alt

উপ-সম্পাদকীয়

চিঠি : তরুণদের মোবাইল আসক্তি

: শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

ডিজিটাল যুগে নতুন এক আসক্তির নাম মোবাইল আসক্তি। এই আসক্তি মাদকাসক্তির চেয়েও অনেক ভয়াবহ। একজন শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হলেও আজ এই ভবিষ্যতকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে মোবাইল ফোন। বিকেলবেলা যারা শরীরচর্চা করত, বিভিন্ন খেলাধুলা করত, একে অপরের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠত।

কিন্তু আজ সবাই এই শৃঙ্খলার বাহিরে। কেউ কারো সঙ্গে মিশে না কেউ কারো সঙ্গে কথা বলেনা সবার দৃষ্টি মোবাইলের স্ক্রিনে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও দেখা যায় যখন সবাই ফ্রী থাকেন তখন সবাই সবার ফোন নিয়ে ব্যস্ত। আজব এক আসক্তি যা কি না ছিনিয়ে নিচ্ছে সোনালী অতীতসহ মায়া মমতার বন্ধন। এই আসক্তিতে সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে যুবক-যুবতীরা।

দশ মিনিট মোবাইল থেকে দূরে থাকে কেউ তখন তার মনে হচ্ছে কত বছর যেন সে মোবাইলের কাছে যায়না। করণার মধ্যে অনলাইন ক্লাস হওয়ার দ্বারা এই আসক্তির মাত্রা সবচেয়ে বেশি উর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফেইসবুক, মেসেঞ্জার, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমু এসব থাকার সঙ্গে আরো কয়েকটি বিষয় এড হয়েছে যেগুলো হচ্ছে ফ্রী ফায়ার, পাবজি, ক্লাস অব ক্লানসহ বিভিন্ন অনলাইন গেম। এসব বিষয় এই আসক্তিকে গাড় করছে দিনদিন।

অধিকাংশ তরুণ-তরুণী এখন চশমা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে চোখের বিভিন্ন সমস্যার কারণে। দুই যুগ আগে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরও চশমার দরকার ছিল না। এখন ১৫-১৮ বছর থেকেই ব্যবহার করতে হচ্ছে চশমা। কেননা মোবাইলের রঙিন ক্ষতিকর রশ্মি প্রতিনিয়ত চোখে যেয়ে চোখ নষ্ট করে ফেলছে। এছাড়াও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা যেমন, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, মাথা ব্যাথ্যায় যুবক-যুবতীরা ভুগছে এই মোবাইল নাম আসক্তির ভয়াবহ থাবায়।

ছেলেমেয়েরা অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে বেশি। জাতিকে মেধশূন্য করার আরো একটি নতিন পদ্ধতির আবির্ভাব হয়েছে সেটা হলো ‘চ্যাট জিটিপি’। এই সাইটে যেকোনো জিনিস সম্পর্কে লিখতে বলা হলে লিখে দিচ্ছে। স্যারেরা ক্লাসে অ্যাসাইনমেন্ট শেখার জন্য নিজে নিজে তৈরী করার জন্য দিলেও শিক্ষার্থীরা আজ চ্যাট জিটিপি ব্যবহার করে এসব অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান করে জমা দিচ্ছে। এই ভয়াবহ পদ্ধতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অচিরেই জাতি জ্ঞানশূন্যতায় ভুগবে।

মোবাইল আসক্তি রোধে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে পারে পরিবার। কিন্তু আজ পরিবারের সদস্যরাও এই আসক্তিতে আসক্ত। সেজন্য তারা তাদের ছেলেমেয়েদের এসব বিষয়ে কড়া শাসন করতে পারেনা। পরিবারের সবাই অভিভাবকদের আগে সচেতন হতে হবে এবং সন্তানদের সচেতন করতে হবে। নতুবা যদি এভাবে লাগামহীন চলতে থাকে তাহলে এই আসক্তির কামড়ের বিষের প্রতিক্রিয়া অভিভাবক, পরিবার ও সন্তান এমনকি পুরো জাতি সবাইকে গ্রহণ করতে হবে।

আব্দুল ওহাব

সর্বজনীন শিক্ষার বলয়ের বাইরে আদিবাসীরা : অন্তর্ভুক্তির লড়াইয়ে বৈষম্যের দেয়াল

শোনার গান, দেখার টান : অনুভূতির ভোঁতা সময়

ছবি

ছিন্নপত্রে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও রবীন্দ্র চেতনা

ভেতরের অদৃশ্য অপরাধ : সমাজের বিপন্ন মানসিকতা

দারিদ্র্য ও বৈষম্য নিরসনে খাসজমি ও জলার গুরুত্ব

অবহেলিত কৃষক ও বাজার ব্যবস্থার বৈষম্য

রাক্ষুসে মাছের দাপটে বিপন্ন দেশীয় মাছ : করণীয় কী?

বজ্রপাতের আতঙ্কে জনজীবন

তাহলে কি ঘৃণায় ছেয়ে যাবে দেশ, মানবজমিন রইবে পতিত

কর্পোরেট ও ব্যক্তিগত সামাজিক দায়বদ্ধতা

‘রাখাইন করিডর’ : একটি ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

ভিন্নমতের ভয়, নির্বাচনের দোলাচল ও অন্তর্বর্তী সরকারের কৌশলী অবস্থান

সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

কৃষি শিক্ষা হোক উদ্যোক্তা গড়ার মাধ্যম

রঙ্গব্যঙ্গ : কোটের কেবল রং বদলায়

মে দিবসের চেতনা বনাম বাস্তবতা

শ্রম আইন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় চাই আন্তরিকতা

বাসযোগ্যতা সূচকে ঢাকা কেন এত পিছিয়ে

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল : নিরাপদ যাত্রার প্রত্যাশা

কর ফাঁকি : অর্থনীতির জন্য এক অশনি সংকেত

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় : উপকূলীয় সুরক্ষার শিক্ষা

যখন নদীগুলো অস্ত্র হয়ে ওঠে

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত মান উন্নয়নে গবেষণা ও উদ্ভাবন

বজ্রপাত ও তালগাছ : প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা

কুষ্ঠ ও বৈষম্য : মানবাধিকারের প্রশ্নে একটি অবহেলিত অধ্যায়

ছবি

প্রান্তজনের বাংলাদেশ

অতীতের ছায়ায় নতুন বাংলাদেশ : দুর্নীতি, উগ্রপন্থা ও সরকারের দায়

সাইবার নিরাপত্তা : অদৃশ্য যুদ্ধের সামনে আমাদের প্রস্তুতি

ছবি

বাহান্নর গর্ভে জন্ম নেয়া এক ঝড়ের পাখি

প্রবাসী শ্রমিক : অর্থের যন্ত্র নয়, রাষ্ট্রের সহযোদ্ধা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ

ভোগবাদের বিরুদ্ধে পোপ ফ্রান্সিসের জলবায়ু বার্তা

রম্যগদ্য : হাসি নিষেধ...

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন : দাবি ও সমাধানের পথ

সিরিয়ার পতন কিভাবে আমেরিকার স্বার্থকে হুমকিতে ফেলছে

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র : বিকল্প রাষ্ট্রচিন্তার সন্ধানে

tab

উপ-সম্পাদকীয়

চিঠি : তরুণদের মোবাইল আসক্তি

শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

ডিজিটাল যুগে নতুন এক আসক্তির নাম মোবাইল আসক্তি। এই আসক্তি মাদকাসক্তির চেয়েও অনেক ভয়াবহ। একজন শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হলেও আজ এই ভবিষ্যতকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে মোবাইল ফোন। বিকেলবেলা যারা শরীরচর্চা করত, বিভিন্ন খেলাধুলা করত, একে অপরের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠত।

কিন্তু আজ সবাই এই শৃঙ্খলার বাহিরে। কেউ কারো সঙ্গে মিশে না কেউ কারো সঙ্গে কথা বলেনা সবার দৃষ্টি মোবাইলের স্ক্রিনে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও দেখা যায় যখন সবাই ফ্রী থাকেন তখন সবাই সবার ফোন নিয়ে ব্যস্ত। আজব এক আসক্তি যা কি না ছিনিয়ে নিচ্ছে সোনালী অতীতসহ মায়া মমতার বন্ধন। এই আসক্তিতে সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে যুবক-যুবতীরা।

দশ মিনিট মোবাইল থেকে দূরে থাকে কেউ তখন তার মনে হচ্ছে কত বছর যেন সে মোবাইলের কাছে যায়না। করণার মধ্যে অনলাইন ক্লাস হওয়ার দ্বারা এই আসক্তির মাত্রা সবচেয়ে বেশি উর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফেইসবুক, মেসেঞ্জার, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমু এসব থাকার সঙ্গে আরো কয়েকটি বিষয় এড হয়েছে যেগুলো হচ্ছে ফ্রী ফায়ার, পাবজি, ক্লাস অব ক্লানসহ বিভিন্ন অনলাইন গেম। এসব বিষয় এই আসক্তিকে গাড় করছে দিনদিন।

অধিকাংশ তরুণ-তরুণী এখন চশমা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে চোখের বিভিন্ন সমস্যার কারণে। দুই যুগ আগে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরও চশমার দরকার ছিল না। এখন ১৫-১৮ বছর থেকেই ব্যবহার করতে হচ্ছে চশমা। কেননা মোবাইলের রঙিন ক্ষতিকর রশ্মি প্রতিনিয়ত চোখে যেয়ে চোখ নষ্ট করে ফেলছে। এছাড়াও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা যেমন, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, মাথা ব্যাথ্যায় যুবক-যুবতীরা ভুগছে এই মোবাইল নাম আসক্তির ভয়াবহ থাবায়।

ছেলেমেয়েরা অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে বেশি। জাতিকে মেধশূন্য করার আরো একটি নতিন পদ্ধতির আবির্ভাব হয়েছে সেটা হলো ‘চ্যাট জিটিপি’। এই সাইটে যেকোনো জিনিস সম্পর্কে লিখতে বলা হলে লিখে দিচ্ছে। স্যারেরা ক্লাসে অ্যাসাইনমেন্ট শেখার জন্য নিজে নিজে তৈরী করার জন্য দিলেও শিক্ষার্থীরা আজ চ্যাট জিটিপি ব্যবহার করে এসব অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান করে জমা দিচ্ছে। এই ভয়াবহ পদ্ধতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অচিরেই জাতি জ্ঞানশূন্যতায় ভুগবে।

মোবাইল আসক্তি রোধে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে পারে পরিবার। কিন্তু আজ পরিবারের সদস্যরাও এই আসক্তিতে আসক্ত। সেজন্য তারা তাদের ছেলেমেয়েদের এসব বিষয়ে কড়া শাসন করতে পারেনা। পরিবারের সবাই অভিভাবকদের আগে সচেতন হতে হবে এবং সন্তানদের সচেতন করতে হবে। নতুবা যদি এভাবে লাগামহীন চলতে থাকে তাহলে এই আসক্তির কামড়ের বিষের প্রতিক্রিয়া অভিভাবক, পরিবার ও সন্তান এমনকি পুরো জাতি সবাইকে গ্রহণ করতে হবে।

আব্দুল ওহাব

back to top