শাহাদাত হোসাইন
২০১৭ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ঢাকার স্বনামধন্য সাতটি কলেজকে শিক্ষার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। অনেকটা অপরিকল্পিতভাবেই অকস্মাৎ এ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয় এবং বাস্তবায়িত হয়। বলা হয়েছিলো অধিভুক্ত কলেজগুলোর বিদ্যায়তনিক কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভর্তি প্রক্রিয়া এবং পরীক্ষাসমূহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হবে; কিন্তু অধিভুক্তির সাত বছর পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার মানোন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো তার কিছুই হয়নি। বরং বিভিন্ন সময়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যা সমাধানের দাবীতে রাজপথে আন্দোলন করেছে। ২০১৭ সালের ২০ জুলাই পরীক্ষার দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান তার ২ চোখ হারান। তখন অজ্ঞাত প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থীর নামে মামলা দায়ের করেছিলো শাহবাগ থানা পুলিশ।
২০১৯ সালেও আমরা এরকম আন্দোলন দেখতে পেয়েছি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফলাফল প্রকাশ, গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশ ও খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন, প্রতি মাসে ঢাবির শিক্ষকদের মাধ্যমে বেশকিছু ক্লাস নেওয়া, একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি, সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবনের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। এসব যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিলো; কিন্তু তার প্রতিফলন আর পরিলক্ষিত হয়নি। ২০২২ সালে ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন দুইটি পরীক্ষার মধ্যে বন্ধ ছিলো টানা ৩৬ দিন। ২০২৩ সালে অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে পরীক্ষার সাত থেকে আট মাস পরে। শিক্ষার্থীরা তৃতীয় বর্ষের ফরম ফিলাপের মাত্র কয়েক দিন পূর্বে তাদের দ্বিতীয় বর্ষের রেজাল্ট পেয়েছিলো। এছাড়াও কলেজসমূহে শিক্ষক সংকট, শ্রেণীকক্ষ সংকট, পর্যাপ্ত ক্লাস না হওয়া, গবেষণার সুযোগ না থাকা, পরীক্ষায় সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্ন করাসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতিবছরই আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। আরো একটি অন্যতম সমস্যা হচ্ছে পরিচয়ের সংকট। কারমাইকেল কলেজ বা আনন্দমোহন কলেজের একজন শিক্ষার্থী তার বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নির্দ্বিধায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বলতে পারেন; কিন্তু সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নির্দ্বিধায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় দিতে পরেন না।
কারণ বরাবরই বলা হয়েছে যে, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। অনেক ক্ষেত্রে নিজের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় দিতে না পারায় শিক্ষার্থীরা সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হন। আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সার্টিফিকেটে ভিন্ন ফন্টে অ্যাফিলিয়েটেড উল্লেখ থাকায় উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা দূতাবাস সমূহে বিড়ম্বনার স্বীকার হয়েছেন। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো ইউনিট, অধিভুক্ত বা উপাদানকল্প প্রতিষ্ঠান সমূহের সার্টিফিকেটে এভাবে অ্যাফিলিয়েটেড উল্লেখ করা হয় না। শুধু সাত কলেজের সার্টিফিকেটে ভিন্ন ফন্টে অ্যাফিলিয়েটেড লেখার মাধ্যমে বৈষম্য করা হচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন।
ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবার নতুন করে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছে। গত ২১ অক্টোবর এবং আজকেও (২৩ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা রাজধানীর সাইন্সল্যাব অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করে এবং যাবতীয় সমস্যা সমাধানে সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বতন্ত্র স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কমিশন গঠনের দাবী জানিয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভাবনা একটি নতুন বিশ্বিবদ্যালয় হলে এসকল সমস্যার সমাধান মিলবে।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রাণ। সাত কলেজের প্রসঙ্গ বাদ দিলেও দেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠে এখনো বিভিন্ন সমস্যা বিদ্যমান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব শিক্ষার্থীদেরও সঠিকভাবে সেবা দিতে পারছে না। যে কারণে ঢাবির শিক্ষার্থীদের মধ্যেও উপর্যুপরি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ইতোমধ্যে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের পক্ষে আন্দোলন শুরু করেছে।
এমতাবস্থায় বিদ্যমান সংকট নিরসনে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। নচেৎ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন চলমান থাকলে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। সাত কলেজের সমস্যাসমূহ সমাধানের লক্ষ্যে সরকার, শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, সাত কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা অতীব জরুরি। এই কমিটির কাজ হবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যৌক্তিক এবং বাস্তবভিত্তিক সমাধানের পথ বের করা যাতে করে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুনরায় এধরণের অসন্তোষ তৈরি না হয় এবং সাত কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তবে অকস্মাৎ অপরিকল্পিত কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে তাতে ২০১৭ সালের মতো আবারও সেশনজটসহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে; যা শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করবে। সুতরাং সব বিষয় চিন্তাভাবনা করে একটি শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
[লেখক : সভাপতি, ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি]
শাহাদাত হোসাইন
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
২০১৭ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ঢাকার স্বনামধন্য সাতটি কলেজকে শিক্ষার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। অনেকটা অপরিকল্পিতভাবেই অকস্মাৎ এ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয় এবং বাস্তবায়িত হয়। বলা হয়েছিলো অধিভুক্ত কলেজগুলোর বিদ্যায়তনিক কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভর্তি প্রক্রিয়া এবং পরীক্ষাসমূহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হবে; কিন্তু অধিভুক্তির সাত বছর পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার মানোন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো তার কিছুই হয়নি। বরং বিভিন্ন সময়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যা সমাধানের দাবীতে রাজপথে আন্দোলন করেছে। ২০১৭ সালের ২০ জুলাই পরীক্ষার দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান তার ২ চোখ হারান। তখন অজ্ঞাত প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থীর নামে মামলা দায়ের করেছিলো শাহবাগ থানা পুলিশ।
২০১৯ সালেও আমরা এরকম আন্দোলন দেখতে পেয়েছি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফলাফল প্রকাশ, গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশ ও খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন, প্রতি মাসে ঢাবির শিক্ষকদের মাধ্যমে বেশকিছু ক্লাস নেওয়া, একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি, সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবনের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। এসব যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিলো; কিন্তু তার প্রতিফলন আর পরিলক্ষিত হয়নি। ২০২২ সালে ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন দুইটি পরীক্ষার মধ্যে বন্ধ ছিলো টানা ৩৬ দিন। ২০২৩ সালে অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে পরীক্ষার সাত থেকে আট মাস পরে। শিক্ষার্থীরা তৃতীয় বর্ষের ফরম ফিলাপের মাত্র কয়েক দিন পূর্বে তাদের দ্বিতীয় বর্ষের রেজাল্ট পেয়েছিলো। এছাড়াও কলেজসমূহে শিক্ষক সংকট, শ্রেণীকক্ষ সংকট, পর্যাপ্ত ক্লাস না হওয়া, গবেষণার সুযোগ না থাকা, পরীক্ষায় সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্ন করাসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতিবছরই আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। আরো একটি অন্যতম সমস্যা হচ্ছে পরিচয়ের সংকট। কারমাইকেল কলেজ বা আনন্দমোহন কলেজের একজন শিক্ষার্থী তার বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নির্দ্বিধায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বলতে পারেন; কিন্তু সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নির্দ্বিধায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় দিতে পরেন না।
কারণ বরাবরই বলা হয়েছে যে, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। অনেক ক্ষেত্রে নিজের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় দিতে না পারায় শিক্ষার্থীরা সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হন। আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সার্টিফিকেটে ভিন্ন ফন্টে অ্যাফিলিয়েটেড উল্লেখ থাকায় উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা দূতাবাস সমূহে বিড়ম্বনার স্বীকার হয়েছেন। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো ইউনিট, অধিভুক্ত বা উপাদানকল্প প্রতিষ্ঠান সমূহের সার্টিফিকেটে এভাবে অ্যাফিলিয়েটেড উল্লেখ করা হয় না। শুধু সাত কলেজের সার্টিফিকেটে ভিন্ন ফন্টে অ্যাফিলিয়েটেড লেখার মাধ্যমে বৈষম্য করা হচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন।
ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবার নতুন করে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছে। গত ২১ অক্টোবর এবং আজকেও (২৩ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা রাজধানীর সাইন্সল্যাব অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করে এবং যাবতীয় সমস্যা সমাধানে সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বতন্ত্র স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কমিশন গঠনের দাবী জানিয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভাবনা একটি নতুন বিশ্বিবদ্যালয় হলে এসকল সমস্যার সমাধান মিলবে।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রাণ। সাত কলেজের প্রসঙ্গ বাদ দিলেও দেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠে এখনো বিভিন্ন সমস্যা বিদ্যমান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব শিক্ষার্থীদেরও সঠিকভাবে সেবা দিতে পারছে না। যে কারণে ঢাবির শিক্ষার্থীদের মধ্যেও উপর্যুপরি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ইতোমধ্যে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের পক্ষে আন্দোলন শুরু করেছে।
এমতাবস্থায় বিদ্যমান সংকট নিরসনে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। নচেৎ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন চলমান থাকলে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। সাত কলেজের সমস্যাসমূহ সমাধানের লক্ষ্যে সরকার, শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, সাত কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা অতীব জরুরি। এই কমিটির কাজ হবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যৌক্তিক এবং বাস্তবভিত্তিক সমাধানের পথ বের করা যাতে করে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুনরায় এধরণের অসন্তোষ তৈরি না হয় এবং সাত কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তবে অকস্মাৎ অপরিকল্পিত কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে তাতে ২০১৭ সালের মতো আবারও সেশনজটসহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে; যা শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করবে। সুতরাং সব বিষয় চিন্তাভাবনা করে একটি শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
[লেখক : সভাপতি, ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি]