নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদী থেকে নির্বিচারে পাথর তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ পাথর উত্তোলনের ফলে পরিবেশগত ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। তলদেশ খুঁড়ে পাথর উত্তোলন শুধু নদীর ভাঙন ত্বরান্বিত করছে না, বরং তীরবর্তী মানুষের জীবন ও জীবিকাকেও বিপন্ন করে তুলছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক ইউনিয়নে নদীভাঙনের বিস্তার এবং ফসলি জমি ও বসতভিটার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, অন্তত ১৫টি প্রভাবশালী চক্র এই অবৈধ কর্মকা-ে জড়িত। তারা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দিনের পর দিন নদী থেকে পাথর তুলে অবৈধ ব্যবসা করছে। নদীর ভাঙন রোধে সরকার কোটি টাকা ব্যয় করে জিওব্যাগ ফেলেছে, অথচ একই স্থানে অবৈধভাবে নদীর পাথর তুলে সেসব ব্যয়ের সুফল ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। এটি সরকারি সম্পদের অপচয় ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।
পাথর উত্তোলনের প্রক্রিয়া, পরিবহন, সঞ্চয় ও বাজারজাতকরণÑসবকিছুই স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির মধ্যে থাকার কথা। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একে অপরের কাঁধে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাব এবং দায়সারা অভিযান পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। অপরদিকে, যারা এই অনিয়মের প্রতিবাদ করেছেন, তারাই চক্রের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন। ফলে স্থানীয় জনগণ কার্যকর প্রতিকার পাচ্ছেন না।
এই অবস্থায় কেবল সাময়িক অভিযান যথেষ্ট নয়। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে নজরদারি বাড়ানো, অবৈধ পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ, এবং সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক বিভাগগুলোর দায় নিরূপণ করে কার্যকর মনিটরিং ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
তিস্তা নদী একটি প্রাকৃতিক সম্পদ, যা শুধু অর্থনৈতিক সম্পদ নয়, বরং একেকটি নদীতীরবর্তী জীবনের অবলম্বন। একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা ও পরিবেশকে অবজ্ঞা করে নদীকে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া সংগত নয়।
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদী থেকে নির্বিচারে পাথর তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ পাথর উত্তোলনের ফলে পরিবেশগত ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। তলদেশ খুঁড়ে পাথর উত্তোলন শুধু নদীর ভাঙন ত্বরান্বিত করছে না, বরং তীরবর্তী মানুষের জীবন ও জীবিকাকেও বিপন্ন করে তুলছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক ইউনিয়নে নদীভাঙনের বিস্তার এবং ফসলি জমি ও বসতভিটার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, অন্তত ১৫টি প্রভাবশালী চক্র এই অবৈধ কর্মকা-ে জড়িত। তারা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দিনের পর দিন নদী থেকে পাথর তুলে অবৈধ ব্যবসা করছে। নদীর ভাঙন রোধে সরকার কোটি টাকা ব্যয় করে জিওব্যাগ ফেলেছে, অথচ একই স্থানে অবৈধভাবে নদীর পাথর তুলে সেসব ব্যয়ের সুফল ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। এটি সরকারি সম্পদের অপচয় ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।
পাথর উত্তোলনের প্রক্রিয়া, পরিবহন, সঞ্চয় ও বাজারজাতকরণÑসবকিছুই স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির মধ্যে থাকার কথা। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একে অপরের কাঁধে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাব এবং দায়সারা অভিযান পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। অপরদিকে, যারা এই অনিয়মের প্রতিবাদ করেছেন, তারাই চক্রের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন। ফলে স্থানীয় জনগণ কার্যকর প্রতিকার পাচ্ছেন না।
এই অবস্থায় কেবল সাময়িক অভিযান যথেষ্ট নয়। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে নজরদারি বাড়ানো, অবৈধ পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ, এবং সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক বিভাগগুলোর দায় নিরূপণ করে কার্যকর মনিটরিং ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
তিস্তা নদী একটি প্রাকৃতিক সম্পদ, যা শুধু অর্থনৈতিক সম্পদ নয়, বরং একেকটি নদীতীরবর্তী জীবনের অবলম্বন। একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা ও পরিবেশকে অবজ্ঞা করে নদীকে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া সংগত নয়।