চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
করিম বেনজামার করা গোলের সাহায্যে চেলসির সাথে ১-১ গোলে ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার আশা বাচিয়ে রেখেছে। মঙ্গলবার রাতে নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় চেলসির বিপক্ষে প্রথমে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটি ড্র করতে সক্ষম হয় রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি ড্র করলেও অ্যাওয়ে গোলের নিয়মে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে চেলসিই। নিজেদের মাঠে ফিরতি ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করতে পারলেই ফাইনালে উঠে যাবে টমাস টুখেলের দলটি।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদ মোটেও ভাল খেলতে পারেনি। কোয়ার্টার ফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষে এবং লা লিগায় বার্সেলোনার বিপক্ষে দুরন্ত খেলার পরই যেন ছন্দ হারিয়েছে রিয়াল। লিগে তারা পর পর দুটি ম্যাচে ড্র করেছে। এ ম্যাচেও তারা সে ধারার বাইরে যেতে পারেনি। তার পরেও রিয়ালের সৌভাগ্য যে তারা ম্যাচটি ড্র করতে পেরেছে। গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া এ ম্যাচেও দারুন কয়েকটি সেভ করেছেন। তা নাহলে প্রথমার্ধেই অন্তত তিন গোলে পিছিয়ে পড়তো রিয়াল।
খেলার ১৪ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান পলিসিচের করা গোলে লিড নেয় চেলসি। ২৯ মিনিটে দুরন্ত এক ভলিতে সমতা ফেরান বেনজামা। পলিসিচ প্রথম আমেরিকান খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করলেন। জিদান এ ম্যাচে তিনজন ডিফেন্ডার নিয়ে খেলা শুরু করে। এর ফলে দানি কারভাহল এবং মার্সেলো খেলেন উইং ব্যাক হিসেবে। আক্রমণে ছিলেন বেনজামা এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। শুরুর দিকে দুরন্ত গতিতে খেলা শুরু করে চেলসি। ৫ মিনিটের মধ্যে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে সফরকারীরা। টিমো ওয়ার্নারের পাস থেকে পলিসিচ নিয়েছিলেন চমৎকার শট। সেটি পা লাগিয়ে বাচিয়ে দেন কর্তোয়া। তবে ১৪ মিনিটে আর কর্তোয়া পেরে ওঠেননি পলিসিচের সাথে। অ্যান্টনিও রুডিগারের কাছ থেকে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েন। তাকে রুখে দেয়ার জন্য সামনে এগিয়ে যান কর্তোয়া। কিন্তু তাকে কাটিয়ে নিয়ে প্লেসিং শটে গোল করেন পলিসিচ। বল জালে যাওয়ার আগে ভারানের গায়ে লাগে। গোল খাওয়ার পরে সেটি পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা শুরু করে রিয়াল। খেলার বয়স আধ ঘন্টা হওয়ার আগেই তারা সমতা ফেরাতে সমর্থ হয়। বেনজামা অসাধারণ এক গোল করে সমতা ফেরান। এডার মিলিটাও এর লব বুক দিয়ে নামিয়ে ভলির সাহায্যে গোল করেন বেনজামা। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময় থেকে ম্যাচে প্রাধ্যান্য বিস্তার করতে সমর্থ হয় রিয়াল। তারা লম্বা পাসে চেলসির রক্ষণভাগের উপর চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু তাদের রক্ষণভাগে আর ফাটল ধরানো সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ইডেন হ্যাজার্ড, মার্কো অ্যাসেনসিও এবং অ্যালভারো অড্রিয়োজোলাকে মাঠে নামালেও কোন গোল তারা করতে পারেনি। এর ফলে ফাইনালিস্ট নির্ধারনের জন্য আগামী সপ্তায় স্টামফোর্ড ব্রিজের ফলের উপরই নির্ভর করতে হবে। যেখানে নিশ্চিতভাবেই সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে মাঠে নামবে স্বাগতিক চেলসি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
করিম বেনজামার করা গোলের সাহায্যে চেলসির সাথে ১-১ গোলে ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার আশা বাচিয়ে রেখেছে। মঙ্গলবার রাতে নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় চেলসির বিপক্ষে প্রথমে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটি ড্র করতে সক্ষম হয় রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি ড্র করলেও অ্যাওয়ে গোলের নিয়মে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে চেলসিই। নিজেদের মাঠে ফিরতি ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করতে পারলেই ফাইনালে উঠে যাবে টমাস টুখেলের দলটি।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদ মোটেও ভাল খেলতে পারেনি। কোয়ার্টার ফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষে এবং লা লিগায় বার্সেলোনার বিপক্ষে দুরন্ত খেলার পরই যেন ছন্দ হারিয়েছে রিয়াল। লিগে তারা পর পর দুটি ম্যাচে ড্র করেছে। এ ম্যাচেও তারা সে ধারার বাইরে যেতে পারেনি। তার পরেও রিয়ালের সৌভাগ্য যে তারা ম্যাচটি ড্র করতে পেরেছে। গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া এ ম্যাচেও দারুন কয়েকটি সেভ করেছেন। তা নাহলে প্রথমার্ধেই অন্তত তিন গোলে পিছিয়ে পড়তো রিয়াল।
খেলার ১৪ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান পলিসিচের করা গোলে লিড নেয় চেলসি। ২৯ মিনিটে দুরন্ত এক ভলিতে সমতা ফেরান বেনজামা। পলিসিচ প্রথম আমেরিকান খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করলেন। জিদান এ ম্যাচে তিনজন ডিফেন্ডার নিয়ে খেলা শুরু করে। এর ফলে দানি কারভাহল এবং মার্সেলো খেলেন উইং ব্যাক হিসেবে। আক্রমণে ছিলেন বেনজামা এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। শুরুর দিকে দুরন্ত গতিতে খেলা শুরু করে চেলসি। ৫ মিনিটের মধ্যে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে সফরকারীরা। টিমো ওয়ার্নারের পাস থেকে পলিসিচ নিয়েছিলেন চমৎকার শট। সেটি পা লাগিয়ে বাচিয়ে দেন কর্তোয়া। তবে ১৪ মিনিটে আর কর্তোয়া পেরে ওঠেননি পলিসিচের সাথে। অ্যান্টনিও রুডিগারের কাছ থেকে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েন। তাকে রুখে দেয়ার জন্য সামনে এগিয়ে যান কর্তোয়া। কিন্তু তাকে কাটিয়ে নিয়ে প্লেসিং শটে গোল করেন পলিসিচ। বল জালে যাওয়ার আগে ভারানের গায়ে লাগে। গোল খাওয়ার পরে সেটি পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা শুরু করে রিয়াল। খেলার বয়স আধ ঘন্টা হওয়ার আগেই তারা সমতা ফেরাতে সমর্থ হয়। বেনজামা অসাধারণ এক গোল করে সমতা ফেরান। এডার মিলিটাও এর লব বুক দিয়ে নামিয়ে ভলির সাহায্যে গোল করেন বেনজামা। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময় থেকে ম্যাচে প্রাধ্যান্য বিস্তার করতে সমর্থ হয় রিয়াল। তারা লম্বা পাসে চেলসির রক্ষণভাগের উপর চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু তাদের রক্ষণভাগে আর ফাটল ধরানো সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ইডেন হ্যাজার্ড, মার্কো অ্যাসেনসিও এবং অ্যালভারো অড্রিয়োজোলাকে মাঠে নামালেও কোন গোল তারা করতে পারেনি। এর ফলে ফাইনালিস্ট নির্ধারনের জন্য আগামী সপ্তায় স্টামফোর্ড ব্রিজের ফলের উপরই নির্ভর করতে হবে। যেখানে নিশ্চিতভাবেই সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে মাঠে নামবে স্বাগতিক চেলসি।