টসের সময় আম্পায়ারদের সঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও পাকিস্তান শাহিনসের অধিনায়ক মোহাম্মদ হারিস
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলে গেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বাংলাদেশ। তবে প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যাটিং পারফরম্যান্স যেন বাস্তবতার বার্তাই দিল বাংলাদেশ দলকে। পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৪০ ওভারও ব্যাটিং করতে পারলেন না শান্তরা।
সমবার দুবাইয়ে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের (‘এ’) দলের বিপক্ষে ৩৮.২ ওভারে ২০২ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
এ রিপোর্ট লেখার সময় জবাবে ৩১ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে পাকিস্তান ‘এ’ দল। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাহিদ রানা ও তানজিম সাকিব।
বাংলাদেশের কোন ব্যাটার ফিফটি স্পর্শ করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে চার নম্বরে নামা মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে। এই অলরাউন্ডার ব্যাট করেছেন মূল টুর্নামেন্টে তার ব্যাটিং অর্ডারের সম্ভাব্য ধারণাও মিলছে এটি থেকে।
বাংলাদেশ ভুগেছে পাকিস্তানের স্পিনে। লেগ স্পিনার উসামা মির নিয়েছেন চার উইকেট, বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার সুফিয়ান মুকিম ও অফ স্পিনার মুবাসির খান নিয়েছেন একটি করে। উসামা পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে খেলেছেন ১২টি। মুকিম কিছুদিন আগে অভিষেক ওয়ানডেতে চার উইকেট নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং করার সুযোগ আছে সবারই। তবে উপযুক্ত অনুশীলনের জন্যই হয়তো যথাযথ ম্যাচের মতোই একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। বাড়তি ব্যাটার খেলানো হয়নি। ব্যাট করেননি মাহমুদউল্লাহ।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সমবার দিন-রাতের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ধাক্কা আসে ম্যাচের প্রথম ওভারেই। প্রথম দুই বলে ছয় রান করা ওপেনার তানজিদ হাসান বিদায় নেন তৃতীয় বলেই।
সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুর ধাক্কা সামাল দিতে পেরেছেন বলেই মনে হচ্ছিল। এই দুজনের জুটিতে অষ্টম ওভারে পঞ্চাশে পৌঁছে যায় দল। কিন্তু কেউই টিকতে পারেননি লম্বা সময়।
অধিনায়ক শান্ত ফেরেন ২১ বলে ১২ রান করে। একটু পরই সৌম্য রান আউট হন ৩৮ বলে ৩৫ রান করে।
৬৩ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে এরপর এগিয়ে নেন মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয়। ইনিংসের একমাত্র অর্ধশত রানের জুটি গড়েন দুজন। তবে মিডল অর্ডারে ছোবল দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মেরুদ- ভেঙে দেন উসামা মির। হৃদয় আউট হন ৩৩ বলে ২০ রান করে। মিরাজের সঙ্গে তার জুটি থামে ৫৬ রানে।
মুশফিকুর রহিম স্টাম্পড হন ১৪ বলে ৭ রান করে। মিরাজ বিদায় নেন ৫৩ বলে ৪৪ করে। জাকের আলি খেলতে পারেন কেবল ৫ বল (৪ রান)।
১৮ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের বড় স্কোরের আশা। চারটি উইকেটই নেন উসামা। পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা লড়াই করে দলকে কোনো রকমে দুইশ পার করান। ৯ নম্বরে নেমে ২৭ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন তানজিম হাসান। কিছু অবদান রাখেন রিশাদ হোসেন (১৪) ও নাসুম আহমেদও (১৫)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ৩৮.২ ওভারে ২০২ (তানজিদ ৬, সৌম্য ৩৫, শান্ত ১২, মিরাজ ৪৪, হৃদয় ২০, মুশফিক ৭, জাকের ৪, রিশাদ ১৪, তানজিম ৩০, নাসুম ১৫, তাসকিন ৪*; আলি রাজা ১/৪০, মুসা খান ১/১৬, মুবাসির খান ২/৪২, সুফিয়ান মুকিম ১/৩২, উসামা মির ১০-০-৪৩-৪)।
টসের সময় আম্পায়ারদের সঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও পাকিস্তান শাহিনসের অধিনায়ক মোহাম্মদ হারিস
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলে গেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বাংলাদেশ। তবে প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যাটিং পারফরম্যান্স যেন বাস্তবতার বার্তাই দিল বাংলাদেশ দলকে। পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৪০ ওভারও ব্যাটিং করতে পারলেন না শান্তরা।
সমবার দুবাইয়ে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের (‘এ’) দলের বিপক্ষে ৩৮.২ ওভারে ২০২ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
এ রিপোর্ট লেখার সময় জবাবে ৩১ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে পাকিস্তান ‘এ’ দল। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাহিদ রানা ও তানজিম সাকিব।
বাংলাদেশের কোন ব্যাটার ফিফটি স্পর্শ করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে চার নম্বরে নামা মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে। এই অলরাউন্ডার ব্যাট করেছেন মূল টুর্নামেন্টে তার ব্যাটিং অর্ডারের সম্ভাব্য ধারণাও মিলছে এটি থেকে।
বাংলাদেশ ভুগেছে পাকিস্তানের স্পিনে। লেগ স্পিনার উসামা মির নিয়েছেন চার উইকেট, বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার সুফিয়ান মুকিম ও অফ স্পিনার মুবাসির খান নিয়েছেন একটি করে। উসামা পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে খেলেছেন ১২টি। মুকিম কিছুদিন আগে অভিষেক ওয়ানডেতে চার উইকেট নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং করার সুযোগ আছে সবারই। তবে উপযুক্ত অনুশীলনের জন্যই হয়তো যথাযথ ম্যাচের মতোই একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। বাড়তি ব্যাটার খেলানো হয়নি। ব্যাট করেননি মাহমুদউল্লাহ।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সমবার দিন-রাতের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ধাক্কা আসে ম্যাচের প্রথম ওভারেই। প্রথম দুই বলে ছয় রান করা ওপেনার তানজিদ হাসান বিদায় নেন তৃতীয় বলেই।
সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুর ধাক্কা সামাল দিতে পেরেছেন বলেই মনে হচ্ছিল। এই দুজনের জুটিতে অষ্টম ওভারে পঞ্চাশে পৌঁছে যায় দল। কিন্তু কেউই টিকতে পারেননি লম্বা সময়।
অধিনায়ক শান্ত ফেরেন ২১ বলে ১২ রান করে। একটু পরই সৌম্য রান আউট হন ৩৮ বলে ৩৫ রান করে।
৬৩ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে এরপর এগিয়ে নেন মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয়। ইনিংসের একমাত্র অর্ধশত রানের জুটি গড়েন দুজন। তবে মিডল অর্ডারে ছোবল দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মেরুদ- ভেঙে দেন উসামা মির। হৃদয় আউট হন ৩৩ বলে ২০ রান করে। মিরাজের সঙ্গে তার জুটি থামে ৫৬ রানে।
মুশফিকুর রহিম স্টাম্পড হন ১৪ বলে ৭ রান করে। মিরাজ বিদায় নেন ৫৩ বলে ৪৪ করে। জাকের আলি খেলতে পারেন কেবল ৫ বল (৪ রান)।
১৮ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের বড় স্কোরের আশা। চারটি উইকেটই নেন উসামা। পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা লড়াই করে দলকে কোনো রকমে দুইশ পার করান। ৯ নম্বরে নেমে ২৭ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন তানজিম হাসান। কিছু অবদান রাখেন রিশাদ হোসেন (১৪) ও নাসুম আহমেদও (১৫)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ৩৮.২ ওভারে ২০২ (তানজিদ ৬, সৌম্য ৩৫, শান্ত ১২, মিরাজ ৪৪, হৃদয় ২০, মুশফিক ৭, জাকের ৪, রিশাদ ১৪, তানজিম ৩০, নাসুম ১৫, তাসকিন ৪*; আলি রাজা ১/৪০, মুসা খান ১/১৬, মুবাসির খান ২/৪২, সুফিয়ান মুকিম ১/৩২, উসামা মির ১০-০-৪৩-৪)।