alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

ভোজ্যতেল সংকট মেটাতে পাম চাষের গুরুত্ব

সোহান হোসেন

: বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাম গাছ একটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ। রোপণের ৩-৪ বছরের মধ্যে ফলন শুরু হয়। একটানা ৬০-৭০ বছর ফল দিয়ে থাকে। বছরে ৮-১০টি কাঁদি আহরণ করা যায়। একটি কাঁদিও ওজন ৪০-৮০ কেজি পর্যন্ত হয়। ঝড় জলোচ্ছ্বাসে এই গাছের সহজে ক্ষতি হয় না। পাম গাছ অন্যান্য গাছ থেকে ১০ গুণ বেশি অক্সিজেন দেয়। এছাড়া পাম জল, পাম সিরাপ, পাম চিনি ইত্যাদি তৈরি হয়।

বাংলাদেশে প্রতি বছর ভোজ্যতেলের জন্য নানা ধরনের তেল জাতীয় ফসল চাষ করা হয়। তবে তেলজাতীয় ফসলের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো সরিষা। এছাড়া দেশে সূর্যমুখী, তিল, চীনাবাদাম, তিসি, কুসুমফুল, সয়াবিন ইত্যাদি চাষাবাদ হয়ে থাকে। সরিষার তেল দিয়েই ভোজ্যতেলের সিংহভাগ চাহিদা পূরণ হয় এবং সরিষার তেল বাঙালির ঐতিহ্যের একটা অংশ। সরিষার তেলের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা জন্য এখন সয়াবিন তেল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে ৬.১০৬ হে. জমিতে ৮.২৪৩ লাখ মে.টন সরিষা উৎপাদিত হয়েছে। অপরদিকে চীনাবাদাম ০.৯৫ লাখ হে. জমিতে ১.৭১ লাখ মে.টন, তিল ০.৬৫১ লাখ হে. জমিতে ০.৭৭১ লাখ মে.টন, সয়াবিন ০.৭৯১ লাখ হে. জমিতে ১.৪২২ লাখ মে.টন, সূর্যমুখী ০.০৯২ লাখ হে. জমিতে ০.১৬ লাখ মে.টন এবং অন্যান্য তেলজাতীয় ফসল ০.০১২ এবং ০.০১৪ লাখ মে.টন, যা থেকে দেখা যায়, সরিষা বাংলাদেশের প্রধান তেলজাতীয় ফসল।

বাংলাদেশে বর্তমানে জনপ্রতি মাথাপিছু ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ১২ কেজি। তবে এটি বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, উচ্চবিত্ত পরিবারের মানুষের মাথাপিছু ভোজ্যতেলের চাহিদা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষের তুলনায় বেশি।

বাংলাদেশে ২০২২-২৩ সালে মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৬ কোটি। তাই, ২০২২-২৩ সালে বাংলাদেশের জনপ্রতি মাথাপিছু ভোজ্যতেলের চাহিদা ছিল প্রায় ১৯২ কোটি কেজি।

বাংলাদেশে ২০২২-২৩ সালে মোট ভোজ্যতেলের উৎপাদন ছিল প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন। তাই উৎপাদন থেকে চাহিদা পূরণের জন্য প্রতি বছর প্রায় ৩৯ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। এই পরিমাণ তেলের মোট মূল্য ছিল প্রায় ১৮৪ কোটি ৭৯ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশের পান চাষ একটি সম্ভাবনাময় ভোজ্যতেলের উৎস। বাংলাদেশের বরগুনা, ভোলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ইত্যাদি অঞ্চলে বর্তমানে পাম চাষ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশের এই অঞ্চলগুলোতে পাম চাষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ থাকার কারণে দিন দিন আরো জনপ্রিয়তা লাভ করছে। একটি গবেষণায় দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রায় ১৫,০০০ হেক্টর জমিতে পাম চাষ করা হয়। এই পরিমাণ জমি থেকে প্রায় ১.৫ লাখ মেট্রিক টন পাম ফল উৎপাদিত হয়। এর থেকে প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন পাম তেল উৎপাদিত হয়।

বরগুনা, ভোলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ইত্যাদি অঞ্চলের পাশাপাশি অন্যান্য অঞ্চলে পাম চাষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে । কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে বাংলাদেশের সব অঞ্চলে পাম চাষ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। বাংলাদেশে বেশির ভাগ কৃষক স্বল্পশিক্ষিত নতুন কোন কিছুর সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়া এটা তাদের জন্য অনেক কঠিন। যেহেতু পাম একটি নতুন ভোজ্যতেলের উৎস তাই এ ব্যাপারে বেশির ভাগ কৃষকের রয়েছে স্বল্প ধারণা আবার কারো কারো কাছে একদমই অজানা।

দেশে বর্তমানে পাম চাষ করা গেলেও সব থেকে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাম ফল থেকে তেল উৎপাদনকারী যন্ত্র। বাংলাদেশের সব অঞ্চল মিলে বর্তমানে খুব স্বল্প পরিমাণে পাম চাষ করা হচ্ছে যার কারণে দামি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে পাম ফল থেকে তেল উৎপাদন প্রক্রিয়ায় খরচ হচ্ছে বেশি। যার ফলে কৃষকরা অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। যদি সরকার সহজ কিস্তিতে অথবা সরকারি কোন মাধ্যমে পাম ফল থেকে তেল সংগ্রহের যন্ত্র কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেন তাহলে বাংলাদেশে অদূর ভবিষ্যতে পাম চাষের সম্ভাবনা আরও অনেক গুণ বেড়ে যেত এবং বাংলাদেশে যে ৩৯ লাখ মেট্রিক টন তেল আমদানি করতে হয় তার পরিমাণও কমে অনেক নিচে নেমে আসত এবং দেশের মুদ্রা দেশের ব্যবহার করা যেত। যার ফলে জিডিপিতে বাড়ত কৃষি খাতে আয় যা দেশের উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

[লেখক : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া]

নারী নির্যাতন, মানসিক স্বাস্থ্য এবং সমাজের দায়

কাঁপছে ডলারের সিংহাসন

ত্রিশতম জলবায়ু সম্মেলন : প্রতীকী প্রদর্শনী, নাকি বৈশ্বিক জলবায়ু রাজনীতির বাঁক নেওয়ার মুহূর্ত?

অপরিণত নবজাতক : ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও যত্নের জরুরি বাস্তবতা

বাংলাদেশী উত্তরাধিকার: প্রবাস-জীবন ও আমাদের সংস্কৃতি

রাজনীতিতে ভাষার সহনীয় প্রয়োগ

ভারত : এসআইআর এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন

মনে কী দ্বিধা নিয়ে...

নিরাপদ সড়ক ভাবনা

অপরিকল্পিত বাঁধ-শিল্পায়নে বিপর্যস্ত বরেন্দ্র কৃষি

ছবি

মামদানি দেখালেন নেতৃত্বের মূল পরিচয় কী

চেকের মামলায় বৈধ বিনিময়, লেনদেন, দেনা-পাওনা প্রমাণ ছাড়া আর জেল নয়

নবাগত শিক্ষকদের পেশাগত ভাবনা

মাদকাসক্তি: শুধু নিরাময় নয়, চাই সমাজ ব্যবস্থার সংস্কার

আমেরিকার “নো কিংস” আন্দোলন

ঘি তো আমাদের লাগবেই, নো হাংকি পাংকি!

“মামদানি না জামদানি...”

ভাষার বৈচিত্র্য রক্ষায় নীরব বিপ্লব

উপাত্ত সুরক্ষা আইন : গোপনীয়তা রক্ষা নাকি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ?

সমতা কি ন্যায্যতা নিশ্চিত করে?

ডেঙ্গু সংকট দূরদৃষ্টির ব্যর্থতা

ষাটের দশকে বামপন্থী ভাবনার উত্থান ও বিবর্তন

দেখিতে পাও না তুমি মৃত্যুদূত দাঁড়ায়েছে দ্বারে!

বায়ুর অপর নাম জীবন

ছবি

হাওরের জীবন ও সংস্কৃতি

বিখণ্ডিত আত্মপরিচয়: তরল সহানুভূতিতে নৈতিক মূলধনের সমাজতত্ত্ব

প্রভাষকের ‘প্রভা’ যখন ‘শোক’: শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি বঞ্চনা

যুদ্ধ বিরতি গাজাবাসীর জন্য জরুরি ছিল

লবলং খালের মৃত্যু: স্মৃতিতে নদী, বাস্তবে দূষণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা: অর্থনৈতিক স্থিতির পূর্বশর্ত

হায় যম! আর কতক্ষণ, হবে অপেক্ষা করিতে মোরে?

পোশাক শিল্প : অগ্রগতি ও শ্রমিকের অধিকার

গণভোটের রাজনৈতিক গুরুত্ব

বামঘরানার বাটখারা...

বাগদা ফার্ম : স্মারকলিপি, অবরোধ, অনশন, আন্দোলন- কিছুতেই বরফ গলেনি

ব্যাটারি-শকট: নতুন সংকট

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

ভোজ্যতেল সংকট মেটাতে পাম চাষের গুরুত্ব

সোহান হোসেন

বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাম গাছ একটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ। রোপণের ৩-৪ বছরের মধ্যে ফলন শুরু হয়। একটানা ৬০-৭০ বছর ফল দিয়ে থাকে। বছরে ৮-১০টি কাঁদি আহরণ করা যায়। একটি কাঁদিও ওজন ৪০-৮০ কেজি পর্যন্ত হয়। ঝড় জলোচ্ছ্বাসে এই গাছের সহজে ক্ষতি হয় না। পাম গাছ অন্যান্য গাছ থেকে ১০ গুণ বেশি অক্সিজেন দেয়। এছাড়া পাম জল, পাম সিরাপ, পাম চিনি ইত্যাদি তৈরি হয়।

বাংলাদেশে প্রতি বছর ভোজ্যতেলের জন্য নানা ধরনের তেল জাতীয় ফসল চাষ করা হয়। তবে তেলজাতীয় ফসলের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো সরিষা। এছাড়া দেশে সূর্যমুখী, তিল, চীনাবাদাম, তিসি, কুসুমফুল, সয়াবিন ইত্যাদি চাষাবাদ হয়ে থাকে। সরিষার তেল দিয়েই ভোজ্যতেলের সিংহভাগ চাহিদা পূরণ হয় এবং সরিষার তেল বাঙালির ঐতিহ্যের একটা অংশ। সরিষার তেলের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা জন্য এখন সয়াবিন তেল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে ৬.১০৬ হে. জমিতে ৮.২৪৩ লাখ মে.টন সরিষা উৎপাদিত হয়েছে। অপরদিকে চীনাবাদাম ০.৯৫ লাখ হে. জমিতে ১.৭১ লাখ মে.টন, তিল ০.৬৫১ লাখ হে. জমিতে ০.৭৭১ লাখ মে.টন, সয়াবিন ০.৭৯১ লাখ হে. জমিতে ১.৪২২ লাখ মে.টন, সূর্যমুখী ০.০৯২ লাখ হে. জমিতে ০.১৬ লাখ মে.টন এবং অন্যান্য তেলজাতীয় ফসল ০.০১২ এবং ০.০১৪ লাখ মে.টন, যা থেকে দেখা যায়, সরিষা বাংলাদেশের প্রধান তেলজাতীয় ফসল।

বাংলাদেশে বর্তমানে জনপ্রতি মাথাপিছু ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ১২ কেজি। তবে এটি বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, উচ্চবিত্ত পরিবারের মানুষের মাথাপিছু ভোজ্যতেলের চাহিদা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষের তুলনায় বেশি।

বাংলাদেশে ২০২২-২৩ সালে মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৬ কোটি। তাই, ২০২২-২৩ সালে বাংলাদেশের জনপ্রতি মাথাপিছু ভোজ্যতেলের চাহিদা ছিল প্রায় ১৯২ কোটি কেজি।

বাংলাদেশে ২০২২-২৩ সালে মোট ভোজ্যতেলের উৎপাদন ছিল প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন। তাই উৎপাদন থেকে চাহিদা পূরণের জন্য প্রতি বছর প্রায় ৩৯ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। এই পরিমাণ তেলের মোট মূল্য ছিল প্রায় ১৮৪ কোটি ৭৯ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশের পান চাষ একটি সম্ভাবনাময় ভোজ্যতেলের উৎস। বাংলাদেশের বরগুনা, ভোলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ইত্যাদি অঞ্চলে বর্তমানে পাম চাষ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশের এই অঞ্চলগুলোতে পাম চাষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ থাকার কারণে দিন দিন আরো জনপ্রিয়তা লাভ করছে। একটি গবেষণায় দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রায় ১৫,০০০ হেক্টর জমিতে পাম চাষ করা হয়। এই পরিমাণ জমি থেকে প্রায় ১.৫ লাখ মেট্রিক টন পাম ফল উৎপাদিত হয়। এর থেকে প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন পাম তেল উৎপাদিত হয়।

বরগুনা, ভোলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ইত্যাদি অঞ্চলের পাশাপাশি অন্যান্য অঞ্চলে পাম চাষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে । কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে বাংলাদেশের সব অঞ্চলে পাম চাষ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। বাংলাদেশে বেশির ভাগ কৃষক স্বল্পশিক্ষিত নতুন কোন কিছুর সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়া এটা তাদের জন্য অনেক কঠিন। যেহেতু পাম একটি নতুন ভোজ্যতেলের উৎস তাই এ ব্যাপারে বেশির ভাগ কৃষকের রয়েছে স্বল্প ধারণা আবার কারো কারো কাছে একদমই অজানা।

দেশে বর্তমানে পাম চাষ করা গেলেও সব থেকে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাম ফল থেকে তেল উৎপাদনকারী যন্ত্র। বাংলাদেশের সব অঞ্চল মিলে বর্তমানে খুব স্বল্প পরিমাণে পাম চাষ করা হচ্ছে যার কারণে দামি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে পাম ফল থেকে তেল উৎপাদন প্রক্রিয়ায় খরচ হচ্ছে বেশি। যার ফলে কৃষকরা অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। যদি সরকার সহজ কিস্তিতে অথবা সরকারি কোন মাধ্যমে পাম ফল থেকে তেল সংগ্রহের যন্ত্র কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেন তাহলে বাংলাদেশে অদূর ভবিষ্যতে পাম চাষের সম্ভাবনা আরও অনেক গুণ বেড়ে যেত এবং বাংলাদেশে যে ৩৯ লাখ মেট্রিক টন তেল আমদানি করতে হয় তার পরিমাণও কমে অনেক নিচে নেমে আসত এবং দেশের মুদ্রা দেশের ব্যবহার করা যেত। যার ফলে জিডিপিতে বাড়ত কৃষি খাতে আয় যা দেশের উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

[লেখক : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া]

back to top