নিয়মিত ৯০ মিনিট শেষে স্কোরলাইন ১-১ সমতা। সময় নষ্টের কারনে নিয়মানুসারেই খেলায় যোগ হয় অতিরিক্ত ৭ মিনিট। খেলা ড্রয়ের দিকেই গড়াচ্ছে ভেবে বাংলাদেশের দর্শকসারির অনেকেই হতাশা নিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন, বাড়ী ফিরহাদ জন্য। আর তখনই অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের সেন্টারের বলটি দারুনভাবে প্লেসিং করে গোল করেন পাপন সিং।
শেষ পর্যন্ত পাপন সিংয়ের সেই গোলই জয়সূচক গোল হয়ে থাকলো। ম্যাচ ২-১ গোলে শেষ করে বাংলাদেশ। পিছিয়ে পরেও জয়ের হাসি নিয়ে ঘরে ফিরে স্বাগতিকরা।
এই জয়ের ফলে মালদ্বীপের সাথে ১-১ ম্যাচে সমতায় সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ। এই জয় দিয়েই বছর শেষ করলো বাংলাদেশ।
একটি পরিবর্তন এনে শুরুর একাদশ সাজান বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা; কাজেম শাহ কিরমানির বদলে মাঝমাঠে খেলান মজিবর রহমান জনিকে। আস্থার প্রতিদান এই মিডফিল্ডার দিয়েছেন দলের জয়ে অবদান রেখে।
দুই দলের খেলাই শুরুতে ছিল সাদামাটা। খেলার ১৮ মিনিটে প্রথম আক্রমণ শাণায় মালদ্বীপ; আগের ম্যাচে জয়সূচক গোল করা ফাসিরের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিলো বাংলাদেশের গ্যালারী। স্বাগতিক দর্শকদের উন্মাদনা ছিলো চোখে পড়ার মতো।কিন্তু বেশিক্ষণ সেই উন্মাদনা ছিলো না তাদের। ম্যাচের ২৩ মিনিটের সময় তপু বর্মনের ভুল পাস থেকে বল কেড়ে নেন মালদ্বীপের ইব্রাহিম হোসেন। তিনি বল আলতো কর ঠেলে দেন আলি ফাসিরকে। ফাসির দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন বাংলাদেশের জালে। স্তব্ধ হয়ে যায় স্বাগতিক দর্শকরা।
মালদ্বীপের সাথে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও আলি ফাসিরের করা একমাত্র গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটের সময় মালদ্বীপের বক্সে ফয়সাল আহামেদের কাছ থেকে বল পান বাংলাদেশের মজিবুর রহমান জনি। তারা দুজনে বল দেয়া নেয়া করে পরে জনি কাট ব্যাক করে অসাধারণ গোল করেন। তাতে খেলায় ১-১ গোলের সমতায় ফিরে বাংলাদেশ।
জনির গোলে গ্যালারীতে আনন্দের জোয়ার ওঠে। খেলায় প্রান ফিরে পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের জার্সিতে জনির দ্বিতীয় গোল এটি। প্রথম গোলটি ছিলো ২০২৩ সালে কম্বোডিয়ার সাথে।
৭১তম মিনিটে জনি ও ফাহিমকে তুলে শাহরিয়ার ইমন ও চন্দন রায়কে নামান কাবরেরা। ৭৭ মিনিটে মোরছালিনের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন অভিষিক্ত পিয়াস আহামেদ নোভা।জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম খেলতে নেমে চাপ সহ্য করতে পারেননি। ৮৪ মিনিটে তিনি ওয়ান টু ওয়ানে গোল রক্ষককে একা পেয়েও বল পাঠিয়ে দেন গোলপোস্টের বাইরে।
২০২৪ সালের শেষ ম্যাচ জয় দিয়ে শেষ করলো বাংলাদেশ। এ বছর বাংলাদেশ মোট আট ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ২টি। মালদ্বীপ এবং ভুটানের সাথে। হেরেছে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন, লেবানন এবং ভুটানের কাছে।
এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ড্র সামনে রেখে এই দুটি ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ। লক্ষ্য ছিলো র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির; কিন্তু মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের হারে সেই চাওয়া অপূর্ণই থেকে গেল। তবে স্বান্তনা এই যে বছরের শেষটা অন্তত জয়ের হাসিতে শেষ করতে পারল কাবরেরার দল।
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
নিয়মিত ৯০ মিনিট শেষে স্কোরলাইন ১-১ সমতা। সময় নষ্টের কারনে নিয়মানুসারেই খেলায় যোগ হয় অতিরিক্ত ৭ মিনিট। খেলা ড্রয়ের দিকেই গড়াচ্ছে ভেবে বাংলাদেশের দর্শকসারির অনেকেই হতাশা নিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন, বাড়ী ফিরহাদ জন্য। আর তখনই অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের সেন্টারের বলটি দারুনভাবে প্লেসিং করে গোল করেন পাপন সিং।
শেষ পর্যন্ত পাপন সিংয়ের সেই গোলই জয়সূচক গোল হয়ে থাকলো। ম্যাচ ২-১ গোলে শেষ করে বাংলাদেশ। পিছিয়ে পরেও জয়ের হাসি নিয়ে ঘরে ফিরে স্বাগতিকরা।
এই জয়ের ফলে মালদ্বীপের সাথে ১-১ ম্যাচে সমতায় সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ। এই জয় দিয়েই বছর শেষ করলো বাংলাদেশ।
একটি পরিবর্তন এনে শুরুর একাদশ সাজান বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা; কাজেম শাহ কিরমানির বদলে মাঝমাঠে খেলান মজিবর রহমান জনিকে। আস্থার প্রতিদান এই মিডফিল্ডার দিয়েছেন দলের জয়ে অবদান রেখে।
দুই দলের খেলাই শুরুতে ছিল সাদামাটা। খেলার ১৮ মিনিটে প্রথম আক্রমণ শাণায় মালদ্বীপ; আগের ম্যাচে জয়সূচক গোল করা ফাসিরের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিলো বাংলাদেশের গ্যালারী। স্বাগতিক দর্শকদের উন্মাদনা ছিলো চোখে পড়ার মতো।কিন্তু বেশিক্ষণ সেই উন্মাদনা ছিলো না তাদের। ম্যাচের ২৩ মিনিটের সময় তপু বর্মনের ভুল পাস থেকে বল কেড়ে নেন মালদ্বীপের ইব্রাহিম হোসেন। তিনি বল আলতো কর ঠেলে দেন আলি ফাসিরকে। ফাসির দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন বাংলাদেশের জালে। স্তব্ধ হয়ে যায় স্বাগতিক দর্শকরা।
মালদ্বীপের সাথে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও আলি ফাসিরের করা একমাত্র গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটের সময় মালদ্বীপের বক্সে ফয়সাল আহামেদের কাছ থেকে বল পান বাংলাদেশের মজিবুর রহমান জনি। তারা দুজনে বল দেয়া নেয়া করে পরে জনি কাট ব্যাক করে অসাধারণ গোল করেন। তাতে খেলায় ১-১ গোলের সমতায় ফিরে বাংলাদেশ।
জনির গোলে গ্যালারীতে আনন্দের জোয়ার ওঠে। খেলায় প্রান ফিরে পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের জার্সিতে জনির দ্বিতীয় গোল এটি। প্রথম গোলটি ছিলো ২০২৩ সালে কম্বোডিয়ার সাথে।
৭১তম মিনিটে জনি ও ফাহিমকে তুলে শাহরিয়ার ইমন ও চন্দন রায়কে নামান কাবরেরা। ৭৭ মিনিটে মোরছালিনের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন অভিষিক্ত পিয়াস আহামেদ নোভা।জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম খেলতে নেমে চাপ সহ্য করতে পারেননি। ৮৪ মিনিটে তিনি ওয়ান টু ওয়ানে গোল রক্ষককে একা পেয়েও বল পাঠিয়ে দেন গোলপোস্টের বাইরে।
২০২৪ সালের শেষ ম্যাচ জয় দিয়ে শেষ করলো বাংলাদেশ। এ বছর বাংলাদেশ মোট আট ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ২টি। মালদ্বীপ এবং ভুটানের সাথে। হেরেছে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন, লেবানন এবং ভুটানের কাছে।
এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ড্র সামনে রেখে এই দুটি ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ। লক্ষ্য ছিলো র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির; কিন্তু মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের হারে সেই চাওয়া অপূর্ণই থেকে গেল। তবে স্বান্তনা এই যে বছরের শেষটা অন্তত জয়ের হাসিতে শেষ করতে পারল কাবরেরার দল।