সততার শপথ পাঠসহ বর্ণিল আয়োজনে শনিবার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে উদ্বোধন হয় তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফাইং ক্রিকেট লীগের। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, লীগ কমিটির (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন চৌধুরী, বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্টের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হাবিবুল বাশার, জাতীয় দলের অধিনায়ক শান্ত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই লীগ থেকে নতুন প্রতিভা তুলে আনার কথা বলেন বিসিবি সভাপতি।

‘এখান থেকে কিছু সহজাত প্রতিভা উঠে আসবে। সবসময় যে এখান থেকে ক্রিকেটার পাব, তা জরুরি নয়। তবে আমরা তো ট্যালেন্ট হান্টিং করতাম আগে, ওই ট্যালেন্ট হান্টিংয়ের মতো ব্যাপার হবে।’

‘তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা প্রতিভাবান থাকবে, আমাদের লোকজন খেলা দেখবে, তারা প্রতিভাবান ছেলেদের খুঁজে বের করবে। সংখ্যায় যতোই হোক, পরবর্তীতে তাদের যেন আমরা পরিচর্যা করতে পারি। সহজাত প্রতিভা বের করার জন্য এই ধরনের টুর্নামেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

আমাদের দেশের ক্লাব ক্রিকেটে নতুন প্রতিভা উঠে আসার বড় উৎস ছিল এই তৃতীয় বিভাগ বাছাই। তবে ২০১৪-১৫ মৌসুম থেকে নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছিল এটি। এই লীগে খেলার ফি ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ওই বছর থেকে ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে তৎকালীন ক্রিকেট বোর্ড। একইসঙ্গে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন থাকাও বাধ্যতামূলক করা হয়।

গত আগস্টে বিসিবির দায়িত্ব নেয়ার পর ফারুক বলেছিলেন, তৃতীয় বিভাগ বাছাই লীগ পুনরুজ্জীবিত করতে চান তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় এন্ট্রি ফি কমিয়ে করা হয় ১ লাখ টাকা। একইসঙ্গে উঠিয়ে দেয়া হয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন থাকার বাধ্যবাধকতা।

নিয়ম শিথিল হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে ৯২টি দল নাম লেখায় লীগে। শেষ পর্যন্ত এন্ট্রি ফি জমা দেয় ৬২টি দল। সেখান থেকে ৬০টি দল চূড়ান্ত করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে প্রতি গ্রুপে ৫টি করে দল নিয়ে ১২টি গ্রুপ করা হয়েছে। গ্রুপ পর্বে ৪টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে একেক দল। পরে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নরা পাবে সুপার লীগের টিকেট।

সুপার লীগের ১২ দলকে আবার ভাগ কর হবে দুই গ্রুপে। যেখানে একেকটি দল খেলবে ৫টি করে ম্যাচ। দুই গ্রুপের শীর্ষে থাকা দল পাবে তৃতীয় বিভাগে লীগে খেলার টিকেট। আগামী সোমবার থেকে মাঠে গড়াবে বাছাই লীগ। চলতি মাসে হবে প্রথম রাউন্ডের প্রথম ছয় গ্রুপের খেলা। আগামী মাসে বাকি ছয় গ্রুপের খেলা হবে। ম্যাচগুলো হবে পঞ্চাশ ওভারের।