কামরুজ্জামান
সময় পাল্টে গেছে, এখন বিনয়ের বড় অভাব। এখন কেউ কাউকে সম্মান করতে চায় না। সম্মান করে কথা বলে না। নীতি-নৈতিকতা আচরণ পরিবর্তন হয়ে গেছে। কার কতটুকু করণীয়, কার কতটুকু বলা উচিত, কতটুকু পরিমাণ আগাতে হবে এবং কোথায় থামতে হবে সবকিছুই কেমন খাপছাড়া হয়ে গেছে। সবাইকে এখন খুব বেশি চালাক মনে হয়। কিন্তু পরিমিতিবোধ সেভাবে দেখা যায় না। সবাই জ্ঞান দিতে পছন্দ করে। সত্যিকারের জ্ঞান অর্জনের জায়গাটা আসলে ফাঁকা ও মিথ্যে বুলিতে ভরা। বিনয়ের চেয়ে উগ্রতা সর্বাগ্রে।
এখন কিশোরদের এন্ড্রয়েড ফোন লাগে। মোটরবাইক লাগে। কিন্তু কী কাজে ব্যবহার করা হবে এটা তারা একদমই জানে না। তাদের গতি অনেক কিন্তু গন্তব্য অজানা। তারা অনেক ব্যস্ত কিন্তু কাজের ফলাফল শূন্য। তাদের মোটরবাইকে লুকিং গ্লাস লাগে না। সাইলেন্সার পাইপের পেছনের অংশ খুলে ফেলতে হয়। মানুষ বুঝুক এইরকম বিকট শব্দে যারা মোটরবাইক চালায় তারা এই সমাজের বখে যাওয়া কিশোর। তারা মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় চলাচল করলে রাস্তা ছেড়ে দিতে হয়। বিকট শব্দের কারণে কানে তব্দা লাগে, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ বেড়ে যায়। বেড়ে যায় উচ্চ রক্তচাপ। এরা নিজেদের শো-আপ করে।
এরা বিনয়কে নির্বাসনে রেখে উচ্ছৃঙ্খলতা আর উগ্রতাকে ফ্যাশন হিসেবে গ্রহণ করে এগিয়ে চলেছে অজানা গন্তব্যে। মাঝে মাঝেই ঝরে পড়ছে তরতাজা প্রাণ। বাবা-মা হারায় তার অতি আদরের সন্তান আর সমাজ ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করে তার দায়িত্ব শেষ করে। এদের সঙ্গে না পারছে পরিবার, না পারছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আবার অনেকে ভয়ে এড়িয়ে চলছে।
প্রায়শই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর শুনতে হয়। আর ভয়ংকর যে বিষয় তা হলোÑ এদের প্রায় সবাই বয়সে কিশোর ও তরুণ। বিনয় তাদের কাছে আশা করা আকাশকুসুম কল্পনা। এরা অপরিচিত বড় কিংবা মুরব্বিদের সালাম দেয় না বা সৌজন্যতাবোধ দেখায় না। আমরা আসলে যাচ্ছি কোথায়? কেন এমনটা হচ্ছে ভেবে দেখা দরকার।
কিশোর অপরাধ কারো একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এদের অপরাধ এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বললে ফলাফল হয় উল্টো। যে বা যিনিই প্রতিবাদ করেন তাকেই হেনস্তার শিকার হতে হয়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। এরা নিজে যেমন বুঝে না অন্য কেউ বুঝতে চায় না। এরা এদের মতো। এদের আচরণ ভাষা, ইশারা ইঙ্গিত সবই আলাদা এবং নিজস্ব সাংকেতিক চিহ্নে ব্যবহার হয়। কিশোর অপরাধের জন্য সমাজের পুরো সিস্টেম দায়ী। এক দিনে এই অপরাধ গড়ে ওঠেনি, তাই রাতারাতি এদের নিয়ন্ত্রণ বা সচেতন করাও সম্ভব নয়।
কিশোর অপরাধ গড়ে ওঠার জন্য যতগুলো কারণ আছে তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছেÑ একান্নভুক্ত পরিবার ভেঙে একক পরিবার গড়ে ওঠা এবং স্যোশাল মিডিয়া। পরিবার এবং অভিভাবকদের দায়ও কম নয়।
কিশোর অপরাধী সবসময় দলবেঁধে ঘুরে। এরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে, পাড়া-মহল্লা ও হাটেবাজারের রাস্তার মোড়ে জটলা করে ও আড্ডা মেরে বেড়ায়। এরা উত্যক্ত করে স্কুল কলেজগামী মেয়ে শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে একজন দুজন মেয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় এরা টিজ করে, বাজে মন্তব্য করে। এমনকি কাপড় ধরে টান দেয় গায়ে স্পর্শ করে, যা খুবই অস্বস্তিকর ও বিব্রত। এরা মাদকাসক্ত। বিড়ি-সিগারেট খাওয়া থেকে শুরু করে মদ-গাঁজাসহ সব ধরনের মাদক গ্রহণ করে।
কিশোর অপরাধীরা কাউকে মানতে চায় না। এরা মুরব্বিদের সম্মান করে না। ছোটদের সঙ্গে ধমকের সুরে কথা বলে। আদব-কায়দা এদের নেই বললেই চলে। এদের অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলা যায় না। যে বা যারাই এদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে তাকেই অপমানিত হতে হয়।
কিশোর মোটরবাইকাররা বেশির ভাগ সময় বাবা-মাকে জিম্মি করে মোটরসাইকেল কিনে নেয়। এদের হাতে থাকে দামি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। এরা মোটরসাইকেল অতিরিক্ত গতিতে চালায় এবং মোটরসাইকেল আঁকাবাঁকা করে চালায়। মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপ খুলে ফেলায় বিকট শব্দ হয়। আশপাশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ শব্দদূষণে ভয়ংকর অবস্থা হয়। এরা দুর্ঘটনায় পতিত হয় এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে থাকে।
কিশোর মোটরবাইকারের মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটলে খুব কমই বেঁচে থাকে। বেঁচে থাকলেও সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়। আমার পরিচিত একটি ঘটনা দিয়ে লেখাটি শেষ করছি। দশম শ্রেণীতে পড়–য়া ছাত্র বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান গত কয়েক মাস আগে বায়না ধরে মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার। তার বক্তব্য হচ্ছেÑ সব বন্ধুদের মোটরসাইকেল আছে, একমাত্র তার নাই। বাবা-মাকে জানায় মোটরসাইকেল কিনে দিতেই হবে এটাই শেষ কথা। বাবা-মা খুব বোঝায়। কিন্তু সে বোঝে না। তার একটাই কথা মোটরসাইকেল লাগবেই। আত্মীয়স্বজন ও শিক্ষকদের দিয়ে বোঝায় কিন্তু কে বোঝে কার কথা। একপর্যায়ে গিয়ে মোটরসাইকেলের জন্য আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়ে বসে। বাবা-মা উপায়ন্তর না দেখে শেষপর্যন্ত মোটরসাইকেল কিনে দিতে বাধ্য হয়।
কিন্তু নিয়তির কী নির্মম পরিহাস, মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার দুই মাস যেতে না যেতেই দুর্ঘটনার শিকার হয় এবং ছেলেটি মারা যায়। ছেলের মৃত্যুর শোকে বাবা-মা পাগলপ্রায়। এক গবেষণায় দেখা যায় যেÑ বছরে প্রায় ২ হাজার ৫০০টির মতো মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মারা যায় প্রায় ৩ হাজারের মতো মানুষ এবং আহত হয় আরও ৩ হাজার ২০০ জন। এর মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই কিশোর ও তরুণ।
কিশোর মোটরবাইকার এবং তাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজে বের করা অতিব জরুরি। আর এর জন্য বাবা-মা ও অভিভাবকদের ভূমিকা হতে হবে আরও দায়িত্বশীল। ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল কিংবা অতি আদরে কিশোরদের হাতে মোটরবাইক দেয়া উচিত নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে। বয়স এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ করা উচিত। সরকারকেই এই নির্দেশনা জারি করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সম্ভব সচেতন, প্রগতিশীল কিশোর ও তরুণ সমাজ গঠন করা।
[লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা কলেজ, গাজীপুর]
কামরুজ্জামান
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সময় পাল্টে গেছে, এখন বিনয়ের বড় অভাব। এখন কেউ কাউকে সম্মান করতে চায় না। সম্মান করে কথা বলে না। নীতি-নৈতিকতা আচরণ পরিবর্তন হয়ে গেছে। কার কতটুকু করণীয়, কার কতটুকু বলা উচিত, কতটুকু পরিমাণ আগাতে হবে এবং কোথায় থামতে হবে সবকিছুই কেমন খাপছাড়া হয়ে গেছে। সবাইকে এখন খুব বেশি চালাক মনে হয়। কিন্তু পরিমিতিবোধ সেভাবে দেখা যায় না। সবাই জ্ঞান দিতে পছন্দ করে। সত্যিকারের জ্ঞান অর্জনের জায়গাটা আসলে ফাঁকা ও মিথ্যে বুলিতে ভরা। বিনয়ের চেয়ে উগ্রতা সর্বাগ্রে।
এখন কিশোরদের এন্ড্রয়েড ফোন লাগে। মোটরবাইক লাগে। কিন্তু কী কাজে ব্যবহার করা হবে এটা তারা একদমই জানে না। তাদের গতি অনেক কিন্তু গন্তব্য অজানা। তারা অনেক ব্যস্ত কিন্তু কাজের ফলাফল শূন্য। তাদের মোটরবাইকে লুকিং গ্লাস লাগে না। সাইলেন্সার পাইপের পেছনের অংশ খুলে ফেলতে হয়। মানুষ বুঝুক এইরকম বিকট শব্দে যারা মোটরবাইক চালায় তারা এই সমাজের বখে যাওয়া কিশোর। তারা মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় চলাচল করলে রাস্তা ছেড়ে দিতে হয়। বিকট শব্দের কারণে কানে তব্দা লাগে, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ বেড়ে যায়। বেড়ে যায় উচ্চ রক্তচাপ। এরা নিজেদের শো-আপ করে।
এরা বিনয়কে নির্বাসনে রেখে উচ্ছৃঙ্খলতা আর উগ্রতাকে ফ্যাশন হিসেবে গ্রহণ করে এগিয়ে চলেছে অজানা গন্তব্যে। মাঝে মাঝেই ঝরে পড়ছে তরতাজা প্রাণ। বাবা-মা হারায় তার অতি আদরের সন্তান আর সমাজ ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করে তার দায়িত্ব শেষ করে। এদের সঙ্গে না পারছে পরিবার, না পারছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আবার অনেকে ভয়ে এড়িয়ে চলছে।
প্রায়শই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর শুনতে হয়। আর ভয়ংকর যে বিষয় তা হলোÑ এদের প্রায় সবাই বয়সে কিশোর ও তরুণ। বিনয় তাদের কাছে আশা করা আকাশকুসুম কল্পনা। এরা অপরিচিত বড় কিংবা মুরব্বিদের সালাম দেয় না বা সৌজন্যতাবোধ দেখায় না। আমরা আসলে যাচ্ছি কোথায়? কেন এমনটা হচ্ছে ভেবে দেখা দরকার।
কিশোর অপরাধ কারো একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এদের অপরাধ এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বললে ফলাফল হয় উল্টো। যে বা যিনিই প্রতিবাদ করেন তাকেই হেনস্তার শিকার হতে হয়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। এরা নিজে যেমন বুঝে না অন্য কেউ বুঝতে চায় না। এরা এদের মতো। এদের আচরণ ভাষা, ইশারা ইঙ্গিত সবই আলাদা এবং নিজস্ব সাংকেতিক চিহ্নে ব্যবহার হয়। কিশোর অপরাধের জন্য সমাজের পুরো সিস্টেম দায়ী। এক দিনে এই অপরাধ গড়ে ওঠেনি, তাই রাতারাতি এদের নিয়ন্ত্রণ বা সচেতন করাও সম্ভব নয়।
কিশোর অপরাধ গড়ে ওঠার জন্য যতগুলো কারণ আছে তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছেÑ একান্নভুক্ত পরিবার ভেঙে একক পরিবার গড়ে ওঠা এবং স্যোশাল মিডিয়া। পরিবার এবং অভিভাবকদের দায়ও কম নয়।
কিশোর অপরাধী সবসময় দলবেঁধে ঘুরে। এরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে, পাড়া-মহল্লা ও হাটেবাজারের রাস্তার মোড়ে জটলা করে ও আড্ডা মেরে বেড়ায়। এরা উত্যক্ত করে স্কুল কলেজগামী মেয়ে শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে একজন দুজন মেয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় এরা টিজ করে, বাজে মন্তব্য করে। এমনকি কাপড় ধরে টান দেয় গায়ে স্পর্শ করে, যা খুবই অস্বস্তিকর ও বিব্রত। এরা মাদকাসক্ত। বিড়ি-সিগারেট খাওয়া থেকে শুরু করে মদ-গাঁজাসহ সব ধরনের মাদক গ্রহণ করে।
কিশোর অপরাধীরা কাউকে মানতে চায় না। এরা মুরব্বিদের সম্মান করে না। ছোটদের সঙ্গে ধমকের সুরে কথা বলে। আদব-কায়দা এদের নেই বললেই চলে। এদের অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলা যায় না। যে বা যারাই এদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে তাকেই অপমানিত হতে হয়।
কিশোর মোটরবাইকাররা বেশির ভাগ সময় বাবা-মাকে জিম্মি করে মোটরসাইকেল কিনে নেয়। এদের হাতে থাকে দামি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। এরা মোটরসাইকেল অতিরিক্ত গতিতে চালায় এবং মোটরসাইকেল আঁকাবাঁকা করে চালায়। মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপ খুলে ফেলায় বিকট শব্দ হয়। আশপাশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ শব্দদূষণে ভয়ংকর অবস্থা হয়। এরা দুর্ঘটনায় পতিত হয় এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে থাকে।
কিশোর মোটরবাইকারের মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটলে খুব কমই বেঁচে থাকে। বেঁচে থাকলেও সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়। আমার পরিচিত একটি ঘটনা দিয়ে লেখাটি শেষ করছি। দশম শ্রেণীতে পড়–য়া ছাত্র বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান গত কয়েক মাস আগে বায়না ধরে মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার। তার বক্তব্য হচ্ছেÑ সব বন্ধুদের মোটরসাইকেল আছে, একমাত্র তার নাই। বাবা-মাকে জানায় মোটরসাইকেল কিনে দিতেই হবে এটাই শেষ কথা। বাবা-মা খুব বোঝায়। কিন্তু সে বোঝে না। তার একটাই কথা মোটরসাইকেল লাগবেই। আত্মীয়স্বজন ও শিক্ষকদের দিয়ে বোঝায় কিন্তু কে বোঝে কার কথা। একপর্যায়ে গিয়ে মোটরসাইকেলের জন্য আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়ে বসে। বাবা-মা উপায়ন্তর না দেখে শেষপর্যন্ত মোটরসাইকেল কিনে দিতে বাধ্য হয়।
কিন্তু নিয়তির কী নির্মম পরিহাস, মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার দুই মাস যেতে না যেতেই দুর্ঘটনার শিকার হয় এবং ছেলেটি মারা যায়। ছেলের মৃত্যুর শোকে বাবা-মা পাগলপ্রায়। এক গবেষণায় দেখা যায় যেÑ বছরে প্রায় ২ হাজার ৫০০টির মতো মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মারা যায় প্রায় ৩ হাজারের মতো মানুষ এবং আহত হয় আরও ৩ হাজার ২০০ জন। এর মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই কিশোর ও তরুণ।
কিশোর মোটরবাইকার এবং তাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজে বের করা অতিব জরুরি। আর এর জন্য বাবা-মা ও অভিভাবকদের ভূমিকা হতে হবে আরও দায়িত্বশীল। ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল কিংবা অতি আদরে কিশোরদের হাতে মোটরবাইক দেয়া উচিত নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে। বয়স এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ করা উচিত। সরকারকেই এই নির্দেশনা জারি করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সম্ভব সচেতন, প্রগতিশীল কিশোর ও তরুণ সমাজ গঠন করা।
[লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা কলেজ, গাজীপুর]