বাংলাদেশের হয়ে হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর ধীরে ধীরে আগ্রহ বাড়ছে আরও প্রবাসী ফুটবলারদের। লাল সবুজের জার্সিতে খেলতে অপেক্ষা করছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন কানাডা জাতীয় দলে খেলা সামিত সোম। এছাড়াও সম্প্রতি বাংলাদেশ দলে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইংল্যান্ডে খেলা কিউবা মিচেলও।

গত ১১ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে সামিত সোম বাফুফের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাফুফে ইতোমধ্যেই সামিতের জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করেছে। এখন পাসপোর্টের প্রক্রিয়া শুরু করবে। সামিতের সময়-সুযোগ অনুযায়ী তার পাসপোর্টের জন্য কানাডা হাই কমিশনকে অবহিত করবে বাফুফে। এসব তথ্য জানিয়েছেন সামিতের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করা ফাহাদ করিম।

কানাডায় বাংলাদেশ হাই কমিশন যে শহরে অবস্থিত সেখান থেকে দূরে থাকেন সামিত। সেখানে যেতে হলে কোচ ও ক্লাব থেকে ছুটি প্রয়োজন। সেটা তিনি ব্যবস্থা করে বাফুফেকে জানাবেন। তার জন্ম নিবন্ধনের পাশাপাশি বাবা-মায়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নিতে হবে সামিতকে বাংলাদেশ হাই কমিশনে পাসপোর্ট আবেদনের সময়। এদিকে আজ আরও একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ফুটবলারের সম্মতি পেয়েছে বাফুফে। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহ দেখিয়েছেন ইংল্যান্ডের অন্যতম ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলা কিউবা মিচেল। তার বাবা জ্যামাইকান হলেও মা বাংলাদেশি। সেই সূত্রে তার বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ রয়েছে। বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান কিউবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আলোচনার ভিত্তিতে আনুষ্ঠাকিভাবে ইমেইল বার্তা পাঠান। ফিরতি মেইলে কিউবা মিচেলের এজেন্ট বেন মারকল জানিয়েছেন, ‘জুন উইন্ডোতে বাংলাদেশের হয়ে খেলার ব্যাপারে আগ্রহী কিউবা।’ বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে হলে পরবর্তী ধাপগুলো এবং জাতীয় দলে খেললে কী ধরনের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে সেই বিষয়গুলো জানতে চেয়েছেন কিউবার এজেন্ট। ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান এসব তথ্য দিয়েছেন। কিউবা মিশেল ফরোয়ার্ড এবং বয়সও বেশ কম। বাংলাদেশের হয়ে দীর্ঘদিন খেলার সুযোগ রয়েছে তার। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সমস্যা গোলখরা। সেটা কিউবা আসলে দূর হওয়ার আশা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। বাফুফের পক্ষ থেকে কিউবা, তার পরিবার এবং এজেন্টের সঙ্গে বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা হবে শিগগিরই। সেখানে দুই পক্ষের নানা বিষয় আলোচনার পরই মূলত পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।