alt

উপ-সম্পাদকীয়

উদার-উদ্দাম বৈশাখ চাই

মো. শহীদুল্লাহ সিকদার

: শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

মানব সভ্যতার শুরু থেকে সময়ের হিসাব বা সময় গননা সভ্যতার একটি বড় নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। বিভিন্ন সভ্যতা সময় গননার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আবিষ্কার করে এবং বিভিন্ন ভাবে সময়ের হিসেব করা শুরু করে। কেননা সময়ের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। মানুষ তো পৃথিবির প্রাণী কুলের মধ্যে সব চাইতে বুদ্ধিমান জাতি। যারা বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে মানব সভ্যতাকে উত্তরোত্তর উন্নতি সাধন করেছে এবং অন্য সকল প্রাণীকুলকে তার অধিনস্ত করেছে। তবে সময়ের হিসেব প্রকৃতির মাঝে এবং অন্যান্য প্রাণী কুলের মাঝে প্রথম লক্ষ্য করা যায়। মানুষ লক্ষ্য করল যে, প্রকৃতি ভিন্নভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন সাজে সাজে, নির্দিষ্ট সময় পরপর নির্দিষ্ট কিছু গাছে ফুল ফোটে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট গাছে ফল ধরে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকৃতির তাপমাত্রা নির্দিষ্টভাবে ওঠা নামা করে। ভিন্নভিন্ন সময়ে প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন রূপ দেখা যায়, কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন প্রাণী বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন করে। নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন প্রাণী বিচরন করে। এ সকল বিষয় পর্যালচনা করে মানুষ চিন্তা করল সময়ে একটি নির্দিষ্ট আবর্তন প্রক্রিয়া আছে। যার দরুন একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর এ সকল বিষয় ঘুরে ঘুরে আসে। আর এই আবর্তন প্রকৃতি এবং অন্যান্য প্রাণীকুল যুগযুগ ধরে রপ্ত করে আসছে। মানুষ এই সময়ের আবর্তনকে হিসেবে রাখার জন্য পদ্ধতি আবিষ্কারের চিন্তা শুরু করল। কেননা সময়ের এই আবর্তনকে হিসেবে না আনতে পারলে মানুষ তার জীবন ধারনের জন্য আবশ্যক কর্মকান্ড করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। মানুষ প্রথম দিকে অন্যান্য প্রাণী শিকার করে জীবন ধারন করত। এই শিকারও সময়ের উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রাণী বিচরন করে বিভিন্ন প্রাণী বিভিন্ন সময়ে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ভ্রমণ করে। কৃষিকাজ ও সময়ের উপর নির্ভরশীল প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বৃক্ষরাজী ফুল ফল ফসল উৎপন্ন হয়। আবার প্রকৃতির তাপমাত্রা বিভিন্ন সময় ওঠা নামা করে। ঝর বৃষ্টি সূর্য কীরন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম থাকে। বিভিন্ন সময়ে নদী এবং সমুদ্রের ভিন্ন ভিন্ন রূপ থাকে। আকাশে চাঁদ তারার ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। এই সকল বিষয় বিবেচনা করে মানুষ সময়ের হিসেব রাখাটাকে অত্যন্ত জরুরী বিষয় হিসেবে বিএবচনায় নেয়। দেখা যায় বিভিন্ন সভ্যতার মানুষ তাদের বর্ষপঞ্জী আবিষ্কার করেছে সময়ের হিসেব রাখতে। কোন জাতি চন্দ্রের হিসেবে বছরের হিসেব করেছে। কোন কোন জাতি সূর্যের হিসেবে বর্ষ গণনা করেছে। তবে প্রকৃতির পরিবর্তন এবং কৃষি কাজের সুবিধার জন্য বাঙালি জাতি বাংলা বর্ষপঞ্জী প্রণয়ন করে সেই গ্রেগরীয় যুগে। যা সঠিকভাবে বছরের এবং ঋতু পরিবর্তনের হিসেব রাখতে সাহায্য করে। এই বাংলা বর্ষ পঞ্জিকা হিসেবে বছরের প্রথম দিন হল বৈশাখের প্রথম দিন। একে বাঙালি বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালন করে আসছে সেই আদি যুগ থেকে। পহেলা বৈশাখের যে উৎসব তার আতুড়ঘর, সৃষ্টির ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে রাজা-বাদশাহদের প্রাসাদে। নববর্ষ অর্থাৎ নতুন বছর, একেবারে নির্দিষ্ট করে বললে বলতে হয় নতুন বঙ্গাব্দর জন্ম মোগল বাদশাহ আকবরের দরবারে। আকবরই এই সনের প্রবর্তক। বাংলাপিডিয়ায় উল্লেখ আছে- কৃষিকাজের সুবিধার্থেই মুগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ অথবা ১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় তার সিংহাসন আরোহণের সময় থেকে (৫ নভেম্বর ১৫৫৬)। প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এভাবে শুরু হয়ে এখন পহেলা বৈশাখা আমাদের বাঙ্গালিদের প্রাণের উতসবে পরিনত হয়েছে। ধনী গরীব শ্রেণী পেশা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এ উৎসব সকলের উৎসব।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির ঐতিহ্য হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বৈশাখ মানেই হল একটি পরিবর্তন, একটি শক্তি, একটি প্রলয় সৃষ্টিকারী উষ্ণতার আবেশ। পুরাতনকে ঝেরে ফেলে নতুনকে বরন করে নেবার একটি শুভক্ষন। সমস্ত জরা-জীর্ণতা প্রাণহীন শুষ্কতাকে প্রলয়ঙ্করী প্রাকৃতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে জীবনের নতুন শক্তি সঞ্চারের আবহ তৈরির যে মাস সেটি হল বৈশাখ। ঋতু পরিবর্তনের সবচাইতে উল্লেখযোগ্য মাস বাঙালির বাংলা বর্ষের প্রথম মাস এবং সেই প্রথম মাসকে বরন করে নেয়ার যে রীতী আবহমান কাল থেকে বাংলায় এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে আসছে। আজকের দিনে নববর্ষ উদযাপনের এই যে চিরায়ত সাংস্কৃতিক উৎসবের রিতি সেটি শুধু বাংলাদেশে নয় বাংলা ভাষাভাষি মানুষ পৃথীবির যেখানেই আছে এশিয়া ইউরোপ সহ পৃথীবির বিভন্ন স্থানে উদযাপন করতে দেখা যায়। আমি একবার লস এঞ্জেলস এ জুন মাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করার অনুষ্ঠান দেখেছি বাংলা ভাষাভাষি আমেরিকানদের মাঝে। একই ভাবে জাপেনে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান দেখার সৌভাগ্য হয়েছে, লন্ডনেও, নববর্ষ উদযাপন করতে দেখেছি। সুতরাং এই যে নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ উদযাপনের বিষয়টি এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি অপরিহার্য এবং চিরায়ত অনুষঙ্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তা হওয়ার খুব সংগত কারন বাংলাদেশের প্রকৃতির মাঝে বিরাজমান। এই মাটি থেকে, এই জল থেকে, এই ভূমী থেকে জন্ম নেয়া এখানকার মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই বৈশাখকে ভালোবাসার যে হৃদয় সেটি নিয়ে বড় হচ্ছে এবং খুব সহজাত একটা স্বাভাবিক আকর্ষন অনুভব করে বৈশাখের পরিবর্তনের সময় বাঙালি। পৃথিবীর প্রাণী এবং জরা জগৎ প্রকৃতির লালিত সন্তানের মত বেড়ে উঠে অন্য প্রাণীরা যেমন প্রকৃতির কাছে বৃষ্টি এবং ক্ষরার উপর নির্ভরশীল বা প্রভাবিত ঠিক তেমনি মানুষও কিন্তু এই ঋতু পরিবর্তনের সাথে কোন না কোন ভাবে নিজের জীবনকে মিশিয়ে রেখেছে, এই মেশানো কোন অপ্রাকৃতিক নয়।

বৈশাখ প্রতি বছরই আমাদের কাছে নতুন করে ধরা দেয়। এ যেন চিরায়ত একটি অনুভূতি যা পুরাতন হবার নয়। প্রতি বছরই বাঙালি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে প্রকৃতির এই পরিবর্তনের জন্য। এই দিন আসলেই প্রতিটি বাঙালি মনে একটি উৎসব উৎসব আমেজ বিরাজ করে। শুরু হয় বাঙালির বিভিন্ন আয়োজন। বৈশাখে বাঙালি নিজেদের আবার অনুভব করতে চায় বাঙ্গালিয়ানার চর্চার মাধ্যমে। বৈশাখের শুরুতেই পান্তা ইলিশ দিয়ে হয় উৎসবের শুরু, মঙ্গল শোভা যাত্রা, সম্মিলিত বৈশাখ বরন গান, তারপর পিঠা-পুলি, গান-বাজনা, নাচ-মঞ্চ নাটক, বৈশাখী মেলা, গ্রাম বাংলার মাঠে ঘাটে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন, বাউল গান, জারি, গান, সারি গান, নৌকা বাইচ, লাঠি খেলা, মেলাতে দেশি- বিদেশি পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয়, কুটির শিল্পের প্রদর্শনী, হাতে তৈরি শিল্পের প্রদর্শনী, মৃত শিল্পের প্রদর্শনী, রকমারি আয়োজন, দোকানে দোকানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হালখাতা আয়োজন এরুপ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৌশাখকে মানুষ বরন করে নেয়। তবে এ বরনের সংস্কৃতি খুব স্বাভাবিক, সহজাত এবং প্রকৃতিগত ভাবেই তৈরি হয়েছে।

নতুন বছর নতুন আশা-প্রত্যাশা। এ যেন নতুনকে বরন করে পুরাতনকে ঝেরে ফেলার আনন্দ। বৈশাখ এর কাছে আমাদের প্রত্যশা হলো বৈশাখ সমস্ত পশ্চাৎপদতা, সমস্ত পুরাতন জীর্ণতাকে মুছে দিবে, নতুন আবহে জীবনের নতুন মাত্রা সৃষ্টির করবে, পরিবর্তনের সুবাতাস বয়ে নিয়ে আসবে, নিয়ে আসবে কল্যানের বার্তা। আজকে বাঙালি সমাজে এই যে নববর্ষের সংস্কৃতিক কর্মকান্ড, এই আবেদন নানা ভাবে ব্যাবসায়িক রাজনৈতিক এবং গোষ্ঠীগত স্বার্থে ব্যবহার করার একটি অশুভ চর্চা দেখা যায়। আবার বৈশাখের যে যুগ যুগ ধরে প্রচলিত সুন্দর, সাবলিল, ঐতিহ্যগত পরিচ্ছন্ন সংস্কৃতি যা বাঙালি মনকে শীতল করে আবার বাঙালির এ সংস্কৃতিকে সাড়া বিশ্বে বাঙালির বাঙ্গালিয়ানার পরিচয়ে পরিচয় করিয়ে দেয়, সেই উৎসবের সংস্কৃতি যেন অন্য কোন বিজাতীয় উৎসবের দ্বারা, বা অন্য কোন দেশের উগ্র, অশালীন সংস্কৃতির সংমিশ্রনে কুলশিত না হয় সেদিকে গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের ঐতিহ্য ও সুস্থ্য ধারার সংস্কৃতিকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আপদমস্তক উপস্থাপন করতে হবে যেন এ ঐতিহ্য ম্লান না হয়ে যায় বা হারিয়ে না যায়।

যদি বৈশাখ প্রকৃতির দান হয়ে থাকে এবং প্রকৃতির সন্তান হিসেবে প্রাণী কুলের শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ স্বাভাবিকভাবে সবচাইতে কল্যানক্‌র, সুন্দর এবং ন্যায়ও সত্য বিষয়টিকে প্রত্যাশা করবে। কাজেই আজকে বৈশাখের প্রকৃতিগত যে উদারতা, উদ্দামতা, যে পরিবর্তনের শুভ শক্তি, সেই শক্তি আমাদের ব্যক্তি জীবনে, সমাজ জীবনে এবং জাতীয় জীবনে কাজে লাগানো খুবই জরুরী। প্রকৃতিতে যেমন পুরাতন বৃক্ষরাজী, যেমন পুরাতন জীর্ণ পাতা ফেলে দিয়ে নতুন সবুজ শ্যমল পাতায় পল্লবিত নতুন সাজে সন্নিবেশিত হয়ে নতুন জীবনের শুধা আহরনে প্রাণ ফিরে পায় মানুষের মাঝেও প্রকৃতির এই পরিবর্তনও ও খুব স্বাভাবিক প্রকৃতিগত ভাবেই প্রত্যাশিত। কিন্তু অপ্রাকৃতিক অমানবিক স্বার্থান্বেষী মানুষ বৈশাখে সেই উদারতাকে ভুলে যেয়ে সংকীর্ণতাকে ব্যবহার করে বিশেষ সুবিধা নিতে চায় সেটির পরিবর্তন করা খুবই জরুরী। সেটি সচেতন ভাবে লক্ষ্যে করে তার অশুভ শক্তিকে পরিহার করে, পরিত্যগ করে, পরিবর্তন করে, পরাজিত করে শুভ ও কল্যানকর বৈশাখের যে উদ্দাম আবেগময়ী শক্তিধর বার্তা সেটি মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো খুবই জরুরী। কারন বাঙালির সংস্কৃতি হলো বাঙালির মানবিকতার শক্তি বাঙালির সংস্কৃতি এদেশের জাতীয় চেতনা এবং জাতীয় ঐক্যের একটি বড় শক্তি। যখনই আমাদের দেশের সংকট আসে তখনই আমরা আমাদের সংস্কৃতির উপরে আমাদের বাঙালির সার্বজনীন বাঙ্গালিত্বকে শক্তি হিসেবে কাজে লাগিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে আমরা কল্যনের পথে হেটেছি। আমি বিশ্বাস করি এবারের বৈশাখ আমাদের সমস্ত অশুভ, সংকীর্ণতা, অকল্যানকর কর্মকান্ডের বাইরে যেয়ে উদার মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণ করার ক্ষেত্রে একটি শুভ বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে। বৈশাখের নববর্ষের চর্চায় সেগুলো প্রতিফলিত হবে। আমরা অবশ্যই সুস্থ্য ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বৈশাখকে কল্যানকর নববর্ষ উদযাপনের জায়গায় দেখতে চাই। আমি বিশ্বাস করি এবারের বৈশাখ হবে উদার, উদ্দাম, মানবিক, কল্যানকর।

[লেখক: সাবেক উপ-উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়]

লোকসান কমাতে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো কতটা যৌক্তিক?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ ও আগামী বাজেট

স্মার্ট দেশ গড়তে চাই স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়

নিরাপদ সড়ক কেন চাই

মধ্যপ্রাচ্যে আগ্রাসন ও সন্ত্রাস সৃষ্টির দায় কার

ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের কাছে দোষ স্বীকারে সাক্ষ্যগত মূল্য ও বাস্তবতা

সমস্যায় জর্জরিত সড়ক, প্রতিকার কী

বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস

শিক্ষক নিয়োগ : পর্বতসম দুর্নীতির সামান্য প্রকাশ

সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে

ছবি

চৌবাচ্চার ফুটো এবং আমাদের উন্নয়ন

কিশোর গ্যাং : নষ্ট রাজনীতির বিনষ্ট সংস্কৃতি

মন্ত্রণালয় ভাগ করে লাভবান হলো কারা?

রম্যগদ্য : মর্জিনার কলঙ্কিত দাগ

সোমালিয়ার গরিব জেলেরা কীভাবে জলদস্যু হলো

চিকিৎসা জগতের বাতিঘর জন হপকিনস বিশ^বিদ্যালয়

জলবায়ু পরিবর্তনের দৃশ্যমান প্রভাব

দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ও আজকের বাংলাদেশ

আবিষ্কারমূলক শিখন পদ্ধতি

টেকসই কৃষিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা

ছবি

জয়নুলের সাঁওতাল দম্পতি এবং সুমনের সৌন্দর্যপ্রিয়তা

এরপরও কি গাছ লাগাবেন না, বন রক্ষা করবেন না?

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলের শেষ কোথায়

খুব জানতে ইচ্ছে করে

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট?

কৃষিগুচ্ছ : ভর্তির আবেদনের নূ্যূনতম যোগ্যতা ও ফলাফল প্রস্তুতিতে বৈষম্য

ছবি

গণপরিবহনে নৈরাজ্যের শেষ কোথায়

ছাত্র রাজনীতি : পক্ষে-বিপক্ষে

ছবি

বি আর আম্বেদকর : নিম্নবর্গের মানুষের প্রতিনিধি

চেকের মামলায় আসামির মুক্তির পথ কী

রাম-নবমী : হিন্দুত্বের নয়া গবেষণাগার

‘একটি গ্রাম একটি পণ্য’ উদ্যোগ কি সফল হবে

কিশোর গ্যাং : সমস্যার মূলে যেতে হবে

গীতি চলচ্চিত্র ‘কাজল রেখা’ : সুস্থধারার চলচ্চিত্র বিকাশ ঘটুক

tab

উপ-সম্পাদকীয়

উদার-উদ্দাম বৈশাখ চাই

মো. শহীদুল্লাহ সিকদার

শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

মানব সভ্যতার শুরু থেকে সময়ের হিসাব বা সময় গননা সভ্যতার একটি বড় নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। বিভিন্ন সভ্যতা সময় গননার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আবিষ্কার করে এবং বিভিন্ন ভাবে সময়ের হিসেব করা শুরু করে। কেননা সময়ের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। মানুষ তো পৃথিবির প্রাণী কুলের মধ্যে সব চাইতে বুদ্ধিমান জাতি। যারা বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে মানব সভ্যতাকে উত্তরোত্তর উন্নতি সাধন করেছে এবং অন্য সকল প্রাণীকুলকে তার অধিনস্ত করেছে। তবে সময়ের হিসেব প্রকৃতির মাঝে এবং অন্যান্য প্রাণী কুলের মাঝে প্রথম লক্ষ্য করা যায়। মানুষ লক্ষ্য করল যে, প্রকৃতি ভিন্নভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন সাজে সাজে, নির্দিষ্ট সময় পরপর নির্দিষ্ট কিছু গাছে ফুল ফোটে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট গাছে ফল ধরে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকৃতির তাপমাত্রা নির্দিষ্টভাবে ওঠা নামা করে। ভিন্নভিন্ন সময়ে প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন রূপ দেখা যায়, কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন প্রাণী বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন করে। নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন প্রাণী বিচরন করে। এ সকল বিষয় পর্যালচনা করে মানুষ চিন্তা করল সময়ে একটি নির্দিষ্ট আবর্তন প্রক্রিয়া আছে। যার দরুন একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর এ সকল বিষয় ঘুরে ঘুরে আসে। আর এই আবর্তন প্রকৃতি এবং অন্যান্য প্রাণীকুল যুগযুগ ধরে রপ্ত করে আসছে। মানুষ এই সময়ের আবর্তনকে হিসেবে রাখার জন্য পদ্ধতি আবিষ্কারের চিন্তা শুরু করল। কেননা সময়ের এই আবর্তনকে হিসেবে না আনতে পারলে মানুষ তার জীবন ধারনের জন্য আবশ্যক কর্মকান্ড করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। মানুষ প্রথম দিকে অন্যান্য প্রাণী শিকার করে জীবন ধারন করত। এই শিকারও সময়ের উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রাণী বিচরন করে বিভিন্ন প্রাণী বিভিন্ন সময়ে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ভ্রমণ করে। কৃষিকাজ ও সময়ের উপর নির্ভরশীল প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বৃক্ষরাজী ফুল ফল ফসল উৎপন্ন হয়। আবার প্রকৃতির তাপমাত্রা বিভিন্ন সময় ওঠা নামা করে। ঝর বৃষ্টি সূর্য কীরন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম থাকে। বিভিন্ন সময়ে নদী এবং সমুদ্রের ভিন্ন ভিন্ন রূপ থাকে। আকাশে চাঁদ তারার ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। এই সকল বিষয় বিবেচনা করে মানুষ সময়ের হিসেব রাখাটাকে অত্যন্ত জরুরী বিষয় হিসেবে বিএবচনায় নেয়। দেখা যায় বিভিন্ন সভ্যতার মানুষ তাদের বর্ষপঞ্জী আবিষ্কার করেছে সময়ের হিসেব রাখতে। কোন জাতি চন্দ্রের হিসেবে বছরের হিসেব করেছে। কোন কোন জাতি সূর্যের হিসেবে বর্ষ গণনা করেছে। তবে প্রকৃতির পরিবর্তন এবং কৃষি কাজের সুবিধার জন্য বাঙালি জাতি বাংলা বর্ষপঞ্জী প্রণয়ন করে সেই গ্রেগরীয় যুগে। যা সঠিকভাবে বছরের এবং ঋতু পরিবর্তনের হিসেব রাখতে সাহায্য করে। এই বাংলা বর্ষ পঞ্জিকা হিসেবে বছরের প্রথম দিন হল বৈশাখের প্রথম দিন। একে বাঙালি বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালন করে আসছে সেই আদি যুগ থেকে। পহেলা বৈশাখের যে উৎসব তার আতুড়ঘর, সৃষ্টির ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে রাজা-বাদশাহদের প্রাসাদে। নববর্ষ অর্থাৎ নতুন বছর, একেবারে নির্দিষ্ট করে বললে বলতে হয় নতুন বঙ্গাব্দর জন্ম মোগল বাদশাহ আকবরের দরবারে। আকবরই এই সনের প্রবর্তক। বাংলাপিডিয়ায় উল্লেখ আছে- কৃষিকাজের সুবিধার্থেই মুগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ অথবা ১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় তার সিংহাসন আরোহণের সময় থেকে (৫ নভেম্বর ১৫৫৬)। প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এভাবে শুরু হয়ে এখন পহেলা বৈশাখা আমাদের বাঙ্গালিদের প্রাণের উতসবে পরিনত হয়েছে। ধনী গরীব শ্রেণী পেশা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এ উৎসব সকলের উৎসব।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির ঐতিহ্য হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বৈশাখ মানেই হল একটি পরিবর্তন, একটি শক্তি, একটি প্রলয় সৃষ্টিকারী উষ্ণতার আবেশ। পুরাতনকে ঝেরে ফেলে নতুনকে বরন করে নেবার একটি শুভক্ষন। সমস্ত জরা-জীর্ণতা প্রাণহীন শুষ্কতাকে প্রলয়ঙ্করী প্রাকৃতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে জীবনের নতুন শক্তি সঞ্চারের আবহ তৈরির যে মাস সেটি হল বৈশাখ। ঋতু পরিবর্তনের সবচাইতে উল্লেখযোগ্য মাস বাঙালির বাংলা বর্ষের প্রথম মাস এবং সেই প্রথম মাসকে বরন করে নেয়ার যে রীতী আবহমান কাল থেকে বাংলায় এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে আসছে। আজকের দিনে নববর্ষ উদযাপনের এই যে চিরায়ত সাংস্কৃতিক উৎসবের রিতি সেটি শুধু বাংলাদেশে নয় বাংলা ভাষাভাষি মানুষ পৃথীবির যেখানেই আছে এশিয়া ইউরোপ সহ পৃথীবির বিভন্ন স্থানে উদযাপন করতে দেখা যায়। আমি একবার লস এঞ্জেলস এ জুন মাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করার অনুষ্ঠান দেখেছি বাংলা ভাষাভাষি আমেরিকানদের মাঝে। একই ভাবে জাপেনে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান দেখার সৌভাগ্য হয়েছে, লন্ডনেও, নববর্ষ উদযাপন করতে দেখেছি। সুতরাং এই যে নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ উদযাপনের বিষয়টি এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি অপরিহার্য এবং চিরায়ত অনুষঙ্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তা হওয়ার খুব সংগত কারন বাংলাদেশের প্রকৃতির মাঝে বিরাজমান। এই মাটি থেকে, এই জল থেকে, এই ভূমী থেকে জন্ম নেয়া এখানকার মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই বৈশাখকে ভালোবাসার যে হৃদয় সেটি নিয়ে বড় হচ্ছে এবং খুব সহজাত একটা স্বাভাবিক আকর্ষন অনুভব করে বৈশাখের পরিবর্তনের সময় বাঙালি। পৃথিবীর প্রাণী এবং জরা জগৎ প্রকৃতির লালিত সন্তানের মত বেড়ে উঠে অন্য প্রাণীরা যেমন প্রকৃতির কাছে বৃষ্টি এবং ক্ষরার উপর নির্ভরশীল বা প্রভাবিত ঠিক তেমনি মানুষও কিন্তু এই ঋতু পরিবর্তনের সাথে কোন না কোন ভাবে নিজের জীবনকে মিশিয়ে রেখেছে, এই মেশানো কোন অপ্রাকৃতিক নয়।

বৈশাখ প্রতি বছরই আমাদের কাছে নতুন করে ধরা দেয়। এ যেন চিরায়ত একটি অনুভূতি যা পুরাতন হবার নয়। প্রতি বছরই বাঙালি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে প্রকৃতির এই পরিবর্তনের জন্য। এই দিন আসলেই প্রতিটি বাঙালি মনে একটি উৎসব উৎসব আমেজ বিরাজ করে। শুরু হয় বাঙালির বিভিন্ন আয়োজন। বৈশাখে বাঙালি নিজেদের আবার অনুভব করতে চায় বাঙ্গালিয়ানার চর্চার মাধ্যমে। বৈশাখের শুরুতেই পান্তা ইলিশ দিয়ে হয় উৎসবের শুরু, মঙ্গল শোভা যাত্রা, সম্মিলিত বৈশাখ বরন গান, তারপর পিঠা-পুলি, গান-বাজনা, নাচ-মঞ্চ নাটক, বৈশাখী মেলা, গ্রাম বাংলার মাঠে ঘাটে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন, বাউল গান, জারি, গান, সারি গান, নৌকা বাইচ, লাঠি খেলা, মেলাতে দেশি- বিদেশি পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয়, কুটির শিল্পের প্রদর্শনী, হাতে তৈরি শিল্পের প্রদর্শনী, মৃত শিল্পের প্রদর্শনী, রকমারি আয়োজন, দোকানে দোকানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হালখাতা আয়োজন এরুপ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৌশাখকে মানুষ বরন করে নেয়। তবে এ বরনের সংস্কৃতি খুব স্বাভাবিক, সহজাত এবং প্রকৃতিগত ভাবেই তৈরি হয়েছে।

নতুন বছর নতুন আশা-প্রত্যাশা। এ যেন নতুনকে বরন করে পুরাতনকে ঝেরে ফেলার আনন্দ। বৈশাখ এর কাছে আমাদের প্রত্যশা হলো বৈশাখ সমস্ত পশ্চাৎপদতা, সমস্ত পুরাতন জীর্ণতাকে মুছে দিবে, নতুন আবহে জীবনের নতুন মাত্রা সৃষ্টির করবে, পরিবর্তনের সুবাতাস বয়ে নিয়ে আসবে, নিয়ে আসবে কল্যানের বার্তা। আজকে বাঙালি সমাজে এই যে নববর্ষের সংস্কৃতিক কর্মকান্ড, এই আবেদন নানা ভাবে ব্যাবসায়িক রাজনৈতিক এবং গোষ্ঠীগত স্বার্থে ব্যবহার করার একটি অশুভ চর্চা দেখা যায়। আবার বৈশাখের যে যুগ যুগ ধরে প্রচলিত সুন্দর, সাবলিল, ঐতিহ্যগত পরিচ্ছন্ন সংস্কৃতি যা বাঙালি মনকে শীতল করে আবার বাঙালির এ সংস্কৃতিকে সাড়া বিশ্বে বাঙালির বাঙ্গালিয়ানার পরিচয়ে পরিচয় করিয়ে দেয়, সেই উৎসবের সংস্কৃতি যেন অন্য কোন বিজাতীয় উৎসবের দ্বারা, বা অন্য কোন দেশের উগ্র, অশালীন সংস্কৃতির সংমিশ্রনে কুলশিত না হয় সেদিকে গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের ঐতিহ্য ও সুস্থ্য ধারার সংস্কৃতিকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আপদমস্তক উপস্থাপন করতে হবে যেন এ ঐতিহ্য ম্লান না হয়ে যায় বা হারিয়ে না যায়।

যদি বৈশাখ প্রকৃতির দান হয়ে থাকে এবং প্রকৃতির সন্তান হিসেবে প্রাণী কুলের শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ স্বাভাবিকভাবে সবচাইতে কল্যানক্‌র, সুন্দর এবং ন্যায়ও সত্য বিষয়টিকে প্রত্যাশা করবে। কাজেই আজকে বৈশাখের প্রকৃতিগত যে উদারতা, উদ্দামতা, যে পরিবর্তনের শুভ শক্তি, সেই শক্তি আমাদের ব্যক্তি জীবনে, সমাজ জীবনে এবং জাতীয় জীবনে কাজে লাগানো খুবই জরুরী। প্রকৃতিতে যেমন পুরাতন বৃক্ষরাজী, যেমন পুরাতন জীর্ণ পাতা ফেলে দিয়ে নতুন সবুজ শ্যমল পাতায় পল্লবিত নতুন সাজে সন্নিবেশিত হয়ে নতুন জীবনের শুধা আহরনে প্রাণ ফিরে পায় মানুষের মাঝেও প্রকৃতির এই পরিবর্তনও ও খুব স্বাভাবিক প্রকৃতিগত ভাবেই প্রত্যাশিত। কিন্তু অপ্রাকৃতিক অমানবিক স্বার্থান্বেষী মানুষ বৈশাখে সেই উদারতাকে ভুলে যেয়ে সংকীর্ণতাকে ব্যবহার করে বিশেষ সুবিধা নিতে চায় সেটির পরিবর্তন করা খুবই জরুরী। সেটি সচেতন ভাবে লক্ষ্যে করে তার অশুভ শক্তিকে পরিহার করে, পরিত্যগ করে, পরিবর্তন করে, পরাজিত করে শুভ ও কল্যানকর বৈশাখের যে উদ্দাম আবেগময়ী শক্তিধর বার্তা সেটি মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো খুবই জরুরী। কারন বাঙালির সংস্কৃতি হলো বাঙালির মানবিকতার শক্তি বাঙালির সংস্কৃতি এদেশের জাতীয় চেতনা এবং জাতীয় ঐক্যের একটি বড় শক্তি। যখনই আমাদের দেশের সংকট আসে তখনই আমরা আমাদের সংস্কৃতির উপরে আমাদের বাঙালির সার্বজনীন বাঙ্গালিত্বকে শক্তি হিসেবে কাজে লাগিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে আমরা কল্যনের পথে হেটেছি। আমি বিশ্বাস করি এবারের বৈশাখ আমাদের সমস্ত অশুভ, সংকীর্ণতা, অকল্যানকর কর্মকান্ডের বাইরে যেয়ে উদার মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণ করার ক্ষেত্রে একটি শুভ বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে। বৈশাখের নববর্ষের চর্চায় সেগুলো প্রতিফলিত হবে। আমরা অবশ্যই সুস্থ্য ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বৈশাখকে কল্যানকর নববর্ষ উদযাপনের জায়গায় দেখতে চাই। আমি বিশ্বাস করি এবারের বৈশাখ হবে উদার, উদ্দাম, মানবিক, কল্যানকর।

[লেখক: সাবেক উপ-উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়]

back to top