দলের পতাকা নিয়ে শিরিন ও ইসমাইল
আশার কোনো খবর নেই অ্যাথলেটিক্সের স্প্রিন্টে। টাইমিংয়েরও কোনো উন্নতি নেই। সমবার জাতীয় স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে দেশসেরা স্প্রিন্টে সেই পুরনো মুখ। তিন বছর পর দেশের দ্রুততম মানবের মুকুট পুনরুদ্ধার করলেন মো. ইসমাইল। তার টাইমিং ১০.৬১ সেকেন্ড (ইলেক্ট্রোনিক্স) এ নিয়ে পঞ্চমবার এই খেতাব জিতলন তিনি। অন্যদিকে দ্রুততম মানবীর মুকুট অক্ষুণœ রাখলেন শিরিন আক্তার। টানা ১৬ বার দেশের মেয়েদের মধ্যে সেরা অ্যাথলেট হলেন। তার টাইমিং ১২.০১ সেকেন্ড (ইলেক্ট্রোনিক্স)। দু’জনেই নৌবাহিনীর অ্যাথলেট।
ফিনিশিং লাইন পার হওয়ার সময় মনে হল মো. ইসমাইল ও রাকিবুল হাসান সমানতালেই ছিলেন। যদিও রাকিবুল ফিনিশিং লাইন টাচ করে পরে যান। কিন্তু ইসমাইল সটান বডি নিয়েই পারি দেন শেষ সীমা। ফটোফিনিশিংয়ে বুক এগিয়ে থাকায় ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণপদক জিতে নেন ইসমাইল। ২০১৮ সালে প্রথমবার ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দেশসেরা হয়েছিলেন ইসমাইল। টানা আরও তিনবার। তবে লন্ডন প্রবাসী স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ার পর আর সেই মুকুট ধরে রাখতে পারেননি নৌবাহিনীর এই স্প্রিন্টার। সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে ২০২২-২৪ টানা তিনটি দ্রুততম মানবের খেতাব জিতে নেন ইমরানুর। এবার অবশ্য চোটের কারণে জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে খেলতে আসেননি তিনি। ইসমাইলের কথা, ‘ইমরানুর না থাকায় অবশ্য কিছু সুবিধাতো পেয়েছি। তবে অন্যরাও বেশ এগিয়েছে।’ মুকুট পুনরুদ্ধারে কতটা কষ্ট করতে হয়েছে, তা নিজের মুখে জানালেন ইসমাইল, ‘গত সাত মাস আমি টানা পরিশ্রম করে গেছি এই খেতাব পুনরুদ্ধারের জন্য। খাবারে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচা গেছে। ১০০ মিটারের মধ্যে শেষ ১০ মিটারে এগিয়ে আসতে আমাকে অনেক কাজ করতে হয়েছে।’ টাইমিং নিয়ে সন্তুষ্ট ইসমাইল, ‘এটাই আমার ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং। আগের টাইমিং ছিল ১০.৬৩ সেকেন্ড। দ্রুততম মানবের খেতাব জেতার সাফল্যে নিজের স্ত্রীকেও অংশীদার করলেন ইসমাইল, ‘আড়াই মাসের সন্তানকে নিয়ে আমার স্ত্রী ও অ্যাথলেট তামান্না আক্তার সমর্থন যুগিয়ে গেছেন। এজন্য এই সাফল্যে অর্ধেক কোচ আবদুল্লাহেল কাফির (সাবেক তারকা অ্যাথলেট এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক) এবং অর্ধেক আমার স্ত্রীর।’
জাতীয় ও সামার অ্যাথলেটিক্সে ক্যারিয়ারে টানা ১৬ বারের মতো দ্রুততম মানবীর খেতাব জিতলেন শিরিন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, শিরিনের বিকল্প এখনও তৈরি হয়নি দেশে। যেখানে তার টাইমিং ১২.০১ সেকেন্ড, সেখানে তারই সতীর্থ সুমাইয়া দেওয়ানের টাইমিং ১২.১৫ সেকেন্ড। .১৪ মাইক্রো সেকেন্ড পেছনে। তিনিও কৃতিত্ব দিলেন কোচ কাফিকে, ‘আমার কোচ কাফি স্যার খুব কষ্ট করেছেন আমার জন্য। আমি কৃতজ্ঞ উনার কাছে।’ ভবিষ্যৎ লক্ষ্য শিরিনের কথা, ‘আমার একটাই আশা আমি আন্তর্জাতি আসরে একটি স্বর্ণপদক এনে দিতে চাই দেশকে। তারপর অন্যকথা ভাববো।’ দীর্ঘ ধরে সেরা শিরিনের প্রতিপক্ষ কি এখনো তৈরি হয়নি? এমন প্রশ্নের উত্তরে শিরিনের কথা, ‘আসলে প্রতিপক্ষ তৈরি হয়নি তা আমি বলবো না। কারণ ট্র্যাকে ন্যানো ও মাইক্রো সেকেন্ডে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে। তাই দৌঁড়ানোর সময়েও চোখ খোলা রেখে সজাগ থাকতে হয়।’
দলের পতাকা নিয়ে শিরিন ও ইসমাইল
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
আশার কোনো খবর নেই অ্যাথলেটিক্সের স্প্রিন্টে। টাইমিংয়েরও কোনো উন্নতি নেই। সমবার জাতীয় স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে দেশসেরা স্প্রিন্টে সেই পুরনো মুখ। তিন বছর পর দেশের দ্রুততম মানবের মুকুট পুনরুদ্ধার করলেন মো. ইসমাইল। তার টাইমিং ১০.৬১ সেকেন্ড (ইলেক্ট্রোনিক্স) এ নিয়ে পঞ্চমবার এই খেতাব জিতলন তিনি। অন্যদিকে দ্রুততম মানবীর মুকুট অক্ষুণœ রাখলেন শিরিন আক্তার। টানা ১৬ বার দেশের মেয়েদের মধ্যে সেরা অ্যাথলেট হলেন। তার টাইমিং ১২.০১ সেকেন্ড (ইলেক্ট্রোনিক্স)। দু’জনেই নৌবাহিনীর অ্যাথলেট।
ফিনিশিং লাইন পার হওয়ার সময় মনে হল মো. ইসমাইল ও রাকিবুল হাসান সমানতালেই ছিলেন। যদিও রাকিবুল ফিনিশিং লাইন টাচ করে পরে যান। কিন্তু ইসমাইল সটান বডি নিয়েই পারি দেন শেষ সীমা। ফটোফিনিশিংয়ে বুক এগিয়ে থাকায় ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণপদক জিতে নেন ইসমাইল। ২০১৮ সালে প্রথমবার ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দেশসেরা হয়েছিলেন ইসমাইল। টানা আরও তিনবার। তবে লন্ডন প্রবাসী স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ার পর আর সেই মুকুট ধরে রাখতে পারেননি নৌবাহিনীর এই স্প্রিন্টার। সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে ২০২২-২৪ টানা তিনটি দ্রুততম মানবের খেতাব জিতে নেন ইমরানুর। এবার অবশ্য চোটের কারণে জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে খেলতে আসেননি তিনি। ইসমাইলের কথা, ‘ইমরানুর না থাকায় অবশ্য কিছু সুবিধাতো পেয়েছি। তবে অন্যরাও বেশ এগিয়েছে।’ মুকুট পুনরুদ্ধারে কতটা কষ্ট করতে হয়েছে, তা নিজের মুখে জানালেন ইসমাইল, ‘গত সাত মাস আমি টানা পরিশ্রম করে গেছি এই খেতাব পুনরুদ্ধারের জন্য। খাবারে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচা গেছে। ১০০ মিটারের মধ্যে শেষ ১০ মিটারে এগিয়ে আসতে আমাকে অনেক কাজ করতে হয়েছে।’ টাইমিং নিয়ে সন্তুষ্ট ইসমাইল, ‘এটাই আমার ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং। আগের টাইমিং ছিল ১০.৬৩ সেকেন্ড। দ্রুততম মানবের খেতাব জেতার সাফল্যে নিজের স্ত্রীকেও অংশীদার করলেন ইসমাইল, ‘আড়াই মাসের সন্তানকে নিয়ে আমার স্ত্রী ও অ্যাথলেট তামান্না আক্তার সমর্থন যুগিয়ে গেছেন। এজন্য এই সাফল্যে অর্ধেক কোচ আবদুল্লাহেল কাফির (সাবেক তারকা অ্যাথলেট এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক) এবং অর্ধেক আমার স্ত্রীর।’
জাতীয় ও সামার অ্যাথলেটিক্সে ক্যারিয়ারে টানা ১৬ বারের মতো দ্রুততম মানবীর খেতাব জিতলেন শিরিন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, শিরিনের বিকল্প এখনও তৈরি হয়নি দেশে। যেখানে তার টাইমিং ১২.০১ সেকেন্ড, সেখানে তারই সতীর্থ সুমাইয়া দেওয়ানের টাইমিং ১২.১৫ সেকেন্ড। .১৪ মাইক্রো সেকেন্ড পেছনে। তিনিও কৃতিত্ব দিলেন কোচ কাফিকে, ‘আমার কোচ কাফি স্যার খুব কষ্ট করেছেন আমার জন্য। আমি কৃতজ্ঞ উনার কাছে।’ ভবিষ্যৎ লক্ষ্য শিরিনের কথা, ‘আমার একটাই আশা আমি আন্তর্জাতি আসরে একটি স্বর্ণপদক এনে দিতে চাই দেশকে। তারপর অন্যকথা ভাববো।’ দীর্ঘ ধরে সেরা শিরিনের প্রতিপক্ষ কি এখনো তৈরি হয়নি? এমন প্রশ্নের উত্তরে শিরিনের কথা, ‘আসলে প্রতিপক্ষ তৈরি হয়নি তা আমি বলবো না। কারণ ট্র্যাকে ন্যানো ও মাইক্রো সেকেন্ডে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে। তাই দৌঁড়ানোর সময়েও চোখ খোলা রেখে সজাগ থাকতে হয়।’