সময়ের হিসেবে প্রায় ৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টুয়েন্টিতে হারালো বাংলাদেশ। এই জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো টাইগাররা।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে ৬ উইকেটের বিনিময়ে।
জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯.৫ ওভারে ১৪০ রানে সবকটি উইকেট হারালে ৭ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
ম্যাচটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর ছিলো দুদলের জন্য। ক্রিকেট বিশ্বে মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিজের দীর্ঘদেহী খেলোয়াড়রা। সেখানে ১৪৭ রানে তাদেরকে আটকে রাখার মূল কৃতিত বাংলাদেশি বোলারদের।
বিশেষ করে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিলো ৬ বলে ১০ রান।তখনো অপরাজিত মারকুটে ব্যাটার রোভমান পাওয়েল। যিনি একাই খেলার গতিপথ পাল্টে দিতে পারেন। সেখানে হাসান মাহমুদ তার ছন্দময়, কুশলি বোলিংয়ে মাত্র দুই রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করলে বাংলাদেশ জয় পায় ৭ রানের।
বিশেষ করে বলতে হয় ম্যাচসেরা মেহেদী হাসানের কথা, তার কিপটে বোলিং এবং ব্যাটিংয়ে ধৈর্যশীল ২৬ রান বাংলাদেশকে ম্যাচে রেখেছে। ৪ ওভার বোলিং করে ১৩ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন ৪ টি মূল্যবান উইকেট।
১৪৭ রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১১.৪ ওভারে ৬১ রানে ৭ উইকেটের পতন হয়।তারপর রোমারিও শেফার্ড এবং রোভমান পাওয়েলের জুটিতে খেলায় ফিরে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪, ১৫ আর ১৬ — এই তিন ওভারে ৫০ রানের মতো সংগ্রহ করে খেলার গতিপথ পাল্টে দেন দুজন।
সেখান থেকে বাংলাদেশের রিসাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদ খেলায় ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশকে ১৮ তম ওভারে তাসকিন মাত্র ২ রান দিয়ে তুলে নেন শেফার্ডের মূল্যবান উইকেট।
১৯তম ওভারে রিসাদ হোসেন এসে মাত্র ৮ রান দিলে খেলায় টিকে থাকে বাংলাদেশ। তার কল্যানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ১০ রানের।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৭ রান করতে পারে। যার সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব সৌম্য সরকার এবং দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা শামীম হোসেনের।
নিয়মিত উইকেট পতনের পরও একপাশে আগলে রেখে সৌম্য সরকার ৩২ বলে ৩ ছক্কা এবং দুই চারের সহায়তায় ৪৩ রান করেন।শেষের দিকে শামীম হোসেন ১৩ বলে ৩ ছক্কা এবং এক চারে মারকুটে ব্যাটিং করে ২৭ রান করলে লড়াই করার পুঁজি পায় টিম টাইগার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোভমান পাওয়েল নিঃসঙ্গ শেরপার মতো একাই লড়াই করেছেন ৩৫ বলে ৪ ছক্কা এবং ৫ চারের সহায়তায় করেছেন ৬০ রান। রোমারিও শেফার্ড ২২ এবং জনসন চালর্স করেন ২০ রান।
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশঃ ২০ ওভারে ১৪৭/৬ (সৌম্য ৪৩, শামীম ২৭, জাকের ২৭, মেহেদী ২৬*, আকিল হোসেন ১৩/২, ম্যাকয় ৩০/২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজঃ ১৯.৫ ওভারে ১৪০ (পাওয়েল ৬০, শেফার্ড ২২, চার্লস ২০, মেহেদী ১৩/৪, হাসান ১৮/২, তাসকিন ২৮/২)
ফলাফল বাংলাদেশ ৭ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা মেহেদী হাসান।
সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সময়ের হিসেবে প্রায় ৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টুয়েন্টিতে হারালো বাংলাদেশ। এই জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো টাইগাররা।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে ৬ উইকেটের বিনিময়ে।
জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯.৫ ওভারে ১৪০ রানে সবকটি উইকেট হারালে ৭ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
ম্যাচটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর ছিলো দুদলের জন্য। ক্রিকেট বিশ্বে মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিজের দীর্ঘদেহী খেলোয়াড়রা। সেখানে ১৪৭ রানে তাদেরকে আটকে রাখার মূল কৃতিত বাংলাদেশি বোলারদের।
বিশেষ করে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিলো ৬ বলে ১০ রান।তখনো অপরাজিত মারকুটে ব্যাটার রোভমান পাওয়েল। যিনি একাই খেলার গতিপথ পাল্টে দিতে পারেন। সেখানে হাসান মাহমুদ তার ছন্দময়, কুশলি বোলিংয়ে মাত্র দুই রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করলে বাংলাদেশ জয় পায় ৭ রানের।
বিশেষ করে বলতে হয় ম্যাচসেরা মেহেদী হাসানের কথা, তার কিপটে বোলিং এবং ব্যাটিংয়ে ধৈর্যশীল ২৬ রান বাংলাদেশকে ম্যাচে রেখেছে। ৪ ওভার বোলিং করে ১৩ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন ৪ টি মূল্যবান উইকেট।
১৪৭ রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১১.৪ ওভারে ৬১ রানে ৭ উইকেটের পতন হয়।তারপর রোমারিও শেফার্ড এবং রোভমান পাওয়েলের জুটিতে খেলায় ফিরে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪, ১৫ আর ১৬ — এই তিন ওভারে ৫০ রানের মতো সংগ্রহ করে খেলার গতিপথ পাল্টে দেন দুজন।
সেখান থেকে বাংলাদেশের রিসাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদ খেলায় ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশকে ১৮ তম ওভারে তাসকিন মাত্র ২ রান দিয়ে তুলে নেন শেফার্ডের মূল্যবান উইকেট।
১৯তম ওভারে রিসাদ হোসেন এসে মাত্র ৮ রান দিলে খেলায় টিকে থাকে বাংলাদেশ। তার কল্যানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ১০ রানের।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৭ রান করতে পারে। যার সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব সৌম্য সরকার এবং দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা শামীম হোসেনের।
নিয়মিত উইকেট পতনের পরও একপাশে আগলে রেখে সৌম্য সরকার ৩২ বলে ৩ ছক্কা এবং দুই চারের সহায়তায় ৪৩ রান করেন।শেষের দিকে শামীম হোসেন ১৩ বলে ৩ ছক্কা এবং এক চারে মারকুটে ব্যাটিং করে ২৭ রান করলে লড়াই করার পুঁজি পায় টিম টাইগার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোভমান পাওয়েল নিঃসঙ্গ শেরপার মতো একাই লড়াই করেছেন ৩৫ বলে ৪ ছক্কা এবং ৫ চারের সহায়তায় করেছেন ৬০ রান। রোমারিও শেফার্ড ২২ এবং জনসন চালর্স করেন ২০ রান।
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশঃ ২০ ওভারে ১৪৭/৬ (সৌম্য ৪৩, শামীম ২৭, জাকের ২৭, মেহেদী ২৬*, আকিল হোসেন ১৩/২, ম্যাকয় ৩০/২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজঃ ১৯.৫ ওভারে ১৪০ (পাওয়েল ৬০, শেফার্ড ২২, চার্লস ২০, মেহেদী ১৩/৪, হাসান ১৮/২, তাসকিন ২৮/২)
ফলাফল বাংলাদেশ ৭ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা মেহেদী হাসান।