alt

উপ-সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্য ও সেবার উন্নয়নে যোগাযোগব্যবস্থার প্রভাব

নাজমুল হুদা খান

: রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ মেগাসিটি হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। আয়তনে দেশের ১ শতাংশের কম হলেও দেশের ১২% এর বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে। তাছাড়া প্রতিদিন জীবনজীবিকার প্রয়োজনে ঢাকার আশপাশে ও সারাদেশ থেকে প্রতিদিন যাতায়ত করে থাকে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই যানজট ও ট্রাফিক দুর্ভোগ আমাদের নিত্যসঙ্গী। ব্যাহত জীবন-জীবিকা, কর্মসংস্থান; ব্যাঘাত ঘটে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ও বিরূপ প্রভাব পড়ে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যসেবায়। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও রাজধানীকে কার্যক্ষম রাখা ও গণমানুষের চলাচলের উপযোগী রাখতে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একটি আধুনিক ও কার্যকরী পরিবহনব্যবস্থা দেশের ব্যবসা, পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম শর্ত। বিশ্বব্যাপী যানজট ও ট্রাফিক দুর্ভোগ সংশ্লিষ্ট দেশের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজটের ফলে জ্বালানি খরচ, যাতায়ত খরচ ও সময় এবং দূষণ বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তাসহ নানবিধ জটিল রোগ-ব্যাধির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে যানজটের ওপর গবেষণায় দেখা যায় যে, কর্মঘণ্টা নষ্ট ও জ্বালানি খরচ অপচয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বছরে ১২১ বিলিয়ন ডলার। চীনের প্রভাবশালী ১০টি শহরে ক্ষতির পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক নগরীর প্রধান সড়কসমূহের যানজটের ওপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা এবং অপচয় ঘটে ২ লাখ টাকার জ্বালানির। বুয়েটের এক গবেষণায় যানজটের কারণে বাংলাদেশে ২০১৮ সালে ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্টের তথ্য উঠে এসেছে। পরিবহন নিঃসৃত দূষিত গ্যাস যথা- ঈঙ২, ঈঙ, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, চগ, সালফার ডাই-অক্সাইড প্রভৃতি বিষাক্ত গ্যাস মিশে বাতাসকে শ্বাস-প্রশ্বাসের অযোগ্য করে তোলে। ব্যানিস্টারের গবেষণা বলছে, যানজট বাতাসে ২৬% কার্বন ডাই-অক্সাইড, ৫৪% নাইট্রাস অক্সাইড, ৫৭% লেড, ৭৪% কার্বন মনো-অক্সাইড এবং ২৮% ধূলিকনার জন্য দায়ী। বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা, বন্ধাত্ব ও মানসিক বৈকল্যের কারণ হিসেবে যানজটকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইংল্যান্ডের গবেষণালব্ধ তথ্যে বলা হয়েছে, বাতাসে ৩৫% নাইট্রাস অক্সাইড ও ১২% পিএম পরিবহন থেকে নিঃসৃত। এ ধরনের বায়ু ও শব্দদূষণের ফলে শ্বাসতন্ত্রের রোগজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধি, ফুসফুসের ক্যান্সার ও হৃদরোগের প্রকোপ ঘটে। বাণিজ্যিক নগরীর এক গবেষণায় যানজটের কারণে ৯৫ ভাগ মানুষের মানসিক চাপ, ৯২ ভাগের কর্মক্ষমতা হ্রাস, ৮০ ভাগের আয় কমে যাওয়া, ৭৭ শতাংশের জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি, শতকরা ৫৪ জনের হতাশা, ৭৭ জনের মেজাজ তিরিক্ষি, ৩৫% এর মাথা ব্যথা, ১৩% এর চোখে ব্যথা, ২৮% এর অবসাদগ্রস্ততা এবং শতকরা ৯২ জনের যাতায়তে সময় বেশি লাগার তথ্য উঠেছে। পক্ষান্তরে, মার্কিন গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন শহরে যানজট নিরসনের ফলে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমেছে ২১%, যাতায়তের সময় কমেছে ৩০%, জ্বালানি খরচ কমেছে ১০%, কমেছে সংশ্লিষ্ট রোগের ভোগান্তি ও মৃত্যু, বেড়েছে গড় আয়ু। স্টকহোমসের গবেষণা বলছে, ট্রাফিক দুর্ভোগ হ্রাসের ফলে ১৫ লাখ লোক বসবাসের এ শহরে যানজটসংশ্লিষ্ট ক্ষতিকারক প্রভাবের মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে অনেকাংশে। রাজধানীকে বাসযোগ্য রাখা, চলাচলে গতি আনয়ন, দুর্বিষহ যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার, উড়াল সড়কের পর এশিয়ার মধ্যে ২২তম দেশ হিসেবে মেট্রোরেল চালু হয়েছে বাংলাদেশে। বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে শহরের ভেতরে গণপরিবহন হিসাবে মেট্রোরেল সেবা চালু রয়েছে। ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ কিলোমিটার। এ রেলের সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মোট ১৭টি স্টেশনে থেমে এ ২২ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করতে মেট্রোরেলের মোট সময় লাগবে ৪০ মিনিট। ঢাকা শহরে এত দ্রুতগতিতে যান চলাচল ও এত অল্প সময়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া সত্যি স্বপ্নের মতো। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে আসে যে গত ১০ মাসে মেট্রোরেলে যারা নিয়মিত যাতায়াত করেছেন তাদের প্রায় ৬০ ভাগই এতদিন বাসে যাতায়াত করতেন। সুতরাং, মেট্রোরেল চালু হলে রাস্তায় বাসের সংখ্যা কমবে এবং তা যানজট নিরসনে বড় ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে ঢাকা শহরের যানজটের ভোগান্তি কমাতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়ক চালু হয়েছে। প্রায় ২০ কিমি দৈর্ঘ্যরে এই প্রকল্পটি বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ পর্যন্ত সাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। মেগাসিটি ঢাকা শহরে নির্মিত প্রধান ৮টি ফ্লাইওভার রাজধানীর যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, গুলশান, কুড়িল, মগবাজার ও বনানীসহ প্রতিটি ফ্লাইওভার সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসহ সারাশহরের যানজট নিরসনে কার্যকরী ও অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলছে। সম্প্রতি চালু হওয়া দোহাজারি- কক্সবাজার রেললাইন এবং কর্ণফুলী পাতাল সড়ক সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসহ সারাদেশের যাতায়তব্যবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দেবে। পদ্মা সেতু সংযোজন করেছে দেশের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে, যা এতদঞ্চলের পণ্য পরিবহন, শ্রম বাজার সম্প্রসারণ, কলকারখানা বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছে। ভূমিকা রাখছে জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের প্রায় ৮ কোটি মানুষ পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হচ্ছে। যোগাযোগব্যবস্থা একদিকে যেমন দেশের আর্থসামাজিক, জীববৈচিত্র্য, টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখে; তেমনি স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছাপ রাখে। স্বাস্থ্যের উন্নয়নের অন্যতম উপাদান মানুষের কর্মসংস্থান। কারণ কর্মসংস্থান প্রত্যক্ষভাবে একজন ব্যক্তি বা তার পরিবারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় জড়িত। দেশে নতুন সংযোজিত এ আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থার ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসমূহে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান গড়ে উঠবে ও আয় বাড়বে। ফলশ্রুতিতে পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থাপনা ও সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। মানুষের জীবনযাত্রার মান্নোয়ন, স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং মানুষের গড় আয়ুও বৃদ্ধি পাবে। এক কথায় বলা যায়, মানুষের আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটবে এবং সুস্থভাবে উন্নত ও দীর্ঘ জীবন লাভে সক্ষম হবে। মেট্রোরেল এবং উড়াল সড়ক চালুর পর আশপাশের অঞ্চল থেকে রাজধানীতে যাতায়াতের সময় প্রায় ১ থেকে ৪ ঘণ্টা হ্রাস পাবে। চিকিৎসাবিজ্ঞান, বিশেষ করে জরুরি শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে ‘Six hour rule’ বা ‘৬ ঘণ্টা নীতি’ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা। যত কম সময়ে রোগীর শল্য চিকিৎসা বা ব্যবস্থাপনা প্রদান করা যায়, রোগীর জীবন বা অঙ্গহানি ঘটার সম্ভাবনা ততটা কম থাকে। রোগীর দেহে সাধারণত প্রতি ঘণ্টায় ১ মি.মি. গভীরে সুস্থ কোষ/কলাসমূহে সংক্রমিত হয়। এজন্য কম সময়ের মধ্যে চিকিৎসা বা শল্য চিকিৎসা করা সম্ভব হলে রোগীর আরোগ্য লাভ ঘটে দ্রুত এবং জটিলতা হ্রাস পায়। রাজধানীসহ আশপাশের অঞ্চল থেকে অনেক মুমূর্ষু রোগীকে বহন করতে সময়ক্ষেপণের কারণে বহু মানুষের রোগের জটিল অবস্থা কিংবা মৃত্যু ঘটে। আধুনিক এ যাতায়তব্যবস্থা নিঃসন্দেহে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পেতে সহজতর করে তুলবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকা পরিবহন থেকে নিঃসৃত কালো ধোঁয়া হ্রাস করে ঢাকার বাতাসকে অনেকটা দূষণমুক্ত রাখতে সহায়তা করবে। শহরের মানুষকে শ্বাসতন্ত্র, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ দূষণ সৃষ্ট জটিল ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখতে ভূমিকা রাখবে। জাতিসংঘের মতে, বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় শ্রেয়তর স্বাস্থ্য অবকাঠামো রয়েছে, যথা- ৫০০টি উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পাঁচ হাজার ইউনিয়ন সাবসেন্টার এবং ১৩ হাজারের অধিক কমিউনিটি ক্লিনিক মাঠ পর্যায় এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবা প্রদানে নিয়োজিত রয়েছে। মেগা সিটি ঢাকার জনসংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি।

যোগাযোগব্যবস্থা একদিকে যেমন দেশের আর্থসামাজিক, জীববৈচিত্র্য, টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখে; তেমনি স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছাপ রাখে

জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রায় ৩৪ হাজার বর্গকিমি। বিভাগ ও প্রায় সব জেলা পর্যায়ে মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতাল থাকলেও সারাদেশের সিংহভাগ মানুষ বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবার জন্য রাজধানীর ওপর নির্ভরশীল। আধুনিক এ যোগাযোগব্যবস্থা ঢাকা সিটি দক্ষিণের বাসিন্দাদের বিএসএমএমইউ, ঢাকা মেডিকেল, মিটফোর্ড, মুগদা প্রভৃতি এবং ঢাকা সিটি উত্তরে নিটোর, শিশু, হৃদরোগ, কুর্মিটোলা হাসপাতালসমূহের সেবা পেতে এখন নিঃসন্দেহে আরও সহজতর হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী এসব হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে যানজটের দুর্দশাও অনেকাংশে লাঘব হবে। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে দৈনিক শত শত রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স রাজধানীমুখী হয়, কিন্তু যানজটের কারণে অনেক রোগীকে সঠিক সময়ে শেষ চিকিৎসা না নিয়েই মৃত্যুর মুখে পতিত হতে দেখা যায়। আধুনিক এ যোগাযোগব্যবস্থা বিপন্ন মানুষকে সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে সেবা গ্রহণে অনেকাংশে সক্ষম করে তুলবে। পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে হালের মেট্রোরেল, উড়াল সড়ক, ফ্লাইওভার এবং সর্বশেষ চালু কর্ণফুলী পাতাল সড়ক এবং দোহাজারি- কক্সবাজার রেলপথ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের সিংহভাগ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।

[লেখক: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, প্রেষণে কুয়েতে নিযুক্ত]

সর্বজনীন শিক্ষার বলয়ের বাইরে আদিবাসীরা : অন্তর্ভুক্তির লড়াইয়ে বৈষম্যের দেয়াল

শোনার গান, দেখার টান : অনুভূতির ভোঁতা সময়

ছবি

ছিন্নপত্রে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও রবীন্দ্র চেতনা

ভেতরের অদৃশ্য অপরাধ : সমাজের বিপন্ন মানসিকতা

দারিদ্র্য ও বৈষম্য নিরসনে খাসজমি ও জলার গুরুত্ব

অবহেলিত কৃষক ও বাজার ব্যবস্থার বৈষম্য

রাক্ষুসে মাছের দাপটে বিপন্ন দেশীয় মাছ : করণীয় কী?

বজ্রপাতের আতঙ্কে জনজীবন

তাহলে কি ঘৃণায় ছেয়ে যাবে দেশ, মানবজমিন রইবে পতিত

কর্পোরেট ও ব্যক্তিগত সামাজিক দায়বদ্ধতা

‘রাখাইন করিডর’ : একটি ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

ভিন্নমতের ভয়, নির্বাচনের দোলাচল ও অন্তর্বর্তী সরকারের কৌশলী অবস্থান

সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

কৃষি শিক্ষা হোক উদ্যোক্তা গড়ার মাধ্যম

রঙ্গব্যঙ্গ : কোটের কেবল রং বদলায়

মে দিবসের চেতনা বনাম বাস্তবতা

শ্রম আইন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় চাই আন্তরিকতা

বাসযোগ্যতা সূচকে ঢাকা কেন এত পিছিয়ে

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল : নিরাপদ যাত্রার প্রত্যাশা

কর ফাঁকি : অর্থনীতির জন্য এক অশনি সংকেত

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় : উপকূলীয় সুরক্ষার শিক্ষা

যখন নদীগুলো অস্ত্র হয়ে ওঠে

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত মান উন্নয়নে গবেষণা ও উদ্ভাবন

বজ্রপাত ও তালগাছ : প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা

কুষ্ঠ ও বৈষম্য : মানবাধিকারের প্রশ্নে একটি অবহেলিত অধ্যায়

ছবি

প্রান্তজনের বাংলাদেশ

অতীতের ছায়ায় নতুন বাংলাদেশ : দুর্নীতি, উগ্রপন্থা ও সরকারের দায়

সাইবার নিরাপত্তা : অদৃশ্য যুদ্ধের সামনে আমাদের প্রস্তুতি

ছবি

বাহান্নর গর্ভে জন্ম নেয়া এক ঝড়ের পাখি

প্রবাসী শ্রমিক : অর্থের যন্ত্র নয়, রাষ্ট্রের সহযোদ্ধা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ

ভোগবাদের বিরুদ্ধে পোপ ফ্রান্সিসের জলবায়ু বার্তা

রম্যগদ্য : হাসি নিষেধ...

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন : দাবি ও সমাধানের পথ

সিরিয়ার পতন কিভাবে আমেরিকার স্বার্থকে হুমকিতে ফেলছে

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র : বিকল্প রাষ্ট্রচিন্তার সন্ধানে

tab

উপ-সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্য ও সেবার উন্নয়নে যোগাযোগব্যবস্থার প্রভাব

নাজমুল হুদা খান

রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ মেগাসিটি হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। আয়তনে দেশের ১ শতাংশের কম হলেও দেশের ১২% এর বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে। তাছাড়া প্রতিদিন জীবনজীবিকার প্রয়োজনে ঢাকার আশপাশে ও সারাদেশ থেকে প্রতিদিন যাতায়ত করে থাকে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই যানজট ও ট্রাফিক দুর্ভোগ আমাদের নিত্যসঙ্গী। ব্যাহত জীবন-জীবিকা, কর্মসংস্থান; ব্যাঘাত ঘটে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ও বিরূপ প্রভাব পড়ে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যসেবায়। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও রাজধানীকে কার্যক্ষম রাখা ও গণমানুষের চলাচলের উপযোগী রাখতে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একটি আধুনিক ও কার্যকরী পরিবহনব্যবস্থা দেশের ব্যবসা, পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম শর্ত। বিশ্বব্যাপী যানজট ও ট্রাফিক দুর্ভোগ সংশ্লিষ্ট দেশের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজটের ফলে জ্বালানি খরচ, যাতায়ত খরচ ও সময় এবং দূষণ বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তাসহ নানবিধ জটিল রোগ-ব্যাধির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে যানজটের ওপর গবেষণায় দেখা যায় যে, কর্মঘণ্টা নষ্ট ও জ্বালানি খরচ অপচয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বছরে ১২১ বিলিয়ন ডলার। চীনের প্রভাবশালী ১০টি শহরে ক্ষতির পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক নগরীর প্রধান সড়কসমূহের যানজটের ওপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা এবং অপচয় ঘটে ২ লাখ টাকার জ্বালানির। বুয়েটের এক গবেষণায় যানজটের কারণে বাংলাদেশে ২০১৮ সালে ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্টের তথ্য উঠে এসেছে। পরিবহন নিঃসৃত দূষিত গ্যাস যথা- ঈঙ২, ঈঙ, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, চগ, সালফার ডাই-অক্সাইড প্রভৃতি বিষাক্ত গ্যাস মিশে বাতাসকে শ্বাস-প্রশ্বাসের অযোগ্য করে তোলে। ব্যানিস্টারের গবেষণা বলছে, যানজট বাতাসে ২৬% কার্বন ডাই-অক্সাইড, ৫৪% নাইট্রাস অক্সাইড, ৫৭% লেড, ৭৪% কার্বন মনো-অক্সাইড এবং ২৮% ধূলিকনার জন্য দায়ী। বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা, বন্ধাত্ব ও মানসিক বৈকল্যের কারণ হিসেবে যানজটকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইংল্যান্ডের গবেষণালব্ধ তথ্যে বলা হয়েছে, বাতাসে ৩৫% নাইট্রাস অক্সাইড ও ১২% পিএম পরিবহন থেকে নিঃসৃত। এ ধরনের বায়ু ও শব্দদূষণের ফলে শ্বাসতন্ত্রের রোগজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধি, ফুসফুসের ক্যান্সার ও হৃদরোগের প্রকোপ ঘটে। বাণিজ্যিক নগরীর এক গবেষণায় যানজটের কারণে ৯৫ ভাগ মানুষের মানসিক চাপ, ৯২ ভাগের কর্মক্ষমতা হ্রাস, ৮০ ভাগের আয় কমে যাওয়া, ৭৭ শতাংশের জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি, শতকরা ৫৪ জনের হতাশা, ৭৭ জনের মেজাজ তিরিক্ষি, ৩৫% এর মাথা ব্যথা, ১৩% এর চোখে ব্যথা, ২৮% এর অবসাদগ্রস্ততা এবং শতকরা ৯২ জনের যাতায়তে সময় বেশি লাগার তথ্য উঠেছে। পক্ষান্তরে, মার্কিন গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন শহরে যানজট নিরসনের ফলে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমেছে ২১%, যাতায়তের সময় কমেছে ৩০%, জ্বালানি খরচ কমেছে ১০%, কমেছে সংশ্লিষ্ট রোগের ভোগান্তি ও মৃত্যু, বেড়েছে গড় আয়ু। স্টকহোমসের গবেষণা বলছে, ট্রাফিক দুর্ভোগ হ্রাসের ফলে ১৫ লাখ লোক বসবাসের এ শহরে যানজটসংশ্লিষ্ট ক্ষতিকারক প্রভাবের মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে অনেকাংশে। রাজধানীকে বাসযোগ্য রাখা, চলাচলে গতি আনয়ন, দুর্বিষহ যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার, উড়াল সড়কের পর এশিয়ার মধ্যে ২২তম দেশ হিসেবে মেট্রোরেল চালু হয়েছে বাংলাদেশে। বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে শহরের ভেতরে গণপরিবহন হিসাবে মেট্রোরেল সেবা চালু রয়েছে। ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ কিলোমিটার। এ রেলের সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মোট ১৭টি স্টেশনে থেমে এ ২২ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করতে মেট্রোরেলের মোট সময় লাগবে ৪০ মিনিট। ঢাকা শহরে এত দ্রুতগতিতে যান চলাচল ও এত অল্প সময়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া সত্যি স্বপ্নের মতো। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে আসে যে গত ১০ মাসে মেট্রোরেলে যারা নিয়মিত যাতায়াত করেছেন তাদের প্রায় ৬০ ভাগই এতদিন বাসে যাতায়াত করতেন। সুতরাং, মেট্রোরেল চালু হলে রাস্তায় বাসের সংখ্যা কমবে এবং তা যানজট নিরসনে বড় ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে ঢাকা শহরের যানজটের ভোগান্তি কমাতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়ক চালু হয়েছে। প্রায় ২০ কিমি দৈর্ঘ্যরে এই প্রকল্পটি বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ পর্যন্ত সাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। মেগাসিটি ঢাকা শহরে নির্মিত প্রধান ৮টি ফ্লাইওভার রাজধানীর যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, গুলশান, কুড়িল, মগবাজার ও বনানীসহ প্রতিটি ফ্লাইওভার সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসহ সারাশহরের যানজট নিরসনে কার্যকরী ও অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলছে। সম্প্রতি চালু হওয়া দোহাজারি- কক্সবাজার রেললাইন এবং কর্ণফুলী পাতাল সড়ক সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসহ সারাদেশের যাতায়তব্যবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দেবে। পদ্মা সেতু সংযোজন করেছে দেশের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে, যা এতদঞ্চলের পণ্য পরিবহন, শ্রম বাজার সম্প্রসারণ, কলকারখানা বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছে। ভূমিকা রাখছে জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের প্রায় ৮ কোটি মানুষ পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হচ্ছে। যোগাযোগব্যবস্থা একদিকে যেমন দেশের আর্থসামাজিক, জীববৈচিত্র্য, টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখে; তেমনি স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছাপ রাখে। স্বাস্থ্যের উন্নয়নের অন্যতম উপাদান মানুষের কর্মসংস্থান। কারণ কর্মসংস্থান প্রত্যক্ষভাবে একজন ব্যক্তি বা তার পরিবারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় জড়িত। দেশে নতুন সংযোজিত এ আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থার ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসমূহে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান গড়ে উঠবে ও আয় বাড়বে। ফলশ্রুতিতে পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থাপনা ও সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। মানুষের জীবনযাত্রার মান্নোয়ন, স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং মানুষের গড় আয়ুও বৃদ্ধি পাবে। এক কথায় বলা যায়, মানুষের আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটবে এবং সুস্থভাবে উন্নত ও দীর্ঘ জীবন লাভে সক্ষম হবে। মেট্রোরেল এবং উড়াল সড়ক চালুর পর আশপাশের অঞ্চল থেকে রাজধানীতে যাতায়াতের সময় প্রায় ১ থেকে ৪ ঘণ্টা হ্রাস পাবে। চিকিৎসাবিজ্ঞান, বিশেষ করে জরুরি শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে ‘Six hour rule’ বা ‘৬ ঘণ্টা নীতি’ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা। যত কম সময়ে রোগীর শল্য চিকিৎসা বা ব্যবস্থাপনা প্রদান করা যায়, রোগীর জীবন বা অঙ্গহানি ঘটার সম্ভাবনা ততটা কম থাকে। রোগীর দেহে সাধারণত প্রতি ঘণ্টায় ১ মি.মি. গভীরে সুস্থ কোষ/কলাসমূহে সংক্রমিত হয়। এজন্য কম সময়ের মধ্যে চিকিৎসা বা শল্য চিকিৎসা করা সম্ভব হলে রোগীর আরোগ্য লাভ ঘটে দ্রুত এবং জটিলতা হ্রাস পায়। রাজধানীসহ আশপাশের অঞ্চল থেকে অনেক মুমূর্ষু রোগীকে বহন করতে সময়ক্ষেপণের কারণে বহু মানুষের রোগের জটিল অবস্থা কিংবা মৃত্যু ঘটে। আধুনিক এ যাতায়তব্যবস্থা নিঃসন্দেহে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পেতে সহজতর করে তুলবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকা পরিবহন থেকে নিঃসৃত কালো ধোঁয়া হ্রাস করে ঢাকার বাতাসকে অনেকটা দূষণমুক্ত রাখতে সহায়তা করবে। শহরের মানুষকে শ্বাসতন্ত্র, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ দূষণ সৃষ্ট জটিল ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখতে ভূমিকা রাখবে। জাতিসংঘের মতে, বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় শ্রেয়তর স্বাস্থ্য অবকাঠামো রয়েছে, যথা- ৫০০টি উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পাঁচ হাজার ইউনিয়ন সাবসেন্টার এবং ১৩ হাজারের অধিক কমিউনিটি ক্লিনিক মাঠ পর্যায় এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবা প্রদানে নিয়োজিত রয়েছে। মেগা সিটি ঢাকার জনসংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি।

যোগাযোগব্যবস্থা একদিকে যেমন দেশের আর্থসামাজিক, জীববৈচিত্র্য, টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখে; তেমনি স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছাপ রাখে

জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রায় ৩৪ হাজার বর্গকিমি। বিভাগ ও প্রায় সব জেলা পর্যায়ে মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতাল থাকলেও সারাদেশের সিংহভাগ মানুষ বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবার জন্য রাজধানীর ওপর নির্ভরশীল। আধুনিক এ যোগাযোগব্যবস্থা ঢাকা সিটি দক্ষিণের বাসিন্দাদের বিএসএমএমইউ, ঢাকা মেডিকেল, মিটফোর্ড, মুগদা প্রভৃতি এবং ঢাকা সিটি উত্তরে নিটোর, শিশু, হৃদরোগ, কুর্মিটোলা হাসপাতালসমূহের সেবা পেতে এখন নিঃসন্দেহে আরও সহজতর হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী এসব হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে যানজটের দুর্দশাও অনেকাংশে লাঘব হবে। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে দৈনিক শত শত রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স রাজধানীমুখী হয়, কিন্তু যানজটের কারণে অনেক রোগীকে সঠিক সময়ে শেষ চিকিৎসা না নিয়েই মৃত্যুর মুখে পতিত হতে দেখা যায়। আধুনিক এ যোগাযোগব্যবস্থা বিপন্ন মানুষকে সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে সেবা গ্রহণে অনেকাংশে সক্ষম করে তুলবে। পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে হালের মেট্রোরেল, উড়াল সড়ক, ফ্লাইওভার এবং সর্বশেষ চালু কর্ণফুলী পাতাল সড়ক এবং দোহাজারি- কক্সবাজার রেলপথ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের সিংহভাগ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।

[লেখক: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, প্রেষণে কুয়েতে নিযুক্ত]

back to top