alt

উপ-সম্পাদকীয়

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও দেশপ্রেমে জাতীয় অগ্রগতি

পিযুষ চক্রবর্তী

: রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্বদেশ নিজের জন্মভূমি। জন্মভূমি ও জন্মভূমির মানুষকে ভালোবাসতে হয় ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধে সহনশীল হতে হয়। সার্বভৌমম-িত জন্মস্থান ও দেশ মাতৃকা বাংলাদেশ। এদেশের ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সুগভীর ও সমৃদ্ধ। বাঙালি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন। ভাষার নামানুসারে আমাদের দেশের নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রকৃতি পরিবেশ সবকিছুই এ দেশের মানুষের অর্থাৎ আমাদের সম্পদ। কথায় আছে- মাতা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি স্বর্গের চেয়েও গরীয়সী। আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসি দেশের জনসমষ্টিকে। জনসমষ্টিই দেশের প্রাণ ও সব ক্ষমতার উৎস। এ দেশের জনসমষ্টির মধ্যে রয়েছেন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খিষ্টান ধর্মীয় অনুসারী। ধর্মীয় রীতিনীতি যার যার রাষ্ট্রের অগ্রগতি ও সম্প্রীতি সব জনতার। প্রতিনিয়তই সব শ্রেণীর মানুষের মেলামেশা, উঠা-বসা হচ্ছে জীবন জীবিকার কর্মযজ্ঞ। কথায় আছে সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। মানুষই সামাজিক কর্মকা- করে সভ্যতার চর্চা করে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগায় নিজ হিত ও অপরাপর কল্যাণে। মানুষের কল্যাণেই রাষ্ট্রের সৃষ্টি ও

জাতীয়তার বন্ধন। এদেশে জাতীয়তার বন্ধনে সব জনগণই বাংলাদেশি। এদেশের মানুষ বিভিন্ন সময়ে বৃহৎ ঐক্যের সংগ্রাম করেছে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন এবং ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ।

মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার ও পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার লড়াই। এ লড়াইয়ে বাংলার আপামর জনসাধারণ অর্থাৎ কৃষক জেলে তাঁতি কামার-কুমার, বিভিন্ন পেশাজীবী ছাত্র-শিক্ষক, বৃদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, শিল্পী, পুলিশ-আনসারসহ সব শ্রেণীর মানুষ ও সব ধর্মানুসারীরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া অনেকেই নানা ভাবে মুক্তি সংগ্রামীদের সাহায্য সহযোগিতা করেছিলেন। এটা তো কারও একার পক্ষে সম্ভব নয়। বাঙালির সম্মিলিত প্রয়াস ও বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় নেতৃত্বই মুক্তিযুদ্ধকে স্বাধীনতায় ও স্বাধীন দেশে পরিণত করে। মুক্তিযুদ্ধে এদেশের মানুষকে সহযোগিতা করে ছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান। প্রতিবেশী ও সম্প্রীতি অন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে স্থানীয় ও জাতীয় অঙ্গনে। বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক লাল-সবুজের পতাকা ও ৫৬ হাজার বর্গমাইলের মানচিত্র। এদেশের গুরুত্বপূর্ণ লিখিত দলিল হচ্ছে সংবিধান। আর সাংবিধানিক নাম হচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। গণতান্ত্রিক ও বহুদলীয় রাজনীতির বাংলাদেশ।

এদেশে প্রায় ১৮ কোটি জনগণ রয়েছেন যাদের কল্যাণে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা গুরুত্ব বহন করে। দেশের কল্যাণেই

রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হয়। রাজনীতি হচ্ছে সেবার উদ্দেশ্যে শাসনকার্য পরিচালনা। সর্বদলীয় অংশগ্রহণে ভোটাধিকার প্রয়োগে সরকার গঠিত হয় দেশ ও জাতির কল্যাণে। জাতির কল্যাণ ও দেশের অগ্রগতির স্বার্থে এদেশে সর্বদলীয় পরিশুদ্ধ রাজনীতির চর্চা ও ভোটাধিকারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। রাজনীতিতে ন্যায়, সত্য, আদর্শ ও সঠিক অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। রাজনৈতিক অনুসারী তথা জনসমাজকে দেশ, সমাজ ও জাতির কল্যাণে যারা আত্মনিয়োগ করতে সমর্থ ও অনুপ্রাণিত তারাই রাজনৈতিক শাসন কার্যে অগ্রগামী হয়ে উঠুক এতে জাতি সুস্থ ধারার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে পরিচালিত হবে। রাজনীতিতে এদেশে গণতান্ত্রিকধারা সু-প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠুক মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার প্রসার লাভ করুক। মানুষের কল্যাণ ও দেশের অগ্রগতিই রাজনীতির লক্ষ্য উদ্দেশ্য। তাই দেশে ও দেশের মানুষের অধিকার কাক্সিক্ষত স্র্রোতধারায় প্রবাহিত হয়ে উঠুক। ক্ষমতার লোভ হিংসা-প্রতিহিংসা ও বৈষম্য সৃষ্টি হয়ে পূর্বাপর অস্থিতিশীল রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা কায়েম হোক এটা কারোরই কাম্য নয়। দেশের কল্যাণে রাজনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও লিখিত সংবিধানের দেশ। বহুদলীর রাজনৈতিক সরকার ব্যবস্থা এদেশে রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো একে অন্যের প্রতি সহনশীল ও শ্রদ্ধা পোষণ করবে এতে সবারই কল্যাণ হবে এবং দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। কথায় আছে সবার তরে সকলে প্রত্যেকেই মোরা পরের তরে। জাতীয় ঐক্যের দেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ। এ দেশে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহনশীলতা ও সম্প্রীতি বজায় থাক দেশবাসীর সাধারণজনতা এটা প্রত্যাশা করে। দেশের কল্যাণে ও জনগণের উন্নয়ন অগ্রগতিতে কাজ যারা করবে বাংলার মানুষ তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে আর মানবতা বিরোধী কাজ যারা করে দেশবাসী তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে ও করবে।

[ লেখক : কবি ]

সর্বজনীন শিক্ষার বলয়ের বাইরে আদিবাসীরা : অন্তর্ভুক্তির লড়াইয়ে বৈষম্যের দেয়াল

শোনার গান, দেখার টান : অনুভূতির ভোঁতা সময়

ছবি

ছিন্নপত্রে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও রবীন্দ্র চেতনা

ভেতরের অদৃশ্য অপরাধ : সমাজের বিপন্ন মানসিকতা

দারিদ্র্য ও বৈষম্য নিরসনে খাসজমি ও জলার গুরুত্ব

অবহেলিত কৃষক ও বাজার ব্যবস্থার বৈষম্য

রাক্ষুসে মাছের দাপটে বিপন্ন দেশীয় মাছ : করণীয় কী?

বজ্রপাতের আতঙ্কে জনজীবন

তাহলে কি ঘৃণায় ছেয়ে যাবে দেশ, মানবজমিন রইবে পতিত

কর্পোরেট ও ব্যক্তিগত সামাজিক দায়বদ্ধতা

‘রাখাইন করিডর’ : একটি ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

ভিন্নমতের ভয়, নির্বাচনের দোলাচল ও অন্তর্বর্তী সরকারের কৌশলী অবস্থান

সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

কৃষি শিক্ষা হোক উদ্যোক্তা গড়ার মাধ্যম

রঙ্গব্যঙ্গ : কোটের কেবল রং বদলায়

মে দিবসের চেতনা বনাম বাস্তবতা

শ্রম আইন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় চাই আন্তরিকতা

বাসযোগ্যতা সূচকে ঢাকা কেন এত পিছিয়ে

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল : নিরাপদ যাত্রার প্রত্যাশা

কর ফাঁকি : অর্থনীতির জন্য এক অশনি সংকেত

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় : উপকূলীয় সুরক্ষার শিক্ষা

যখন নদীগুলো অস্ত্র হয়ে ওঠে

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত মান উন্নয়নে গবেষণা ও উদ্ভাবন

বজ্রপাত ও তালগাছ : প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা

কুষ্ঠ ও বৈষম্য : মানবাধিকারের প্রশ্নে একটি অবহেলিত অধ্যায়

ছবি

প্রান্তজনের বাংলাদেশ

অতীতের ছায়ায় নতুন বাংলাদেশ : দুর্নীতি, উগ্রপন্থা ও সরকারের দায়

সাইবার নিরাপত্তা : অদৃশ্য যুদ্ধের সামনে আমাদের প্রস্তুতি

ছবি

বাহান্নর গর্ভে জন্ম নেয়া এক ঝড়ের পাখি

প্রবাসী শ্রমিক : অর্থের যন্ত্র নয়, রাষ্ট্রের সহযোদ্ধা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ

ভোগবাদের বিরুদ্ধে পোপ ফ্রান্সিসের জলবায়ু বার্তা

রম্যগদ্য : হাসি নিষেধ...

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন : দাবি ও সমাধানের পথ

সিরিয়ার পতন কিভাবে আমেরিকার স্বার্থকে হুমকিতে ফেলছে

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র : বিকল্প রাষ্ট্রচিন্তার সন্ধানে

tab

উপ-সম্পাদকীয়

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও দেশপ্রেমে জাতীয় অগ্রগতি

পিযুষ চক্রবর্তী

রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্বদেশ নিজের জন্মভূমি। জন্মভূমি ও জন্মভূমির মানুষকে ভালোবাসতে হয় ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধে সহনশীল হতে হয়। সার্বভৌমম-িত জন্মস্থান ও দেশ মাতৃকা বাংলাদেশ। এদেশের ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সুগভীর ও সমৃদ্ধ। বাঙালি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন। ভাষার নামানুসারে আমাদের দেশের নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রকৃতি পরিবেশ সবকিছুই এ দেশের মানুষের অর্থাৎ আমাদের সম্পদ। কথায় আছে- মাতা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি স্বর্গের চেয়েও গরীয়সী। আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসি দেশের জনসমষ্টিকে। জনসমষ্টিই দেশের প্রাণ ও সব ক্ষমতার উৎস। এ দেশের জনসমষ্টির মধ্যে রয়েছেন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খিষ্টান ধর্মীয় অনুসারী। ধর্মীয় রীতিনীতি যার যার রাষ্ট্রের অগ্রগতি ও সম্প্রীতি সব জনতার। প্রতিনিয়তই সব শ্রেণীর মানুষের মেলামেশা, উঠা-বসা হচ্ছে জীবন জীবিকার কর্মযজ্ঞ। কথায় আছে সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। মানুষই সামাজিক কর্মকা- করে সভ্যতার চর্চা করে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগায় নিজ হিত ও অপরাপর কল্যাণে। মানুষের কল্যাণেই রাষ্ট্রের সৃষ্টি ও

জাতীয়তার বন্ধন। এদেশে জাতীয়তার বন্ধনে সব জনগণই বাংলাদেশি। এদেশের মানুষ বিভিন্ন সময়ে বৃহৎ ঐক্যের সংগ্রাম করেছে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন এবং ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ।

মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার ও পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার লড়াই। এ লড়াইয়ে বাংলার আপামর জনসাধারণ অর্থাৎ কৃষক জেলে তাঁতি কামার-কুমার, বিভিন্ন পেশাজীবী ছাত্র-শিক্ষক, বৃদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, শিল্পী, পুলিশ-আনসারসহ সব শ্রেণীর মানুষ ও সব ধর্মানুসারীরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া অনেকেই নানা ভাবে মুক্তি সংগ্রামীদের সাহায্য সহযোগিতা করেছিলেন। এটা তো কারও একার পক্ষে সম্ভব নয়। বাঙালির সম্মিলিত প্রয়াস ও বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় নেতৃত্বই মুক্তিযুদ্ধকে স্বাধীনতায় ও স্বাধীন দেশে পরিণত করে। মুক্তিযুদ্ধে এদেশের মানুষকে সহযোগিতা করে ছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান। প্রতিবেশী ও সম্প্রীতি অন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে স্থানীয় ও জাতীয় অঙ্গনে। বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক লাল-সবুজের পতাকা ও ৫৬ হাজার বর্গমাইলের মানচিত্র। এদেশের গুরুত্বপূর্ণ লিখিত দলিল হচ্ছে সংবিধান। আর সাংবিধানিক নাম হচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। গণতান্ত্রিক ও বহুদলীয় রাজনীতির বাংলাদেশ।

এদেশে প্রায় ১৮ কোটি জনগণ রয়েছেন যাদের কল্যাণে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা গুরুত্ব বহন করে। দেশের কল্যাণেই

রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হয়। রাজনীতি হচ্ছে সেবার উদ্দেশ্যে শাসনকার্য পরিচালনা। সর্বদলীয় অংশগ্রহণে ভোটাধিকার প্রয়োগে সরকার গঠিত হয় দেশ ও জাতির কল্যাণে। জাতির কল্যাণ ও দেশের অগ্রগতির স্বার্থে এদেশে সর্বদলীয় পরিশুদ্ধ রাজনীতির চর্চা ও ভোটাধিকারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। রাজনীতিতে ন্যায়, সত্য, আদর্শ ও সঠিক অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। রাজনৈতিক অনুসারী তথা জনসমাজকে দেশ, সমাজ ও জাতির কল্যাণে যারা আত্মনিয়োগ করতে সমর্থ ও অনুপ্রাণিত তারাই রাজনৈতিক শাসন কার্যে অগ্রগামী হয়ে উঠুক এতে জাতি সুস্থ ধারার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে পরিচালিত হবে। রাজনীতিতে এদেশে গণতান্ত্রিকধারা সু-প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠুক মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার প্রসার লাভ করুক। মানুষের কল্যাণ ও দেশের অগ্রগতিই রাজনীতির লক্ষ্য উদ্দেশ্য। তাই দেশে ও দেশের মানুষের অধিকার কাক্সিক্ষত স্র্রোতধারায় প্রবাহিত হয়ে উঠুক। ক্ষমতার লোভ হিংসা-প্রতিহিংসা ও বৈষম্য সৃষ্টি হয়ে পূর্বাপর অস্থিতিশীল রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা কায়েম হোক এটা কারোরই কাম্য নয়। দেশের কল্যাণে রাজনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও লিখিত সংবিধানের দেশ। বহুদলীর রাজনৈতিক সরকার ব্যবস্থা এদেশে রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো একে অন্যের প্রতি সহনশীল ও শ্রদ্ধা পোষণ করবে এতে সবারই কল্যাণ হবে এবং দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। কথায় আছে সবার তরে সকলে প্রত্যেকেই মোরা পরের তরে। জাতীয় ঐক্যের দেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ। এ দেশে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহনশীলতা ও সম্প্রীতি বজায় থাক দেশবাসীর সাধারণজনতা এটা প্রত্যাশা করে। দেশের কল্যাণে ও জনগণের উন্নয়ন অগ্রগতিতে কাজ যারা করবে বাংলার মানুষ তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে আর মানবতা বিরোধী কাজ যারা করে দেশবাসী তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে ও করবে।

[ লেখক : কবি ]

back to top