সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল
ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে মাঝারি লক্ষ্যে শুরুতেই হোঁচট খায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এরপর আর বিপদ ঘটতে দেননি তামিম ইকবাল। মাহিদুল ইসলামের সঙ্গে ম্যারাথন জুটিতে নিজে করলেন সেঞ্চুরি, ৯ উইকেটে অনায়াসে জয় পায় মোহামেডান ।
ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে পরপর দুই ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের নায়ক তামিম। এটা তার টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে তামিমের সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে জেতে মোহামেডান। নবাগত গুলশান ক্লাবের কাছে হেরে যাত্রা শুরুর পর টানা তিন ম্যাচ জিতলো তারকাখচিত দলটি।
তাইজুল, আবু হায়দারের দারুণ বোলিংয়ে ব্রাদার্সকে ১৮৭ রানে গুটিয়ে দেয় গতবারের রানার্সআপরা। পরে ১০৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারের উইকেট হারায় ব্রাদার্স। পরে তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেননি বাকিরা। তিন নম্বরে নেমে দলের সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন অভিজ্ঞ ইমতিয়াজ । আইচ মোল্লার ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান।
১০ ওভারে মাত্র ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন তাইজুল। ৪ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে বোলারদের তালিকায় শীর্ষে বাঁহাতি স্পিনার। এছাড়া ২৪ রান খরচায় আবু হায়দারের শিকার ৩টি।
রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই ড্রেসিং রুমে ফিরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর আর আনন্দের উপলক্ষ্য পায়নি ব্রাদার্স। ধীরেসুস্থে শুরুর ধাক্কা সামলে ক্রমেই রানের গতি বাড়ান তামিম ও মাহিদুল। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ১৯২ বলে ১৮৭ রানের ম্যাচ জেতানো জুটি।
লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ২৪তম সেঞ্চুরিতে ১০৫ রান করেন তামিম। ৯৬ বলের ইনিংসে ৯ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মারেন ৩৬ ছুঁইছুঁই ওপেনার।
চার ম্যাচে দ্বিতীয় ফিফটি করে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন মাহিদুল। ৬ চারের সঙ্গে তার ব্যাট থেকে আসে ৩টি ছক্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৪৮.৪ ওভারে ১৮৭ (ইমতিয়াজ ৪৩, মাইশুকুর ১৯; আবু হায়দার ৩/২৪, তাইজুল ৪/৩১, মিরাজ ২/৩০)।
মোহামেডান স্পোর্টিং ৩২.৫ ওভারে ১৯১/১ (তামিম ১০৫*, মাহিদুল ৭৫*; আল আমিন ১/২৩)।
ম্যাচসেরা: তামিম ইকবাল।
রূপগঞ্জ ৮ উইকেটে জয়ী
দিনের আরেক ম্যাচে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান নাঈম শেখ। তবে ৮০ ছুঁয়ে আউট হয়ে যান আগের রাউন্ডে ১৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা বাঁহাতি ওপেনার। বাকিরাও হতাশ করলে ম্যাচ হেরে যায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
দারুণ বোলিংয়ে আরেকবার প্রতিপক্ষকে অল্পেই আটকে রাখলেন রূপগঞ্জের বোলাররা। ছোট লক্ষ্যে আবারও দাপুটে ব্যাটিং করলেন টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষে উঠে গেল রূপগঞ্জ।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ১৫৩ রানের লক্ষ্য ১৬০ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে একঝাঁক তারকায় ঠাসা দল।
চার ম্যাচে রূপগঞ্জের এটি তৃতীয় জয়। সমান ম্যাচে আবাহনী এবং মোহামেডানও জিতেছে তিনটি। শ্রেয়তর রান রেটে এক নম্বরে রূপগঞ্জ।
আগের ম্যাচে নাঈম শেখের ১৭৬ ইনিংসে ৪২২ রানের ইতিহাস গড়া প্রাইম ব্যাংক এদিন কোনোমতে দেড়শ পেরোয়। এতেও বড় অবদান নাঈমের। অর্ধেকের বেশি রান একাই করেন তিনি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। একের পর এক ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন সাব্বির, জাকির, শাহাদাত, শামীমরা। একপ্রান্তে অবিচল থেকে ২ চার, ৩ ছক্কায় ৫৭ বলে ফিফটি করেন নাঈম। রিশাদের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের জুটি গড়েন তিনি।
নয় নম্বর ব্যাটার হিসেবে ফেরার আগে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৩ বলে ৮১ রান করেন নাঈম।
রূপগঞ্জের পক্ষে অফ স্পিনে ৪ উইকেট নেন সাইফ হাসান। এছাড়া তানজিম হাসানের শিকার ৩টি।
বল হাতে আলো ছড়ালেও রান তাড়ায় কিছু করতে পারেননি সাইফ। ৩৫ বলে ১৬ রান করে ফেরেন তিনি।
চলতি লীগে নিজের দ্বিতীয় ফিফটিতে ৬৮ রান করেন তানজিদ হাসান। ৪৯ বলের ইনিংসে ৭ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা মারেন বাঁহাতি ওপেনার। তানজিদের বিদায়ের পর জয়কে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন সৌম্য। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ বলে ৫০ রান করেন অভিজ্ঞ ওপেনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: প্রাইম ব্যাংক ক্লাব ২৯.৫ ওভারে ১৫২ (নাঈম ৮১, শাহাদাত ২০; তানজিম ৩/৩০, সাইফ ৪/৩৭)। লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ২৩.২ ওভারে ১৫৪/২ (তানজিদ ৬৮, সৌম্য ৫০*; নাহিদুল ১/৩৭, রিশাদ ১/৪০)।
সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে মাঝারি লক্ষ্যে শুরুতেই হোঁচট খায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এরপর আর বিপদ ঘটতে দেননি তামিম ইকবাল। মাহিদুল ইসলামের সঙ্গে ম্যারাথন জুটিতে নিজে করলেন সেঞ্চুরি, ৯ উইকেটে অনায়াসে জয় পায় মোহামেডান ।
ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে পরপর দুই ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের নায়ক তামিম। এটা তার টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে তামিমের সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে জেতে মোহামেডান। নবাগত গুলশান ক্লাবের কাছে হেরে যাত্রা শুরুর পর টানা তিন ম্যাচ জিতলো তারকাখচিত দলটি।
তাইজুল, আবু হায়দারের দারুণ বোলিংয়ে ব্রাদার্সকে ১৮৭ রানে গুটিয়ে দেয় গতবারের রানার্সআপরা। পরে ১০৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারের উইকেট হারায় ব্রাদার্স। পরে তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেননি বাকিরা। তিন নম্বরে নেমে দলের সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন অভিজ্ঞ ইমতিয়াজ । আইচ মোল্লার ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান।
১০ ওভারে মাত্র ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন তাইজুল। ৪ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে বোলারদের তালিকায় শীর্ষে বাঁহাতি স্পিনার। এছাড়া ২৪ রান খরচায় আবু হায়দারের শিকার ৩টি।
রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই ড্রেসিং রুমে ফিরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর আর আনন্দের উপলক্ষ্য পায়নি ব্রাদার্স। ধীরেসুস্থে শুরুর ধাক্কা সামলে ক্রমেই রানের গতি বাড়ান তামিম ও মাহিদুল। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ১৯২ বলে ১৮৭ রানের ম্যাচ জেতানো জুটি।
লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ২৪তম সেঞ্চুরিতে ১০৫ রান করেন তামিম। ৯৬ বলের ইনিংসে ৯ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মারেন ৩৬ ছুঁইছুঁই ওপেনার।
চার ম্যাচে দ্বিতীয় ফিফটি করে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন মাহিদুল। ৬ চারের সঙ্গে তার ব্যাট থেকে আসে ৩টি ছক্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৪৮.৪ ওভারে ১৮৭ (ইমতিয়াজ ৪৩, মাইশুকুর ১৯; আবু হায়দার ৩/২৪, তাইজুল ৪/৩১, মিরাজ ২/৩০)।
মোহামেডান স্পোর্টিং ৩২.৫ ওভারে ১৯১/১ (তামিম ১০৫*, মাহিদুল ৭৫*; আল আমিন ১/২৩)।
ম্যাচসেরা: তামিম ইকবাল।
রূপগঞ্জ ৮ উইকেটে জয়ী
দিনের আরেক ম্যাচে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান নাঈম শেখ। তবে ৮০ ছুঁয়ে আউট হয়ে যান আগের রাউন্ডে ১৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা বাঁহাতি ওপেনার। বাকিরাও হতাশ করলে ম্যাচ হেরে যায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
দারুণ বোলিংয়ে আরেকবার প্রতিপক্ষকে অল্পেই আটকে রাখলেন রূপগঞ্জের বোলাররা। ছোট লক্ষ্যে আবারও দাপুটে ব্যাটিং করলেন টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষে উঠে গেল রূপগঞ্জ।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ১৫৩ রানের লক্ষ্য ১৬০ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে একঝাঁক তারকায় ঠাসা দল।
চার ম্যাচে রূপগঞ্জের এটি তৃতীয় জয়। সমান ম্যাচে আবাহনী এবং মোহামেডানও জিতেছে তিনটি। শ্রেয়তর রান রেটে এক নম্বরে রূপগঞ্জ।
আগের ম্যাচে নাঈম শেখের ১৭৬ ইনিংসে ৪২২ রানের ইতিহাস গড়া প্রাইম ব্যাংক এদিন কোনোমতে দেড়শ পেরোয়। এতেও বড় অবদান নাঈমের। অর্ধেকের বেশি রান একাই করেন তিনি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। একের পর এক ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন সাব্বির, জাকির, শাহাদাত, শামীমরা। একপ্রান্তে অবিচল থেকে ২ চার, ৩ ছক্কায় ৫৭ বলে ফিফটি করেন নাঈম। রিশাদের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের জুটি গড়েন তিনি।
নয় নম্বর ব্যাটার হিসেবে ফেরার আগে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৩ বলে ৮১ রান করেন নাঈম।
রূপগঞ্জের পক্ষে অফ স্পিনে ৪ উইকেট নেন সাইফ হাসান। এছাড়া তানজিম হাসানের শিকার ৩টি।
বল হাতে আলো ছড়ালেও রান তাড়ায় কিছু করতে পারেননি সাইফ। ৩৫ বলে ১৬ রান করে ফেরেন তিনি।
চলতি লীগে নিজের দ্বিতীয় ফিফটিতে ৬৮ রান করেন তানজিদ হাসান। ৪৯ বলের ইনিংসে ৭ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা মারেন বাঁহাতি ওপেনার। তানজিদের বিদায়ের পর জয়কে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন সৌম্য। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ বলে ৫০ রান করেন অভিজ্ঞ ওপেনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: প্রাইম ব্যাংক ক্লাব ২৯.৫ ওভারে ১৫২ (নাঈম ৮১, শাহাদাত ২০; তানজিম ৩/৩০, সাইফ ৪/৩৭)। লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ২৩.২ ওভারে ১৫৪/২ (তানজিদ ৬৮, সৌম্য ৫০*; নাহিদুল ১/৩৭, রিশাদ ১/৪০)।