চোটের কারণে ২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের পর থেকে খেলতে পারছিলেন না ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সামি। এ বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলে প্রত্যাবর্তন হয় তার। তার পরেই জায়গা করে নেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে। জসপ্রীত বুমরাহহীন ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব এখন সামির কাঁধেই। তবে পাকিস্তান ম্যাচে বাড়তি কিছু করতে যাবেন না বলেই জানিয়েছেন। সামি বলেন, ‘একটা ম্যাচ জেতার পর আলাদা কিছু করার মানসিকতা থাকা উচিত নয়। যে ভাবে একটা ম্যাচ জিতেছি, সেটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করা উচিত। আইসিসি প্রতিযোগিতা বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ ভেবে বাড়তি চাপ নেয়ার প্রয়োজন নেই। নিজের ক্ষমতার ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আমি সব সময় নিজের ওপর বিশ্বাস রাখি এবং নিজেকে উদ্বুদ্ধ করি। তাই কোনও ম্যাচের জন্য আলাদা মানসিকতার প্রয়োজন হয় না।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে আকাশের দিকে চুম্বন ছুড়ে দেন সামি। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘ওই চুমু আমার বাবার জন্য। আব্বা আমার আদর্শ।’ ২০১৭ সালে হৃদ্??রোগে আক্রান্ত হয়ে সামির পিতা তৌসিফ আলির মৃত্যু হয়।
২০২৩ সালে এক দিনের বিশ্বকাপে ২৪টি উইকেট নিয়েছিলেন সামি। মাত্র সাতটি ম্যাচ খেললেও তিনিই ছিলেন প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। আরও একবার আইসিসি প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট নেন সামি। তিনি বলেন, ‘আইসিসি প্রতিযোগিতায় আমি রান দিলেও পরোয়া করি না। শুধু উইকেট নেয়াই আমার লক্ষ্য। সেই চেষ্টাই করি। জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাটাতাম। আমার মধ্যে খিদেটা রয়েছে। খিদে না থাকলেও কখনও লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়।’
চোট সারিয়ে ফিরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছিলেন সামি। সেটাই তাকে তৈরি হতে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সামির বিশ্বরেকর্ড
প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে একদিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বলে এই কীর্তি গড়েছেন পেসার মোহাম্মদ সামি।
বৃহস্পতিবারে ম্যাচে নামার আগে ১৯৭ উইকেট ছিল সামির। জাকের আলীকে আউট করে ২০০ উইকেটে পৌঁছে যান সামি। ২০০ উইকেট নিতে ৫১২৬ বল করেছেন সামি। বিশ্বে এত কম বলে কোনো বোলার ২০০ উইকেট নিতে পারেননি। এত দিন এই রেকর্ড ছিল মিচেল স্টার্কের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার পেসার ২০০ উইকেট নিতে করেছিলেন ৫২৪০ বল।
সবচেয়ে কম ম্যাচের নিরিখে অবশ্য বিশ্বরেকর্ড গড়তে পারেননি সামি। ২০০ উইকেট নিতে ১০৪ একদিনের ম্যাচ নিয়েছেন তিনি। ১০৪ ম্যাচে ২০০ উইকেট নিয়েছেন সাকলায়েন মুস্তাকও। এই তালিকায় রেকর্ড রয়েছে স্টার্কের। ১০২ ম্যাচে ২০০ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার। আইসিসির একদিনের প্রতিযোগিতায় ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটও সামির দখলে। ৬০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। জহির খান নিয়েছিলেন ৫৯ উইকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়ে জহিরকে ছাপিয়ে গেলেন সামি।
দুবাইয়ে প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারকে আউট করেন তিনি। প্রথম স্পেলে মেহেদী হাসান মিরাজেরও উইকেট নেন সামি। তৃতীয় স্পেলে ফিরে এসে জাকেরকে আউট করেন তিনি। নিজের নবম ওভারে আউট করেন তানজিম হাসান সাকিবকে। শেষ ওভারে নেন তাসকিন আহমেদের উইকেট। ম্যাচে ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন সামি।
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চোটের কারণে ২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের পর থেকে খেলতে পারছিলেন না ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সামি। এ বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলে প্রত্যাবর্তন হয় তার। তার পরেই জায়গা করে নেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে। জসপ্রীত বুমরাহহীন ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব এখন সামির কাঁধেই। তবে পাকিস্তান ম্যাচে বাড়তি কিছু করতে যাবেন না বলেই জানিয়েছেন। সামি বলেন, ‘একটা ম্যাচ জেতার পর আলাদা কিছু করার মানসিকতা থাকা উচিত নয়। যে ভাবে একটা ম্যাচ জিতেছি, সেটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করা উচিত। আইসিসি প্রতিযোগিতা বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ ভেবে বাড়তি চাপ নেয়ার প্রয়োজন নেই। নিজের ক্ষমতার ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আমি সব সময় নিজের ওপর বিশ্বাস রাখি এবং নিজেকে উদ্বুদ্ধ করি। তাই কোনও ম্যাচের জন্য আলাদা মানসিকতার প্রয়োজন হয় না।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে আকাশের দিকে চুম্বন ছুড়ে দেন সামি। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘ওই চুমু আমার বাবার জন্য। আব্বা আমার আদর্শ।’ ২০১৭ সালে হৃদ্??রোগে আক্রান্ত হয়ে সামির পিতা তৌসিফ আলির মৃত্যু হয়।
২০২৩ সালে এক দিনের বিশ্বকাপে ২৪টি উইকেট নিয়েছিলেন সামি। মাত্র সাতটি ম্যাচ খেললেও তিনিই ছিলেন প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। আরও একবার আইসিসি প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট নেন সামি। তিনি বলেন, ‘আইসিসি প্রতিযোগিতায় আমি রান দিলেও পরোয়া করি না। শুধু উইকেট নেয়াই আমার লক্ষ্য। সেই চেষ্টাই করি। জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাটাতাম। আমার মধ্যে খিদেটা রয়েছে। খিদে না থাকলেও কখনও লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়।’
চোট সারিয়ে ফিরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছিলেন সামি। সেটাই তাকে তৈরি হতে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সামির বিশ্বরেকর্ড
প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে একদিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বলে এই কীর্তি গড়েছেন পেসার মোহাম্মদ সামি।
বৃহস্পতিবারে ম্যাচে নামার আগে ১৯৭ উইকেট ছিল সামির। জাকের আলীকে আউট করে ২০০ উইকেটে পৌঁছে যান সামি। ২০০ উইকেট নিতে ৫১২৬ বল করেছেন সামি। বিশ্বে এত কম বলে কোনো বোলার ২০০ উইকেট নিতে পারেননি। এত দিন এই রেকর্ড ছিল মিচেল স্টার্কের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার পেসার ২০০ উইকেট নিতে করেছিলেন ৫২৪০ বল।
সবচেয়ে কম ম্যাচের নিরিখে অবশ্য বিশ্বরেকর্ড গড়তে পারেননি সামি। ২০০ উইকেট নিতে ১০৪ একদিনের ম্যাচ নিয়েছেন তিনি। ১০৪ ম্যাচে ২০০ উইকেট নিয়েছেন সাকলায়েন মুস্তাকও। এই তালিকায় রেকর্ড রয়েছে স্টার্কের। ১০২ ম্যাচে ২০০ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার। আইসিসির একদিনের প্রতিযোগিতায় ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটও সামির দখলে। ৬০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। জহির খান নিয়েছিলেন ৫৯ উইকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়ে জহিরকে ছাপিয়ে গেলেন সামি।
দুবাইয়ে প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারকে আউট করেন তিনি। প্রথম স্পেলে মেহেদী হাসান মিরাজেরও উইকেট নেন সামি। তৃতীয় স্পেলে ফিরে এসে জাকেরকে আউট করেন তিনি। নিজের নবম ওভারে আউট করেন তানজিম হাসান সাকিবকে। শেষ ওভারে নেন তাসকিন আহমেদের উইকেট। ম্যাচে ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন সামি।