ফ্লুমিনেসির জয় উদযাপন
ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের পালমেইরাসকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ চারে পা রাখে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। একই দিনে আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে সৌদি আরবের আল হিলালকে একই ব্যবধানে হারায় ব্রাজিলের আরেক ক্লাব ফ্লুমিনেসি।
গতকাল শুক্রবার আল হিলাল ও ফ্লুমিনেসির ম্যাচটিই ছিল আগে। অরল্যান্ডোর ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা ছিল কান্নাভেজা। দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া পর্তুগিজ তারকা দিয়েগো জোটা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় খেলা শুরুর আগে। সেসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন আল হিলালের দুই পর্তুগিজ তারকা জোয়াও কান্সেলো ও রুবেন নেভেস। আবেগময় আবহে শুরু হয় খেলা।
আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে জমজমাট ম্যাচে ৪০তম মিনিটে ফ্লুমিনেসিকে এগিয়ে দেন মাতেউস মার্তিনেলি। বক্সের ভেতর থেকে দুরন্ত শটে গোল করেন তরুণ ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে সমতায় ফেরে আল হিলাল। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ে দুটি গোল করা মার্কোস লেওনার্দো এবারও গোল করে জাগিয়ে তোলেন দলের সম্ভাবনা।
তবে আগের ম্যাচে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ফ্লুমিনেসির জয়ে শেষ সময়ে গোল করা এহকুলেস ব্যবধান গড়ে দেন আবারও। এই মিডফিল্ডারের আরেকটি গোলে স্বপ্নের সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় ফ্লুমিনেসি।
ফিলাডেলফিয়ার লিঙ্কন ফিল্ড স্টেডিয়ামে পালমেইরাসের বিপক্ষে ম্যাচে দাপট ছিল চেলসিরই। ৬৩ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের কাছে। গোলে ১৯টি শট নেয় তারা, লক্ষ্যে ছিল ৬টি। তবে পালমেইরাস লড়াই চালিয়ে জিইয়ে রাখে ম্যাচের উত্তেজনা।
ষোড়শ মিনিটে দর্শনীয় গোলে চেলসিকে এগিয়ে দেন কোল পালমার। বক্সের একটু বাইরে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের পাশ দিয়ে বাঁ পায়ের গড়ানো শটে বল জালে জড়ান পালমার। আসরে তার প্রথম গোল এটি।
সুযোগ হাতছাড়ার মহড়ায় প্রথমার্ধে ব্যবধান থাকে ওই এক গোলই। ৫৩তম মিনিটে এস্তেভোর সেই দুর্দান্ত গোল। বক্সের ভেতরে ডান পাশে বল পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে শট নেন ১৮ বছর বয়সী উইঙ্গার। অবিশ্বাস্যভাবে বল প্রথমে ওপরের পোস্টে এবং দ্বিতীয় সাইডপোস্টে লেগে ঢুকে যায় জালে।
৮৩তম মিনিটে পালমেইরাসের হৃদয় ভাঙার সেই মুহূর্ত। বক্সের বাঁ পাশ থেকে জটলার মধ্যে পাস দেয়ার জন্য বল বাড়িয়েছিলেন চেলসির মালো গিস্তো। সেটি ঠেকাতে পা বাড়িয়ে দেন পালমেইরাসের আগুস্তিন জিয়াই। তরুণ আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে গোলকিপারকে বিভ্রান্ত করে বল ঢুকে যায় জালে।
সেই গোলই শেষ পর্যন্ত হয়ে যায় দুই দলের ব্যবধান। ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে চেলসি কোচ এন্টসো মারেস্কার কণ্ঠে ছিল স্বস্তি। আগামী মঙ্গলবার নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে লড়বে চেলসি ও ফ্লুমিনেসি।
চেলসির পথেই
ছুটছেন এস্তেভো
শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠে বসে পড়লেন এস্তেভো উইলিয়ান। হতাশায় দু হাত দিয়ে ঢাকলেন মুখ। ছুটে এসে তাকে পিঠ চাপড়ে দিয়ে তাকে সান্ত¡না দিলেন কোল পালমার ও চেলসির বেশ কজন ফুটবলার। ক্লাব বিশ্বকাপে পালমেইরাসের স্বপ্নময় পথচলা শেষ হলো ম্যাচ হেরে। এস্তেভো হতাশা সেই কারণেই। তবে কদিন পরই তো নতুন স্বপ্নের পথে ছোটা শুরু হবে তার চেলসির জার্সিতেই!
প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে ব্রাজিলে ‘মেসিনিয়ো’ বা ছোট মেসি নামে খ্যাতি পেয়ে যাওয়ার এস্তেভোর সঙ্গে গত বছরের জুনেই চুক্তি পাকা করে রেখেছে চেলসি। অপেক্ষা ছিল তার ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার। সেটিও হয়ে গেছে গত এপ্রিলে। এই ক্লাব বিশ্বকাপ শেষেই আনুষ্ঠানিকভাবে চেলসির হয়ে যাবেন তিনি।
কাকতালীয়ভাবে সেই চেলসির সঙ্গেই তার ক্লাব পালমেইরাসের দেখা হয়ে গেল কোয়ার্টারফাইনালে। চেলসি ও ইউরোপের আরও বেশ কিছু ক্লাব কেন তাকে পেতে মরিয়া ছিল, সেটির নমুনা কিছুটা এই ম্যাচেও তিনি দেখান। উপহার দেন অবিশ্বাস্য এক গোল। কিন্তু আত্মঘাতী গোলে ম্যাচ হেরে যায় পালমেইরাস। দল হারলেও ম্যাচ-সেরা ছিলেন উইঙ্গার এস্তেভোর ।
ম্যাচ শেষে সমর্থকদের কাছ থেকে আবেগময় আবহে বিদায় নেন এস্তেভো। পরে সংবাদ সম্মেলনেও তার প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র।
‘একটি গোল করে দলকে সহায়তা করতে পারায় আমি খুশি। তবে ম্যাচটি আমরা হেরে গেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই ফল আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না। যদিও ফুটবল এমনই। আমরা নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছি, এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
পালমেইরাসের কোচ আবেল ফেহেইরাকে উদ্দেশ্য করে
এস্তেভোর বলেন, ‘কোচ, সবকিছুর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তিনিই আমাকে ট্যাকটিক্যালি খেলতে শিখিয়েছেন এবং এটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পালমেইরাস আমার জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছিল এবং সেখানে খুবই খুশি ছিলাম আমি।’
‘আমি ও আমার পরিবার এই ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞ, কোচ আবেলের প্রতি ও সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞ, আমার জন্য যা করেছেন তারা। পালমেইরাসকে আমি হৃদয়ে ধারণ করব আজীবন।’
ফ্লুমিনেসির জয় উদযাপন
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের পালমেইরাসকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ চারে পা রাখে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। একই দিনে আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে সৌদি আরবের আল হিলালকে একই ব্যবধানে হারায় ব্রাজিলের আরেক ক্লাব ফ্লুমিনেসি।
গতকাল শুক্রবার আল হিলাল ও ফ্লুমিনেসির ম্যাচটিই ছিল আগে। অরল্যান্ডোর ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা ছিল কান্নাভেজা। দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া পর্তুগিজ তারকা দিয়েগো জোটা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় খেলা শুরুর আগে। সেসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন আল হিলালের দুই পর্তুগিজ তারকা জোয়াও কান্সেলো ও রুবেন নেভেস। আবেগময় আবহে শুরু হয় খেলা।
আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে জমজমাট ম্যাচে ৪০তম মিনিটে ফ্লুমিনেসিকে এগিয়ে দেন মাতেউস মার্তিনেলি। বক্সের ভেতর থেকে দুরন্ত শটে গোল করেন তরুণ ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে সমতায় ফেরে আল হিলাল। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ে দুটি গোল করা মার্কোস লেওনার্দো এবারও গোল করে জাগিয়ে তোলেন দলের সম্ভাবনা।
তবে আগের ম্যাচে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ফ্লুমিনেসির জয়ে শেষ সময়ে গোল করা এহকুলেস ব্যবধান গড়ে দেন আবারও। এই মিডফিল্ডারের আরেকটি গোলে স্বপ্নের সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় ফ্লুমিনেসি।
ফিলাডেলফিয়ার লিঙ্কন ফিল্ড স্টেডিয়ামে পালমেইরাসের বিপক্ষে ম্যাচে দাপট ছিল চেলসিরই। ৬৩ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের কাছে। গোলে ১৯টি শট নেয় তারা, লক্ষ্যে ছিল ৬টি। তবে পালমেইরাস লড়াই চালিয়ে জিইয়ে রাখে ম্যাচের উত্তেজনা।
ষোড়শ মিনিটে দর্শনীয় গোলে চেলসিকে এগিয়ে দেন কোল পালমার। বক্সের একটু বাইরে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের পাশ দিয়ে বাঁ পায়ের গড়ানো শটে বল জালে জড়ান পালমার। আসরে তার প্রথম গোল এটি।
সুযোগ হাতছাড়ার মহড়ায় প্রথমার্ধে ব্যবধান থাকে ওই এক গোলই। ৫৩তম মিনিটে এস্তেভোর সেই দুর্দান্ত গোল। বক্সের ভেতরে ডান পাশে বল পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে শট নেন ১৮ বছর বয়সী উইঙ্গার। অবিশ্বাস্যভাবে বল প্রথমে ওপরের পোস্টে এবং দ্বিতীয় সাইডপোস্টে লেগে ঢুকে যায় জালে।
৮৩তম মিনিটে পালমেইরাসের হৃদয় ভাঙার সেই মুহূর্ত। বক্সের বাঁ পাশ থেকে জটলার মধ্যে পাস দেয়ার জন্য বল বাড়িয়েছিলেন চেলসির মালো গিস্তো। সেটি ঠেকাতে পা বাড়িয়ে দেন পালমেইরাসের আগুস্তিন জিয়াই। তরুণ আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে গোলকিপারকে বিভ্রান্ত করে বল ঢুকে যায় জালে।
সেই গোলই শেষ পর্যন্ত হয়ে যায় দুই দলের ব্যবধান। ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে চেলসি কোচ এন্টসো মারেস্কার কণ্ঠে ছিল স্বস্তি। আগামী মঙ্গলবার নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে লড়বে চেলসি ও ফ্লুমিনেসি।
চেলসির পথেই
ছুটছেন এস্তেভো
শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠে বসে পড়লেন এস্তেভো উইলিয়ান। হতাশায় দু হাত দিয়ে ঢাকলেন মুখ। ছুটে এসে তাকে পিঠ চাপড়ে দিয়ে তাকে সান্ত¡না দিলেন কোল পালমার ও চেলসির বেশ কজন ফুটবলার। ক্লাব বিশ্বকাপে পালমেইরাসের স্বপ্নময় পথচলা শেষ হলো ম্যাচ হেরে। এস্তেভো হতাশা সেই কারণেই। তবে কদিন পরই তো নতুন স্বপ্নের পথে ছোটা শুরু হবে তার চেলসির জার্সিতেই!
প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে ব্রাজিলে ‘মেসিনিয়ো’ বা ছোট মেসি নামে খ্যাতি পেয়ে যাওয়ার এস্তেভোর সঙ্গে গত বছরের জুনেই চুক্তি পাকা করে রেখেছে চেলসি। অপেক্ষা ছিল তার ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার। সেটিও হয়ে গেছে গত এপ্রিলে। এই ক্লাব বিশ্বকাপ শেষেই আনুষ্ঠানিকভাবে চেলসির হয়ে যাবেন তিনি।
কাকতালীয়ভাবে সেই চেলসির সঙ্গেই তার ক্লাব পালমেইরাসের দেখা হয়ে গেল কোয়ার্টারফাইনালে। চেলসি ও ইউরোপের আরও বেশ কিছু ক্লাব কেন তাকে পেতে মরিয়া ছিল, সেটির নমুনা কিছুটা এই ম্যাচেও তিনি দেখান। উপহার দেন অবিশ্বাস্য এক গোল। কিন্তু আত্মঘাতী গোলে ম্যাচ হেরে যায় পালমেইরাস। দল হারলেও ম্যাচ-সেরা ছিলেন উইঙ্গার এস্তেভোর ।
ম্যাচ শেষে সমর্থকদের কাছ থেকে আবেগময় আবহে বিদায় নেন এস্তেভো। পরে সংবাদ সম্মেলনেও তার প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র।
‘একটি গোল করে দলকে সহায়তা করতে পারায় আমি খুশি। তবে ম্যাচটি আমরা হেরে গেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই ফল আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না। যদিও ফুটবল এমনই। আমরা নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছি, এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
পালমেইরাসের কোচ আবেল ফেহেইরাকে উদ্দেশ্য করে
এস্তেভোর বলেন, ‘কোচ, সবকিছুর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তিনিই আমাকে ট্যাকটিক্যালি খেলতে শিখিয়েছেন এবং এটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পালমেইরাস আমার জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছিল এবং সেখানে খুবই খুশি ছিলাম আমি।’
‘আমি ও আমার পরিবার এই ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞ, কোচ আবেলের প্রতি ও সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞ, আমার জন্য যা করেছেন তারা। পালমেইরাসকে আমি হৃদয়ে ধারণ করব আজীবন।’