চোট কাটিয়ে ৬৫৮ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন জফরা আর্চার। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজে বোলিংয়ের পর ছিলেন না দ্বিতীয় ম্যাচে। যেন তৃতীয় ম্যাচের জন্য সব তাণ্ডব জমিয়ে রেখেছিলেন! তার ক্যারিয়ার সেরা ৪০ রানে ৬ উইকেট শিকারের ম্যাচে ইংলিশরা জিতেছে ৫৯ রানে।
এর আগে প্রথম ইনিংসের দখল ছিল জস বাটলার ও ডেভিড ম্যালানের হাতে। ১৪ রানেই ৩ উইকেট হারানোর পর দুজন মিলে গড়েছেন ২৩২ রানের মহাকাব্যিক জুটি, যা নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও এটা কোন দলের চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
৭টি চার ও ৬টি ছয়ের মারে ১১৪ বলে ১১৮ রানের ইনিংস খেলেন মালান। অন্যদিকে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শতক হাঁকানো অধিনায়ক বাটলার ১২৭ বলে ১৩১ রান করেছেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৭টি ছয়। পরবর্তীতে ম্যাচ এবং সিরিজসেরা হন এই ইংলিশ অধিনায়ক। শেষদিকে মঈন আলীর ২৩ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আফ্রিকানদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪৭ রান।
বিপরীতে প্রোটিয়াদের হয়ে ৬২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন পেসার লুঙ্গি এনগিডি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৫ ওভার পর্যন্ত স্বাভাবিক গতিতেই ব্যাট করছিল টেম্বা বাভুমার দল। এর মধ্যে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক তুলে নেন রেজা হেনড্রিকস। তিন উইকেটে ১৫৬ রান সংগ্রহের পরই মূলত আর্চারের আঘাত শুরু হয়। স্বল্প ব্যবধানে এইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলারকে ফেরান তিনি। সপ্তম উইকেটে ওয়েন পার্নেলের সঙ্গে জুটি গড়েন হেনরি ক্লাসেন। তবে ক্লাসেনের বিদায়ে ৫৪ বলে ৮৫ রানের জুটি ভাঙার পর আর বেশি দূর এগোতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬২ বলে ক্লাসেনের সংগ্রহ ৮০ রান। এই দুই ব্যাটসম্যানকেও ফিরিয়েছেন আর্চারই।
৯ দশমিক ১ ওভারে ৪০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন এই গতিতারকা। এর আগে টেস্টে তিনবার পাঁচ উইকেটের দেখা পেলেও ওয়ানডেতেই এটিই প্রথম। অথচ চোট থেকে ফিরে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮১ রান দিয়ে নিয়েছিলেন মাত্র ১ উইকেট। তৃতীয় ম্যাচে এসেই বইয়ে দিলেন গতির ঝড় আর শর্ট বলের তাণ্ডব।
যার কারণে প্রতিপক্ষ দলের মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রী খ্যাত সাবেক ব্যাটার ডি ভিলিয়ার্সের প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। এক টুইট বার্তায় তিনি রোমাঞ্চকর এই ইনিংসের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে- ‘আমি বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমোতে যাচ্ছি। আর্চারের বোলিং স্পেল শেষ হলে আমাকে জানিয়ো!’
ইংলিশদের হয়ে আদিল রশিদ ৩টি এবং ক্রিস ওকস নিয়েছেন ১টি উইকেট। ম্যাচ হারলেও প্রোটিয়ারা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
চোট কাটিয়ে ৬৫৮ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন জফরা আর্চার। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজে বোলিংয়ের পর ছিলেন না দ্বিতীয় ম্যাচে। যেন তৃতীয় ম্যাচের জন্য সব তাণ্ডব জমিয়ে রেখেছিলেন! তার ক্যারিয়ার সেরা ৪০ রানে ৬ উইকেট শিকারের ম্যাচে ইংলিশরা জিতেছে ৫৯ রানে।
এর আগে প্রথম ইনিংসের দখল ছিল জস বাটলার ও ডেভিড ম্যালানের হাতে। ১৪ রানেই ৩ উইকেট হারানোর পর দুজন মিলে গড়েছেন ২৩২ রানের মহাকাব্যিক জুটি, যা নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও এটা কোন দলের চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
৭টি চার ও ৬টি ছয়ের মারে ১১৪ বলে ১১৮ রানের ইনিংস খেলেন মালান। অন্যদিকে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শতক হাঁকানো অধিনায়ক বাটলার ১২৭ বলে ১৩১ রান করেছেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৭টি ছয়। পরবর্তীতে ম্যাচ এবং সিরিজসেরা হন এই ইংলিশ অধিনায়ক। শেষদিকে মঈন আলীর ২৩ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আফ্রিকানদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪৭ রান।
বিপরীতে প্রোটিয়াদের হয়ে ৬২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন পেসার লুঙ্গি এনগিডি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৫ ওভার পর্যন্ত স্বাভাবিক গতিতেই ব্যাট করছিল টেম্বা বাভুমার দল। এর মধ্যে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক তুলে নেন রেজা হেনড্রিকস। তিন উইকেটে ১৫৬ রান সংগ্রহের পরই মূলত আর্চারের আঘাত শুরু হয়। স্বল্প ব্যবধানে এইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলারকে ফেরান তিনি। সপ্তম উইকেটে ওয়েন পার্নেলের সঙ্গে জুটি গড়েন হেনরি ক্লাসেন। তবে ক্লাসেনের বিদায়ে ৫৪ বলে ৮৫ রানের জুটি ভাঙার পর আর বেশি দূর এগোতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬২ বলে ক্লাসেনের সংগ্রহ ৮০ রান। এই দুই ব্যাটসম্যানকেও ফিরিয়েছেন আর্চারই।
৯ দশমিক ১ ওভারে ৪০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন এই গতিতারকা। এর আগে টেস্টে তিনবার পাঁচ উইকেটের দেখা পেলেও ওয়ানডেতেই এটিই প্রথম। অথচ চোট থেকে ফিরে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮১ রান দিয়ে নিয়েছিলেন মাত্র ১ উইকেট। তৃতীয় ম্যাচে এসেই বইয়ে দিলেন গতির ঝড় আর শর্ট বলের তাণ্ডব।
যার কারণে প্রতিপক্ষ দলের মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রী খ্যাত সাবেক ব্যাটার ডি ভিলিয়ার্সের প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। এক টুইট বার্তায় তিনি রোমাঞ্চকর এই ইনিংসের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে- ‘আমি বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমোতে যাচ্ছি। আর্চারের বোলিং স্পেল শেষ হলে আমাকে জানিয়ো!’
ইংলিশদের হয়ে আদিল রশিদ ৩টি এবং ক্রিস ওকস নিয়েছেন ১টি উইকেট। ম্যাচ হারলেও প্রোটিয়ারা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে।