ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে (ডিপিএলে) বুধবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৭৪ রানের জয় পেয়েছে মোহামেডান ক্লাব স্পোর্টিং।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংক ক্লাবকে ১৩৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫ রানে নাটকীয় জয় তুলে নিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নেতৃত্বে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী শিরোপার দৌঁড়ে সবার উপরে। টানা দুই ম্যাচ দলকে জিতিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। আগের ম্যাচে শাইনপুকুরকে ৮৮ রানে অলআউট করায় সবচেয়ে বড় অবদান মোসাদ্দেকের।
বুধবার শক্তিশালী প্রাইম ব্যাংককে ১৩৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। সেখানে বড় অবদান মোসাদ্দেকের, ব্যাট হাতে ৩৭ রানের পর বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে প্রাইম ব্যাংককে হারানোর মূল নায়ক তিনিই। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে হাফ সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত ও পারভেজ হোসেন ইমন পার্শ্বনায়ক হয়ে উঠেছেন।
টস জিতে শান্ত ও পারভেজের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান সংগ্রহ করে আবাহনী। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে মোসাদ্দেক ও রাকিবুল হাসানের ঘূর্ণিজাদুতে ৩২ ওভারে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। দলটির ওপেনার নাঈম শেখ ও মিডল অর্ডার ব্যাটার শামীম হোসেন ছাড়া আর কেউই বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি। নাঈম ৭৪ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। অন্যদিকে শামীম খেলেন ২৬ বলে ৪০ রানের ক্যামিও ইনিংস। এর বাইরে দুজন কেবল দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পেরেছেন। তারা হচ্ছেন ইরফান শুক্কুর (১৫) ও হাসান মাহমুদ (১৩)।
মোসাদ্দেক ৩টি উইকেট নিয়েছেন। ২টি উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ ও শান্ত মিলে ১৩৭ রানের জুটি গড়েন। ১৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে আগের ম্যাচে রেকর্ড গড়া পারভেজ আউট হলে জুটি ভাঙে। ৭১ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় তিনি ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্তও বিদায় নেন ৭০ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলে । এরপর মোসাদ্দেকের ৪২ বলে ৩৭, রিপন মন্ডলের ৯ বলে ১৭ রানের ওপর দাঁড়িয়ে আবাহনী ২৯০ রানের ইনিংস দাঁড় করায়।
ব্যাংকের পেসার হাসান মাহমুদ নেন সর্বোচ্চ চারটি উইকেট। এর বাইরে নাঈম হাসান ৩ উইকেট।
মোহামেডানের জয়
অনেকদিন পর মুশফিকের ব্যাট হেসেছে। তার ৭৫ রান এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৬৪ রানে চড়ে মোহামেডান ২৮৭ রান করে। জবাবে অগ্রণী ব্যাংক মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইবাদত হোসেনের বোলিং তোপে পড়ে ২১৩ রানে অলআউট হয়। ৭৪ রানে ম্যাচ জেতে মোহামেডান।
বিকেএসপির মাঠে মোহামেডানের দেয়া ২৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অমিত হাসান ছাড়া দলের কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে অমিত দারুণ ইনিংস খেলে পান সেঞ্চুরিও। নবম ব্যাটার হিসেবে তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন। ১২৩ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় অমিত নিজের ইনিংসটি সাজান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে মার্শাল আইয়ুবের ব্যাট থেকে। মিরাজ ৩টি এবং ৩৪ রানে ইবাদত আরও ৩টি উইকেট শিকার করেন। দুই বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৮৭ রানের বড় স্কোর গড়ে মোহামেডান। মুশফিক ৫৭ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৭৫ রানের অপরাজিত থাকেন। তিনে নেমে মহিদুল ইসলাম অঙ্কান ৮৩ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৬৪ রান করেন। ওপেনার রনি তালুকদার ৪৬, অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় ৪২ রান করেছেন।
ব্যাংকের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন আরিফ আহমেদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : আবাহনী লিমিটেড ২৯০/৯ (পারভেজ ৭৯, শান্ত ৫৮, মোসাদ্দেক ৩৭, রিপন ১৭*; হাসান ৪/৩৮, নাঈম আহমেদ ৩/৪৯)।
প্রাইম ব্যাংক ক্লাব ৩২ ওভারে ১৫৭ (নাঈম শেখ ৭৩, শামীম ৪০; মোসাদ্দেক ৩/২৯, রকিবুল ২/১৬)।
ম্যাচসেরা : মোসাদ্দেক হোসেন।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ২৮৭/৭ (রনি ৪৬, মাহিদুল ৬৪, হৃদয় ৪২, মুশফিক ৭৫*; আরিফ ৩/৪৭)।
অগ্রণী ব্যাংক ক্লাব ৪৭.২ ওভারে ২১৩ (অমিত ১০৫, মার্শাল ৩৭; ইবাদত ৩/৩৪, নাসুম ২/৪০, তাইজুল ২/৪৫, মিরাজ ৩/৩৬)।
ম্যাচসেরা : মুশফিকুর রহিম।
গুলশান-শাইনপুকুর
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বুধবার গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মুখোমুখি হয় অবনমন অঞ্চলে ঘুরপাক খেতে থাকা শাইনপুকুর। ১৭৮ রানের পুঁজি নিয়েও ৫ রানে জিতে যায় গুলশান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ক্রিকেট ক্লাব ৪১ ওভারে ১৭৮ (জাওয়াদ ৩৭, সাকিব ৩৮, ফরহাদ ২২ ; রহিম ২/৩৭, নিওন ৩/৩৭)। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ৪৩ ওভারে ১৭৩ (রানা ৮, মইনুল ২১, সাকিব ৪০, শরিফুল ২২*; নিহাদ ৩/৩৯, আজিজুল ৩/২০)। ম্যাচসেরা : আজিজুল হাকিম।
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে (ডিপিএলে) বুধবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৭৪ রানের জয় পেয়েছে মোহামেডান ক্লাব স্পোর্টিং।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংক ক্লাবকে ১৩৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫ রানে নাটকীয় জয় তুলে নিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নেতৃত্বে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী শিরোপার দৌঁড়ে সবার উপরে। টানা দুই ম্যাচ দলকে জিতিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। আগের ম্যাচে শাইনপুকুরকে ৮৮ রানে অলআউট করায় সবচেয়ে বড় অবদান মোসাদ্দেকের।
বুধবার শক্তিশালী প্রাইম ব্যাংককে ১৩৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। সেখানে বড় অবদান মোসাদ্দেকের, ব্যাট হাতে ৩৭ রানের পর বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে প্রাইম ব্যাংককে হারানোর মূল নায়ক তিনিই। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে হাফ সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত ও পারভেজ হোসেন ইমন পার্শ্বনায়ক হয়ে উঠেছেন।
টস জিতে শান্ত ও পারভেজের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান সংগ্রহ করে আবাহনী। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে মোসাদ্দেক ও রাকিবুল হাসানের ঘূর্ণিজাদুতে ৩২ ওভারে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। দলটির ওপেনার নাঈম শেখ ও মিডল অর্ডার ব্যাটার শামীম হোসেন ছাড়া আর কেউই বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি। নাঈম ৭৪ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। অন্যদিকে শামীম খেলেন ২৬ বলে ৪০ রানের ক্যামিও ইনিংস। এর বাইরে দুজন কেবল দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পেরেছেন। তারা হচ্ছেন ইরফান শুক্কুর (১৫) ও হাসান মাহমুদ (১৩)।
মোসাদ্দেক ৩টি উইকেট নিয়েছেন। ২টি উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ ও শান্ত মিলে ১৩৭ রানের জুটি গড়েন। ১৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে আগের ম্যাচে রেকর্ড গড়া পারভেজ আউট হলে জুটি ভাঙে। ৭১ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় তিনি ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্তও বিদায় নেন ৭০ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলে । এরপর মোসাদ্দেকের ৪২ বলে ৩৭, রিপন মন্ডলের ৯ বলে ১৭ রানের ওপর দাঁড়িয়ে আবাহনী ২৯০ রানের ইনিংস দাঁড় করায়।
ব্যাংকের পেসার হাসান মাহমুদ নেন সর্বোচ্চ চারটি উইকেট। এর বাইরে নাঈম হাসান ৩ উইকেট।
মোহামেডানের জয়
অনেকদিন পর মুশফিকের ব্যাট হেসেছে। তার ৭৫ রান এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৬৪ রানে চড়ে মোহামেডান ২৮৭ রান করে। জবাবে অগ্রণী ব্যাংক মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইবাদত হোসেনের বোলিং তোপে পড়ে ২১৩ রানে অলআউট হয়। ৭৪ রানে ম্যাচ জেতে মোহামেডান।
বিকেএসপির মাঠে মোহামেডানের দেয়া ২৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অমিত হাসান ছাড়া দলের কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে অমিত দারুণ ইনিংস খেলে পান সেঞ্চুরিও। নবম ব্যাটার হিসেবে তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন। ১২৩ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় অমিত নিজের ইনিংসটি সাজান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে মার্শাল আইয়ুবের ব্যাট থেকে। মিরাজ ৩টি এবং ৩৪ রানে ইবাদত আরও ৩টি উইকেট শিকার করেন। দুই বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৮৭ রানের বড় স্কোর গড়ে মোহামেডান। মুশফিক ৫৭ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৭৫ রানের অপরাজিত থাকেন। তিনে নেমে মহিদুল ইসলাম অঙ্কান ৮৩ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৬৪ রান করেন। ওপেনার রনি তালুকদার ৪৬, অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় ৪২ রান করেছেন।
ব্যাংকের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন আরিফ আহমেদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : আবাহনী লিমিটেড ২৯০/৯ (পারভেজ ৭৯, শান্ত ৫৮, মোসাদ্দেক ৩৭, রিপন ১৭*; হাসান ৪/৩৮, নাঈম আহমেদ ৩/৪৯)।
প্রাইম ব্যাংক ক্লাব ৩২ ওভারে ১৫৭ (নাঈম শেখ ৭৩, শামীম ৪০; মোসাদ্দেক ৩/২৯, রকিবুল ২/১৬)।
ম্যাচসেরা : মোসাদ্দেক হোসেন।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ২৮৭/৭ (রনি ৪৬, মাহিদুল ৬৪, হৃদয় ৪২, মুশফিক ৭৫*; আরিফ ৩/৪৭)।
অগ্রণী ব্যাংক ক্লাব ৪৭.২ ওভারে ২১৩ (অমিত ১০৫, মার্শাল ৩৭; ইবাদত ৩/৩৪, নাসুম ২/৪০, তাইজুল ২/৪৫, মিরাজ ৩/৩৬)।
ম্যাচসেরা : মুশফিকুর রহিম।
গুলশান-শাইনপুকুর
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বুধবার গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মুখোমুখি হয় অবনমন অঞ্চলে ঘুরপাক খেতে থাকা শাইনপুকুর। ১৭৮ রানের পুঁজি নিয়েও ৫ রানে জিতে যায় গুলশান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ক্রিকেট ক্লাব ৪১ ওভারে ১৭৮ (জাওয়াদ ৩৭, সাকিব ৩৮, ফরহাদ ২২ ; রহিম ২/৩৭, নিওন ৩/৩৭)। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ৪৩ ওভারে ১৭৩ (রানা ৮, মইনুল ২১, সাকিব ৪০, শরিফুল ২২*; নিহাদ ৩/৩৯, আজিজুল ৩/২০)। ম্যাচসেরা : আজিজুল হাকিম।