কানাডা প্রবাসী ফুটবলার সামিত সোম
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর আলোড়ন তোলা অভিষেকের পর এবার অপেক্ষায় আরেক প্রবাসী ফুটবলার বাংলাদেশের লাল সবুজ জার্সিতে খেলার দ্বারপ্রান্তে। কানাডা জাতীয় দলের হয়ে খেলা মিডফিল্ডার সামিত সোম তার পূর্বপুরুষের দেশ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, আগামী জুনেই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হতে পারে ২৭ বছর বয়সী সামিতের। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডাতেই। তবে তার বাবা-মা দুজনেই বাংলাদেশি। সিলেট অঞ্চলের মানস সোম ও নন্দিতা সোম কানাডায় প্রবাসী হওয়ার পর সেখানেই সামিতের জন্ম। বর্তমানে তিনি কানাডা প্রিমিয়ার লীগের দল ক্যাভালরি এফসির হয়ে খেলছেন। ফুটবলে সামিতের অভিজ্ঞতা বেশ সমৃদ্ধ। তিনি কানাডার জাতীয় দলের হয়ে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন এবং দেশটির বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, যেহেতু তিনি কানাডার হয়ে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি, তাই তার পক্ষে জাতীয় দল পরিবর্তন করে বাংলাদেশের হয়ে খেলা সম্ভব। সামিতকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলানোর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
নিজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন সামিত সোম। শুক্রবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) জানান তিনি লাল-সবুজের জার্সিতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চান। জানা গেছে, সামিত রাজি থাকায় আগামঅ রোববার থেকে তার পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করবে বাফুফে। এ বিষয়ে বাজংফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম বলেন, ‘সামিত আমাদের জানিয়েছে সে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়। এখন তার পাসপোর্টের জন্য কাজ শুরু করতে হবে।’ অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সামিতের জন্ম নিবন্ধন পাওয়া যাবে। তার বাবা-মায়ের বাংলাদেশি পাসপোর্ট ১৯৯৩ সালের পর আর নবায়ন করা হয়নি, তাই সবারই পাসপোর্ট নতুন করে বানাতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন পাওয়ার পর সামিতের বাবা-মা এবং তার নিজের পাসপোর্ট তৈরি করে ফিফার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হবে। আগামী ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে। যদি সব প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হয় এবং ফিফার অনুমোদন মেলে, তবে ওই ম্যাচেই হামজা চৌধুরীর পাশাপাশি সামিত সোমের মতো আরেক প্রতিভাবান মিডফিল্ডারকে বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যেতে পারে।
কানাডা প্রবাসী ফুটবলার সামিত সোম
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর আলোড়ন তোলা অভিষেকের পর এবার অপেক্ষায় আরেক প্রবাসী ফুটবলার বাংলাদেশের লাল সবুজ জার্সিতে খেলার দ্বারপ্রান্তে। কানাডা জাতীয় দলের হয়ে খেলা মিডফিল্ডার সামিত সোম তার পূর্বপুরুষের দেশ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, আগামী জুনেই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হতে পারে ২৭ বছর বয়সী সামিতের। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডাতেই। তবে তার বাবা-মা দুজনেই বাংলাদেশি। সিলেট অঞ্চলের মানস সোম ও নন্দিতা সোম কানাডায় প্রবাসী হওয়ার পর সেখানেই সামিতের জন্ম। বর্তমানে তিনি কানাডা প্রিমিয়ার লীগের দল ক্যাভালরি এফসির হয়ে খেলছেন। ফুটবলে সামিতের অভিজ্ঞতা বেশ সমৃদ্ধ। তিনি কানাডার জাতীয় দলের হয়ে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন এবং দেশটির বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, যেহেতু তিনি কানাডার হয়ে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি, তাই তার পক্ষে জাতীয় দল পরিবর্তন করে বাংলাদেশের হয়ে খেলা সম্ভব। সামিতকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলানোর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
নিজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন সামিত সোম। শুক্রবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) জানান তিনি লাল-সবুজের জার্সিতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চান। জানা গেছে, সামিত রাজি থাকায় আগামঅ রোববার থেকে তার পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করবে বাফুফে। এ বিষয়ে বাজংফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম বলেন, ‘সামিত আমাদের জানিয়েছে সে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়। এখন তার পাসপোর্টের জন্য কাজ শুরু করতে হবে।’ অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সামিতের জন্ম নিবন্ধন পাওয়া যাবে। তার বাবা-মায়ের বাংলাদেশি পাসপোর্ট ১৯৯৩ সালের পর আর নবায়ন করা হয়নি, তাই সবারই পাসপোর্ট নতুন করে বানাতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন পাওয়ার পর সামিতের বাবা-মা এবং তার নিজের পাসপোর্ট তৈরি করে ফিফার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হবে। আগামী ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে। যদি সব প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হয় এবং ফিফার অনুমোদন মেলে, তবে ওই ম্যাচেই হামজা চৌধুরীর পাশাপাশি সামিত সোমের মতো আরেক প্রতিভাবান মিডফিল্ডারকে বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যেতে পারে।