কাতার বিশ্বকাপের আরেক ব্রাজিল আজ শিরোপা অভিযানে নামবে। প্রতিপক্ষ সার্বিয়া। লুসাইল স্টেডিয়ামে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা প্রত্যাশা থেকে বেড়িয়ে ভারমুক্ত হয়ে ভালো খেলা উপহার দিতে চায়।
ব্রাজিল-সার্বিয়া ম্যাচটি শুরু হবে রাত ১টায়। একদিন আগে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ সৌদি আরবের কাছে আরেক ফেবারিট দল আর্জেন্টিনার হার দেখে আরও বেশি যেন সতর্ক হয়েছে ব্রাজিল শিবির। গত সোমবার পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের সামনেই প্র্যাকটিস চলছিল নেইমারদের। কিন্তু পরদিন তিতেও তার প্র্যাকটিস দেখার দরজা বন্ধ করেদেন। উদ্দেশ্য একটাই। সার্বিয়ার বিপক্ষে কোন এগারোজনকে শুরুতে মাঠে নামাবেন, তা প্রকাশ্যে না আনা।
গত মঙ্গলবার কোচ তিতেসহ সব ফুটবলাররাই সৌদির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখেন টিম হোটেলের টিভিতে। ম্যাচ শেষ হওয়া মাত্র নেইমারদের নিয়ে ব্রাজিল কোচ বেরিয়ে যান প্র্যাকটিসের জন্য। আর সেখানে একেবারে কড়া নিরাপত্তায় ক্লোজড ডোর প্র্যাকটিস।
প্রথম একাদশে কোন ফুটবলারদের ভাবছেন প্র্যাকটিসে বুঝতে দেননি কোচ। কখনও ফরোয়ার্ডদের খেলিয়েছেন ডিফেন্ডারদের বিরুদ্ধে। কখনও মিডফিল্ডারদের দিয়ে সিচুয়েশন প্র্যাকটিস করিয়েছেন ডিফেন্ডারদের সঙ্গে। কিন্তু সার্বিয়ার বিপক্ষে প্রথম একাদশে কাদের ভাবছেন, তা কাউকেই বুঝতে দেননি। মেসিদের হারের পর নেইমারের উপর চাপটা আরও বেড়েছে। এই সময় নেইমার যাতে মাথা ঠা-া রেখে ম্যাচের দিকে ফোকাস করতে পারেন, তাই রোমারিওর বার্তা। তিনি নেইমারকে মেসেজ পাঠিয়েছেন, তিরানব্বই পর্যন্ত তাকেও প্রচুর সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৯৪-তে সফল হন। এই সময় কোন সমালোচনায় কান না দিয়ে শুধুই খেলার ওপর ফোকাস রাখতে হবে।
ব্রাজিল দলে রয়েছে একঝাঁক তরুণ প্রতিভা, কিছুটা হলেও সমস্যা এখানে। কারণ দলের ১৬ জন খেলোয়াড়েরই আগে কোন বিশ^কাপ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। এই তরুণদের সাথে আছেন সুপারস্টার নেইমার। সবাই মিলে ২০১৮ সালের কোয়ার্টার ফাইনলে বেলজিয়ামের কাছে হারের পর থেকে এ পর্যন্ত ৫০ ম্যাচে ৩৭ টি জয় উপহার দিয়েছে ব্রাজিলকে। এই সময়ের মধ্যে ব্রাজিল কেবলমাত্র একটি আনুষ্ঠানিক ম্যাচ হেরেছে ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ।
১৯৯৮ সালে নরওয়ের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হবার পর এ পর্যন্ত বিশ^কাপে চূড়ান্ত পর্বে গ্রুপ ম্যাচে পরাজিত হয়নি ব্রাজিল। এ নিয়ে বিশ^কাপের গ্রুপ পর্বে টানা ১৫ ম্যাচে তারা অপরাজিত রয়েছে।
যদিও ২০০২ সালে বিশ^কাপ জয়ের পর ২০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো শিরোপা ঘরে নিতে পারেনি ব্রাজিল। বিশ^ র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হিসেবে কাতারে খেলতে এসে তিতের উপর প্রত্যাশার পারদটাও তাই তুঙ্গে। টুর্নামেন্টের আগেই ব্রাজিলকে নিয়ে বরাবরের মতো যে ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তা মাঠের পারফরমেন্সের মাধ্যমে বাস্তবে রূপ দেয়াই এখন দলের মূল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে চার বছর আগে বেলজিয়ামের বিপক্ষে শেষ আটের পরাজয় থেকে এবার আরও সামনে এগুতে বদ্ধপরিকর নেইমার, রডরিগো, ভিনিসিয়াসরা।
সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ সাতটি ম্যাচে দাপুটে জয়ে ব্রাজিল এমনিতেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে।
কোচ তিতে সার্বিয়া ম্যাচের জন্য পুরোপুরি ফিট একটি স্কোয়াড হাতে পাচ্ছেন। এন্টনি, গুইমারায়েস ও এ্যালেক্স টেলাস সামান্য সমস্যায় থাকলেও তা কাটিয়ে উঠেছেন। ৪-১-৪-১ অথবা ৪-২-৩-১ ফর্মেশনের যেকোন একটিতেই সেলেসাওরা খেলবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার সঙ্গে রক্ষনভাগের তিন পজিশনে আরও থাকবেন ডানিলো, মারকুইনহোস ও এ্যালেক্স সান্দ্রো। লিভারপুলের এ্যালিসন বেকারই গোলবার সামলানোর দায়িত্ব পাচ্ছেন। কাসেমিরো ও লুকাস পাকুয়েটা সেন্টার-মিডফিল্ডে এগিয়ে রয়েছেন। রাফিনহা ও ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সাথে উভয় উইংয়ে ১০ নম্বরের জায়গা পূরণ করবেন নেইমার। কাফ পেশীর ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা টটেনহ্যামের রিচারলিসনকে অবশ্য মূল একাদশে আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল জেসুসের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হতে পারে।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে খেলার স্বপ্ন নিয়েই কাতারে এসেছে সার্বিয়ানরা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২৫তম স্থানে থাকা বাছাইপর্বে আট ম্যাচে ছয় জয় ও দুটিতে ড্র নিয়ে শীর্ষ দল হিসেবেই কাতারের টিকিট পেয়েছে। এর মধ্যে শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ ১৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে তারা মাত্র দু’টিতে পরাজিত হয়েছে।
এর আগে কখনই ব্রাজিলের মতো টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট দলের বিপক্ষে বিশ^কাপ শুরু করেনি সার্বিয়া। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে শেষ ৯টি ম্যাচের সাতটিতেই পরাজিত হয়েছে সার্বিয়া।
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
কাতার বিশ্বকাপের আরেক ব্রাজিল আজ শিরোপা অভিযানে নামবে। প্রতিপক্ষ সার্বিয়া। লুসাইল স্টেডিয়ামে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা প্রত্যাশা থেকে বেড়িয়ে ভারমুক্ত হয়ে ভালো খেলা উপহার দিতে চায়।
ব্রাজিল-সার্বিয়া ম্যাচটি শুরু হবে রাত ১টায়। একদিন আগে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ সৌদি আরবের কাছে আরেক ফেবারিট দল আর্জেন্টিনার হার দেখে আরও বেশি যেন সতর্ক হয়েছে ব্রাজিল শিবির। গত সোমবার পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের সামনেই প্র্যাকটিস চলছিল নেইমারদের। কিন্তু পরদিন তিতেও তার প্র্যাকটিস দেখার দরজা বন্ধ করেদেন। উদ্দেশ্য একটাই। সার্বিয়ার বিপক্ষে কোন এগারোজনকে শুরুতে মাঠে নামাবেন, তা প্রকাশ্যে না আনা।
গত মঙ্গলবার কোচ তিতেসহ সব ফুটবলাররাই সৌদির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখেন টিম হোটেলের টিভিতে। ম্যাচ শেষ হওয়া মাত্র নেইমারদের নিয়ে ব্রাজিল কোচ বেরিয়ে যান প্র্যাকটিসের জন্য। আর সেখানে একেবারে কড়া নিরাপত্তায় ক্লোজড ডোর প্র্যাকটিস।
প্রথম একাদশে কোন ফুটবলারদের ভাবছেন প্র্যাকটিসে বুঝতে দেননি কোচ। কখনও ফরোয়ার্ডদের খেলিয়েছেন ডিফেন্ডারদের বিরুদ্ধে। কখনও মিডফিল্ডারদের দিয়ে সিচুয়েশন প্র্যাকটিস করিয়েছেন ডিফেন্ডারদের সঙ্গে। কিন্তু সার্বিয়ার বিপক্ষে প্রথম একাদশে কাদের ভাবছেন, তা কাউকেই বুঝতে দেননি। মেসিদের হারের পর নেইমারের উপর চাপটা আরও বেড়েছে। এই সময় নেইমার যাতে মাথা ঠা-া রেখে ম্যাচের দিকে ফোকাস করতে পারেন, তাই রোমারিওর বার্তা। তিনি নেইমারকে মেসেজ পাঠিয়েছেন, তিরানব্বই পর্যন্ত তাকেও প্রচুর সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৯৪-তে সফল হন। এই সময় কোন সমালোচনায় কান না দিয়ে শুধুই খেলার ওপর ফোকাস রাখতে হবে।
ব্রাজিল দলে রয়েছে একঝাঁক তরুণ প্রতিভা, কিছুটা হলেও সমস্যা এখানে। কারণ দলের ১৬ জন খেলোয়াড়েরই আগে কোন বিশ^কাপ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। এই তরুণদের সাথে আছেন সুপারস্টার নেইমার। সবাই মিলে ২০১৮ সালের কোয়ার্টার ফাইনলে বেলজিয়ামের কাছে হারের পর থেকে এ পর্যন্ত ৫০ ম্যাচে ৩৭ টি জয় উপহার দিয়েছে ব্রাজিলকে। এই সময়ের মধ্যে ব্রাজিল কেবলমাত্র একটি আনুষ্ঠানিক ম্যাচ হেরেছে ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ।
১৯৯৮ সালে নরওয়ের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হবার পর এ পর্যন্ত বিশ^কাপে চূড়ান্ত পর্বে গ্রুপ ম্যাচে পরাজিত হয়নি ব্রাজিল। এ নিয়ে বিশ^কাপের গ্রুপ পর্বে টানা ১৫ ম্যাচে তারা অপরাজিত রয়েছে।
যদিও ২০০২ সালে বিশ^কাপ জয়ের পর ২০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো শিরোপা ঘরে নিতে পারেনি ব্রাজিল। বিশ^ র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হিসেবে কাতারে খেলতে এসে তিতের উপর প্রত্যাশার পারদটাও তাই তুঙ্গে। টুর্নামেন্টের আগেই ব্রাজিলকে নিয়ে বরাবরের মতো যে ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তা মাঠের পারফরমেন্সের মাধ্যমে বাস্তবে রূপ দেয়াই এখন দলের মূল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে চার বছর আগে বেলজিয়ামের বিপক্ষে শেষ আটের পরাজয় থেকে এবার আরও সামনে এগুতে বদ্ধপরিকর নেইমার, রডরিগো, ভিনিসিয়াসরা।
সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ সাতটি ম্যাচে দাপুটে জয়ে ব্রাজিল এমনিতেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে।
কোচ তিতে সার্বিয়া ম্যাচের জন্য পুরোপুরি ফিট একটি স্কোয়াড হাতে পাচ্ছেন। এন্টনি, গুইমারায়েস ও এ্যালেক্স টেলাস সামান্য সমস্যায় থাকলেও তা কাটিয়ে উঠেছেন। ৪-১-৪-১ অথবা ৪-২-৩-১ ফর্মেশনের যেকোন একটিতেই সেলেসাওরা খেলবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার সঙ্গে রক্ষনভাগের তিন পজিশনে আরও থাকবেন ডানিলো, মারকুইনহোস ও এ্যালেক্স সান্দ্রো। লিভারপুলের এ্যালিসন বেকারই গোলবার সামলানোর দায়িত্ব পাচ্ছেন। কাসেমিরো ও লুকাস পাকুয়েটা সেন্টার-মিডফিল্ডে এগিয়ে রয়েছেন। রাফিনহা ও ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সাথে উভয় উইংয়ে ১০ নম্বরের জায়গা পূরণ করবেন নেইমার। কাফ পেশীর ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা টটেনহ্যামের রিচারলিসনকে অবশ্য মূল একাদশে আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল জেসুসের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হতে পারে।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে খেলার স্বপ্ন নিয়েই কাতারে এসেছে সার্বিয়ানরা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২৫তম স্থানে থাকা বাছাইপর্বে আট ম্যাচে ছয় জয় ও দুটিতে ড্র নিয়ে শীর্ষ দল হিসেবেই কাতারের টিকিট পেয়েছে। এর মধ্যে শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ ১৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে তারা মাত্র দু’টিতে পরাজিত হয়েছে।
এর আগে কখনই ব্রাজিলের মতো টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট দলের বিপক্ষে বিশ^কাপ শুরু করেনি সার্বিয়া। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে শেষ ৯টি ম্যাচের সাতটিতেই পরাজিত হয়েছে সার্বিয়া।