ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জয় যেন আবাহনীর চিরচেনা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সেই ধারার ব্যতিক্রম হলো না এবারও। শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো লিগ চ্যাম্পিয়ন হলো ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দলটি। ২৪০ রানের লক্ষ্য ৫৬ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে আবাহনী লিমিটেড।
এই নিয়ে মোট ২৪ বার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতল আকাশি-নীলরা। ২০১২-১৩ মৌসুমে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর এটি তাদের সপ্তম শিরোপা, যার মধ্যে ২০১৯-২০ আসর হয়েছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। এই সময়ে অন্য কোনো দলের নেই একাধিক শিরোপাও। ঢাকার শীর্ষ লিগে এবার পঞ্চমবার হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়ল আবাহনী।
টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে মোহামেডান। ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে তোলে ২৪০ রান। রনি তালুকদার করেন ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম করেন সমান ৫০ রান করে। ফরহাদ হোসেন করেন ৪২ রান। আবাহনীর হয়ে মোসাদ্দেক হোসেন ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নেন দুটি করে উইকেট।
রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় আবাহনী। শাহরিয়ার কমল ১ রানে আউট হলেও জিশান আলম করেন ৫৫ রান। পারভেজ হোসেন ২৮ এবং এসএম মেহরব ১০ রান করে বিদায় নেন। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর চাপের মুহূর্তে জয়ের নায়ক হয়ে দাঁড়ান অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৫ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের গন্তব্যে। তাঁর সঙ্গে মিঠুন অপরাজিত থাকেন ৬৬ রানে। ম্যাচসেরা হন মোসাদ্দেক।
শেষ দিকে নাসুম আহমেদের একটি বল লেগ সাইডে পাঠিয়ে বাউন্ডারি লাইনে পৌঁছান মোসাদ্দেক। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন আবাহনীর ক্রিকেটাররা। কেউ স্টাম্প তুলে নেন, কেউ আবার জড়ো হন পিচের পাশে। শুরু হয় উদযাপন। ১৫ ম্যাচের টানা জয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করে আবাহনী, যারা আসর শুরু করেছিল হার দিয়ে।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৪০/৭ (রনি ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ৫০, আরিফুল ৫০; মোসাদ্দেক ২/৩৯, মৃত্যুঞ্জয় ২/৪৬)
আবাহনী লিমিটেড: ৪০.৪ ওভারে ২৪৩/৪ (মোসাদ্দেক ৭৮*, মিঠুন ৬৬*, জিশান ৫৫; নাসুম ২/৫৯, ইবাদত ১/৪৭)
ফল: আবাহনী লিমিটেড ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোসাদ্দেক হোসেন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জয় যেন আবাহনীর চিরচেনা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সেই ধারার ব্যতিক্রম হলো না এবারও। শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো লিগ চ্যাম্পিয়ন হলো ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দলটি। ২৪০ রানের লক্ষ্য ৫৬ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে আবাহনী লিমিটেড।
এই নিয়ে মোট ২৪ বার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতল আকাশি-নীলরা। ২০১২-১৩ মৌসুমে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর এটি তাদের সপ্তম শিরোপা, যার মধ্যে ২০১৯-২০ আসর হয়েছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। এই সময়ে অন্য কোনো দলের নেই একাধিক শিরোপাও। ঢাকার শীর্ষ লিগে এবার পঞ্চমবার হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়ল আবাহনী।
টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে মোহামেডান। ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে তোলে ২৪০ রান। রনি তালুকদার করেন ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম করেন সমান ৫০ রান করে। ফরহাদ হোসেন করেন ৪২ রান। আবাহনীর হয়ে মোসাদ্দেক হোসেন ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নেন দুটি করে উইকেট।
রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় আবাহনী। শাহরিয়ার কমল ১ রানে আউট হলেও জিশান আলম করেন ৫৫ রান। পারভেজ হোসেন ২৮ এবং এসএম মেহরব ১০ রান করে বিদায় নেন। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর চাপের মুহূর্তে জয়ের নায়ক হয়ে দাঁড়ান অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৫ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের গন্তব্যে। তাঁর সঙ্গে মিঠুন অপরাজিত থাকেন ৬৬ রানে। ম্যাচসেরা হন মোসাদ্দেক।
শেষ দিকে নাসুম আহমেদের একটি বল লেগ সাইডে পাঠিয়ে বাউন্ডারি লাইনে পৌঁছান মোসাদ্দেক। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন আবাহনীর ক্রিকেটাররা। কেউ স্টাম্প তুলে নেন, কেউ আবার জড়ো হন পিচের পাশে। শুরু হয় উদযাপন। ১৫ ম্যাচের টানা জয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করে আবাহনী, যারা আসর শুরু করেছিল হার দিয়ে।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৪০/৭ (রনি ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ৫০, আরিফুল ৫০; মোসাদ্দেক ২/৩৯, মৃত্যুঞ্জয় ২/৪৬)
আবাহনী লিমিটেড: ৪০.৪ ওভারে ২৪৩/৪ (মোসাদ্দেক ৭৮*, মিঠুন ৬৬*, জিশান ৫৫; নাসুম ২/৫৯, ইবাদত ১/৪৭)
ফল: আবাহনী লিমিটেড ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোসাদ্দেক হোসেন