বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ সমবার ভিডিও বার্তায় জানান, বিপিএলের একাদশ আসরে টিকেট থেকে রেকর্ড সংখ্যক টাকা আয় হয়েছে।
‘আমরা এবার অবিশ্বাস্য রকম সফলভাবে টিকেট বিক্রি করেছি। এটার বড় কারণ ছিল, আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গিয়েছি। এটি অত্যন্ত নিরাপদ ব্যবস্থা। বিশ্বকাপে যেভাবে টিকেট বিক্রি হয়, ঠিক সেভাবেই।’
‘যদিও পুরোপুরি অনলাইনে যেতে পারিনি। নতুন একটা সিস্টেম দেখার জন্য (বিপিএলের) প্রথম পর্বে আমরা ৩৫ শতাংশ ও প্লে অফে ৪০ শতাংশ টিকেট দিয়েছিলাম অনলাইনে। সব মিলিয়ে পুরো বিপিএলে আমরা প্রায় ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকার টিকেট বিক্রি করেছি।’
বিসিবি সভাপতি জানান, বিপিএলের প্রথম দশ আসর মিলিয়ে টিকেট বিক্রি থেকে আয় ছিল ১৫ কোটি টাকার কাছাকাছি।
‘ছোট একটা তুলনা যদি দেই, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গত ১০ আসরে টিকেট বিক্রি করেছে ১৫ কোটি টাকার মতো। সেটা বিবেচনা করলে আমরা এক বছরেই সেটার কাছাকাছি চলে গিয়েছি।’
‘আমরা টিকেটস্বত্ব বিক্রি বাবদ এক কোটি টাকা করে তিন বছরের চুক্তি করেছি। তার মানে, টিকেট বিক্রির সঙ্গে যদি এটা যোগ করি এবছর, তাহলে সোয়া ১৩ কোটি টাকার মতো হবে। এটা একটা বিরাট মাইলফলক। উত্তরোত্তর আমরা আরও এগিয়ে যাব।’
গত কয়েক আসর ধরে বিপিএলের লভ্যাংশের দাবি করে আসছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। তবে বারবার আশ্বাস দেয়া হলেও কখনও এর ভাগ পায়নি দলগুলো। এবার টিকেট বিক্রিতে বড় আয়ের পর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে সুখবর দিলেন বিসিবি সভাপতি।
‘ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সবসময়ই একটা বড় দাবি ছিল রেভিনিউ শেয়ারিং। তখন তাদের বলেছিলাম, আসলে লাভটা কত কী হয়, এটাই আমি জানি না। তাই আমার পক্ষে তখন কিছু বলা সম্ভব ছিল না।’
‘তবে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য সুখবর... যদিও রেভিনিউ শেয়ারিং বলতে সব ক্ষেত্রেই ভাগাভাগি বোঝায়, কিন্তু অন্যগুলো ওরকম করে করতে পারিনি।
তাই টিকেট বিক্রির যে আয় হয়েছে, এখান থেকে একটা ভালো অংশ সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দেয়ার চেষ্টা করবো।’
শুরুর দিকের নানা অব্যবস্থাপনা স্বীকার করে নিয়ে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে বিপিএল শেষ করতে পারা তৃপ্তির কথাও বললেন ফারুক।
‘বিপিএলে অবশ্যই কিছু ঘাটতি ছিল। প্রথম দিকে টিকেট... নতুন একটা সিস্টেম... ঝামেলা ছিল। সব কিছু আমি মেনে নিচ্ছি। দুই-একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টাকা দেয়ার ব্যাপারেও একটু অসুবিধার সৃষ্টি করেছে। এটা নিয়ে অনেক নেতিবাচক খবর হয়েছে।’
‘তবে যদি সার্বিকভাবে বিপিএল দেখেন... দর্শক, উইকেট, টিকেট বিক্রি, দর্শকদের অংশগ্রহণ এবং আমাদের যে টিভি প্রোডাকশন টিভি ক্রু থেকে শুরু করে ধারাভাষ্যকার। স্যার কার্টলি অ্যামব্রোস বলেছেন, তার দেখামতে, উইকেট ও সব কিছু মিলিয়ে গত তিন বছরের মধ্যে এটা সেরা বিপিএল। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
‘আগামী বিপিএল নিয়ে এখনই কাজ শুরু করে দিয়েছি। একটা উইন্ডো বের করেছি আমরা। এখন তো সব দেশে অনেকগুলো টি-২০ টুর্নামেন্ট হয়।
যেগুলো আমাদের বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ক্ল্যাশ হয়। ওসব টুর্নামেন্ট থেকে যেন আমরা একটু অন্যরকম করে করতে পারি, যাতে করে একটু মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটার পাই।’
‘এটা নিয়ে আজকে সাবেক অধিনায়কদের নিয়ে একটা বৈঠক করেছি। সব অধিনায়ক তাদের মতামত দিয়েছেন। সেখানে চমৎকার কিছু পরামর্শ এসেছে। সেগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়ে আগামীতে যেন কাজে লাগাতে পারি, সেই চেষ্টা করবো।’
বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ সমবার ভিডিও বার্তায় জানান, বিপিএলের একাদশ আসরে টিকেট থেকে রেকর্ড সংখ্যক টাকা আয় হয়েছে।
‘আমরা এবার অবিশ্বাস্য রকম সফলভাবে টিকেট বিক্রি করেছি। এটার বড় কারণ ছিল, আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গিয়েছি। এটি অত্যন্ত নিরাপদ ব্যবস্থা। বিশ্বকাপে যেভাবে টিকেট বিক্রি হয়, ঠিক সেভাবেই।’
‘যদিও পুরোপুরি অনলাইনে যেতে পারিনি। নতুন একটা সিস্টেম দেখার জন্য (বিপিএলের) প্রথম পর্বে আমরা ৩৫ শতাংশ ও প্লে অফে ৪০ শতাংশ টিকেট দিয়েছিলাম অনলাইনে। সব মিলিয়ে পুরো বিপিএলে আমরা প্রায় ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকার টিকেট বিক্রি করেছি।’
বিসিবি সভাপতি জানান, বিপিএলের প্রথম দশ আসর মিলিয়ে টিকেট বিক্রি থেকে আয় ছিল ১৫ কোটি টাকার কাছাকাছি।
‘ছোট একটা তুলনা যদি দেই, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গত ১০ আসরে টিকেট বিক্রি করেছে ১৫ কোটি টাকার মতো। সেটা বিবেচনা করলে আমরা এক বছরেই সেটার কাছাকাছি চলে গিয়েছি।’
‘আমরা টিকেটস্বত্ব বিক্রি বাবদ এক কোটি টাকা করে তিন বছরের চুক্তি করেছি। তার মানে, টিকেট বিক্রির সঙ্গে যদি এটা যোগ করি এবছর, তাহলে সোয়া ১৩ কোটি টাকার মতো হবে। এটা একটা বিরাট মাইলফলক। উত্তরোত্তর আমরা আরও এগিয়ে যাব।’
গত কয়েক আসর ধরে বিপিএলের লভ্যাংশের দাবি করে আসছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। তবে বারবার আশ্বাস দেয়া হলেও কখনও এর ভাগ পায়নি দলগুলো। এবার টিকেট বিক্রিতে বড় আয়ের পর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে সুখবর দিলেন বিসিবি সভাপতি।
‘ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সবসময়ই একটা বড় দাবি ছিল রেভিনিউ শেয়ারিং। তখন তাদের বলেছিলাম, আসলে লাভটা কত কী হয়, এটাই আমি জানি না। তাই আমার পক্ষে তখন কিছু বলা সম্ভব ছিল না।’
‘তবে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য সুখবর... যদিও রেভিনিউ শেয়ারিং বলতে সব ক্ষেত্রেই ভাগাভাগি বোঝায়, কিন্তু অন্যগুলো ওরকম করে করতে পারিনি।
তাই টিকেট বিক্রির যে আয় হয়েছে, এখান থেকে একটা ভালো অংশ সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দেয়ার চেষ্টা করবো।’
শুরুর দিকের নানা অব্যবস্থাপনা স্বীকার করে নিয়ে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে বিপিএল শেষ করতে পারা তৃপ্তির কথাও বললেন ফারুক।
‘বিপিএলে অবশ্যই কিছু ঘাটতি ছিল। প্রথম দিকে টিকেট... নতুন একটা সিস্টেম... ঝামেলা ছিল। সব কিছু আমি মেনে নিচ্ছি। দুই-একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টাকা দেয়ার ব্যাপারেও একটু অসুবিধার সৃষ্টি করেছে। এটা নিয়ে অনেক নেতিবাচক খবর হয়েছে।’
‘তবে যদি সার্বিকভাবে বিপিএল দেখেন... দর্শক, উইকেট, টিকেট বিক্রি, দর্শকদের অংশগ্রহণ এবং আমাদের যে টিভি প্রোডাকশন টিভি ক্রু থেকে শুরু করে ধারাভাষ্যকার। স্যার কার্টলি অ্যামব্রোস বলেছেন, তার দেখামতে, উইকেট ও সব কিছু মিলিয়ে গত তিন বছরের মধ্যে এটা সেরা বিপিএল। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
‘আগামী বিপিএল নিয়ে এখনই কাজ শুরু করে দিয়েছি। একটা উইন্ডো বের করেছি আমরা। এখন তো সব দেশে অনেকগুলো টি-২০ টুর্নামেন্ট হয়।
যেগুলো আমাদের বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ক্ল্যাশ হয়। ওসব টুর্নামেন্ট থেকে যেন আমরা একটু অন্যরকম করে করতে পারি, যাতে করে একটু মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটার পাই।’
‘এটা নিয়ে আজকে সাবেক অধিনায়কদের নিয়ে একটা বৈঠক করেছি। সব অধিনায়ক তাদের মতামত দিয়েছেন। সেখানে চমৎকার কিছু পরামর্শ এসেছে। সেগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়ে আগামীতে যেন কাজে লাগাতে পারি, সেই চেষ্টা করবো।’