন আমেরিকার ১০টি দেশের পাশাপাশি কনকাকাফ, অর্থাৎ উত্তর ও মধ্য আমেরিকার ছ’টি দেশ খেলছে। এগুলি হল, আয়োজক আমেরিকা, পানামা, কানাডা, মেক্সিকো, কোস্টা রিকা এবং জামাইকা। এ বারের কোপা আমেরিকা আয়োজন করার কথা ছিল ইকুয়েডরের। তারা পিছিয়ে আসায় দায়িত্ব দেয়া হয় আমেরিকাকে। আমেরিকা খুশি মনেই সেই দায়িত্ব পালন করছে। দু’বছর পরেই সে দেশে বিশ্বকাপ। তার একটা প্রস্তুতি ঝালিয়ে নেয়া যেতে পারে।
‘আজ আমরা বলতে পারি যে, আমরাই সেরা। কেননা, আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কিন্তু এই বিশ্বাস নিশ্চিত করে দেবে না যে, আমরা অনায়াসে এই কোপা আমেরিকা জিতে যাব।’ মেসির কথাতেই পরিষ্কার অনেকটা পথ হেঁটে এত দূর এসে থমকে যেতে চান না তিনি, আর্জেন্টিনাও। ১৯৯৩ সালের পর ২৮ বছরের খরা কাটিয়ে মহাদেশীয় ফুটবলের মুকুট ফিরে পেয়েছে তারা, ২০২১ সালে। ১৯৮৬ সালের পর বিশ্বকাপের অনির্বচনীয় স্বাদ ফিরে পাওয়ার গল্পও আর্জেন্টিনা লিখেছে ২০২২ সালে, কাতারে।
২০২১ কোপা আমেরিকার ১৫তম ট্রফি জয়ের আগে ফাইনালের মঞ্চ থেকে চারবার খালি হাতে ফেরার হতাশা সঙ্গী হয়েছিল আর্জেন্টিনার-২০০৪, ২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে। ২০১৯-এ সেমি-ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর তৃতীয় হয়েছিল তারা।
তারপরও এই প্রতিযোগিতা মুঠোভরে দিয়েছে আর্জেন্টিনাকে। সেরা তিনে ৩৪ বারের উপস্থিতি (১৫ বার চ্যাম্পিয়ন, ১৪ বার রানার্সআপ, ৫বার তৃতীয়) এবং ১২৮ ম্যাচ জয়ের ঈর্ষণীয় রেকর্ড তাদেরই।
এ আসরেও যথারীতি ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের ভরকেন্দ্রে মেসি। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় তিনি (১৩টি) আছেন সপ্তম স্থানে; ১৭ গোল নিয়ে এই তালিকায় শীর্ষে তার স্বদেশি নরবের্তো মেন্দেস ও ব্রাজিলের জিজিনিয়ো। সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের (১৭টি) রেকর্ড অবশ্য এই বাঁ পায়ের জাদুকরের।
কানাডার বিপক্ষে খেলতে নামলেই আরেকটি রেকর্ড নিজের করে নেবেন মেসি। প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (৩৪টি) খেলার রেকর্ড এ মুহূর্তে তাকে ভাগাভাগি করতে হচ্ছে চিলির সের্হিও লিভিংস্তোনের সঙ্গে।
কোপার গ্রুপিং এবং আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ম্যাচ
গ্রুপ এ: আর্জেন্টিনা, পেরু, চিলি, কানাডা
গ্রুপ বি: মেক্সিকো, একুয়েডর, ভেনেজুয়েলা, জ্যামাইকা
গ্রুপ সি: যুক্তরাষ্ট্র, উরুগুয়ে, পানামা, বলিভিয়া
গ্রুপ ডি: ব্রাজিল, কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে, কোস্টারিকা
আর্জেন্টিনার গ্রুপ পর্বের ম্যাচের সূচি
২১ জুন আর্জেন্টিনা-কানাডা, সকাল ৬টা
২৬ জুন চিলি-আর্জেন্টিনা, সকাল ৭টা
৩০ জুন আর্জেন্টিনা-পেরু, সকাল ৬টা
ব্রাজিলের গ্রুপপর্বের ম্যাচের সূচি
২৫ জুন ব্রাজিল-কোস্টারিকা, সকাল ৭টা
২৯ জুন প্যারাগুয়ে-ব্রাজিল, সকাল ৭টা
৩ জুলাই ব্রাজিল-কলম্বিয়া, সকাল ৭টা