টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২
ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আনপ্রেডিক্টেবল দল পাকিস্তান। এই তকমাটা শুধুমাত্র পাকিস্তানের সঙ্গেই মানায়। কারণ বরাবরই অবিশ্বাস্য সব ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোচনায় এসেছে পাকিস্তান দল। এবার অস্ট্রেলিয়ায় চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরেও যার ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। সুপার টুয়েলভে প্রথম দুই ম্যাচে হারের পরও নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাবর আজমের দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অন্যতম সফল দল বলা যায় পাকিস্তানকে। ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা আট আসরের মধ্যে ছয়বারই জায়গা করে নিয়েছে শেষ চারে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সেমিফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাদের। এবার সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ গত আসরের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড।
আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে প্রথম সেমিফাইনাল। এই ম্যাচে ফর্ম ও ধারাবাহিকতার বিচারে কেন উইলিয়ামসনরা বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দল হিসেবেই সেমিফাইনাল খেলছে। তবে অতীত ইতিহাস কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষেই কথা বলছে। এর আগে আইসিসির বিশ্বকাপ ইভেন্টে তিনবার সেমিতে মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান। যার সবকটিতেই জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ:
১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ফর্মের বিচারে এগিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড। আর পাকিস্তান এবারের মতোই বাদ পড়ার মুখ থেকে পৌঁছে গিয়েছিল সেমিফাইনালে। মিল আছে আরও এক জায়গায়, সেই বিশ্বকাপেও নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল কিউইরা। সে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ২৬২ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেটের জয়ে মার্টিন ক্রোদের হৃদয় ভেঙেছিলেন ইমরান খানরা। সেবারই প্রথম বিশ্বকাপ জেতে পাকিস্তান।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল:
এই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছিল স্টিভেন ফ্লেমিংয়ের দল। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট ২৪১ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। সাঈদ আনোয়ারের সেঞ্চুরিতে ২ ওভার ৩ বল হাতে রেখেই টপকে যায় পাকিস্তান। ’৯২ বিশ্বকাপের মতো ১৯৯৯ সালে আর চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়নি পাকিস্তানের। ফাইনালে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল:
প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হারে নিউজিল্যান্ড। ইমরান নাজিরের দুর্দান্ত ইনিংসে ১৪৪ রানের লক্ষ্য ৭ বল হাতে রেখেই টপকে যায় পাকিস্তান। এই বিশ্বকাপের ফাইনালেও হারে পাকিস্তান।
তবে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের অভিজ্ঞতা আছে নিউজিল্যান্ডের। সেটা অবশ্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। চারবার জিতেছে পাকিস্তান, দুবার জিতেছে নিউজিল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২
বুধবার, ০৯ নভেম্বর ২০২২
ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আনপ্রেডিক্টেবল দল পাকিস্তান। এই তকমাটা শুধুমাত্র পাকিস্তানের সঙ্গেই মানায়। কারণ বরাবরই অবিশ্বাস্য সব ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোচনায় এসেছে পাকিস্তান দল। এবার অস্ট্রেলিয়ায় চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরেও যার ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। সুপার টুয়েলভে প্রথম দুই ম্যাচে হারের পরও নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাবর আজমের দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অন্যতম সফল দল বলা যায় পাকিস্তানকে। ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা আট আসরের মধ্যে ছয়বারই জায়গা করে নিয়েছে শেষ চারে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সেমিফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাদের। এবার সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ গত আসরের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড।
আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে প্রথম সেমিফাইনাল। এই ম্যাচে ফর্ম ও ধারাবাহিকতার বিচারে কেন উইলিয়ামসনরা বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দল হিসেবেই সেমিফাইনাল খেলছে। তবে অতীত ইতিহাস কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষেই কথা বলছে। এর আগে আইসিসির বিশ্বকাপ ইভেন্টে তিনবার সেমিতে মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান। যার সবকটিতেই জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ:
১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ফর্মের বিচারে এগিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড। আর পাকিস্তান এবারের মতোই বাদ পড়ার মুখ থেকে পৌঁছে গিয়েছিল সেমিফাইনালে। মিল আছে আরও এক জায়গায়, সেই বিশ্বকাপেও নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল কিউইরা। সে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ২৬২ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেটের জয়ে মার্টিন ক্রোদের হৃদয় ভেঙেছিলেন ইমরান খানরা। সেবারই প্রথম বিশ্বকাপ জেতে পাকিস্তান।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল:
এই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছিল স্টিভেন ফ্লেমিংয়ের দল। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট ২৪১ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। সাঈদ আনোয়ারের সেঞ্চুরিতে ২ ওভার ৩ বল হাতে রেখেই টপকে যায় পাকিস্তান। ’৯২ বিশ্বকাপের মতো ১৯৯৯ সালে আর চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়নি পাকিস্তানের। ফাইনালে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল:
প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হারে নিউজিল্যান্ড। ইমরান নাজিরের দুর্দান্ত ইনিংসে ১৪৪ রানের লক্ষ্য ৭ বল হাতে রেখেই টপকে যায় পাকিস্তান। এই বিশ্বকাপের ফাইনালেও হারে পাকিস্তান।
তবে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের অভিজ্ঞতা আছে নিউজিল্যান্ডের। সেটা অবশ্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। চারবার জিতেছে পাকিস্তান, দুবার জিতেছে নিউজিল্যান্ড।