alt

সম্পাদকীয়

তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর হোন

: সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদী থেকে নির্বিচারে পাথর তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ পাথর উত্তোলনের ফলে পরিবেশগত ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। তলদেশ খুঁড়ে পাথর উত্তোলন শুধু নদীর ভাঙন ত্বরান্বিত করছে না, বরং তীরবর্তী মানুষের জীবন ও জীবিকাকেও বিপন্ন করে তুলছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক ইউনিয়নে নদীভাঙনের বিস্তার এবং ফসলি জমি ও বসতভিটার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, অন্তত ১৫টি প্রভাবশালী চক্র এই অবৈধ কর্মকা-ে জড়িত। তারা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দিনের পর দিন নদী থেকে পাথর তুলে অবৈধ ব্যবসা করছে। নদীর ভাঙন রোধে সরকার কোটি টাকা ব্যয় করে জিওব্যাগ ফেলেছে, অথচ একই স্থানে অবৈধভাবে নদীর পাথর তুলে সেসব ব্যয়ের সুফল ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। এটি সরকারি সম্পদের অপচয় ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।

পাথর উত্তোলনের প্রক্রিয়া, পরিবহন, সঞ্চয় ও বাজারজাতকরণÑসবকিছুই স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির মধ্যে থাকার কথা। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একে অপরের কাঁধে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাব এবং দায়সারা অভিযান পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। অপরদিকে, যারা এই অনিয়মের প্রতিবাদ করেছেন, তারাই চক্রের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন। ফলে স্থানীয় জনগণ কার্যকর প্রতিকার পাচ্ছেন না।

এই অবস্থায় কেবল সাময়িক অভিযান যথেষ্ট নয়। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে নজরদারি বাড়ানো, অবৈধ পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ, এবং সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক বিভাগগুলোর দায় নিরূপণ করে কার্যকর মনিটরিং ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

তিস্তা নদী একটি প্রাকৃতিক সম্পদ, যা শুধু অর্থনৈতিক সম্পদ নয়, বরং একেকটি নদীতীরবর্তী জীবনের অবলম্বন। একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা ও পরিবেশকে অবজ্ঞা করে নদীকে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া সংগত নয়।

পীরগঞ্জে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ

রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

অবাধ গাছ কাটা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

দাদনের ফাঁদে আটকে পড়া জেলে সমাজ

জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ আমলে নিন

অব্যবস্থাপনার অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টান্ত হয়ে রইল মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

একটি ট্র্যাজেডি, কিছু প্রশ্ন

আসামী ‘অজ্ঞাতনামা’, হয়রানি সাধারণ মানুষের

পাট চাষিদের বিকল্প পচন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন

পুরোনো যানবাহন অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

tab

সম্পাদকীয়

তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর হোন

সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদী থেকে নির্বিচারে পাথর তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ পাথর উত্তোলনের ফলে পরিবেশগত ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। তলদেশ খুঁড়ে পাথর উত্তোলন শুধু নদীর ভাঙন ত্বরান্বিত করছে না, বরং তীরবর্তী মানুষের জীবন ও জীবিকাকেও বিপন্ন করে তুলছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক ইউনিয়নে নদীভাঙনের বিস্তার এবং ফসলি জমি ও বসতভিটার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, অন্তত ১৫টি প্রভাবশালী চক্র এই অবৈধ কর্মকা-ে জড়িত। তারা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দিনের পর দিন নদী থেকে পাথর তুলে অবৈধ ব্যবসা করছে। নদীর ভাঙন রোধে সরকার কোটি টাকা ব্যয় করে জিওব্যাগ ফেলেছে, অথচ একই স্থানে অবৈধভাবে নদীর পাথর তুলে সেসব ব্যয়ের সুফল ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। এটি সরকারি সম্পদের অপচয় ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।

পাথর উত্তোলনের প্রক্রিয়া, পরিবহন, সঞ্চয় ও বাজারজাতকরণÑসবকিছুই স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির মধ্যে থাকার কথা। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একে অপরের কাঁধে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাব এবং দায়সারা অভিযান পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। অপরদিকে, যারা এই অনিয়মের প্রতিবাদ করেছেন, তারাই চক্রের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন। ফলে স্থানীয় জনগণ কার্যকর প্রতিকার পাচ্ছেন না।

এই অবস্থায় কেবল সাময়িক অভিযান যথেষ্ট নয়। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে নজরদারি বাড়ানো, অবৈধ পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ, এবং সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক বিভাগগুলোর দায় নিরূপণ করে কার্যকর মনিটরিং ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

তিস্তা নদী একটি প্রাকৃতিক সম্পদ, যা শুধু অর্থনৈতিক সম্পদ নয়, বরং একেকটি নদীতীরবর্তী জীবনের অবলম্বন। একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা ও পরিবেশকে অবজ্ঞা করে নদীকে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া সংগত নয়।

back to top