alt

উপ-সম্পাদকীয়

‘বলদ কবে চালাক হবে’

জাঁ-নেসার ওসমান

: শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হাইসেন না ভাই, হাইসেন না! এই বলদগুলার জ্বালায় নিজের দেশে নিজেরে বিদেশি মনে হয়। পরবাসী নিজ দেশে! এই বলদগুলারে চিনলেন না? আরে এই বলদগুলা এবারের সর্বজন গণতন্ত্রের ভোটে স্বতন্ত্র ক্যান্ডিডেট হিসেবে এমপি হইছে। আরে ভাই এমপি হইছস মাল কামাবি, তা না হুমুন্দিরপুত পঞ্চাশ বছরের ময়লা পরিষ্কার কইরা নদীতে বান ডাকতাছে। হালা বলদা জানি কোনখানকার!

আরে বলদের বাচ্চা বলদ, পাবলিকের ভোটে তুই এমপি হইছস, ওই ব্যাটা তোর পোস্টার, ব্যানার লিফলেট, ক্যাডারদের পিস্তল ভাড়া, কর্মীর চা-পানি, রেন্ট-এ-কারের খরচ এসব টাকা তুই তুলবি না এতো ট্যাকা যে ইনভেস্ট করলি, এইডা সূদসহ উঠাবি না! কোনখার কার বলদ আইছে, দেশের উপকার করবো।

হিঃ হিঃ হিঃ আমি হাইস্যা মরি আবে হুমুন্দিরপুত তোর জন্মের আগে, উনিশ শ একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বড় বড় এমপিরা পর্যন্ত নির্বাচনের ট্যাকা সুদে-আসলে তুইল্লা লইলো আর তুমি আইছ বীর হনুমান, গন্ধমাদন পর্বত একলা মাথায় লইয়া ঘুরবি। পঞ্চাশ বছরের ময়লা একলা পরিষ্কার করবি। কুনো প্রকার ট্যাকা কামাইবা না। কাবিখার গম নিজে খাবা না, জেনুইন পাবলিকের মাঝে গম বিলাইবা! কাবিখার সরকারি গম বাজারে বিক্রি করবা না! হালার বলদার পোলা বলদা, এসব না করলে তুই এমপি হইছস ক্যান, ক্যান, ক্যান!

দাঁড়ান দাঁড়ান এই নতুন বলদের কথা বলার আগে রিসেন্ট কয়টা বলদের কথা বলি।

রিসেন্ট বলদগুলারে চিনলেন না? আরে ভাই একটা হইলো শুনেন- ওই যে রূপসীপুর নাকি সুন্দরপুর, আরে মরার জ্বালা; ওই যে, যেখানে নতুন সব কিছু ক্লিয়ার কইরা দেয়, মানে নিউ সব কিছু পরিষ্কার করে, টাশকি নাকি যেন জায়গাটার নাম; ওই হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট থ্যাইক্কা বিক্রমাদিত্তের সেনাপতি নাকি কোটাল নাকি নবরতেœর কেউ মাননীয় বলদস্যারের পিডির কাছে আব্দার করছে প্রজেক্ট হইতে আমাদিগকে একশত কোটি স্বর্ণমুদ্রা প্রদান করিবেন প্লিজ।

পিডি যথারীতি প্রটোকল মানিয়া অক্সেন স্যারের কাছে উনাদের খায়েসের কথা প্রকাশ করিলেন। ব্যাস আর যায় কোথায়, অক্সেন স্যার বিষয়টা ব্রম্মাকে জানাইলেন ও ইন্দ্রের অনুমতি লইয়া একশত কোটি স্বর্ণমুদ্রা যাঞ্ছাকারীদের তাহার আলয়ে কল করিয়া ক্লোজডডোর মিটিংয়ে বসিলেন।

ও খোদা কি আর বলিব, ক্লোজডডোর মিটিংয়ে বলদের গলার ভ্যাঁ-উ, ভ্যাঁ-উ, উচ্চস্বর বারান্ডা হইতে শোনা যাইতেছে আর বারান্ডায় ভিড় জমিয়া গিয়াছে। আপনাদের এই চুরির জন্য বাংলাদেশ শ্মশাণে পরিণত হইতেছে। রাগের চোটে ল্যাঙ্গুয়েজ চেঞ্জ, হুমুন্দিরপুতেরা খালি ট্যাকার পিছনে ঘুরস, তোদের দাদা ঘুরতো খালিপায়ে, তোর বাপ ঘুরতো খড়ম পায়ে, সেই খড়মপেয়ো কিখানের ছেলেরা তোদের একশত কোটি স্বর্ণমুদ্রা লাগবো। দেশের কথা ভুইল্লা খালি ট্যাকা আর ট্যাকা। এই তোগো ট্যাকা চুরির জন্য কি, মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ জনগন জান দিলো। হুড়–ম ঢ্যাড়াসের পুত।

এদিকে বারান্ডায় আনন্দের আর সীমা নাই। যেই কোটালের ডরে সব কাঁপতো, সেই কোটালরে বলদ স্যারে গাইল্লাইতেছে, মজারে মজা। কে আবার টিটকারী মারলো পাপে ছাড়েনা বাপেরে। এইসব গালাগালির পর বিক্রমাদিত্তের সেনাপতি নাকি কোটাল নাকি নবরতেœর সদস্যরা বড়ই বিব্রত হইয়া উঠিলো। তাহারা নিজগোর মাঝে বলাবলি করিলো,এই বলদদের জ্বালায় আমরা ঠিকমতো মাল কামাইতে পারছিনা। কি করি! তখন সেনাপতি নাকি কোটাল নাকি নবরতেœর কে একজন এই বলদটাকে চালাক বানাবার জন্য জেনারেল ফুড ইনফরমেশনের লোকেদের অক্সেন স্যারের বাসায় ব্রিফকেস ভর্তী পাঁচ কোটি ট্যাকা ঘুষ দিয়া পাঠাইলো। বলদ যদি ক্যাশ ট্যাকা দ্যেইক্কা একটু চালাক চতুর হয়। ও মা, ব্রিফকেস ভর্তি পাঁচ কোটি ট্যাকা দ্যেইক্কা চালাক চতুর হওয়া তো দূরের কথা, বলদ কয় কি, আপনারা মনে হয় ভুল ঠিকানায় এসেছেন। এটা অন্য কোথাও নিয়ে যান।

জেনারেল ফুড ইনফরমেশনের লোকেরা নিজেরা একটু মুখ চাওয়া-চাওয়ি করিয়া ভাবিয়া বলিলো, ‘ভাবিকে একটু দেখান, তাহলে হয়তো আপনার আক্কেল খুলতে পারে।’

ও-হরি, ব্রিফকেস ভর্তি পাঁচ কোটি ট্যাকা দ্যেইক্কা বলদের বৌ, বলে কি- ‘আমি এই ট্যাকার উপর ছ্যাপ মারি।’ তখন বহনকারী বলে কি, ‘বেশিদিন আর বলদ থাকবেন না, কিছুদিন পরেই আপনারা চালাক হবেন।’ বলদ বলে, ‘ওই গেলি!’ পরে জেনারেল ফুড ইনফরমেশনের লোকেরা অনেক গবেষণা করিয়া বাহির করিলো যে, কেন বলদটা পনের বছরেও চালাক চতুর হইলো না, কেন কোটি কোটি ট্যাকা কামাইলো না!

কেন শত শত তরুণকে কাজ দিয়াও চাকরি বাণিজ্য করিলো না? কারণ খুব ছোটবেলায় নাকি এই বলদ, ময়লা মানে বিষ্ঠার গামলায় পড়িয়াছিলো, তখন তাহার পিতা এই বলদটাকে পুকুরে নিয়ে পাঁচশত সত্তর সাবান দিয়া সাফ করিয়াদেন। আর সেই যে সাফ করিয়াছেন, সেই থেকে আর কোনো ময়লা এই বলদকে নোংরা করতে পারেনি। সাধু সাধু। এবার বলি নতুন যে বলদটা এমপি হয়ে সংসদে আসছেন, উনিও আমাদের বলদের মতো মাল কামাবেন না, কেবল দেশের জন্য সোনার বাংলা গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করবেন। জনগণের জন্য সৎ-সুন্দররূপে কাজ করবেন বলে কথা দিয়েছেন।

এবারের ইলেকশনে দেখা যাচ্ছে যে প্রচুর সীমান্ত বলদ ভোটাভুটিতে পাস করেছেন। ফলে রাখাল বাদশার মতো এবার দেশ ও জাতি বলদ দারা শাষিত হবে। বলদ যদি কাজ করে তাহলে কোনো দোষ দেখি না; কিন্তু ভয় হয়, বলদগুলো যদি চালাক হয়ে ওঠে তাহলে কি হবে?

যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা; যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই, প্রীতি নেই, করুণার আলোড়ন নেই/ পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।

[লেখক : চলচ্চিত্র নির্মাতা]

বিয়ের কিছু লোকাচার ও অপব্যয় প্রসঙ্গে

ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পকে রক্ষা করুন

তরুণদের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব

শিশুমৃত্যু রোধে করণীয় কী

সিগমুন্ড ফ্রয়েড ও মনঃসমীক্ষণ

ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ও বাস্তবতা

স্বামী কিংবা স্ত্রীর পরবর্তী বিয়ের আইনি প্রতিকার ও বাস্তবতা

তথ্য-উপাত্তের গরমিলে বাজারে অস্থিরতা, অর্থনীতিতে বিভ্রান্তি

দেশে অফশোর ব্যাংকিংয়ের গুরুত্ব

ইরানে কট্টরপন্থার সাময়িক পরাজয়

পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থার ভবিষ্যৎ কী

ক্ষমতার সাতকাহন

জলবায়ু সংকট : আমাদের উপলব্ধি

নারী-পুরুষ চুড়ি পরি, দেশের অন্যায় দূর করি!

ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার সবার

ছবি

সাধারণ মানুষেরা বড় অসাধারণ

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও কারিগরি শিক্ষা

মাদক রুখতে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ

পারিবারিক অপরাধপ্রবণতা ও কয়েকটি প্রশ্ন

ডারউইনকে খুঁজে পেয়েছি

চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ফসল উৎপাদন করা জরুরি

পিএসসি প্রশ্নফাঁসের দায় এড়াবে কীভাবে

এত উন্নয়নের পরও বাসযোগ্যতায় কেন পিছিয়েই থাকছে ঢাকা

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য কি কেউ নেই?

জলবায়ু রক্ষায় কাজের কাজ কি কিছু হচ্ছে

অধরার হাতে সমর্পিত ক্ষমতা

প্রসঙ্গ : কোটাবিরোধী আন্দোলন

রম্যগদ্য : যে করিবে চালাকি, বুঝিবে তার জ্বালা কী

একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলার পরিণতি

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা কেন শ্রেণীকক্ষের বাইরে

মেধা নিয়ে কম মেধাবীর ভাবনা

প্রজাতন্ত্রের সেবক কেন ফ্রাঙ্কেনস্টাইন বনে যান

ছবি

বাইডেন কি দলে বোঝা হয়ে যাচ্ছেন?

ছবি

দুই যুগের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সাপ উপকারী প্রাণীও বটে!

ছবি

বাস্তববাদী রাজনীতিক জ্যোতি বসু

tab

উপ-সম্পাদকীয়

‘বলদ কবে চালাক হবে’

জাঁ-নেসার ওসমান

শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হাইসেন না ভাই, হাইসেন না! এই বলদগুলার জ্বালায় নিজের দেশে নিজেরে বিদেশি মনে হয়। পরবাসী নিজ দেশে! এই বলদগুলারে চিনলেন না? আরে এই বলদগুলা এবারের সর্বজন গণতন্ত্রের ভোটে স্বতন্ত্র ক্যান্ডিডেট হিসেবে এমপি হইছে। আরে ভাই এমপি হইছস মাল কামাবি, তা না হুমুন্দিরপুত পঞ্চাশ বছরের ময়লা পরিষ্কার কইরা নদীতে বান ডাকতাছে। হালা বলদা জানি কোনখানকার!

আরে বলদের বাচ্চা বলদ, পাবলিকের ভোটে তুই এমপি হইছস, ওই ব্যাটা তোর পোস্টার, ব্যানার লিফলেট, ক্যাডারদের পিস্তল ভাড়া, কর্মীর চা-পানি, রেন্ট-এ-কারের খরচ এসব টাকা তুই তুলবি না এতো ট্যাকা যে ইনভেস্ট করলি, এইডা সূদসহ উঠাবি না! কোনখার কার বলদ আইছে, দেশের উপকার করবো।

হিঃ হিঃ হিঃ আমি হাইস্যা মরি আবে হুমুন্দিরপুত তোর জন্মের আগে, উনিশ শ একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বড় বড় এমপিরা পর্যন্ত নির্বাচনের ট্যাকা সুদে-আসলে তুইল্লা লইলো আর তুমি আইছ বীর হনুমান, গন্ধমাদন পর্বত একলা মাথায় লইয়া ঘুরবি। পঞ্চাশ বছরের ময়লা একলা পরিষ্কার করবি। কুনো প্রকার ট্যাকা কামাইবা না। কাবিখার গম নিজে খাবা না, জেনুইন পাবলিকের মাঝে গম বিলাইবা! কাবিখার সরকারি গম বাজারে বিক্রি করবা না! হালার বলদার পোলা বলদা, এসব না করলে তুই এমপি হইছস ক্যান, ক্যান, ক্যান!

দাঁড়ান দাঁড়ান এই নতুন বলদের কথা বলার আগে রিসেন্ট কয়টা বলদের কথা বলি।

রিসেন্ট বলদগুলারে চিনলেন না? আরে ভাই একটা হইলো শুনেন- ওই যে রূপসীপুর নাকি সুন্দরপুর, আরে মরার জ্বালা; ওই যে, যেখানে নতুন সব কিছু ক্লিয়ার কইরা দেয়, মানে নিউ সব কিছু পরিষ্কার করে, টাশকি নাকি যেন জায়গাটার নাম; ওই হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট থ্যাইক্কা বিক্রমাদিত্তের সেনাপতি নাকি কোটাল নাকি নবরতেœর কেউ মাননীয় বলদস্যারের পিডির কাছে আব্দার করছে প্রজেক্ট হইতে আমাদিগকে একশত কোটি স্বর্ণমুদ্রা প্রদান করিবেন প্লিজ।

পিডি যথারীতি প্রটোকল মানিয়া অক্সেন স্যারের কাছে উনাদের খায়েসের কথা প্রকাশ করিলেন। ব্যাস আর যায় কোথায়, অক্সেন স্যার বিষয়টা ব্রম্মাকে জানাইলেন ও ইন্দ্রের অনুমতি লইয়া একশত কোটি স্বর্ণমুদ্রা যাঞ্ছাকারীদের তাহার আলয়ে কল করিয়া ক্লোজডডোর মিটিংয়ে বসিলেন।

ও খোদা কি আর বলিব, ক্লোজডডোর মিটিংয়ে বলদের গলার ভ্যাঁ-উ, ভ্যাঁ-উ, উচ্চস্বর বারান্ডা হইতে শোনা যাইতেছে আর বারান্ডায় ভিড় জমিয়া গিয়াছে। আপনাদের এই চুরির জন্য বাংলাদেশ শ্মশাণে পরিণত হইতেছে। রাগের চোটে ল্যাঙ্গুয়েজ চেঞ্জ, হুমুন্দিরপুতেরা খালি ট্যাকার পিছনে ঘুরস, তোদের দাদা ঘুরতো খালিপায়ে, তোর বাপ ঘুরতো খড়ম পায়ে, সেই খড়মপেয়ো কিখানের ছেলেরা তোদের একশত কোটি স্বর্ণমুদ্রা লাগবো। দেশের কথা ভুইল্লা খালি ট্যাকা আর ট্যাকা। এই তোগো ট্যাকা চুরির জন্য কি, মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ জনগন জান দিলো। হুড়–ম ঢ্যাড়াসের পুত।

এদিকে বারান্ডায় আনন্দের আর সীমা নাই। যেই কোটালের ডরে সব কাঁপতো, সেই কোটালরে বলদ স্যারে গাইল্লাইতেছে, মজারে মজা। কে আবার টিটকারী মারলো পাপে ছাড়েনা বাপেরে। এইসব গালাগালির পর বিক্রমাদিত্তের সেনাপতি নাকি কোটাল নাকি নবরতেœর সদস্যরা বড়ই বিব্রত হইয়া উঠিলো। তাহারা নিজগোর মাঝে বলাবলি করিলো,এই বলদদের জ্বালায় আমরা ঠিকমতো মাল কামাইতে পারছিনা। কি করি! তখন সেনাপতি নাকি কোটাল নাকি নবরতেœর কে একজন এই বলদটাকে চালাক বানাবার জন্য জেনারেল ফুড ইনফরমেশনের লোকেদের অক্সেন স্যারের বাসায় ব্রিফকেস ভর্তী পাঁচ কোটি ট্যাকা ঘুষ দিয়া পাঠাইলো। বলদ যদি ক্যাশ ট্যাকা দ্যেইক্কা একটু চালাক চতুর হয়। ও মা, ব্রিফকেস ভর্তি পাঁচ কোটি ট্যাকা দ্যেইক্কা চালাক চতুর হওয়া তো দূরের কথা, বলদ কয় কি, আপনারা মনে হয় ভুল ঠিকানায় এসেছেন। এটা অন্য কোথাও নিয়ে যান।

জেনারেল ফুড ইনফরমেশনের লোকেরা নিজেরা একটু মুখ চাওয়া-চাওয়ি করিয়া ভাবিয়া বলিলো, ‘ভাবিকে একটু দেখান, তাহলে হয়তো আপনার আক্কেল খুলতে পারে।’

ও-হরি, ব্রিফকেস ভর্তি পাঁচ কোটি ট্যাকা দ্যেইক্কা বলদের বৌ, বলে কি- ‘আমি এই ট্যাকার উপর ছ্যাপ মারি।’ তখন বহনকারী বলে কি, ‘বেশিদিন আর বলদ থাকবেন না, কিছুদিন পরেই আপনারা চালাক হবেন।’ বলদ বলে, ‘ওই গেলি!’ পরে জেনারেল ফুড ইনফরমেশনের লোকেরা অনেক গবেষণা করিয়া বাহির করিলো যে, কেন বলদটা পনের বছরেও চালাক চতুর হইলো না, কেন কোটি কোটি ট্যাকা কামাইলো না!

কেন শত শত তরুণকে কাজ দিয়াও চাকরি বাণিজ্য করিলো না? কারণ খুব ছোটবেলায় নাকি এই বলদ, ময়লা মানে বিষ্ঠার গামলায় পড়িয়াছিলো, তখন তাহার পিতা এই বলদটাকে পুকুরে নিয়ে পাঁচশত সত্তর সাবান দিয়া সাফ করিয়াদেন। আর সেই যে সাফ করিয়াছেন, সেই থেকে আর কোনো ময়লা এই বলদকে নোংরা করতে পারেনি। সাধু সাধু। এবার বলি নতুন যে বলদটা এমপি হয়ে সংসদে আসছেন, উনিও আমাদের বলদের মতো মাল কামাবেন না, কেবল দেশের জন্য সোনার বাংলা গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করবেন। জনগণের জন্য সৎ-সুন্দররূপে কাজ করবেন বলে কথা দিয়েছেন।

এবারের ইলেকশনে দেখা যাচ্ছে যে প্রচুর সীমান্ত বলদ ভোটাভুটিতে পাস করেছেন। ফলে রাখাল বাদশার মতো এবার দেশ ও জাতি বলদ দারা শাষিত হবে। বলদ যদি কাজ করে তাহলে কোনো দোষ দেখি না; কিন্তু ভয় হয়, বলদগুলো যদি চালাক হয়ে ওঠে তাহলে কি হবে?

যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা; যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই, প্রীতি নেই, করুণার আলোড়ন নেই/ পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।

[লেখক : চলচ্চিত্র নির্মাতা]

back to top