জাঁ-নেসার ওসমান
ভর্তা’র জ্যেষ্ঠভ্রাতা, ভাশুর।
আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিতে, বাঙালি সমাজে স্ত্রী বা বৌয়ের পক্ষে স্বামীর বড় ভ্রাতার নাম ধরে ডাকাটা অভ্যবতা বা বেয়াদবির পর্যায়ে পড়ে।
তাই বৌয়েরা কখনই স্বামীর জ্যেষ্ঠভ্রাতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নিমিত্তে ভাশুরের নাম মুখে লন না বা রসনা দ্বারা উচ্চারণ করেন না!
এই হচ্ছে বাংলাদেশে ভাশুরের অবস্থান।
বর্তমানে কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ২৬তম প্রয়াণ দিবসে, মনে হচ্ছে কথাশিল্পী শওকত ওসমান এমনি এক রক্ষণশীল বাঙালি সমাজের হাতে পড়েছেন যেখানে এই সমাজের কতিপয় প্রতিষ্ঠান কথাশিল্পী শওকত ওসমানকে ভর্তা’র জ্যেষ্ঠভ্রাতা, মানে ভাশুরের মতো সম্মাননা প্রদান করেছে। ফলে এরা কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নাম কিছুতেই মুখে উচ্চারণ করেন না এবং যখনই সুযোগ পান তখনই কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নাম ছাপার অক্ষরেও প্রকাশ করেন না!
এই যেমন ধরুন জমিদরের বাগান বাড়িতে গড়ে ওঠা বাংলার ধ্বজাধারী মানে বাংলার নিশান বা পতাকাধারী, বাংলাভাষার একমাত্র তাবেদার বা সেবক প্রতিষ্ঠানটি কিছুতেই কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নাম মুখে নেয় না! কারণ কিছু অর্ধশিক্ষিত অযোগ্য বাংলাভাষার ধ্বজধারী, বাংলা ভাষার পতাকার দন্ডভাঙা অর্থাৎ ধ্বজাভাঙ্গা বাঙালির হাতে এই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনার ভার পড়েছে। আর এরা কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নাম মুখ ও মসির কালিতে প্রকাশে বিমুখ। কারণ তৌবা তৌবা ভাশুরের নাম মুখে নিতে নেই।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছুটি’ ছোট গল্পের ফটিকের সংলাপের মতো ‘চলে যা বর্ধমান...’ এরাও বলেন কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নাম ‘দূরে যা হইতে বর্ধমান।’
এই বর্ধমানের গৃহকর্ম সহায়করা মানে কর্মচারীরা ২০১৬ সালে মহাসমারোহে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রঙিন ছবি সম্বলিত এক বর্ষপঞ্জি প্রকাশ করলেন।
এই বর্ষপঞ্জিতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রঙিন ছবির সাথে বর্ধমানের কর্মচারিদেরও চার কালার ছবি ছাপতে ভুল করে নাই।
আ-হা-হা কি সুন্দর তার গেটআপ-মেকআপ। কিছু পাতা রঙিন, কিছু পাতা সাদা। কিছুপাতা অফসেট, কিছুপাতা আর্টপেপার, কিছু কালার, তার ওপর আবার পাতায় পাতায় লেখক, কবি-সাহিত্যিকদের জন্মদিন ও আন্তর্জাতিক মানের পোট্রেট দিয়ে সাজিয়েছে এই বর্ষপঞ্জি।
সাধু সাধু দারুণ, দারুণ এক বর্ষপঞ্জি। সারাবিশ্বে যে কোনো জায়গায় যে কোনো অ্যাম্বেসিতে, যে কোনো হাইকমিশনে এ বর্ষপঞ্জি বুক ফুলিয়ে প্রকাশ করার মতো।
এ বর্ষপঞ্জিতে কার ছবি নেই, সর্বজন শ্রদ্ধেয় মোহাম্মদ কিবরিয়া, হাছন রাজা, বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম, লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল, কথাশিল্পী সৈয়দ মুজতবা আলী, জেমস জয়েস, শহিদ মুনির চৌধুরী, শিশু সাহিত্যিক মোহাম্মদ নাসির আলি, সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, জয়নুল আবেদিন, সিকান্দার আবু জাফর এমনি কতো নাম বলব। কবি শামসুর রাহমান, পল্লী কবি জসিমউদদিন, গায়ক আব্বাস উদ্দিন, হুমায়ুন আহমেদ, শেরেবাংলা ফজলুল হক, জননেত্রী শেখ হাসিনা, শত শত কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, সমাজসেবক, বিজ্ঞানী কত শত ছবি, কত শত নাম, এমনকি ইদানীং কালের সাংবাদিক সাহিত্যিক বেবী মওদুদেরও ছবি ও নাম রয়েছে। নাম নেই, ছবি নেই শুধু কথাশিল্পী শওকত ওসমানের।
কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নাম নেই কেন? কারণ ভাশুরের নাম মুখে নিতে নেই। ঠিক আছে ঠিক আছে বর্ধমানের কর্মচারীরা কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ছবি বা নাম নাই ছাপলো তাতে কি? কথাশিল্পী শওকত ওসমান ছোটো হয়ে যাবেন!
আরে না-রে ভাই এ বর্ষপঞ্জিই শেষ নয়, আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটি প্রায়শই কবি-লেখকদের মহাপ্রয়াণের পর তাদের সব সাহিত্যকর্ম নিয়ে রচনাবলী প্রকাশ করে। কারণ মরণের পর তো আর ওই লেখক বা সাহিত্যিকের কোনো লেখা প্রকাশ হবে না, তাই এবার ওই লেখকের সবাই সাহিত্য-কর্ম নিয়ে রচনাবলী প্রকাশ করা জায়েজ। কিন্তু এই বর্ধমানের লোকেরা পৃথিবীর সবাই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এক লেখকের জীবদ্দশায় তার রচনাবলী ছেপে ফেললো। অথচ কথাশিল্পী শওকত ওসমানের মহাপ্রয়াণের ছাব্বিশ বছর পার হয়ে গেলো তবুও কথাশিল্পী শওকত ওসমানের রচনাবলী এরা আজ পর্যন্ত ছাপলো না!
লোকমুখে শোনা যায় যে, বাংলার ভাশুর কথাশিল্পী শওকত ওসমান নাকি একটা আস্ত অপয়া লোক।
কেন কেন অপয়া কেন?
বুঝেন না মিয়া, যখনই এই বর্ধমানের কর্মচারী প্রধান কথাশিল্পী শওকত ওসমানের রচনাবলী ছাপতে চেষ্টা করছে অমনি উনি পটল তুলছে। আরে না না এটা কাকতালীয় না। দুই-দুইবার প্রধান কর্মচারী যেই কথাশিল্পী শওকত ওসমানের রচনাবলী ছাপার জন্য লিখিত অর্ডার দিছে আর অমনি ব্যাটা পটল তুলেছে।
এক ব্যাটা পটল তুলছে হার্ট-অ্যাটাকে, অপরজন দুরারোগ্য ব্যাধিতে। তাই এখন আর কোনো কর্মচারী প্রধান কথাশিল্পী শওকত ওসমানের রচনাবলী ছাপার বিষয়টা লেখা তো দূরের কথা মুখেও আনেন না।
ও পাঠক, খেলা এখানেই শেষ নয়। আমাদের প্রচুর রাস্তা বিভিন্ন ভাষাসৈনিক, লেখক-রাজনীতিবিদ, শিল্পী, সমাজ সেবকের নামে উৎসর্গিত, কারণ তাদের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ এ রাস্তার নামকরণ করা হয়। এ রাস্তার নামকরণ বিভাগের প্রধানের কাছে কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদ আবেদন করলো যে কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নামে একটি রাস্তার নামকরণ করা হোক। নামকরণ প্রধান কথা দিলেন যে দোসরা জানুয়ারি, কথাশিল্পী শওকত ওসমানের জন্মদিনে আমাদের একটি রাস্তার নাম কথাশিল্পী শওকত ওসমানের স্মরণে রাখা হবে।
এমনিভাবে একে একে পাঁচ-ছয়টি জানুয়ারি পার হয়ে গেলো তবু কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নামে কোনো রাস্তার নামকরণ করা হলো না! কেউ কথা রাখেনি, কেউ কথা রাখে না। কারণ ‘বাংলার ভাশুর কথাশিল্পী শওকত ওসমানের’ নাম মুখে নিতে নেই।
[লেখক : চলচ্চিত্রকার]
জাঁ-নেসার ওসমান
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
ভর্তা’র জ্যেষ্ঠভ্রাতা, ভাশুর।
আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিতে, বাঙালি সমাজে স্ত্রী বা বৌয়ের পক্ষে স্বামীর বড় ভ্রাতার নাম ধরে ডাকাটা অভ্যবতা বা বেয়াদবির পর্যায়ে পড়ে।
তাই বৌয়েরা কখনই স্বামীর জ্যেষ্ঠভ্রাতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নিমিত্তে ভাশুরের নাম মুখে লন না বা রসনা দ্বারা উচ্চারণ করেন না!
এই হচ্ছে বাংলাদেশে ভাশুরের অবস্থান।
বর্তমানে কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ২৬তম প্রয়াণ দিবসে, মনে হচ্ছে কথাশিল্পী শওকত ওসমান এমনি এক রক্ষণশীল বাঙালি সমাজের হাতে পড়েছেন যেখানে এই সমাজের কতিপয় প্রতিষ্ঠান কথাশিল্পী শওকত ওসমানকে ভর্তা’র জ্যেষ্ঠভ্রাতা, মানে ভাশুরের মতো সম্মাননা প্রদান করেছে। ফলে এরা কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নাম কিছুতেই মুখে উচ্চারণ করেন না এবং যখনই সুযোগ পান তখনই কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নাম ছাপার অক্ষরেও প্রকাশ করেন না!
এই যেমন ধরুন জমিদরের বাগান বাড়িতে গড়ে ওঠা বাংলার ধ্বজাধারী মানে বাংলার নিশান বা পতাকাধারী, বাংলাভাষার একমাত্র তাবেদার বা সেবক প্রতিষ্ঠানটি কিছুতেই কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নাম মুখে নেয় না! কারণ কিছু অর্ধশিক্ষিত অযোগ্য বাংলাভাষার ধ্বজধারী, বাংলা ভাষার পতাকার দন্ডভাঙা অর্থাৎ ধ্বজাভাঙ্গা বাঙালির হাতে এই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনার ভার পড়েছে। আর এরা কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নাম মুখ ও মসির কালিতে প্রকাশে বিমুখ। কারণ তৌবা তৌবা ভাশুরের নাম মুখে নিতে নেই।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছুটি’ ছোট গল্পের ফটিকের সংলাপের মতো ‘চলে যা বর্ধমান...’ এরাও বলেন কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নাম ‘দূরে যা হইতে বর্ধমান।’
এই বর্ধমানের গৃহকর্ম সহায়করা মানে কর্মচারীরা ২০১৬ সালে মহাসমারোহে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রঙিন ছবি সম্বলিত এক বর্ষপঞ্জি প্রকাশ করলেন।
এই বর্ষপঞ্জিতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রঙিন ছবির সাথে বর্ধমানের কর্মচারিদেরও চার কালার ছবি ছাপতে ভুল করে নাই।
আ-হা-হা কি সুন্দর তার গেটআপ-মেকআপ। কিছু পাতা রঙিন, কিছু পাতা সাদা। কিছুপাতা অফসেট, কিছুপাতা আর্টপেপার, কিছু কালার, তার ওপর আবার পাতায় পাতায় লেখক, কবি-সাহিত্যিকদের জন্মদিন ও আন্তর্জাতিক মানের পোট্রেট দিয়ে সাজিয়েছে এই বর্ষপঞ্জি।
সাধু সাধু দারুণ, দারুণ এক বর্ষপঞ্জি। সারাবিশ্বে যে কোনো জায়গায় যে কোনো অ্যাম্বেসিতে, যে কোনো হাইকমিশনে এ বর্ষপঞ্জি বুক ফুলিয়ে প্রকাশ করার মতো।
এ বর্ষপঞ্জিতে কার ছবি নেই, সর্বজন শ্রদ্ধেয় মোহাম্মদ কিবরিয়া, হাছন রাজা, বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম, লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল, কথাশিল্পী সৈয়দ মুজতবা আলী, জেমস জয়েস, শহিদ মুনির চৌধুরী, শিশু সাহিত্যিক মোহাম্মদ নাসির আলি, সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, জয়নুল আবেদিন, সিকান্দার আবু জাফর এমনি কতো নাম বলব। কবি শামসুর রাহমান, পল্লী কবি জসিমউদদিন, গায়ক আব্বাস উদ্দিন, হুমায়ুন আহমেদ, শেরেবাংলা ফজলুল হক, জননেত্রী শেখ হাসিনা, শত শত কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, সমাজসেবক, বিজ্ঞানী কত শত ছবি, কত শত নাম, এমনকি ইদানীং কালের সাংবাদিক সাহিত্যিক বেবী মওদুদেরও ছবি ও নাম রয়েছে। নাম নেই, ছবি নেই শুধু কথাশিল্পী শওকত ওসমানের।
কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নাম নেই কেন? কারণ ভাশুরের নাম মুখে নিতে নেই। ঠিক আছে ঠিক আছে বর্ধমানের কর্মচারীরা কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ছবি বা নাম নাই ছাপলো তাতে কি? কথাশিল্পী শওকত ওসমান ছোটো হয়ে যাবেন!
আরে না-রে ভাই এ বর্ষপঞ্জিই শেষ নয়, আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটি প্রায়শই কবি-লেখকদের মহাপ্রয়াণের পর তাদের সব সাহিত্যকর্ম নিয়ে রচনাবলী প্রকাশ করে। কারণ মরণের পর তো আর ওই লেখক বা সাহিত্যিকের কোনো লেখা প্রকাশ হবে না, তাই এবার ওই লেখকের সবাই সাহিত্য-কর্ম নিয়ে রচনাবলী প্রকাশ করা জায়েজ। কিন্তু এই বর্ধমানের লোকেরা পৃথিবীর সবাই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এক লেখকের জীবদ্দশায় তার রচনাবলী ছেপে ফেললো। অথচ কথাশিল্পী শওকত ওসমানের মহাপ্রয়াণের ছাব্বিশ বছর পার হয়ে গেলো তবুও কথাশিল্পী শওকত ওসমানের রচনাবলী এরা আজ পর্যন্ত ছাপলো না!
লোকমুখে শোনা যায় যে, বাংলার ভাশুর কথাশিল্পী শওকত ওসমান নাকি একটা আস্ত অপয়া লোক।
কেন কেন অপয়া কেন?
বুঝেন না মিয়া, যখনই এই বর্ধমানের কর্মচারী প্রধান কথাশিল্পী শওকত ওসমানের রচনাবলী ছাপতে চেষ্টা করছে অমনি উনি পটল তুলছে। আরে না না এটা কাকতালীয় না। দুই-দুইবার প্রধান কর্মচারী যেই কথাশিল্পী শওকত ওসমানের রচনাবলী ছাপার জন্য লিখিত অর্ডার দিছে আর অমনি ব্যাটা পটল তুলেছে।
এক ব্যাটা পটল তুলছে হার্ট-অ্যাটাকে, অপরজন দুরারোগ্য ব্যাধিতে। তাই এখন আর কোনো কর্মচারী প্রধান কথাশিল্পী শওকত ওসমানের রচনাবলী ছাপার বিষয়টা লেখা তো দূরের কথা মুখেও আনেন না।
ও পাঠক, খেলা এখানেই শেষ নয়। আমাদের প্রচুর রাস্তা বিভিন্ন ভাষাসৈনিক, লেখক-রাজনীতিবিদ, শিল্পী, সমাজ সেবকের নামে উৎসর্গিত, কারণ তাদের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ এ রাস্তার নামকরণ করা হয়। এ রাস্তার নামকরণ বিভাগের প্রধানের কাছে কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদ আবেদন করলো যে কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নামে একটি রাস্তার নামকরণ করা হোক। নামকরণ প্রধান কথা দিলেন যে দোসরা জানুয়ারি, কথাশিল্পী শওকত ওসমানের জন্মদিনে আমাদের একটি রাস্তার নাম কথাশিল্পী শওকত ওসমানের স্মরণে রাখা হবে।
এমনিভাবে একে একে পাঁচ-ছয়টি জানুয়ারি পার হয়ে গেলো তবু কথাশিল্পী শওকত ওসমানের নামে কোনো রাস্তার নামকরণ করা হলো না! কেউ কথা রাখেনি, কেউ কথা রাখে না। কারণ ‘বাংলার ভাশুর কথাশিল্পী শওকত ওসমানের’ নাম মুখে নিতে নেই।
[লেখক : চলচ্চিত্রকার]