alt

উপ-সম্পাদকীয়

শিশুর জন্য চাই উন্নত ভবিষ্যৎ

মাহতাব হোসাইন মাজেদ

: সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর বিশ্বনেতারা শিশু অধিকার বিষয়ে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়ন করেন। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মানবাধিকার চুক্তি। পৃথিবীর প্রত্যেক শিশু যেন ন্যূনতম জীবনযাপন করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সবারই। এজন্য শিশুদের সুযোগ দিতে হবে নানা ক্ষেত্রে। এমনকি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজেও। তাতে শিশু যেমন নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে বুঝতে পারবে, তেমনি সমাজের প্রতি তার দায়িত্ববোধের জায়গাও তৈরি হবে। এতে করে শিশুরা নিজেদের অবস্থানকে শক্ত জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে নিজের জন্য এবং অন্য শিশুর জন্যও।

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে শিশুদের প্রতি অবহেলাটা একটু বেশিই। আর যুদ্ধবিধ্বস্ত কিংবা যুদ্ধকালে শিশুদের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়, তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ যে ভুলপথে পরিচালিত হয়, সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।

শিশুদের প্রতি দায়িত্ববোধ তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনেকেই করেছেন; কিন্তু দেশ ও জাতির জন্য শিশুর প্রয়োজনীয়তার অনুভবটা নগদানগদি হয় না বলে সেটা নিয়ে খুব একটা ভাবনাচিন্তাও করা হতো না এক সময়। তবে সময় বদলেছে।

বড়রা বুঝতে পেরেছে এবং জেনেছে যে, আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। চারাগাছ থেকে যেমন সহসাই ফল-ফল মেলে না, সুমিষ্ট ফলের জন্য এবং সুবাসিত ফুলের জন্য চারাগাছকে যেমন অতিযত্নে লালন-পালন করে বড় করে তুলতে হয়, তেমনি শিশুদেরও যত্ন প্রয়োজন।

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪০ ভাগেরও বেশি শিশু। তার মধ্যে আবার ১৫ শতাংশের বেশি শিশু দরিদ্র। আর অতিমারি করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়েছে তিন কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশুর ওপর।

ওদিকে ওয়ার্ল্ড ভিশনের জরিপে জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিশ্বের ৯১ শতাংশ শিশু ও তরুণ মানসিক চাপ ও শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। আমাদের শিশুরাও এ পরিস্থিতির বাইরে নয়। ইউনিসেফের এক গবেষণায় জানা যায়, ২০২০ সালের মহামারির পর থেকে বাংলাদেশে কিশোরীদের বিয়ের হার বেড়েছে ১৩ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশের হাসপাতালগুলোয় তীব্রতম অপুষ্টিতে ভোগা শিশু ভর্তি হয়েছে আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ২০২১ সালে এসএএমে ভোগা শিশু ভর্তি হয়েছে ১১ হাজার ৩১৩ জন। যেখানে আগের বছর ২০২০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৫৭০।

অপুষ্টিকে দেখা হয় শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নতির সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে শিশুর অপুষ্টি এখনো মারাত্মক একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী তীব্রতম অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যার দিক থেকে এখনো ওপরের তালিকায় বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, মারাত্মক তীব্র অপুষ্টি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের অসুস্থতা ও মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। সারা বিশ্বে প্রায় ২ কোটি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়। আর ১০ লাখের মতো শিশুর মৃত্যু হয়। এসব শিশুর অধিকাংশই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাসিন্দা।

মহামারির ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার শিশুরা। মহামারিতে বেড়ে গেছে শিশু নির্যাতন, শিশুশ্রম, বাল্যবিয়ে, অপুষ্টি। এজন্য শিশু অধিকার ও সুরক্ষায় প্রত্যেকের অবস্থান থেকে নজর দেয়া জরুরি। এর পাশাপশি সাংবিধানিক অঙ্গীকার অনুযায়ী সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে শিশুর সৃজনশীলতা বিকাশ এবং আনন্দময় পরিবেশে শিশুকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমুখী শিক্ষায় গড়ে তোলাও জরুরি।

শিশুদের প্রতি সচেতনা তৈরির এই জরুরি কাজটা করবে কারা? এক কথায় সমাজের সবাই। শিশুর বাবা-মায়ের পাশাপাশি শিক্ষক, নার্স ও ডাক্তার, সরকার, সমাজকর্মী, ধর্মীয় ও কমিউনিটির প্রবীণ, কর্পোরেট মোগল, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, তরুণ সমাজ এবং সর্বোপরি শিশুদের নিজেদের। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই শিশুর জন্য দেশ, জাতি-সমাজ হবে সুন্দর ও সাবলীল।

আর এসবের মাধ্যমে এই শিশুরাই একদিন হয়ে উঠবে সমাজ-সচেতন, রাষ্ট্র-সচেতন, সর্বোপরি অধিকার সচেতন। বিশ্বে পনেরো কোটিরও বেশি পাঁচ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত; যা জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থি, শিশু অধিকারের পরিপন্থি।

শিশুরা এই পৃথিবীর কেবল অংশীদারই নয়, ভবিষ্যতের পৃথিবীটাও তো এক সময় শিশুদের হাতেই থাকবে।

[লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি]

টেকসই উন্নয়নের স্বপ্নপূরণে উপগ্রহ চিত্রই চাবিকাঠি

রাবার শিল্প : সংকট, করণীয় ও উত্তরণের দিশা

রম্যগদ্য : দুধ, দই, কলা...

ছবি

কোপার্নিকাস : আলো হয়ে জন্ম নেওয়া বৈপ্লবিক মতবাদের প্রবর্তক

জলবায়ু সংকটে মানবসভ্যতা

টেকসই অর্থনীতির জন্য চাই টেকসই ব্যাংকিং

ডিজিটাল দাসত্ব : মনোযোগ অর্থনীতি ও জ্ঞান পুঁজিবাদে তরুণ প্রজন্মের মননশীলতার অবক্ষয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার : আস্থা ভঙ্গ ও জবাবদিহিতার সংকট

আসামি এখন নির্বাচন কমিশন

কোথায় হারাল একান্নবর্তী পরিবার?

এই শান্তি কি মহাঝড়ের পূর্বলক্ষণ?

মেগাসিটি : দারিদ্র্য যখন ‘অবাঞ্ছিত বর্জ্য’

ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম

ছবি

তৃতীয় শক্তির জন্য জায়গা খালি : বামপন্থীরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারে না

জমি আপনার, দখল অন্যের?

সিধু-কানু : ধ্বংসস্তূপের নিচেও জেগে আছে সাহস

ছবি

বাংলার অনন্য লোকসংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান

তিন দিক থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি : করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

দেশের অর্থ পাচারের বাস্তবতা

খাদ্য নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত

আবারও কি রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে বিশ্ব?

প্লান্ট ক্লিনিক বদলে দিচ্ছে কৃষির ভবিষ্যৎ

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী করতে করণীয়

রম্যগদ্য : ‘ডন ডনা ডন ডন...’

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব : কে সন্ত্রাসী, কে শিকার?

সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি গঠনে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব

প্রতিরোধই উত্তম : মাদকমুক্ত প্রজন্ম গড়ার ডাক

ছবি

বিকাশের পথকে পরিত্যাগ করা যাবে না

বর্ষা ও বৃক্ষরোপণ : সবুজ বিপ্লবের আহ্বান

প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধে শিক্ষকের করণীয়

পারমাণবিক ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক ভণ্ডামির প্রতিচ্ছবি

পরিবেশের নীরব রক্ষক : শকুন সংরক্ষণে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

ভুল স্বীকারে গ্লানি নেই

ভাঙনের বুকে টিকে থাকা স্বপ্ন

tab

উপ-সম্পাদকীয়

শিশুর জন্য চাই উন্নত ভবিষ্যৎ

মাহতাব হোসাইন মাজেদ

সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর বিশ্বনেতারা শিশু অধিকার বিষয়ে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়ন করেন। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মানবাধিকার চুক্তি। পৃথিবীর প্রত্যেক শিশু যেন ন্যূনতম জীবনযাপন করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সবারই। এজন্য শিশুদের সুযোগ দিতে হবে নানা ক্ষেত্রে। এমনকি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজেও। তাতে শিশু যেমন নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে বুঝতে পারবে, তেমনি সমাজের প্রতি তার দায়িত্ববোধের জায়গাও তৈরি হবে। এতে করে শিশুরা নিজেদের অবস্থানকে শক্ত জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে নিজের জন্য এবং অন্য শিশুর জন্যও।

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে শিশুদের প্রতি অবহেলাটা একটু বেশিই। আর যুদ্ধবিধ্বস্ত কিংবা যুদ্ধকালে শিশুদের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়, তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ যে ভুলপথে পরিচালিত হয়, সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।

শিশুদের প্রতি দায়িত্ববোধ তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনেকেই করেছেন; কিন্তু দেশ ও জাতির জন্য শিশুর প্রয়োজনীয়তার অনুভবটা নগদানগদি হয় না বলে সেটা নিয়ে খুব একটা ভাবনাচিন্তাও করা হতো না এক সময়। তবে সময় বদলেছে।

বড়রা বুঝতে পেরেছে এবং জেনেছে যে, আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। চারাগাছ থেকে যেমন সহসাই ফল-ফল মেলে না, সুমিষ্ট ফলের জন্য এবং সুবাসিত ফুলের জন্য চারাগাছকে যেমন অতিযত্নে লালন-পালন করে বড় করে তুলতে হয়, তেমনি শিশুদেরও যত্ন প্রয়োজন।

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪০ ভাগেরও বেশি শিশু। তার মধ্যে আবার ১৫ শতাংশের বেশি শিশু দরিদ্র। আর অতিমারি করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়েছে তিন কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শিশুর ওপর।

ওদিকে ওয়ার্ল্ড ভিশনের জরিপে জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিশ্বের ৯১ শতাংশ শিশু ও তরুণ মানসিক চাপ ও শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। আমাদের শিশুরাও এ পরিস্থিতির বাইরে নয়। ইউনিসেফের এক গবেষণায় জানা যায়, ২০২০ সালের মহামারির পর থেকে বাংলাদেশে কিশোরীদের বিয়ের হার বেড়েছে ১৩ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশের হাসপাতালগুলোয় তীব্রতম অপুষ্টিতে ভোগা শিশু ভর্তি হয়েছে আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ২০২১ সালে এসএএমে ভোগা শিশু ভর্তি হয়েছে ১১ হাজার ৩১৩ জন। যেখানে আগের বছর ২০২০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৫৭০।

অপুষ্টিকে দেখা হয় শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নতির সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে শিশুর অপুষ্টি এখনো মারাত্মক একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী তীব্রতম অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যার দিক থেকে এখনো ওপরের তালিকায় বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, মারাত্মক তীব্র অপুষ্টি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের অসুস্থতা ও মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। সারা বিশ্বে প্রায় ২ কোটি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়। আর ১০ লাখের মতো শিশুর মৃত্যু হয়। এসব শিশুর অধিকাংশই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাসিন্দা।

মহামারির ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার শিশুরা। মহামারিতে বেড়ে গেছে শিশু নির্যাতন, শিশুশ্রম, বাল্যবিয়ে, অপুষ্টি। এজন্য শিশু অধিকার ও সুরক্ষায় প্রত্যেকের অবস্থান থেকে নজর দেয়া জরুরি। এর পাশাপশি সাংবিধানিক অঙ্গীকার অনুযায়ী সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে শিশুর সৃজনশীলতা বিকাশ এবং আনন্দময় পরিবেশে শিশুকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমুখী শিক্ষায় গড়ে তোলাও জরুরি।

শিশুদের প্রতি সচেতনা তৈরির এই জরুরি কাজটা করবে কারা? এক কথায় সমাজের সবাই। শিশুর বাবা-মায়ের পাশাপাশি শিক্ষক, নার্স ও ডাক্তার, সরকার, সমাজকর্মী, ধর্মীয় ও কমিউনিটির প্রবীণ, কর্পোরেট মোগল, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, তরুণ সমাজ এবং সর্বোপরি শিশুদের নিজেদের। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই শিশুর জন্য দেশ, জাতি-সমাজ হবে সুন্দর ও সাবলীল।

আর এসবের মাধ্যমে এই শিশুরাই একদিন হয়ে উঠবে সমাজ-সচেতন, রাষ্ট্র-সচেতন, সর্বোপরি অধিকার সচেতন। বিশ্বে পনেরো কোটিরও বেশি পাঁচ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত; যা জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থি, শিশু অধিকারের পরিপন্থি।

শিশুরা এই পৃথিবীর কেবল অংশীদারই নয়, ভবিষ্যতের পৃথিবীটাও তো এক সময় শিশুদের হাতেই থাকবে।

[লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি]

back to top