alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

আলুর চাষ, বীজ উৎপাদন ও সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ

মিহির কুমার রায়

: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে আলু মানুষের প্রধান খাদ্য এবং বহু দেশে পশুখাদ্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে সপ্তম স্থানে। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য ও বাণিজ্যে আলু অপরিহার্য। এটি শুধু খাদ্য নয়, একটি লাভজনক অর্থকরী ফসলও। একজন চাষির তথ্যমতে, ৬০ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের গ্রানোলা আলু চাষে খরচ বাদে ৫২ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। তবে আলু চাষের চ্যালেঞ্জও কম নয়। হেক্টরপ্রতি প্রায় ১.৫ টন বীজ প্রয়োজন, যার পরিবহন খরচও বেশি। চাষের খরচের ৪০ শতাংশই বীজ কেনায় ব্যয় হয়। বীজের চাহিদা বাড়লে মানসম্পন্ন বীজ সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়ে। নীরোগ ও নতুন প্রজন্মের বীজ চেনাও সহজ নয়, ফলে অনেক কৃষকের প্রত্যাশিত ফলন পাওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যায়। রবি মৌসুমে অন্য ফসলের সঙ্গে জমি ভাগ করে নিতে হয়। আবহাওয়ার প্রভাবে ফলন বিঘিœত হয়Ñ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার তারতম্য, মেঘলা আবহাওয়া, সেচ ও সারের ঘাটতি এবং জীবাণুনাশকের অপ্রতুলতায় ফসল নষ্ট হয়।

বাংলাদেশে আলুর সূচনা

প্রায় ৪০০ বছর আগে ইউরোপীয় বণিকদের মাধ্যমে ভারতবর্ষে আলু এলেও বাংলাদেশে এর বাণিজ্যিক চাষের ইতিহাস তত পুরনো নয়। ব্রিটিশ শাসনকালে আলু খাদ্যতালিকায় যুক্ত হলেও নেদারল্যান্ডসের আলুবীজের মাধ্যমে এটি জনপ্রিয় হয়। পুষ্টিগুণে ভাতের সমতুল্য হলেও বাঙালির খাদ্যে আলু সবজি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। গরম ভাতের সঙ্গে সরিষার তেলে মাখানো আলুভর্তা সবার প্রিয়। তরকারিতেও আলু অপরিহার্য। বিশ্বের ১৫৯টি দেশে আলু চাষ হয়। এটি পুষ্টিকর, উপাদেয় ও উচ্চ ফলনশীল। আলুকে ‘কিং অব ভেজিটেবল’ বলা হয়। হেক্টরপ্রতি আলুর গড় ফলন ২০ টন, যেখানে ধান ৩ টন ও গম ৩.৩ টন। এ কারণে চীন আলু উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ২২ শতাংশ আলু উৎপাদন করে চীন শীর্ষে রয়েছে।

আলুর সংখ্যাতত্ত্ব ও বহুমুখিতা

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৮০ লাখ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টনের কাছাকাছি, অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় প্রায় ৩০ লাখ টন বেশি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য সঠিক হলে ১৫ শতাংশ নষ্ট হওয়ার পরও উদ্বৃত্ত থাকার কথা। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হিসাবে ওই অর্থবছরে ৯৮,৭৩১ টন আলু আমদানি করা হয়েছে, যদিও রপ্তানি হয়েছে ১২,৩৫২ টন। এই তথ্যের অসঙ্গতি থাকলেও আলুর ব্যবহার বেড়েছে। চিপস ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের চাহিদা বাড়ছে। তবে আমাদের বেশির ভাগ আলু টেবিল পটেটো হিসেবে রান্নায় ব্যবহৃত হয়। প্রসেসিং শিল্পে ভিন্ন জাতের আলু প্রয়োজন।

আলুবীজের আমদানি নির্ভরতা

বাংলাদেশে আলুবীজের বড় অংশ আমদানিনির্ভর। এই নির্ভরতা কমাতে দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। নেদারল্যান্ডসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স থ্রাইস ভদস্ত্রা বলেন, ‘১০-১২টি ডাচ কোম্পানি বাংলাদেশে বীজ সরবরাহ করছে। বাংলাদেশের আলু উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য দেখছি। তবে নেদারল্যান্ডসে হেক্টরপ্রতি ৪০ টন ফলন হয়, আর বাংলাদেশে ২০ টন। উচ্চফলনশীল বীজ ও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ফলন বাড়ানো সম্ভব।’ বর্তমানে বাংলাদেশে ১১টি আলুর জাত রয়েছে, যেমন- সানসাইন, সান্তানা, গ্র্যানুলা, কারেজ ইত্যাদি।

বিএডিসি ও আলুবীজ সরবরাহ

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) আলুবীজ সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সম্প্রতি রংপুর অঞ্চলে বীজের বরাদ্দ কমছে। গত ছয় বছরে বরাদ্দ কমেছে ১,৪২৮.৭৫৯ টন, অথচ চাষের জমি বেড়েছে ৯,২০২ হেক্টর। চলতি বছর রংপুরে বীজ বরাদ্দ ২,৭৯৭.৩২ টন। কৃষক ও ডিলাররা বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। বিএডিসির বীজ মানসম্পন্ন হলেও উৎপাদন না বাড়ায় চাহিদা পূরণে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।

আলুর চ্যালেঞ্জ

আলু চাষের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা উজ্জ্বল, তবে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মানসম্পন্ন বীজের সংকট, ফলন বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তির অভাব, স্টোরেজ ব্যবস্থার স্বল্পতা এবং প্রসেসিং শিল্পের অনুন্নত অবস্থা উল্লেখযোগ্য। খাদ্যনিরাপত্তার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য প্রসেসিং শিল্পে ব্যবহারযোগ্য জাতের আলু চাষ বাড়াতে হবে। আলুর জাত উন্নয়ন, গবেষণা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে এর বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

[লেখক : সাবেক ডিন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা]

অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই

দিপু দাস হত্যাকাণ্ড ও মব সন্ত্রাস

ভোগের দৃশ্যপট: ঢাকায় আধুনিকতা কেন কেবল অল্প কিছু মানুষের জন্য?

স্বর্ণের মোহ ও মানবিক দ্বন্দ্ব

ভালোবাসার দেহধারণ: বড়দিনের তাৎপর্য

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট

বিনা-ভাড়ার ট্রেনযাত্রা

ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে এশিয়া

ছবি

নামে ইসলামী, কাজে আবু জাহেল!

জলবায়ু পরিবর্তন: স্বাস্থ্যঝুঁকি

ছবি

অস্থির পেঁয়াজের বাজার: আমদানি কি সত্যিই সমাধান?

মূল্যবৃদ্ধির ঘেরাটোপ: সংকটাক্রান্ত পরিবার ও সামাজিক রূপান্তর

বায়দূষণে অকালমৃত্যু

লাশের বদলে লাশই যদি চুড়ান্ত হয়, তবে রাষ্ট্রের দরকার কী?

ভিক্ষাবৃত্তি যেখানে অন্যতম পেশা

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

আদিবাসীদের ভূমি অধিকার ও নিরাপত্তা সংকট

“মুনীর চৌধুরীর কবর...”

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

জলবায়ু সংকট ও খাদ্য নিরাপত্তা

স্বাধীন তদন্ত কমিশন দাবির নেপথ্যে কি দায়মুক্তি?

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

প্রহর গুনি কোন আশাতে!

বিজয়ের রক্তাক্ত সূর্য ও আমাদের ঋণের হিসাব

বিজয় দিবস: নতুন প্রজন্মের রাষ্ট্রচিন্তার দিকদর্শন

ছবি

আমাদের বিজয়ের অন্তর্নিহিত বার্তা

প্রাণিসম্পদ: দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি

জমির জরিপ: ন্যায়বিচার প্রসঙ্গ

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

উন্নয়নের আড়ালে রোগীর ভোগান্তি: আস্থা সংকটে স্বাস্থ্যসেবা

ছবি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: অমিত শক্তির উৎস

ছবি

বেগম রোকেয়া এখনো জাগ্রত

পশ্চিমবঙ্গ: বামপন্থীদের ‘বাংলা বাঁচাও’-এর ডাক

সবার বাংলাদেশ কবে প্রতিষ্ঠিত হবে?

বিদেশি বিনিয়োগ : প্রয়োজন আইনের শাসন ও সামাজিক স্থিতি

চিকিৎসা যখন অসহনীয় ব্যয়, তখন প্রতিবাদই ন্যায়

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

আলুর চাষ, বীজ উৎপাদন ও সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ

মিহির কুমার রায়

মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে আলু মানুষের প্রধান খাদ্য এবং বহু দেশে পশুখাদ্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে সপ্তম স্থানে। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য ও বাণিজ্যে আলু অপরিহার্য। এটি শুধু খাদ্য নয়, একটি লাভজনক অর্থকরী ফসলও। একজন চাষির তথ্যমতে, ৬০ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের গ্রানোলা আলু চাষে খরচ বাদে ৫২ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। তবে আলু চাষের চ্যালেঞ্জও কম নয়। হেক্টরপ্রতি প্রায় ১.৫ টন বীজ প্রয়োজন, যার পরিবহন খরচও বেশি। চাষের খরচের ৪০ শতাংশই বীজ কেনায় ব্যয় হয়। বীজের চাহিদা বাড়লে মানসম্পন্ন বীজ সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়ে। নীরোগ ও নতুন প্রজন্মের বীজ চেনাও সহজ নয়, ফলে অনেক কৃষকের প্রত্যাশিত ফলন পাওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যায়। রবি মৌসুমে অন্য ফসলের সঙ্গে জমি ভাগ করে নিতে হয়। আবহাওয়ার প্রভাবে ফলন বিঘিœত হয়Ñ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার তারতম্য, মেঘলা আবহাওয়া, সেচ ও সারের ঘাটতি এবং জীবাণুনাশকের অপ্রতুলতায় ফসল নষ্ট হয়।

বাংলাদেশে আলুর সূচনা

প্রায় ৪০০ বছর আগে ইউরোপীয় বণিকদের মাধ্যমে ভারতবর্ষে আলু এলেও বাংলাদেশে এর বাণিজ্যিক চাষের ইতিহাস তত পুরনো নয়। ব্রিটিশ শাসনকালে আলু খাদ্যতালিকায় যুক্ত হলেও নেদারল্যান্ডসের আলুবীজের মাধ্যমে এটি জনপ্রিয় হয়। পুষ্টিগুণে ভাতের সমতুল্য হলেও বাঙালির খাদ্যে আলু সবজি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। গরম ভাতের সঙ্গে সরিষার তেলে মাখানো আলুভর্তা সবার প্রিয়। তরকারিতেও আলু অপরিহার্য। বিশ্বের ১৫৯টি দেশে আলু চাষ হয়। এটি পুষ্টিকর, উপাদেয় ও উচ্চ ফলনশীল। আলুকে ‘কিং অব ভেজিটেবল’ বলা হয়। হেক্টরপ্রতি আলুর গড় ফলন ২০ টন, যেখানে ধান ৩ টন ও গম ৩.৩ টন। এ কারণে চীন আলু উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ২২ শতাংশ আলু উৎপাদন করে চীন শীর্ষে রয়েছে।

আলুর সংখ্যাতত্ত্ব ও বহুমুখিতা

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৮০ লাখ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টনের কাছাকাছি, অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় প্রায় ৩০ লাখ টন বেশি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য সঠিক হলে ১৫ শতাংশ নষ্ট হওয়ার পরও উদ্বৃত্ত থাকার কথা। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হিসাবে ওই অর্থবছরে ৯৮,৭৩১ টন আলু আমদানি করা হয়েছে, যদিও রপ্তানি হয়েছে ১২,৩৫২ টন। এই তথ্যের অসঙ্গতি থাকলেও আলুর ব্যবহার বেড়েছে। চিপস ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের চাহিদা বাড়ছে। তবে আমাদের বেশির ভাগ আলু টেবিল পটেটো হিসেবে রান্নায় ব্যবহৃত হয়। প্রসেসিং শিল্পে ভিন্ন জাতের আলু প্রয়োজন।

আলুবীজের আমদানি নির্ভরতা

বাংলাদেশে আলুবীজের বড় অংশ আমদানিনির্ভর। এই নির্ভরতা কমাতে দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। নেদারল্যান্ডসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স থ্রাইস ভদস্ত্রা বলেন, ‘১০-১২টি ডাচ কোম্পানি বাংলাদেশে বীজ সরবরাহ করছে। বাংলাদেশের আলু উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য দেখছি। তবে নেদারল্যান্ডসে হেক্টরপ্রতি ৪০ টন ফলন হয়, আর বাংলাদেশে ২০ টন। উচ্চফলনশীল বীজ ও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ফলন বাড়ানো সম্ভব।’ বর্তমানে বাংলাদেশে ১১টি আলুর জাত রয়েছে, যেমন- সানসাইন, সান্তানা, গ্র্যানুলা, কারেজ ইত্যাদি।

বিএডিসি ও আলুবীজ সরবরাহ

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) আলুবীজ সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সম্প্রতি রংপুর অঞ্চলে বীজের বরাদ্দ কমছে। গত ছয় বছরে বরাদ্দ কমেছে ১,৪২৮.৭৫৯ টন, অথচ চাষের জমি বেড়েছে ৯,২০২ হেক্টর। চলতি বছর রংপুরে বীজ বরাদ্দ ২,৭৯৭.৩২ টন। কৃষক ও ডিলাররা বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। বিএডিসির বীজ মানসম্পন্ন হলেও উৎপাদন না বাড়ায় চাহিদা পূরণে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।

আলুর চ্যালেঞ্জ

আলু চাষের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা উজ্জ্বল, তবে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মানসম্পন্ন বীজের সংকট, ফলন বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তির অভাব, স্টোরেজ ব্যবস্থার স্বল্পতা এবং প্রসেসিং শিল্পের অনুন্নত অবস্থা উল্লেখযোগ্য। খাদ্যনিরাপত্তার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য প্রসেসিং শিল্পে ব্যবহারযোগ্য জাতের আলু চাষ বাড়াতে হবে। আলুর জাত উন্নয়ন, গবেষণা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে এর বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

[লেখক : সাবেক ডিন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা]

back to top