ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পাকিস্তান সুপার লীগ (পিএসএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। পিএসএলের বাকি অংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে করার সিদ্ধান্ত নেয়ার একদিন পরই টুর্নামেন্ট স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান বোর্ড (পিসিবি)। জানিয়েছে, সীমান্তের ওপার থেকে ৭৮টি ড্রোন প্রবেশ করায় ভারতের সঙ্গে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের নির্দেশনা অনুযায়ী আপাতত পিএসএল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসএল কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে পিসিবি বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহবাজ শরীফের পরামর্শ অনুসারে পিএসএল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের ৩৭ জন বিদেশি খেলোয়াড় পিএসএলে অংশ নিয়েছে।

গত ৮ মে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে কাছে ড্রোন হামলা হলে করাচি-পেশোয়ার ম্যাচ স্থগিত হয়ে যায়। এতে পাকিস্তান ছেড়ে দেশে ফেরার কথা জানায় বেশিরভাগ বিদেশি খেলোয়াড়।

শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক জেসন হোল্ডার এবং নিউজিল্যান্ড সাদা বলের বর্তমান অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল।

বাংলাদেশ থেকে পিএসএলে লাহোর দলে রিশাদ হোসেন এবং পেশোয়ার দলে ছিলেন নাহিদ রানা। রিশাদ কয়েকটি ম্যাচ খেললেও, কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি নাহিদ।

পিসিবি জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তারা বলেছে, ‘অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের মানসিক সুস্থতা এবং আমাদের বিদেশি খেলোয়াড়দের অনুভূতির প্রতি আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা রয়েছে এবং যারা নিজ দেশে ফিরতে চায় তাদের পরিবারের উদ্বেগকে আমরা সম্মান করি।’

ছয় দলের পিএসএলে এখনও ৮টি ম্যাচ বাকি আছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিবেচনায় ইতোমধ্যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) চলতি আসরও স্থগিত করেছে ভারতীয় বোর্ড (বিসিসিআই)।