alt

সম্পাদকীয়

একটি ট্র্যাজেডি, কিছু প্রশ্ন

: বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৩১ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৬৫ জন। দুর্ঘটনায় হতাহতদের অধিকাংশই ছিলেন স্কুলের শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের স্বজনদের প্রতি আমরা গভীর সহমর্মিতা জানাই এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।

এই শোক শুধু নির্দিষ্ট কিছু পরিবারের নয়, পুরো জাতির। এমন একটি দুর্ঘটনার গভীরতা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। কিন্তু শোকের পাশাপাশি আমাদের এই প্রশ্ন করতেই হবেÑএই দুর্ঘটনা কি এড়ানো যেত না?

যুদ্ধবিমান বা প্রশিক্ষণ বিমানের ব্যবহার সামরিক বাহিনীর জন্য অপরিহার্য। কিন্তু এসব প্রশিক্ষণ কোথায় এবং কীভাবে হবে, তা নির্ধারণে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং বাস্তবতাভিত্তিক পরিকল্পনার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। রাজধানীর মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম কতটা যৌক্তিক, তা নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে। প্রশিক্ষণ বিমান চালনার জন্য নিরাপদ ও দূরবর্তী এলাকা নির্ধারণে পরিকল্পনা থাকা উচিত। একই সঙ্গে বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত পুরনো প্রশিক্ষণ বিমানগুলোর কারিগরি সক্ষমতা পর্যালোচনার বিষয়টিও অগ্রাধিকার পাওয়া জরুরি।

দুর্ঘটনার শিকার বিমানটি ছিল এফটি-৭ বিজিআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান, যা চীনে তৈরি এবং দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উড্ডয়নের মিনিট দশেকের মধ্যেই এটি বিধ্বস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বলা হলেও প্রকৃত কারণ তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর একটি তদন্ত কমিটি হয়। কিন্তু সেই তদন্তের ফলাফল জনসমক্ষে আসে না। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়া হয় না। তাই এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো সম্ভব হয় না।

দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকেও যৌক্তিক বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অতীত অভিজ্ঞতা হতাশাজনক। বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা আমাদের সমাজে অবহেলিত থেকে গেছে। অথচ এই ঘটনায় যারা বেঁচে গেছেন, সেই শিশুরা এবং তাদের অভিভাবকরা জীবনের এক গভীর ট্রমা নিয়ে বাকি জীবন পার করবেন। তাই দ্রুত, সমন্বিত এবং দীর্ঘমেয়াদি মানসিক সেবা কর্মসূচি গ্রহণ অপরিহার্য। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও তাদের স্বজনদের পাশে রাষ্ট্রকে দাঁড়াতে হবে।

আসামী ‘অজ্ঞাতনামা’, হয়রানি সাধারণ মানুষের

পাট চাষিদের বিকল্প পচন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন

পুরোনো যানবাহন অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

একটি ট্র্যাজেডি, কিছু প্রশ্ন

বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৩১ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৬৫ জন। দুর্ঘটনায় হতাহতদের অধিকাংশই ছিলেন স্কুলের শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের স্বজনদের প্রতি আমরা গভীর সহমর্মিতা জানাই এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।

এই শোক শুধু নির্দিষ্ট কিছু পরিবারের নয়, পুরো জাতির। এমন একটি দুর্ঘটনার গভীরতা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। কিন্তু শোকের পাশাপাশি আমাদের এই প্রশ্ন করতেই হবেÑএই দুর্ঘটনা কি এড়ানো যেত না?

যুদ্ধবিমান বা প্রশিক্ষণ বিমানের ব্যবহার সামরিক বাহিনীর জন্য অপরিহার্য। কিন্তু এসব প্রশিক্ষণ কোথায় এবং কীভাবে হবে, তা নির্ধারণে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং বাস্তবতাভিত্তিক পরিকল্পনার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। রাজধানীর মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম কতটা যৌক্তিক, তা নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে। প্রশিক্ষণ বিমান চালনার জন্য নিরাপদ ও দূরবর্তী এলাকা নির্ধারণে পরিকল্পনা থাকা উচিত। একই সঙ্গে বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত পুরনো প্রশিক্ষণ বিমানগুলোর কারিগরি সক্ষমতা পর্যালোচনার বিষয়টিও অগ্রাধিকার পাওয়া জরুরি।

দুর্ঘটনার শিকার বিমানটি ছিল এফটি-৭ বিজিআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান, যা চীনে তৈরি এবং দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উড্ডয়নের মিনিট দশেকের মধ্যেই এটি বিধ্বস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বলা হলেও প্রকৃত কারণ তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর একটি তদন্ত কমিটি হয়। কিন্তু সেই তদন্তের ফলাফল জনসমক্ষে আসে না। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়া হয় না। তাই এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো সম্ভব হয় না।

দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকেও যৌক্তিক বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অতীত অভিজ্ঞতা হতাশাজনক। বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা আমাদের সমাজে অবহেলিত থেকে গেছে। অথচ এই ঘটনায় যারা বেঁচে গেছেন, সেই শিশুরা এবং তাদের অভিভাবকরা জীবনের এক গভীর ট্রমা নিয়ে বাকি জীবন পার করবেন। তাই দ্রুত, সমন্বিত এবং দীর্ঘমেয়াদি মানসিক সেবা কর্মসূচি গ্রহণ অপরিহার্য। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও তাদের স্বজনদের পাশে রাষ্ট্রকে দাঁড়াতে হবে।

back to top