নারী ক্রিকেট লীগ
ফাইল ছবি: নারী লীগে চ্যাম্পিয়ন শেলটেক ও রানার্সআপ মোহামেডান
নারী ক্রিকেট লীগে শেলটেক ক্রিকেট একাডেমি শিরোপা নিষ্পত্তি হয়েছিল আগেই। শেষ রাউন্ডে বাকি ছিল রানার্সআপ দলের ফয়সালা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাত্তাই পেলো না আবাহনী লিমিটেড। বড় জয়ে দ্বিতীয় হয়ে আসর শেষ করলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন উইমেন’স ক্রিকেট লীগে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিশ্চিত করেছিল নবাগত শেলটেক ক্রিকেট একাডেমি। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে (বিকেএসপি) হারিয়ে অপরাজিত থেকে লীগ শেষ করল তারা।
বসুন্ধরা স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বিকেএসপিকে ৮ উইকেটে হারায় শেলটেক। ১৭৮ রানের লক্ষ্য ১০৬ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে নিগার সুলতানার দল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি বিকেএসপি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে দুইশর আগেই গুটিয়ে যায় তারা।
ছয় নম্বরে নেমে দলের সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন সাদিয়া আক্তার। ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন ফাহমিদা ছোঁয়া।
শেলটেকের পক্ষে ২ উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন। শেষ ম্যাচে জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার শিকার ১ উইকেট। সব মিলিয়ে ৮ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে তিনিই এবারের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
রান তাড়ায় পাওয়ার প্লেতে ড্রেসিং রুমে ফেরেন ২৭ রান করা ইশমা তানজিম। শারমিন সুলতানা ও সুমাইয়া আক্তার মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৫৮ রান। তিন নম্বরে নামা সুমাইয়া আউট হন ৩৩ রানে। পরে ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করেন শারমিন ও নিগার। ৮ চারে ৮৫ বলে ৭১ রান করেন শারমিন। নিগারের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৪৩ রান।
ইউল্যাব ক্রিকেট মাঠে রানার্সআপ হওয়ার লড়াইয়ে পাত্তা পায়নি আবাহনী। ১১৮ রানে জিতে এবার রানার্সআপ হয় গত আসরের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। ২৪৪ রানের লক্ষ্যে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় আবাহনী।
৮ ম্যাচে মোহামেডানের এটি সপ্তম জয়। শুধু শেলটেকের বিপক্ষে হেরেছে তারা। ৪ জয় নিয়ে চতুর্থ হয়ে লীগ শেষ করলো গতবারের রানার্সআপ আবাহনী।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় মোহামেডান। চাপ সামাল দিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১৪৮ রানের জুটি গড়ে তোলেন শারমিন আক্তার ও সোবহানা মোস্তারি।
সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও ৮৫ রানে আউট হয়ে যান শারমিন। ১২২ বলে ১০টি চার মারেন তিনি।
কয়েক ওভার পরে সোবহানাও ফেরেন ঠিক ৮৫ রান করে। ৯২ বলের ইনিংসে ৯টি চার মারেন তরুণ ব্যাটার। আবাহনীর পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন রিয়া আক্তার, ফাতেমা জাহান ও ফাতেমা খাতুন।
আড়াইশ ছুঁইছুঁই লক্ষ্যে প্রথম ওভারেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন ফারজানা হক। চলতি লীগে বিরল ব্যর্থতায় রানের খাতাই খুলতে পারেননি অভিজ্ঞ ব্যাটার।
আগের সাত ম্যাচে তিনি খেলেন পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস। একটিকে টেনে নেন সেঞ্চুরিতে। সব মিলিয়ে ৮ ইনিংসে ৬ ফিফটি ও ১ সেঞ্চুরিতে আসরের সর্বোচ্চ ৫০৭ রান করেন ফারজানা। আর কোনো ব্যাটার ৪শ’ রানও করতে পারেনি। আরেক ওপেনার সুমি আক্তার একপ্রান্ত ধরে রেখে ১১১ বলে খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি।
মোহামেডানের হয়ে ২১ রানে ৫ উইকেট নেন অভিজ্ঞ অফ স্পিনার সালমা খাতুন। ৮ ম্যাচে লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট হলো তার। টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পান রিতু মনি। ৮ ম্যাচে ১৮ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১৬৩ রান করেন গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
নারী ক্রিকেট লীগ
ফাইল ছবি: নারী লীগে চ্যাম্পিয়ন শেলটেক ও রানার্সআপ মোহামেডান
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
নারী ক্রিকেট লীগে শেলটেক ক্রিকেট একাডেমি শিরোপা নিষ্পত্তি হয়েছিল আগেই। শেষ রাউন্ডে বাকি ছিল রানার্সআপ দলের ফয়সালা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাত্তাই পেলো না আবাহনী লিমিটেড। বড় জয়ে দ্বিতীয় হয়ে আসর শেষ করলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন উইমেন’স ক্রিকেট লীগে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিশ্চিত করেছিল নবাগত শেলটেক ক্রিকেট একাডেমি। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে (বিকেএসপি) হারিয়ে অপরাজিত থেকে লীগ শেষ করল তারা।
বসুন্ধরা স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বিকেএসপিকে ৮ উইকেটে হারায় শেলটেক। ১৭৮ রানের লক্ষ্য ১০৬ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে নিগার সুলতানার দল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি বিকেএসপি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে দুইশর আগেই গুটিয়ে যায় তারা।
ছয় নম্বরে নেমে দলের সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন সাদিয়া আক্তার। ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন ফাহমিদা ছোঁয়া।
শেলটেকের পক্ষে ২ উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন। শেষ ম্যাচে জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার শিকার ১ উইকেট। সব মিলিয়ে ৮ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে তিনিই এবারের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
রান তাড়ায় পাওয়ার প্লেতে ড্রেসিং রুমে ফেরেন ২৭ রান করা ইশমা তানজিম। শারমিন সুলতানা ও সুমাইয়া আক্তার মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৫৮ রান। তিন নম্বরে নামা সুমাইয়া আউট হন ৩৩ রানে। পরে ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করেন শারমিন ও নিগার। ৮ চারে ৮৫ বলে ৭১ রান করেন শারমিন। নিগারের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৪৩ রান।
ইউল্যাব ক্রিকেট মাঠে রানার্সআপ হওয়ার লড়াইয়ে পাত্তা পায়নি আবাহনী। ১১৮ রানে জিতে এবার রানার্সআপ হয় গত আসরের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। ২৪৪ রানের লক্ষ্যে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় আবাহনী।
৮ ম্যাচে মোহামেডানের এটি সপ্তম জয়। শুধু শেলটেকের বিপক্ষে হেরেছে তারা। ৪ জয় নিয়ে চতুর্থ হয়ে লীগ শেষ করলো গতবারের রানার্সআপ আবাহনী।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় মোহামেডান। চাপ সামাল দিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১৪৮ রানের জুটি গড়ে তোলেন শারমিন আক্তার ও সোবহানা মোস্তারি।
সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও ৮৫ রানে আউট হয়ে যান শারমিন। ১২২ বলে ১০টি চার মারেন তিনি।
কয়েক ওভার পরে সোবহানাও ফেরেন ঠিক ৮৫ রান করে। ৯২ বলের ইনিংসে ৯টি চার মারেন তরুণ ব্যাটার। আবাহনীর পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন রিয়া আক্তার, ফাতেমা জাহান ও ফাতেমা খাতুন।
আড়াইশ ছুঁইছুঁই লক্ষ্যে প্রথম ওভারেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন ফারজানা হক। চলতি লীগে বিরল ব্যর্থতায় রানের খাতাই খুলতে পারেননি অভিজ্ঞ ব্যাটার।
আগের সাত ম্যাচে তিনি খেলেন পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস। একটিকে টেনে নেন সেঞ্চুরিতে। সব মিলিয়ে ৮ ইনিংসে ৬ ফিফটি ও ১ সেঞ্চুরিতে আসরের সর্বোচ্চ ৫০৭ রান করেন ফারজানা। আর কোনো ব্যাটার ৪শ’ রানও করতে পারেনি। আরেক ওপেনার সুমি আক্তার একপ্রান্ত ধরে রেখে ১১১ বলে খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি।
মোহামেডানের হয়ে ২১ রানে ৫ উইকেট নেন অভিজ্ঞ অফ স্পিনার সালমা খাতুন। ৮ ম্যাচে লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট হলো তার। টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পান রিতু মনি। ৮ ম্যাচে ১৮ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১৬৩ রান করেন গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।